মানব স্বভাবের প্রতি যত্ন - তালাকপ্রাপ্তা ও বিধবা বিবাহ করা

কোন মন্তব্য নেই
মানব স্বভাবের প্রতি যত্ন
বিবাহের ক্ষেত্রে মানুষের স্বাভাবিক
চাহিদার প্রতি যতœবান হওয়ার
তাকিদেই শরীয়তে এমন মেয়েকে বিবাহ
করতে অধিক অনুপ্রাণিত
করেছে যে তালাকপ্রাপ্তা অথবা বিধবা
নয়। এক্ষেত্রে মানুষের স্বাভাবিক
চাহিদার প্রতি যতœবান হওয়ার
সাথে সাথে এই তাৎপর্যও
দেখানো হয়েছে যে, বিবাহের অন্যান্য
উদ্দেশ্যসূমহ লাভের বেলায়ও
অবিবাহিতা মেয়েকে বিবাহ করাই অধিক
উপকারী। এমনকি এক
হাদীসে বলা হয়েছে-
ﻋﻠﻴﻜﻢ ﺑﺎﻷﺑﻜﺎﺭ . ﻓﺈﻧﻬﻦ ﺃﻋﺬﺏ
ﺃﻓﻮﺍﻫﺎ ﻭﺃﻧﺘﻖ ﺃﺭﺣﺎﻣﺎ ﻭﺃﺭﺿﻰ
ﺑﺎﻟﻴﺴﻴﺮ ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﻭﺃﻗﻞ ﺧﺒﺎ
ﻭﺃﺳﺨﻦ ﺃﻗﺒﺎﻻ ﻭﺃﺭﺿﻰ ﺑﺎﻟﻴﺴﻴﺮ
ﻣﻦ ﺍﻟﻌﻤﻞ ) ﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﺔ )
“তোমরা কুমারী মেয়েকে বিবাহ করবে,
কেননা কুমারী মেয়ে মধুময় হয়, সন্তান
ধারনের অধিক উপযুক্ত হয়
এবং অল্পতে তুষ্ট থাকে। অন্য এক
রেওয়ায়াতে আছে যে,
কুমারী মেয়ে তর্কবাজ হয় না।
স্বামীকে মনে প্রাণে স্বাগত জানায়।
অভিজ্ঞতাও এটাই যে,
কুমারী স্ত্রীকে তুলনামূলক
ভাবে সহজেই আপন করা যায়। মনমত
গড়ে নেয়া সহজ হয়। আন্তরিকতাও
অতি তাড়াতাড়ি সৃষ্টি করা যায়।
কেননা প্রকৃতপক্ষে মুহাব্বত ও
আন্তরিকতা একজনের সাথেই
হয়ে থাকে।”
কুমারীকে বিবাহ করার তাৎপর্য
তাছাড়া তালাকপ্রাপ্তা এবং বিধবার
সংখ্যা কুমারীদের তুলনায় অনেক কম।
কুমারীদের মধ্যে যৌন আবেগ ও উচ্ছাস
থাকে অধিক,
অপরদিকে অনভিজ্ঞতা হেতু
ফেৎনা ফাসাদ এবং অবাধ যৌনাচারের
শিকার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এ
কারণেই অভিভাবকদের
কুমারীদেরকে নিয়ে অধিক অস্থির
দেখা যায়। বিধবা এবং তালাক
প্রাপ্তাদেরকে নিয়ে তেমন
পেরেশানী হয় না। কারণ তাদের
যৌনআবেগ অনেকটাই নিষ্প্রভ
হয়ে পড়ে। স্বামীর
প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে না।
বরং অনেকেই অবশিষ্ট জীবন
স্বামী ব্যতীত জীবন যাপন করতেই
অধিক আগ্রহী হয়। এ সমস্ত কারণেও
কুমারীদের বিবাহ ব্যবস্থার অধিক
প্রয়োজন মনে হয়। আর তাই শরীয়ত
কুমারীদেরকে বিবাহ করার প্রতি অধিক
অনুপ্রাণিত করেছে।
তালাকপ্রাপ্তা ও বিধবা বিবাহ করা
এর অর্থ এই নয় যে, তালাকপ্রাপ্তা ও
বিধবা বিবাহ করা শরীয়ত সম্মত নয়
অথবা অগ্রাধিকার দেয়া যায় না।
বরং ব্যক্তিগত
প্রয়োজনে কিংবা অনেক সময়
সামাজিক, জাতীয় এবং ধর্মীয়
প্রয়োজনে বিধবা এবং তালাক
প্রাপ্তা নারীকে বিবাহ করাই শ্রেয়
হতে পারে এবং অগ্রাধিকারের
দাবী রাখে। চিন্তা করা প্রয়োজন যে,
হযরত আয়েশা ব্যতীত রাসূলে পাক
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর
সমস্ত স্ত্রীগণই ছিলেন
বিধবা এবং তালাক প্রাপ্তা। আর এর
কারণ ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।


সূত্রঃ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তরদাওয়াতি সংগঠন মজলিসে দাওয়াতুলহক। এর মৌল উদ্দেশ্য মানব জীবনেসকল ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত ওআদর্শের প্রতিফলন ঘটানো।কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের ইত্তিবা-অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলারইবাদত আনুগত্যের দাবি পূরণ করাই হলএকজন মুসলমানের ইহকালীন জীবনেরমূল উদ্দেশ্য।।শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :