মহিলা স্বভাব - তালাকের অধিকার

কোন মন্তব্য নেই
মহিলা স্বভাব
মহিলাদের অনুভূতি শিশুদের মতই
উচ্ছ্বাসপ্রবণ। যে কোন কর্ম-ক্রিয়া,
প্রভাব অতি সহজেই তাদের ভেতর দাগ
কাটে। তাদের জ্ঞানও সে ক্ষেত্রে হার
মেনে অতীতের কথা ভুলে যায়। তাদের
এই স্বভাবের কথা পবিত্র হাদীসেও
বলা হয়েছে বুখারী শরীফের
হাদীসে আছে-
ﻟﻮ ﺍﺣﺴﻨﺖ ﺍﻟﻲ ﺍﺣﺪﻫﻦ ﺍﻟﺪﻫﺮ
ﺛﻢ ﺭﺃﺕ ﻣﻨﻚ ﺷﻴﺌﺎ ﻗﺎﻟﺖ ﻣﺎﺭﺋﻴﺖ
ﻣﻨﻚ ﺧﻴﺮﺍﻗﻂ
তোমরা নারীদের সাথে জীবন ভর
সদাচারণ করো এবং তাদের
প্রতি এহসান করতে থাকো না কেন
ঘটনাক্রমে যদি কোন দিন সামান্য
পরিমাণ তাদের চাহিদার খেলাফ কোন
কিছু হয়ে যায়,
তাহলে সাথে সাথে বলে উঠবে যে, আজ
পর্যন্ত কোন দিন তোমার তরফ
থেকে আমি শান্তি বলতে কিছু পাইনি,
ভাল কোন কিছু দেখি নি। (ফাতহুল
বারি ১/৭৮)
হাদীসের এই তত্ত্ব অত্যন্ত
বাস্তবসম্মত। আর এই
বাস্তবতাকে পাশ্চাত্য পন্ডিতগণও
স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছে। তাই
দেখা যায় বিশ্বকোষে বলা হয়েছে যে,
পুরুষগণ দেহগত শক্তির দিক
দিয়ে মহিলাদের তুলনায় অধিক
শক্তিশালী হয়। ডক্টর দুকারীনী বলেন,
সর্ব প্রকার পুরুষই নারীদের তুলনায়
দেহগতভাবে অধিক শক্তিশালী হয়।
আমিরিকার বর্বর এবং প্যারিসের
প্রগতিবাদী সভ্যদের মধ্যেও একই
অবস্থান। আর মনোবিজ্ঞানের
মাধ্যমে এই কথা সাব্যস্ত হয়েছে যে,
পুরুষদের ধীশক্তির তুলনায় নারীদের
ধীশক্তি একশত গ্রাম কম।
ধীশক্তি এবং দেহের সমতার ক্ষেত্রেও
এই পার্থক্য বিদ্যমান, পুরুষের দেমাগ
ধীশক্তি এবং দেহের সমতার পরিমান
হচ্ছে চল্লিশ ভাগের এক ভাগ, আর
নারীদের হচ্ছে ৪৪ ভাগের ১ ভাগ। এ
কারণেই পুরুষগণ অধিক তেজ
এবং ধীশক্তির অধিকারী হয়ে থাকে।
একারণেই মহিলাগণ মানসিক
ভাবে অল্পতে অধিক প্রভাবিত হয়।
(বিশ্বকোষ ৮/৬০১)
তালাকের অধিকার
একথা জানা যায় প্রয়োজন যে,
পুরুষদেরকে প্রদত্ব তালাকের অধিকার
কিয়াস অথবা ইজতেহাদের
ভিত্তিতে নয় এবং এতে কোন মত
বিরোধও নাই বরং শরীয়ত কর্তৃক
অকাট্য প্রমানাদির দ্বারাই পুরুষের
জন্য এই অধিকার নির্ধারণ
করা হয়েছে। এ
ব্যাপারে উম্মতে মুসলিমার ঐক্যমত
রয়েছে। পবিত্র কুরআনের তালাক
সংক্রান্ত সমস্ত আয়াতেই তালাকের
অধিকার পুরুষের জন্য সুনিশ্চিত
করা হয়েছে। পক্ষান্তরে সম্পর্ক
স্থাপনের ব্যাপারে শুধু স্বামী-
স্ত্রী নয়Ñ বরং স্বামী-স্ত্রী উভয়ের
ইজাব এবং কবূলের শর্তারোপ
করা হয়েছে।
সুরায়ে বাকারাতে বলা হয়েছে ﺍﻟﺬﻱ
ﺑﻴﺪﻩ ﻋﻘﺪﺓ ﺍﻟﻨﻜﺎﺡ-
এতে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে,
বিবাহের বন্ধন পুরাপুরি পুরুষের
অধিকারে রাখা হয়েছে।
বন্ধনকে স্থায়ী করা অথবা খুলে দেয়ার
একমাত্র অধিকার পুরুষের। এ
ক্ষেত্রে নারীদের তালাক দেবার সুযোগ
সীমিত। পক্ষপাতিত্ব এবং হঠকারিতার
পথ পরিহার
করে দূরদর্শী এবং নিরপেক্ষভাবে চিন্তা
করলে দেখা যাবে যে, তালাকের অধিকার
সম্পূর্ণরূপে পুরুষের হাতে থাকাই
যুক্তিযুক্ত এবং ন্যায়সঙ্গত।

সূত্রঃ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তরদাওয়াতি সংগঠন মজলিসে দাওয়াতুলহক। এর মৌল উদ্দেশ্য মানব জীবনেসকল ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত ওআদর্শের প্রতিফলন ঘটানো।কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের ইত্তিবা-অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলারইবাদত আনুগত্যের দাবি পূরণ করাই হলএকজন মুসলমানের ইহকালীন জীবনেরমূল উদ্দেশ্য।।শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :