সমান অধিকারীদের উক্তি - বংশসূত্রের সংরক্ষণ

কোন মন্তব্য নেই
সমান অধিকারীদের উক্তি
সমান অধিকারের দাবীদারগণ স্বীয়
মতামতের পক্ষে এমন
একটি প্রমাণেরও অবতারণা করে থাকে,
যা উল্লেখ করা অত্যাবশ্যক
এবং আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন
মানুষের জন্য অস্বস্তিকরও
বটে যে,পুরুষদেরকে একাধিক
স্ত্রী রাখার অধিকার দান
করে মহিলাদেরকে একাধিক স্বামীর
স্বাদ গ্রহণ থেকে বঞ্চিত করা মূলত
তাদের অধিকারে হস্তক্ষেপ ও সমান
অধিকারকে খর্ব করার নামান্তর। এ
ধরনের মন মানসিকতার অধিকারীদের
ব্যাপারে জ্ঞানী এবং হক ও সত্যনিষ্ঠ
মানুষের খেদমতে এতটুকু বলাই যথেষ্ট
মনে হয় যে, যেই নারী একাধিক স্বামীর
সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনকে সমান
অধিকারের প্রতীক
মনে করে অথবা জীবনের
সফলতা এবং উন্নতির নিদর্শন
মনে করে, আসলে এরা নারী নয়। এ
ধরনের নারী কোন দিন কোন স্বামীর
সঙ্গিনী এবং আদর্শ
স্ত্রী হতে পারে না। হওয়ার যোগ্যও
নয়। এরূপ নারীর স্বামীদের সন্তান
সন্ততিদের ভরণ পোষণের দায়িত্ব
কে গ্রহণ করবে এবং সন্তান-
সন্ততিদের পিতৃপরিচয়ই বা কি হবে?
আর যদি অংশীদার স্বামীগণ সকলেই
ভরণ পোষণ এবং সন্তানাদির বংশগত
দায়িত্বভার নিতে প্রস্তুত হয়
তাহলে অগ্রাধিকার দেয়ার নিয়ম
কি হবে ? না কি যৌথ বংশ নীতি হবে?
আসলে বংশ সূত্রের সংরক্ষণ এবং এর
প্রয়োজনীয়তা ও
উপকারিতা এবং রহস্য তাৎপর্য
সম্পর্কে ইসলাম যে গুরুত্বারোপ
করেছে তা ঐ সমস্ত
বুদ্ধিজীবিরা কোনক্রমেই অনুধাবন
করতে সক্ষম হতে পারে না।
যারা অন্যের সন্তানকে নিজের সন্তান
বলে কুলে নিতে লজ্জাবোধ
করে না এবং খোদায়ী কুদরতের স
¤পর্ককে গর্হিত তরিকার
মাধ্যমে পরিবর্তন করাকে খিয়ানত
মনে করে না।
বংশসূত্রের সংরক্ষণ
যেহেতু ইসলামী আইনে নসব
এবং বংশসূত্রের সংরক্ষণ অত্যাধিক
জরুরী এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই
এমন কোন বিষয় যার
মাধ্যমে বংশসুত্রে চুল পরিমাণ সন্দেহ
সৃষ্টি হতে পারে, ইসলাম তা কিছুতেই
গ্রাহ্য করে না। একারণেই তালাকের
পর অথবা স্বামীর মৃত্যু হলে ইদ্দত
পূরণ হওয়ার পূর্বে বৈবাহিক সম্বন্ধ
স্থাপন সম্পূর্ণরূপে নিষেধ করা হয়েছে।
নিষেধ করার কারণ এটাই যে, স্ত্রীর
গর্ভে প্রথম স্বামীর কোন সন্তান
আছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া,
যাতে বংশসূত্রে সন্দেহ সৃষ্টি না হয়।
ইসলামী বিধান মতে নসব সূত্রের
সুসংরক্ষণ দুনিয়ার
ব্যাপারে তো প্রয়োজন আছেই
আখেরাতের বেলায়ও এর প্রয়োজন
অত্যাধিক। মুসনাদে আহমাদ এবং আবূ
দাউদ শরীফে বলা হয়েছে-
ﺗﺪﻋﻮﻥ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ ﺑﺎﺳﻤﺎﺋﻜﻢ
ﻭﺍﺳﻤﺎﺀ ﺍﺑﺎﺋﻜﻢ )ﻣﺸﻜﻮﺓ )
কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে তোমাদের
এবং তোমাদের পিতার নামে ডাকা হবে।

সূত্রঃ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তরদাওয়াতি সংগঠন মজলিসে দাওয়াতুলহক। এর মৌল উদ্দেশ্য মানব জীবনেসকল ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত ওআদর্শের প্রতিফলন ঘটানো।কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের ইত্তিবা-অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলারইবাদত আনুগত্যের দাবি পূরণ করাই হলএকজন মুসলমানের ইহকালীন জীবনেরমূল উদ্দেশ্য।।শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :