চারজন স্ত্রী রাখার সূত্র - ভিত্তিহীন উক্তি

কোন মন্তব্য নেই
চারজন স্ত্রী রাখার সূত্র
পবিত্র আয়াত এবং অসংখ্য হাদীসের
দ্বারা ইনসাফের শর্তে চারজন পর্যন্ত
স্ত্রী রাখার অনুমতি সাব্যস্ত হয়।
এবং এই অনুমতি কোন সময় রহিত
হয়নি এবং হওয়ার নয়। এ
ব্যাপারে উম্মতের ঐক্যমত রয়েছে।
আল্লামা মুফাসসির আলোসী বলেন-
ﻣﺎ ﻳﺸﻌﺮﺑﻪ ﺍﻟﺴﻴﺎﻕ ﻣﻦ ﺍﻟﺘﻮﺳﻌﺔ
ﻭﻭﺟﻪ ﺍﺷﻌﺎﺭﻩ ﺑﺬﺍﻟﻚ ﺍﻧﻪ ﺍﻃﻠﻖ
ﻗﻮﻟﻪ ﺳﺒﺤﺎﻧﻪ ﻣﺎﻃﺎﺏ ﻟﻜﻢ ﻣﻦ
ﺍﻟﻨﺴﺎﺀ ﺛﻢ ﺟﺎﺀ ﻣﺜﻨﻲ ﻭﺛﻼﺙ
ﻭﺭﺑﺎﻉ ﻛﺎﻧﻪ ﺑﻴﺎﻥ ﻟﻤﺎ ﻭﻗﻊ ﺍﻃﻼﻗﻪ
ﻋﻠﻲ ﻧﻮﻉ ﻣﻦ ﺍﻟﺘﻘﻴﻴﺪ ﺍﺫ ﻟﻮﻛﺎﻥ
ﺍﻟﻤﺮﺍﺩ ﺍﻟﺘﻀﻴﻴﻖ ﻟﻜﺎﻥ ﺍﻟﺘﻘﻴﻴﺪ ﻣﻦ
ﺍﻻﻭﻝ ﺍﻭﻗﻊ ﻓﻴﻪ ﻭﺍﻣﺲ ﺑﻪ ) ﺭﻭﺡ
ﺍﻟﻤﻌﺎﻧﻲ ﺝ২ﺹ৩০৫ )
অর্থাৎ আয়াতের মূল অর্থের
দ্বারা একাধিক স্ত্রী গ্রহণের
বিষয়ে প্রশস্ততা প্রতীয়মান হয়।
তবে ২, ৩, ও ৪ সংখ্যা উল্লেখ
করে প্রশস্ততার পরিধি নিরুপন
করা হয়েছে। যদি একের অধিক
স্ত্রী গ্রহণের
অনুমতি না হতো তাহলে আয়াতের
প্রথম অংশেই বলা হতো।
ভিত্তিহীন উক্তি
ক. একাধিক স্ত্রী রাখার অনুমতির
ব্যাপারে যে আয়াত পেশ করা হয়
অনেকের মতে এই আয়াতের
দ্বারা একাধিক স্ত্রী রাখার
ব্যাপারে প্রশস্ততা নয় বরং সীমিত
করণ সাব্যস্ত হয়, হানাফী ফেকাহের
কিতাব সমূহে ﻓﺎﻧﻜﺤﻮﺍ ﻣﺎﻃﺎﺏ ﻟﻜﻢ
এই আয়াত কে সংখ্যার সীমিত করণের
দৃষ্টান্ত— হিসেবেও পেশ
করা হয়ে থাকে। কিন্তু সেখানে এই
কথাও বলা হয়েছে যে, চার পর্যন্ত
বিবাহর অনুমতি আয়াতের
দ্বারা অবশ্যই প্রমাণিত হয়।
(তানভীহ : ১২৪)এর দ্বারা প্রমাণিত
হয় যে, চার পর্যন্ত অনুমতির
প্রশস্ততা এবং অধিকের
ক্ষেত্রে সীমিত করণের অর্থের
মধ্যে কোন প্রকার বিরোধ নাই।
খ. তাছাড়া বাদশাহ আলমগীরের উস্তাদ
মুল্লা আহমদ জিয়োন তার প্রসিদ্ধ
কিতাব তাফসীরে আহমদীতে আলোচ্য
আয়াতের তিনটি বিশদ বিবরণ পেশ
করেছেন এবং বলেছেন যে, আয়াতের
দ্বারা একাধিক স্ত্রী রাখার
অনুমতি সীমিত করণ কেবল এক ধরনের
বিবরণের দ্বারা প্রমাণিত হয়, অথচ
অন্য বিবরণ অনুযায়ী অনুমতির
প্রশস্ততাই সাব্যস্ত হয়।
তিনি লিখেন-
ﺍﻣﺎﻣﺎﺫﻛﺮ ﺍﻫﻞ ﺍﻻﺻﻮﻝ
ﺑﺎﺟﻤﻌﻬﻢ ﻓﻲ ﺑﺤﺚ ﺍﻟﻈﺎﻫﺮ
ﻭﺍﻟﻨﺺ ﻣﻦ ﺍﻥ ﻗﻮﻟﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ
ﻓﺎﻧﻜﺤﻮﺍ ﺍﻻﺥ ﻇﺎﻫﺮ ﻓﻲ ﺍﺑﺎﺣﺖ
ﺍﻟﻨﻜﺎﺡ ﻧﺺ ﻓﻲ ﺑﻴﺎﻥ ﺍﻟﻌﺪﺩ ﺍﺫﻟﻪ
ﺍﻟﺴﻮﻕ ﻓﻲ ﺍﻻﻳﺔ ﻓﺎﻧﻤﺎ ﺗﺴﺘﻘﻴﻢ
ﺫﺍﻟﻚ ﻋﻠﻲ ﺍﻟﺘﻮﺟﻴﻪ ﺍﻻﺧﻴﺮ ﻓﻘﻂ
ﻻﻧﻪ ﻋﻠﻲ ﺍﻟﺘﻮﺟﻪ ﺍﻻﻭﻝ ﻇﺎﻫﺮ
ﻓﻲ ﺍﺣﻼﻝ ﺍﻟﻨﻜﺎﺡ ﻧﺺ ﻓﻲ ﺣﻖ
ﺍﻟﻌﺪﺩ
অর্থাৎ উল্লেখ্য বিবরনের মধ্যে শেষ
বিবরণের দ্বারা সংখ্যার সীমিত করণ
প্রতীয়মান হলেও সর্ব প্রথম
বিবরণের দ্বারা একাধিক স্ত্রী রাখার
অনুমতির প্রশস্ততা সাব্যস্ত হয়।

সূত্রঃ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তরদাওয়াতি সংগঠন মজলিসে দাওয়াতুলহক। এর মৌল উদ্দেশ্য মানব জীবনেসকল ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত ওআদর্শের প্রতিফলন ঘটানো।কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের ইত্তিবা-অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলারইবাদত আনুগত্যের দাবি পূরণ করাই হলএকজন মুসলমানের ইহকালীন জীবনেরমূল উদ্দেশ্য।।শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :