দুইজন স্ত্রী রাখার অভিমত

কোন মন্তব্য নেই
এখানে শিয়া এবং জাহেরী সম্প্রদায়ের
মত উল্লেখ করার উদ্দেশ্য মোটেই
তাদের সমর্থন করা নয়, আর এরূপ
বিভ্রান্তকর মতকে সমর্থনের প্রশ্নই
আসে না বরং এই দুই সম্প্রদায়ের
মতামত উল্লেখ এজন্য করা হয়েছে যে,
আলোচ্য আয়াতের
দ্বারা যারা একাধিক স্ত্রী রাখার
অনুমতি সীমিত করণ সাব্যস্ত
করে থাকে তাদের বুঝা উচিত যে,
আরবী ভাষাগতভাবে সীমিত করণের
স্থলে অসীমিত করণ সাব্যস্ত করার
সুযোগ অনেকেই গ্রহণ করেছেন কিন্তু
উপযুক্ত কারণেই মুসলিম উম্মাহ
তাদের মতামত কে গ্রহণ করেন নাই।
সুতরাং মুসলিম উম্মাহের ঐক্যমতের
বিরোধী কতিপয় লোকের একাধিক
স্ত্রী রাখার অনুমতি সীমিত করণের
মতামত মুসলিম উম্মাহের নিকট মোটেই
গ্রহণযোগ্য নয়, বরং ইনসাফ
এবং সমতার শর্তে চার পর্যন্ত
স্ত্রী রাখার অনুমতি আছে, আর এক
সাথে চারের অধিক স্ত্রী রাখার
অনুমতি নাই। এ সম্পর্কে উলামাদের
বিস্তারিত মতামত তো আছেই তবে এ
সম্পর্কে আল্লামা মাহমুদ আলূসী তার
প্রসিদ্ধ তাফসীর রুহুল
মাআনীতে (৪:১৯১-১৯৩)
বিস্তারিত আলোচনা করেছেন
এবং দলীল প্রমাণাদির
দ্বারা আহলে সুন্নতের
মতামতকে প্রমাণিত করেছেন।
মুফাসসীর আলূসীর পূর্বে এই আয়াতের
বিশদ বিবরণ দিতে গেয়ে অপর একজন
মুফাসসির আল্লামা যাহেদী দুইজন
স্ত্রী একসাথে রাখাকে মুস্তাহাব
বলে দাবী করেছেন,
তাফসীরে আহমাদীতে মুল্লা জীয়ূন
বলেনÑ
ﻭﻗﺎﻝ ﺍﻻﻣﺎﻡ ﺍﻟﺰﺍﻫﺪﻱ ﺍﻥ ﻓﻲ
ﺑﺪﺍﻳﺔ ﺍﻻﺛﻨﻴﻦ ﺩﻭﻥ ﺍﻟﻮﺍﺣﺪ ﺩﻟﻴﻞ
ﻋﻠﻲ ﺍﺳﺘﺤﺒﺎﺑﻬﺎ
অর্থাৎ আয়াতের মধ্যে এক
সংখ্যা উল্লেখ না করে দুই
সংখ্যা থেকে শুরু করার
দ্বারা দুইজনকে একসাথে স্ত্রী হিসেবে
গ্রহণ করা মুস্তাহাব প্রমাণিত হয়।
মোটকথা এই আয়াতের দ্বারা একাধিক
স্ত্রী রাখার অনুমতির
ব্যাপারে মুসলিম উম্মাহের কোন
প্রকার মতবিরোধ নেই। অনেকেই
দুইজন রাখাকে মুস্তাহাব বলেও মন্তব্য
করেছেন। সুতরাং যারা একাধিক
স্ত্রী রাখার বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণ
করেছে তাদের মতামত মোটেই
গ্রহণযোগ্য নয়।
আর
যদি দাবী অনুযায়ী একথা মেনে নেয়া হয়
যে, একাধিক স্ত্রী রাখার
অনুমতিকে সীমিতকরণের
পরিপ্রেক্ষিতেই আলোচ্য
আয়াতটি নাযিল হয়েছে তবুও এক
স্ত্রী রাখতে বাধ্য করার
অথবা একাধিক স্ত্রী রাখার উপর
আইনী বাধ্যবাধকতার কোন অবকাশ
নেই, কেননা এই মুলনীতি সর্বজন
স্বীকৃত যে,
ﺍﻟﻌﺒﺮﺓ ﻟﻌﻤﻮﻡ ﺍﻟﻤﻌﻨﻲ
ﻻﻟﺨﺼﻮﺹ ﺍﻟﺴﺒﺐ- ﻧﻮﺭ ﺍﻻﻧﻮﺍﺭ
হুকুম সববের সাথে সীমিত হয়
না বরং অর্থের ব্যাপকতা গ্রহণযোগ্য
হয়। প্রসিদ্ধ মুফাসসির আবু বকর
জাস্সাসও একথা বলেছেন-
ﻟﻮﻧﺰﻟﺖ ﻋﻠﻲ ﺳﺒﺐ ﺧﺎﺹ ﻟﻢ
ﻳﻮﺟﺐ ﺫﺍﻟﻚ ﺗﺨﺼﻴﺺ ﻋﻤﻮﻡ
ﺍﻟﻠﻔﻆ ﺑﻞ ﺍﻟﺤﻜﻢ ﺩﻭﻥ ﺍﻟﺴﺒﺐ
ﻋﻨﺪﻧﺎ ﻓﻨﺰﻭﻟﻬﺎ ﻋﻠﻲ ﺳﺒﺐ ﻭﻧﺰﻭﻟﻬﺎ
ﻣﺒﺘﺪﺃﺓ ﻣﻦ ﻏﻴﺮ ﺳﺒﺐ ﺳﻮﺍﺀ
)ﺍﺣﻜﺎﻡ ﺍﻟﻘﺮﺍﻥ )
অর্থাৎ আয়াতের হুকুম শানে নুযুলের
সাথে খাছ হয় না, বরং হুকুম ব্যাপক
অর্থে গৃহিত হয়। তাই
শানেনুযুলভিত্তিক আয়াত
এবং শানে নুযুল বিহীন আয়াত অর্থের
প্রশ্নে বরাবর।
মোটকথা, যারা আলোচ্য আয়াতের
দ্বারা চারের অধিক স্ত্রী এক
সাথে রাখার অনুমতি উদ্ভাবন
করে থাকে, অথবা যারা একাধিক
স্ত্রী এক সাথে রাখাকে নাজায়েয
মনে করে তারা উভয়ই সীমালংঘন
করছে। আর আসল হুকুম তাই
যা জমহুরে উম্মতে মুসলিমাহ গ্রহণ
করেছে।

সূত্রঃ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তরদাওয়াতি সংগঠন মজলিসে দাওয়াতুলহক। এর মৌল উদ্দেশ্য মানব জীবনেসকল ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত ওআদর্শের প্রতিফলন ঘটানো।কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের ইত্তিবা-অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলারইবাদত আনুগত্যের দাবি পূরণ করাই হলএকজন মুসলমানের ইহকালীন জীবনেরমূল উদ্দেশ্য।।শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :