স্বামী-স্ত্রীর অসমতার পরিণাম - সুন্দর দাম্পত্য জীবন

কোন মন্তব্য নেই
স্বামী-স্ত্রীর অসমতার পরিণাম
বিবাহের মুহুর্তে স্বামী স্ত্রী উভয়ের
মধ্যে স্থায়ী সম্পর্ক স্থাপনের বিধি-
বিধানের গুরুত্ব থাকার পরও
পরবর্তী অনেক সময় উভয়ের মধ্যে সু
সম্পর্ক সৃষ্টি হয় না এবং কোন ক্রমেই
দাম্পত্য জীবনের সুখ শান্তির পথ
সুগম হয় না। এমতাবস্থায় দূরদর্শীতার
দৃষ্টিতে অশান্তি এবং তিক্ততার এই
দাম্পত্য সম্পর্ক ছিন্ন করাই
যুক্তিযুক্ত মনে হয়।এমতাবস্থায়
যদি উভয়ের বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন
করার শরীয়তগত
ব্যবস্থা করা না হতো,
তাহলে ইসলামী জীবন
বিধানকে একটি পরিপূর্ণ জীবন বিধান
মোটেই বলা যেতো না।
কেননা একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার
সমাধান না থাকায় ইসলাম
একটি অসম্পূর্ণ জীবন
বিধানে অভিহিত হতো।
বিভিন্ন ধর্মের চিন্তাধারা
অন্যান্য ধর্মসমূহে তালাকের সুযোগ
নেই, আর থাকলেও কোন সুস্পষ্ট
বিধি বিধান নির্ধারিত নেই,
যথা খৃষ্টান-ঈসায়ী ধর্মে বৈবাহিক
সম্পর্ক ছিন্নের কোন বিধান নেই।
( ﻣﺪﻱ ﺣﺮﻳﺔ ﺍﻟﺰﻭﺟﻴﻦ-২৬)
হিন্দু মাযহাবেও বৈবাহিক সম্পর্ক
ছিন্ন করার কোন ব্যবস্থা নেই, বিবাহ
অনুষ্ঠানেই এ সম্পর্কে তাদের
মাজহাবী এই নিয়মের কথা শুনানো হয়
(রগভেদ ১১)
সুন্দর দাম্পত্য জীবন
বৈবাহিক সম্পর্কের পর
ইসলামী শরীয়তে পরস্পর মুহাব্বত,
মায়া-মমতা ক্ষমা, উদারতার
প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ
করা হয়েছে। মহিলাগণ সাধারণত কোমল
হৃদয়ের অধিকারী হয়, রুক্ষ
আচরনে অধিক কষ্ট পায়, বিধায়
তাদের স্বভাবের প্রতি বিশেষ
নমণীয়তা প্রদর্শনের জন্য
পুরষকে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত
করেছে এবং পরামর্শ বরং নির্দেশ
দিয়েছে। বলা হয়েছে যে, মহিলাগণ
সৃষ্টিগত দুর্বল স্বভাবের কারণে তরীৎ
স্বামীর স্বভাবের
সাথে একমনা হতে বিলম্ব হয়,
এক্ষেত্রে স্বামীকে অবশ্যই ধর্মের
পরিচয় দিতে হবে। হযরত রাসূলে পাক
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
ওফাতের পূর্ব মুহূর্তে ‘হজ্জাতুল
বিদায়’-এ যে ঐতিহাসিক
দিকনির্দেশনা দান করেন, সেই
দিকনির্দেশনায় মহিলাদের প্রতি ভাল
আচরণ করার
বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে ইরশাদ
করেন-
ﺍﺳﺘﻮﺻﻮﺍ ﺑﺎﻟﻨﺴﺎﺀ ﺧﻴﺮﺍ ﻓﺈﻧﻬﻦ
ﺧﻠﻘﻦ ﻣﻦ ﺿﻠﻊ ﻭﺇﻥ ﺃﻋﻮﺝ
ﺷﻲﺀ ﻓﻲ ﺍﻟﻀﻠﻊ ﺃﻋﻼﻩ ﻓﺈﻥ
ﺫﻫﺒﺖ ﺗﻘﻴﻤﻪ ﻛﺴﺮﺗﻪ ﻭﺃﻥ ﺗﺮﻛﺘﻪ
ﻟﻢ ﻳﺰﻝ ﺃﻋﻮﺝ )ﺑﺨﺎﺭﻱ )
মোট কথা রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বামী- স্ত্রীর
আচরণবিধি এবং উভয়ের অধিকার
সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় বিভিন্ন
সময় পরিষ্কার এবং বিস্তারিত
ভাবে বর্ণনা করেছেন, এবং এসব
বিষয়ে সচেতন থাকতে তাকীদ করেছেন।
তাকীদ এ জন্য করেছেন যে, এ
ছাড়া উভয়ের মাঝে শান্তিময়
অবস্থা সৃষ্টি হবে না আর
না হলে বৈবাহিক জীবনের মূল উদ্দেশ্য
সফল হবে না। বিষয়বস্তুটির গুরুত্বের
কারণে মুসলিম মনীষীগণ এ
বিষয়ে যথেষ্ট মনযোগী হয়েছেন।
স্বামী-স্ত্রীর অধিকার আচার-
আচরনের প্রতি দিক নির্দেশনা মূলক
অসংখ্য কিতাবাদি এবং বইপুস্তক
রচিত হয়েছে। হযরত হাকীমুল উম্মত
মুজাদ্দিদে মিল্লাত আশরাফ
আলী থানবী রহ. এ
ব্যাপারে এতো অধিক লিখেছেন, যার
পর আর লেখার প্রয়োজন হয় না।


সূত্রঃ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তরদাওয়াতি সংগঠন মজলিসে দাওয়াতুলহক।

এর মৌল উদ্দেশ্য মানব জীবনেসকল ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত ওআদর্শের প্রতিফলন ঘটানো।কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের ইত্তিবা-অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলারইবাদত আনুগত্যের দাবি পূরণ করাই হলএকজন মুসলমানের ইহকালীন জীবনেরমূল উদ্দেশ্য।

শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে
জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :