প্রতিযোগিতার বিধান - মহিলাদের ধর্মীয় অবস্থান

কোন মন্তব্য নেই
প্রতিযোগিতার বিধান
তুলনামূলক বিশ্লেষণ
এবং প্রতিযোগিতার এই শর্ত
এবং নিয়ম সর্বক্ষেত্রে স্বীকৃত হলেও
দাম্ভিকতা এবং হঠকারিতা অনেক
ক্ষেত্রে এই নিয়মের অনুসরণের জন্য
বাধা হয়ে দাঁড়ায়। নারী পুরুষদের
তুলনামূলক বিচার-বিশ্লেষণের
ক্ষেত্রে পরশ্রীকাতরদের এ ধরনের
নজীর বিরল নয়। কতিপয়
বুদ্ধিজীবি নারী ও পুরুষদের
মধ্যে তুলনা করার সময় উক্ত শর্ত
এবং নিয়মকে সম্মুখে রাখেন না।
রাখতে সম্মত হন না বরং ভুলে যান।
এবং কতিপয় প্রসিদ্ধ বিশেষ শ্রেণীর
নারীদের সাথে নিম্নশ্রেণীর
পুরুষদেরকে তুলনা করে সিদ্ধান্ত
গ্রহণে প্রয়াসী হন। অন্যথায়
উপরোক্ত শর্ত এবং নিয়ম অনুসরণ
করা হলে বর্তমান অত্যাধুনিক
এবং উন্নত বিজ্ঞানের যুগেও
প্রত্যেক বিভাগে তা রাজনৈতিক হোক,
অরাজনৈতিক হোক, ব্যবসা-বাণিজ্য,
শিল্প-কারখানা, জ্ঞান-বিজ্ঞান সর্ব
ক্ষেত্রে পুরুষের চিন্তা ও কর্মশক্তির
শ্রেষ্ঠত্বের কথা স্বীকার করতেই
হবে। এমনকি যে সমস্ত কাজ-কর্ম
মহিলা স্বভাবের জন্য উপযোগী আর
তারা কর্মক্ষম হওয়ার পর থেকে ঐ
সমস্ত কাজেই নিয়োজিত ,ঐ সমস্ত
কর্মক্ষেত্রেও পুরুষগণই প্রথম
স্থানের অধিকারী রয়েছেন।
হ্যাঁ হতে পারে যে, প্রথম শ্রেণীর কোন
মহিলাকে তৃতীয় শ্রেণীর কোন পুরুষের
সাথে তুলনা করা হলে প্রথম শ্রেণীর
মহিলাকে উন্নত মনে হবে। কিন্তু এ
ধরনের
তুলনাকে প্রকৃতপক্ষে তুলনা বলা যায়
না, আর এরূপ
তুলনা করে একজনকে অন্যজনের উপর
প্রাধান্য দেওয়া মোটেই যুক্তি যুক্ত
নয়।
মহিলাদের ধর্মীয় অবস্থান
ধর্মীয় ব্যাপারেও মহিলাদের একই
অবস্থান। যদি প্রথম শ্রেণীর কোন
মহিলাকে দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় শ্রেণীর
পুরুষের সাথে তুলনা করা হয়,
তাহলে হতে পারে মহিলা কে উন্নত
এবং প্রাধান্যপ্রাপ্তা মনে হবে। কিন্তু
যদি কোন প্রথম শ্রেণীর পুরুষের
সাথে তুলনা করা হয়। তাহলে পুরুষকেই
অগ্রাধিকার দিতে হবে, যেমন
মনে করেন, মহিলাদের মধ্যে জ্ঞান,
অভিজ্ঞতা ও বিভিন্ন ধর্মীয় বিষয়ের
বিবেচনায় হযরত আয়শার স্থান অনেক
উর্দ্ধে বরং অগনিত আউলিয়া ও
সাহাবাদেরও উর্দ্ধে তাঁর অবস্থান।
কিন্তু সর্ব দিকদিয়ে হযরত আবু বকর
ও হযরত ওমরের ওপরও কি কেউ
তাকে মর্যাদা দান করেছে?
মোটকথা এসকল ক্ষেত্রে সংখ্যার দিক
দিয়ে পুরুষের সংখ্যাই অধিক।
রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যে,
ﻛﻤﻞ ﻣﻦ ﺍﻟﺮﺟﺎﻝ ﻛﺜﻴﺮ، ﻭﻟﻢ
ﻳﻜﻤﻞ ﻣﻦ ﺍﻟﻨﺴﺎﺀ: ﺇﻻ ﻣﺮﻳﻢ ﺍﺑﻨﺔ
ﻋﻤﺮﺍﻥ، ﻭﺁﺳﻴﺔ ﺍﻣﺮﺃﺓ ﻓﺮﻋﻮﻥ
)ﻣﺘﻔﻖ ﻋﻠﻴﻪ )
অর্থাৎ পুরুষদের মধ্যে ধর্মীয়
ব্যাপারে পরিপূর্ণতা অর্জনকারীর
সংখ্যা অনেক বেশি আর মহিলাদের
মধ্যে এই সংখ্যা খুবই নগণ্য। যেমন
হযরত মারয়ম,
আসিয়া এবং আয়শা প্রমুখ।
এমতাবস্থায় কয়েকজন প্রথম সারির
মহিলাদের নাম
নিয়ে মহিলাদেরকে পুরুষদের সমকক্ষ
সাব্যস্ত করা কেবল বিভ্রান্ত করাই
নয় বরং রীতিমত মুর্খতার পরিচায়কও
বটে।
এতো হলো একটি পর্যালোচনা এবং
মহিলাদের নিজস্ব যোগ্যতার
ভিত্তিতে গৃহিত সিদ্ধান্ত, অন্যথায়
যে সমস্ত মহিলাদের নাম নিয়ে পুরুষদের
সমকক্ষতা সাব্যস্ত করার প্রয়াস
চালানো হয়, তাদের ঐতিহাসিক
পটভূমি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়
যে, মহিলারা স্বীয় বৈশিষ্টের
কারণে নয় বরং পিতা, দাদা,
অথবা স্বামীর বৈশিষ্টের কারণে স্বীয়
অবস্থান সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে।
আমাদের এশিয়া এবং পাক-ভারত ও
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক
ক্ষেত্রে অবস্থান সৃষ্টিকারী নারীদের
বিষয় চিন্তা করলেই
বিষয়টি দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্ট
হয়ে উঠবে। উপরন্তু কতিপয় নারীদের
ত্যাগ তীতিক্ষার প্রতি শ্রদ্ধাপোষণ
করে একথা বলতে দ্বিধান্বিত হওয়ার
কোন অবকাশই নেই যে, আজ এশিয়ার
এই করুন পরিণতি ও অবস্থান নারীর
ক্ষমতায়নের কারনে বলে অতি সহজেই
প্রতীয়মান হয়। এ কথা আজ
অনস্বীকার্য।


সূত্রঃ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তরদাওয়াতি সংগঠন মজলিসে দাওয়াতুলহক। এর মৌল উদ্দেশ্য মানব জীবনেসকল ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত ওআদর্শের প্রতিফলন ঘটানো।কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের ইত্তিবা-অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলারইবাদত আনুগত্যের দাবি পূরণ করাই হলএকজন মুসলমানের ইহকালীন জীবনেরমূল উদ্দেশ্য।।শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :