অন্যান্য ধর্মে বৈবাহিক জীবন - খৃষ্টানদের বৈবাহিক জীবন

কোন মন্তব্য নেই
অন্যান্য ধর্মে বৈবাহিক জীবন
বিবাহ সম্পর্কিত ইসলামী বিধি-বিধান
অবগতির পর মানবজীবনের অন্যতম
বিষয় বৈবাহিক সম্পর্ক
সম্বন্ধে অন্যান্য ধর্মের অবস্থান
তোলে ধরা উচিত হবে বলে মনে হয়,
তাতে ইসলাম এবং অন্যান্য ধর্মের
মধ্যে বিদ্যমান পার্থক্য অতি সহজেই
অনুমেয় হবে।
খৃষ্টানদের বৈবাহিক জীবন
পৃথিবীর সর্বাধিক সভ্যতার দাবীদার
খৃষ্টধর্মের বৈবাহিক জীবনের
বিষয়ে গবেষণা করলে আশ্চর্য
হতে হয়।
মানবজীবনে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ
বিষয় বিবাহ সম্পর্কে খৃষ্টান
ধর্মে কোন সুস্পষ্ট বিধি বিধান
নির্ধারিত নেই। এটা অন্যদের মন্তব্য
নয় বরং স্বয়ং খৃষ্টান
ধর্মাবলম্বী পণ্ডিত
ENCYCLOPEDIA OF
RELIGION ETHICS
বিশ্বকোষে লিখেন যে, বাইবেলের নতুন
সংস্করনে বিবাহ সম্পর্কে কোন
সুস্পষ্ট বিধি বিধানের উল্লেখ নেই।
এরপর লিখেন যে, ইঞ্জিলেও এ
সম্পর্কে কোন কিছু লেখা নেই।
(৮/৪৩৩) তিনি একথাও উল্লেখ
করেছেন যে, খৃষ্টান বিবাহে ঐ সমস্ত
প্রথা সমূহই প্রচলিত রয়েছে যা রোমান
সমাজে বৈবাহিক
প্রথা হিসেবে পরিচালিত এবং স্বীকৃত
(৮/৪৩৫) এই সমস্ত তত্ত্বাদির
নিরীখে পরিস্কারভাবে প্রমাণিত হয়
যে, বৈবাহিক বিষয়াদি সম্পর্কে খৃষ্টান
ধর্মে কোন প্রকার বিধিমালা নাই আর
যা আছে তা অসম্পূর্ণ
অথবা অধিকাংশই হচ্ছে পুরাতন রোমান
বৈবাহিক প্রথাগত বিষয়াদি,অন্য কিছু
নয়। খৃষ্টান ধর্মে মহিলাদের মর্যাদা,
অধিকার, তাদের সাথে বৈবাহিক
সম্পর্ক স্থাপনের বেলায় হায়া-শরম
এবং আত্মমর্যাদা বোধের প্রতি কোন
প্রকার
শিষ্টাচারিতা এবং ভদ্রতা রক্ষা করা
হয়নি। এই উক্তিটিও অন্যদের নয়
বরং খৃষ্টান ধর্মাবলম্বী প্রসিদ্ধ
ইংরেজ পণ্ডিত হার্বাট। তিনি লিখেছেন,
১১ শতাব্দী থেকে ১৫
শতাব্দী অর্থাৎ ইসলাম ধর্ম
আত্মপ্রকাশের আট নয় বৎসর পর
পর্যন্ত
ইংল্যণ্ডে স্বাভাবিকভাবে স্বামীগণ
তাদের স্ত্রীদেরকে বেচাকেনা করতো।
১১ শতাব্দীর
শেষদিকে খৃষ্টানী আদালতের এক
রায়ে স্বামীদের পক্ষে স্বীয়
স্ত্রীকে অন্যের নিকট বন্ধক রাখার
জন্য কোন নির্ধারিত সময়
সীমা নির্ধারণ করা হয়নাই। এর চেয়েও
লজ্জাকর এবং মারাত্মক বিষয় এই যে,
খৃষ্টানদের নববধূদেরকে যৌন মিলনের
জন্য বিবাহেরপর প্রথম ধর্মীয়
পোপদের নিকট ন্যস্ত করতে হতো।
এরপরই কেবল স্ত্রীর উপর স্বামীর
অধিকার প্রতিষ্ঠিত হতো। আরও
সম্মানহানীকর ব্যাপার যে,
স্ত্রীকে বিক্রি করার অধিকার
স্বামী লাভ করতো এবং স্ত্রীর মূল্যও
নির্ধারিত হতো, সেই মূল্য এতো নগন্য
যা লেখতে ও লজ্জা বোধ হয়, অর্থাৎ
সেই যুগের আনুমানিক আটআনা। আর
১৯৭৫ ইং এর কথা যে, ইটালীতে এক
স্বামী তার স্ত্রীকে কিস্তিতে মূল্য
পরিশোধের শর্তে বিক্রি করে দেয়।
কিন্তু ক্রেতা সর্বশেষ
কিস্তী আদায়ের বেলায় গড়িমসি করার
কারণে পাষাণ স্বামী তার
স্ত্রীকে কতল করে ফেলে।
( ﺍﻟﻤﺮﺃﺓ ﺑﻴﻦ ﺍﻟﻔﻘﻪ ﻭﺍﻟﻘﺎﻧﻮﻥ)


সূত্রঃ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তরদাওয়াতি সংগঠন মজলিসে দাওয়াতুলহক। এর মৌল উদ্দেশ্য মানব জীবনেসকল ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত ওআদর্শের প্রতিফলন ঘটানো।কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের ইত্তিবা-অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলারইবাদত আনুগত্যের দাবি পূরণ করাই হলএকজন মুসলমানের ইহকালীন জীবনেরমূল উদ্দেশ্য।।শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :