ইসলামী দৃষ্টিতে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক

কোন মন্তব্য নেই
মাওলানা আব্দুল খালেক
ইসলাম দাম্পত্য জীবনে পারস্পরিক
আস্থা এবং সম্মানের সম্পর্ক বজায়
রাখাকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। আবু
হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
যখন নব বিবাহিত কাউকে ধন্যবাদ
জ্ঞাপন করতেন তখন বলতেন :
‘আল্লাহ তায়ালা তোমাকে বরকত দান
করুন, তোমাদের উভয়কে বরকত দান
করুন এবং তোমাদের দু’জনের
মধ্যে কল্যাণময় সম্পর্ক বজায়
রাখুন’ (মুসনাদে আহমাদ ৮৯৪৪
থেকে মিশকাতে)। স্বামী তার স্ত্রীর
প্রতি বিশ্বস্ত
থাকবে এটি ইসলামী পারিবারিক
জীবনের কাম্য বিষয়।
স্বামী কিংবা স্ত্রী কারোর
অবিশ্বস্ততাকে ইসলাম অনুমোদন
করে না। কোনো স্বামী স্ত্রীর
বদলে অন্য কোনো নারীর
সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক
গড়ে তুললে তা ইসলামী অনুশাসনে
মারাত্মক অপরাধ হিসেবে বিবেচিত
হবে। একইভাবে কোনো স্ত্রী পর
পুরুষের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক
গড়ে তুললে সেটিও একই ধরনের অপরাধ
হিসেবে বিবেচিত হবে। রোজ কেয়ামতেও
ব্যভিচারের অপরাধে জড়িত পুরুষ
বা নারীর স্থান হবে জাহান্নাম।ইসলাম
স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সদাচরণের
ওপর গুরুত্ব দেয়। স্ত্রীর
সঙ্গে স্বামীর অসদাচরণের জন্য
তাকে যেমন রোজ
কেয়ামতে জবাবদিহি করতে হবে, তেমন
কোনো নারী স্বামীর সঙ্গে অসদাচরণ
করলে তাকেও জবাবদিহিতার সম্মুখীন
হতে হবে।হজরত আবু আইয়ুব
আনসারী (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূল
(সা.) বলেছেন, ‘কেয়ামতের দিন
সর্বপ্রথম যে বিরোধ
মীমাংসা করা হবে তা হলো_ এক
স্বামী ও তার স্ত্রীর বিরোধ।
আল্লাহর শপথ! (সে সময়) স্ত্রীর
জিহ্বা কথা বলবে না, বরং তার হাত-
পা সাক্ষ্য দেবে, পৃথিবীতে সে তার
স্বামীর সঙ্গে এই এই আচরণ করেছে।
আর স্বামীর হাত-পাও সাক্ষ্য
দেবে যে, সে তার স্ত্রীর সঙ্গে এই এই
ভালো আচরণ বা এই এই খারাপ আচরণ
করেছে। অতঃপর আল্লাহর
এজলাসে মনিব ও কর্মচারী সংক্রান্ত
মামলা উঠবে। সেদিন কোনো আর্থিক
জরিমানা করে বিরোধ মিটানো হবে না।
বরং মজলুমকে জালিমের নেক
আমলগুলো দিয়ে দেওয়া হবে এবং
মজলুমের বদ আমলসমূহ জালিমের
ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হবে।
অবশেষে প্রতাপশালী অহংকারী
অত্যাচারীদেরকে লোহার
জিঞ্জিরে পেঁচিয়ে হাজির করা হবে।
অনন্তর
বলা হবে তাদেরকে দাবড়িয়ে জাহান্নামে
নিয়ে যাও।’ _তাবরানী।
ইসলামী দৃষ্টিতে সেই ব্যক্তিই
উত্তম, যে তার স্ত্রীর
দৃষ্টিতে উত্তম। অর্থাৎ
কোনো ব্যক্তি উত্তম
হিসেবে বিবেচিত
হবে কিনা তা তার স্ত্রীর
সার্টিফিকেটের ওপর নির্ভর
করবে। মানুষ যাতে স্ত্রীর
প্রতি বিশ্বস্ত থাকে তার
আস্থা অর্জনের
চেষ্টা করে পারস্পরিক
ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়
তা উৎসাহিত করতে স্বামীর
উত্তম হিসেবে বিবেচিত হওয়ার
বিষয়টি স্ত্রীর বিবেচনার ওপর
ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ইসলামের এ
বিধান পারিবারিক
জীবনে স্ত্রীর
মর্যাদাকে মহিমান্বিত করেছে।
আল্লাহ ও রাসূল (সা.) এর
নির্দেশনা অনুযায়ী চললে
পারিবারিক ও সামাজিক
জীবনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ
নিশ্চিত করা সম্ভব।
লেখক : ইসলামী গবেষক।

শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :