বিবাহের বয়স - কম বয়সে বিবাহ

কোন মন্তব্য নেই
বিবাহের বয়স
বিবাহের
ক্ষেত্রে ছেলে মেয়ে কারো জন্য শরীয়ত
কর্তৃক কোন বয়সের
সীমারেখা নির্ধারিত হয় না, যে বয়সের
আগে পরে বিবাহ হতে পারে না।
এক্ষেত্রেও অভিভাবকদের
চিন্তা ভাবনা এবং সুবিধা অসুবিধার
বিবেচনা করার অবকাশ দেয়া হয়েছে।
কেননা অনেক সময় অল্প বয়সে বিবাহ
দেয়া এবং করানোর মধ্যে উপকারিতার
অবকাশ থাকে অথবা বিশেষ প্রয়োজন
দেখা দেয়।
কম বয়সে বিবাহ
অনেক সময় অল্প বয়সেই বিবাহের
প্রয়োজন দেখা দেয়,
কেননা পরবর্তী সময় উত্তম
আত্মীয়তার ব্যাপারে অভিভাবকগণ
সন্দিহান হতে পারে বরং হয়। অনেক
সময় মাতা পিতার ধারণা হয় যে,
আমরা জীবনের এবং বার্ধক্যের শেষ
প্রাণে পৌঁছে গিয়েছি।
যে কোনে মুহূর্তে জীবন সুর্যের
অস্তি হয়ে যেতে পারে। আমাদের
পরে সন্তানদের বিবাহের বিষয়টি কঠিন
এবং অসম্ভব হয়ে যেতে পারে।তাই
প্রয়োজনে অল্প বয়সে বিবাহ
সম্পাদনের অবকাশ থাকা একান্ত
যুক্তি সংগত। আর যুক্তি সংগত
কারণেই শরীয়ত কর্তৃক অল্প
বয়সে বিবাহের অবকাশ চুড়ান্ত
করা হয়েছে। পবিত্র
কুরআনে বলা হয়েছে ﻭﺍﻟﻠﺌﻲ ﻟﻢ
ﻳﺤﻀﻦ এই আয়াত থেকেও অল্প
বয়সে বিবাহের বৈধতা প্রমাণিত হয়। এ
ব্যাপারে অকাট্য এবং সর্বাধিক
গ্রহণীয় প্রমাণ হচ্ছে যে, রাসূলে পাক
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত
আয়শা কে কম বয়সে বিবাহ করেন।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়েরের
ওরসে মেয়ে সন্তান জন্ম নিলে ঐ দিনই
হযরত কুদামা ইবনে মাজউন
তাকে বিবাহ করে নেন। অসংখ্য
সাহাবাদের সম্মুখেই এই বিবাহ কাজ
সম্পাদিত হয়, অথচ কেউ
অসম্মতি জ্ঞাপন করেন নাই। (ফতহুল
কাদীর ২/৫০) এতে এটাই প্রমাণিত
হয় যে, অল্প বয়সে বিবাহ
করা রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্য কোন বিশেষ
হুকুম ছিল না বরং শরীয়তের এই বিধান
সকলের ক্ষেত্রেই গ্রহণযোগ্য। মুসলিম
উম্মাহের মধ্যে আমার
জানামতে ইবনে শুবরুমাহ এবং এযীদ
ইবনে আছাম ব্যতীত এ
ব্যাপারে সমস্ত উম্মতের ঐক্যমত
বিদ্যমান রয়েছে। ( ফতহুল কাদীর
২/৫০)
মোটকথা, মাতাপিতা এবং দাদার জন্য
অধিকার আছে, তারা যদি ভাল
মনে করেন তাহলে ছেলে হোক আর
মেয়ে হোক প্রয়োজনে কম বয়সে বিবাহ
দিতে পারে। বরং হানাফী ফকীহদের
মতে পিতা এবং দাদার
অবর্তমানে যারা শরীয়ত গত
মুরুব্বী এবং অভিবাক, যেমন চাচা,
তারাও অল্প বয়সে বিবাহ দেয়ার
অধিকার রাখে। তবে কিছু শর্ত
সাপেক্ষে বালেগ হওয়ার
সাথে সাথে চাচা কর্তৃক
বিবাহকে কোটের মাধ্যমে বাতিল
করে দিতে পারে। আর
পিতা এবং দাদা কর্তৃক অল্প বয়সের
বিবাহকে বালেগ হওয়ার স্বাভাবিক
অবস্থায় বাতিল করার অধিকার
রাখে না,
হ্যাঁ যদি পিতা এবং দাদা ফাসেক হয়,
অদূরদর্শী অবিবেচক
বলে সমাজে প্রসিদ্ধ থাকে,
তাহলে বালেগ হওয়ার পর এই
বিবাহকে কোটের মাধ্যমে বাতিল
করে দিতে পারে বরং এ ধরনের বিবাহ
প্রকৃতপক্ষে বিবাহই নয়। এ
ব্যাপারে ফাতওয়ার প্রসিদ্ধ
কিতাবে বলা হয়েছে
ﻟﺰﻡ ﺍﻟﻨﻜﺎﺡ ﺍﻥ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻮﻟﻲ ﺍﺑﺎ ﺍﻭ
ﺟﺪﺍ ﻟﻢ ﻳﻌﺮﻑ ﻣﻨﻬﻤﺎ ﺳﻮﺀ
ﺍﻻﺧﺘﻴﺎﺭ ﻣﺠﺎﻧﺔ ﺍﻭ ﻓﺴﻘﺎ ﻭﺍﻥ
ﻋﺮﻑ ﻻﻳﺼﺢ ﺍﻟﻨﻜﺎﺡ ﺍﺗﻔﺎﻗﺎ- ﺍﻟﺪﺭ
ﺍﻟﻤﺨﺘﺎﺭ ﺝ৪ﺹ১৭১
যদি পিতা এবং দাদা ফাসেক না হয়,
বুদ্ধিহীন না হয়, অদূরদর্শী না হয়
এবং ভাল বিবেচনা করে অল্প
বয়সে ছেলে মেয়েদেরকে বিবাহ
বন্ধনে আবদ্ধ করে তাহলে বিবাহ
সঠিক বলে গণ্য হবে অন্যথায় বিবাহই
হবে না। এব্যাপারে ঐক্যমত রয়েছে।

সূত্রঃ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তরদাওয়াতি সংগঠন মজলিসে দাওয়াতুলহক। এর মৌল উদ্দেশ্য মানব জীবনেসকল ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত ওআদর্শের প্রতিফলন ঘটানো।কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের ইত্তিবা-অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলারইবাদত আনুগত্যের দাবি পূরণ করাই হলএকজন মুসলমানের ইহকালীন জীবনেরমূল উদ্দেশ্য।।শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :