ওলামাদের বক্তব্য - ভুলের অবসান

কোন মন্তব্য নেই
ওলামাদের বক্তব্য
মুফাসসির কাজী সানাউল্লাহ রহ.
তাফসীরে মাজহারীতে উক্ত আয়াতের
তাফসীর করে বলেন, নারীদের উপর
পুরুষের দুই কারণে প্রাধান্য রয়েছে-
ﺑﻤﺎ ﻓﻀﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻌﻀﻬﻢ ﻋﻠﻲ
ﺑﻌﺾ- ﻳﻌﻨﻲ ﻋﻠﻲ ﺍﻟﻨﺴﺎﺀ ﻓﻲ
ﺍﺻﻞ ﺍﻟﺨﻠﻘﺔ ﺑﻜﻤﺎﻝ ﺍﻟﻌﻘﻞ
ﻭﺣﺴﻦ ﺍﻟﺘﺪﺑﻴﺮ ﻭﺑﺴﻄﺔ ﻓﻲ
ﺍﻟﻌﻠﻢ ﻭﺍﻟﺠﺴﻢ ﻭﻣﺰﻳﺪﺍﻟﻘﻮﺓ ﻓﻲ
ﺍﻻﻋﻤﺎﻝ ﻭﻋﻠﻮ ﺍﻻﺳﺘﻌﺪﺍﺩ ﻭﻟﺬﺍﻟﻚ
ﺧﺼﻮﺍﺑﺎﻟﻨﺒﻮﺓ ﻭﺍﻻﻣﺎﻣﺔ ﻭﺯﻳﺎﺩﺓ
ﺍﻟﺴﻬﻢ ﻓﻲ ﺍﻻﺭﺙ ﻭﻣﺎﻟﻜﻴﺔ ﺍﻟﻨﻜﺎﺡ
ﻭﺗﻌﺪﺍﺩﺍﻟﻤﻨﻜﻮﺣﺎﺕ ﻭﺍﻻﺳﺘﺒﺪﺍﺩ
ﺑﺎﻟﻄﻼﻕ ﻭﻏﻴﺮ ﺫﺍﻟﻚ ﻭﻫﺬﺍﺍﻣﺮ
ﻭﻫﺒﻲ-ﻭﺑﻤﺎ ﺍﻧﻔﻘﻮﺍ ﻣﻦ ﺍﻣﻮﺍﻟﻬﻢ -
ﻓﻲ ﻧﻜﺎﺣﻬﻦ ﻣﻦ
ﺍﻟﻤﻬﻮﺭﻭﺍﻟﻨﻔﻘﺎﺕ ﺍﻟﺮﺍﺗﺒﺔ ﻭﻫﺬﺍ
ﺍﻣﺮﻛﺴﺒﻲ
)ﻣﻈﻬﺮﻱ ﺝ ২ﺹ৮৫ )
ক. অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে,
ওয়াহবী অর্থাৎ আল্লাহ
প্রদত্ত,যাতে পুরুষদের নিজস্ব কোন
দখল নাই। সেটি হচ্ছে, আল্লাহপাক
জ্ঞান অভিজ্ঞতা, উত্তম
ব্যবস্থা গ্রহণ, দেহ এবং বুদ্ধির
পরিপূর্ণতা, কর্মকাজ সম্পাদনের
শক্তি সাহস এবং যোগ্যতা নারীদের
তুলনায় পুরুষদেরকে অধিক দান
করেছেন। নবুওত কেবল পুরুষদের কেই
দান করেছেন। পরিত্যক্ত
সম্পদে তাদেরকে অধিক অংশ দান
করেছেন। বিবাহের ব্যাপারে অধিক
অধিকার দান তথা একাধিক
স্ত্রী গ্রহন ইত্যাদি বিষয়ে পুরুষদের
বিশেষত্ব রয়েছে। এসব হচ্ছে আল্লাহ
প্রদত্ত্ব বৈশিষ্ট সমূহ।
খ. এছাড়া বিবাহের সময়
মহরানা দেয়া এবং স্ত্রীর যাবতীয়
খরচপাতী বহন করা ইত্যাদি পুরুষদের
প্রাধান্য লাভের কার্যকরী কারণ।
ইবনুল কাইয়্যুম জাওযিয়া বলেন-
ﻭﻫﻮ ﺳﺒﺤﺎﻧﻪ ﺍﻣﺮ ﺑﺎﺷﻬﺎﺩ
ﺍﻣﺮﺃﺗﻴﻦ ﻟﺘﻮﻛﻴﺪ ﺍﻟﺤﻔﻆ ﻻﻥ ﻋﻘﻞ
ﺍﻟﻤﺮﺃﺗﻴﻦ ﻭﺣﻔﻈﻬﻤﺎ ﻳﻘﻮﻡ ﻣﻘﺎﻡ
ﻋﻘﻞ ﺭﺟﻞ ﻭﺣﻔﻈﻪ ﻭﻟﺬﺍ ﺟﻌﻠﺖ
ﻋﻠﻲ ﺍﻟﻨﺼﻒ ﻣﻦ ﺍﻟﺮﺟﻞ ﻓﻲ
ﺍﻟﻤﻴﺮﺍﺙ ﻭﺍﻟﺪﻳﺔ ﻭﺍﻟﻌﻘﻴﻘﺔ ) ﺍﻋﻼﻡ
ﺍﻟﻤﻮﻗﻌﻴﻦ ﺝ১ﺹ১১১)
আল্লাহ পাক একজন পুরুষের
স্থলে দুইজন মহিলাকে সাক্ষ্য দেয়ার
হুকুম এই জন্য দিয়েছেন যে,
যাতে নারীদের স্মরণশক্তির
ত্রুটি নিরসন ও পুষিয়ে নেয়া যায়।
কেননা সাধারণত দুজন মহিলার
স্মরণশক্তি এবং সংরক্ষণক্ষমতা
একজন পুরুষের
স্মরণশক্তি এবং সংরক্ষণ ক্ষমতার
সমান হয়।
এ কারণেই পুরুষের মুকাবিলায় নারীগণ
মিরাছ,রক্তপন ও আকীকায় অর্ধেক
অংশের অধিকারী হয়। আর হাদীসের
আলোকে একজন পুরুষ গোলাম আযাদ
করা দুইজন বান্দী আযাদের সমান।
রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দিক
নির্দেশনার রহস্য এবং তাৎপর্য এখন
যৌন বিজ্ঞানী এবং স্বাস্থ্য
বিজ্ঞানীদের নিকট যুক্তিযুক্ত
হয়ে চলেছে। তাই বিশ্ব
কোষে বলা হয়েছে যে, নারীদের দেহগত
অবস্থান প্রায় শিশুদের মত। এ
কারণেই তারা শিশুদের মত তরিত
প্রক”তির হয়ে থাকে। খুশী কষ্ট, ভয়,
আনন্দ ইত্যাদির
অনুভূতি তাদেরকে তাড়াতাড়ি প্রভাবিত
করে। আর যেহেতু এ সমস্ত
ব্যাপারে জ্ঞান, চিন্তা-ভাবনার
গভীরতার বিশেষ দখল থাকে না, তাই
অতি অল্প
সময়ে এবং তাড়াতাড়ি নারীদের
মধ্যে অধিক পরিলক্ষিত হয়। প্রসিদ্ধ
সমাজতন্ত্রী দার্শনিক বেডিন বলেন,
নারীদের উপলব্ধি ক্ষমতা পুরুষদের
তুলনায় কম। এর কারণ পুরুষের তুলনায়
নারীদের জ্ঞানের স্বল্পতা। তাদের
চারিত্রিক ও মানসিক দ”ঢ়তাও পুরুষের
নীরিখে ভিন্ন হয়। তাই
তারা যে জিনিসকে উত্তম বলবে, সেটাই
উত্তম হওয়া জরুরী নয়। (বিশ্ব কোষ
ফরীদ ওয়াজদী ৮/৫৭৬)
ভুলের অবসান
অনেকের মনে সন্দেহ
জাগতে পারে বরং অনেকেই বলে থাকেন
যে, মহিলাগণ জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতার
দিক দিয়ে পরুষের তুলনায় কম এই
কথাটি বাস্তবতার পরিপন্থি।
বাস্তবে দেখা যায় অনেক মহিলা জ্ঞান
ও অভিজ্ঞতার প্রশ্নে পুরুষদের
তুলনায় অধিক যোগ্যতার অধিকারী।
বর্তমান বিশ্বেও এর নজীর বিরল নয়।
বিশেষ করে এশিয়া মহাদেশ, পাক-ভারত
এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক
এবং প্রশাসনিক অবস্থান থেকেও এর
যথার্থতা প্রমাণিত হয়। কিন্তু
যারা চিন্তা-ভাবনা করেন
এবং বিতর্কে নামেন তারা সাধারণত:
তুলনা করার সময় একটি অন্যতম
এবং অত্যবশ্যকীয় শর্তের কথা স্মরণ
রাখেন না। কেননা এ
কথাটি সাধারনভাবেই জ্ঞানগত
এবং দৈনন্দিন কার্য সম্পাদনের
বিধি মুতাবিক যে, দুইটি জিনিসের
মধ্যে তুলনা করার সময় উভয়ের
মধ্যে পূর্ব থেকে বিভিন্ন দিক
দিয়ে সমতার বিষয়টি প্রথম শর্ত।
অন্যথায় অগ্রাধিকার দানের
বিষয়টি ভুল প্রমানিত হবে বরং অনেক
সময় মুর্খতার পরিচায়ক বলে বিবেচিত
হবে। উপমাস্বরূপ বলা যায় যে,
যদি কোন ব্যক্তি একজন মেট্রিক পাশ
আর একজন এম এ পাশ দুজনের
মধ্যে কার যোগ্যতা অধিক তা নিরূপন
করতে চায়, তাহলে তা কেবল ভুল
প্রমাণিত হবে না বরং মূর্খতা হিসেবেই
বিবেচিত হবে। আর এই অযৌক্তিক
তুলনার পরিনামে এম. এ পাশ
করা ব্যক্তির জন্য প্রাধান্য
লাভে সম্মানিত হওয়া তো দূরের
কথা বরং মেট্রিক পাশের
সাথে তুলনা এবং প্রতিযোগিতায় অংশ
গ্রহণ করাই তার জন্য যথেষ্ট অপমান
এবং লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। হ্যাঁ,
যদি তুলনা দুজন মেট্রিক পাশ
অথবা দুজন এম. এ পাশের মধ্যে হয়
এবং একজনের প্রাধান্য সাব্যস্ত হয়,
তাহলে বাস্তবেই এই প্রাধান্য তার
জন্য সুনাম এবং গৌরবের কারণ
বলে বিবেচিত হবে।

সূত্রঃ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তরদাওয়াতি সংগঠন মজলিসে দাওয়াতুলহক। এর মৌল উদ্দেশ্য মানব জীবনেসকল ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত ওআদর্শের প্রতিফলন ঘটানো।কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের ইত্তিবা-অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলারইবাদত আনুগত্যের দাবি পূরণ করাই হলএকজন মুসলমানের ইহকালীন জীবনেরমূল উদ্দেশ্য।।শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :