অত্যাচারীদের সম্পর্কে হুঁশিয়ারি

কোন মন্তব্য নেই
মাওলানা মুহাম্মদ আ খা তালুকদার
রাসূল (সা.) মজলুমদের পক্ষে শক্ত
অবস্থান নিয়েছেন। স্বয়ং আল্লাহ
পাকও মজলুমদের প্রতি তার অবস্থান
স্পষ্ট করেছেন। যারা ক্ষমতার দর্প
দেখিয়ে মজলুম মানুষকে শোষণ ও
প্রতারিত
করে তারা নিঃসন্দেহে অভিশপ্ত।
হজরত আবদুল্লাহ বিন সালাম (রা.)
বর্ণনা করেন : ‘আল্লাহ যখন তামাম
সৃষ্টিকে সৃষ্টি করেন, তখন
তারা দাঁড়িয়ে আকাশের
দিকে মাথা তুলে আরজ করল :
হে আমাদের পালনকর্তা আপনি কার
পক্ষে অবস্থান নেন? জবাবে আল্লাহ
বলেন : ‘মজলুমের পক্ষে, যতক্ষণ
পর্যন্ত না তার প্রাপ্য
তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।’
হজরত ওয়াহাব ইবনে মুনাবি্বহ বলেন :
এক পরাক্রমশালী রাজা বিশাল এক
অট্টালিকা নির্মাণ করে তা নিপুণ
কারুকার্যে সুশোভিত করেন। একদিন
দরিদ্র এক বৃদ্ধা এসে সেই অট্টালিকার
পাশে ছোট একটি খুপড়ি বানিয়ে বসবাস
করতে শুরু করল। একদিন
রাজা অট্টালিকার চারপাশ ঘুরে-
ফিরে দেখার সময় সেই দরিদ্রের
খুপড়িটি দেখে প্রশ্ন করলেন :
এটি কার? বলা হলো : এক দরিদ্র
বৃদ্ধার। রাজার নির্দেশে তৎক্ষণাৎ
খুপড়িটি ভেঙে ফেলা হলো : অসহায়
বৃদ্ধা ফিরে এসে দেখল, তার
খুপড়িটি বিধ্বস্ত।
তা দেখে সে লোকদের
কাছে জিজ্ঞাসা করল : কে আমার
খুপড়ি ভাঙল। লোকেরা জানাল, রাজার
আদেশে ভাঙা হয়েছে। বৃদ্ধা আকাশের
দিকে মাথা তুলে বলল :
‘হে পরওয়ারদেগার! আমি যখন
খুপড়িতে ছিলাম না, আপনি তখন
কোথায় ছিলেন? আল্লাহ তখন
জিবরাঈলকে (আ.) রাজার
প্রাসাদটি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার
নির্দেশ দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে তা ধুলায়
মিশিয়ে দেওয়া হলো।
কথিত আছে, খালেদ বিন বারমাক
ক্ষমতা হারিয়ে ছেলেসহ বন্দী হলে তার
ছেলে আক্ষেপ করে বলল : ‘আব্বা! এত
উচ্চ মর্যাদা ও সম্মানের
অধিকারী হওয়ার পরও
শেষে কিনা আমরা কারাগারের
কয়েদি হলাম?’ খালেদ বললেন : ‘হ্যাঁ,
বাবা! মজলুম প্রজাদের ফরিয়াদ মহান
আল্লাহপাক নিশীথ রজনীতেও কবুল
করেন। আমাদের দায়িত্ব
সম্পর্কে আমরা অমনোযোগী ছিলাম,
কিন্তু আল্লাহ তো কোনো ব্যাপারেই
উদাসীন নন।’ ইয়াজিদ বিন হাকেম
বলেন : এমন এক লোকের ওপর
আমি অত্যাচার চালিয়েছিলাম,
যাকে মনে করতাম, আল্লাহ ছাড়া তার
কোনো সাহায্যকারী নেই। কিন্তু যখন
সে আমায় বলল : ‘আমার জন্য
তো আল্লাহই যথেষ্ট,’ তোমার ও
আমার ব্যাপারে রায় তো আল্লাহই
দেবেন। আমি তখন তার ভয়ে এত ভীত
হয়ে পড়লাম যে, আর কখনো কারও
ভয়ে ততটা ভীত হইনি।
ইসলামে অপরের সঙ্গে সদাচরণের
নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্ষমতার
অপব্যবহার সম্পর্কেও সতর্ক
করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের সবারই
উচিত এ সম্পর্কে সতর্ক থাকা।


শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :