ভায়াগ্রা এবং যৌনতা নিয়ে সাধারণ কিছু প্রশ্নত্তর

কোন মন্তব্য নেই

যৌন আচরণ এবং ভায়াগ্রা এ
নিয়ে আমাদের সমাজে এবং উন্নত
রাষ্ট্রগুলোতেও অনেক ভুল ধারণা,
কুসংস্কার ইত্যাদি প্রচলিত রয়েছে।
প্রায়শ এগুলো আমরা একজন
আরেকজনকে লজ্জা, অস্বস্তিবোধ
এবং কতক সামাজিক রীতিনীতির
কারণে জিজ্ঞেস করতে পারি না। কিন্তু
এ প্রশ্নগুলো আমাদের মনে প্রায়শ
বিরাজ করে। উল্লেখ থাকে যে, এসব
প্রশ্নোত্তরগুলো প্রাপ্ত বয়স্কদের
জানা উচিত।
ভায়াগ্রা এবং যৌনতা বিষয়ক তাই
প্রচলিত কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর
সোজা সাপটাভাবে পাঠকদের যৌনজ্ঞান
বাড়ানোর
উদ্দেশ্যে আমরা নিম্মে আলোচনা
করলাম।
প্রশ্ন :
ভায়াগ্রা কি এবং এটি কিভাবে কাজ
করে?
উত্তর :- ভায়াগ্রা একটি ট্রেড নেম
বা ড্রাগের রাসায়নিক নামাকরণ। এর
মূল উপাদান হলো সিলডেনাফিল
সাইট্রেট।
এটি আকস্মিকভাবে আবি®কৃত
হয়েছিল। এর মূল কাজ
পেনিসে বা লিঙ্গের উত্থানের
সাথে সম্পর্কিত। প্রাথমিক
পর্যায়ে এটি হার্ট ডিজিজের ওষুধ
হিসেবে পরীক্ষা করা হয়েছিল
এবং আশাপ্রদ কোনো ফল
পাওয়া যায়নি। কতক গবেষক এসকল
ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পরিচালনার সময়
তাদের রোগীদের ইরেকশনের ব্যাপাটির
বা যৌনভাবে যারা অক্ষম তাদের লিঙ্গ
উত্থানের ব্যাপাটির হঠাৎ
করে পর্যবেক্ষণ করে। এভাবেই শুরু হয়
ভায়াগ্রা নিয়ে গবেষণার সূচনা।
ভায়াগ্রা মূলত কাজ
করে থাকে অনৈচ্ছিক মসৃণ কোষগুলোর
শিথিলতার
সময়কালকে বাড়ীয়ে এবং পেনিসের
যেসকল রক্ত গহ্বর
রয়েছে সেগুলোতে রক্ত প্রবাহের মান
উন্নয় করে। অবশ্য এটি ঠিক যে,
এটি সাধারণভাবে পেলভিক
এরিয়া বা শ্রোণী এলাকাতেও রক্ত
সরবরাহ বাড়িয়ে থাকে। গবেষণার
শেষের পর্যায়ে যে ফল
বেরিয়ে এসেছে তা হলো শতকরা ৮৮
ভাগ পুরুষ যাদের ইরেকশন
বা উত্থানজনিত
কোনো না কোনো দুর্বলের
কারণে যৌনভাবে অক্ষম ছিল
তারা যৌন সঙ্গমে ভায়াগ্রা সেবনের
ফলে আশাতীত ফল লাভ করেছিল।এদের
কতকের আবার লিঙ্গ উত্থানজনিত
অবস্থা ধরে রাখতে সমস্যা হতো।
উল্লেখ থাকে যে, লিঙ্গ উত্থান
কারো কারো ক্ষেত্রে খুব
ভালোভাবে হয়ে থাকলেও
দেখা গেছে কতক পুরুষের এই
উত্থানজনিত
অবস্থা ধরে রাখতে সমস্যা হয়। এদের
ক্ষেত্রেও ভায়াগ্রা সেবনে এই
উত্থানজনিত অবস্থানকালীন সময়
অনেক দীর্ঘায়িত হয়েছে ফলে যৌনানন্দ
অনেক বাড়ে।
প্রশ্ন :-
ভায়াগ্রা নিয়ে কি কি দুশ্চিন্তা রয়েছে?
উত্তর :- সাধারণ ভাষায়
বলতে গেলে ভায়াগ্রার মূল
জটিলতা হলো হার্টে কোনো অসুখ
থাকলে এবং এটি যদি এমনটি হয়ে থাকে
যেজন্য শারীরিক কার্যক্রম পর্যন্ত
বন্ধ করে দিতে হয়। এজন্য
ভায়াগ্রা সেবনের পূর্বে অবশ্যই
বিশেষজ্ঞ ফিজিশিয়ানের
মাধ্যমে মেডিকেল ইতিহাস এবং সম্পূর্ণ
শারীরিক পরীক্ষা-
নিরীক্ষা করে নিতে হবে। হার্ট
ফেইলিওর, হার্টএ্যমিটাক , স্ট্রোক
বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষণ, হার্টের
মায়োকার্ডিয়ামে ইনফেকশন, খুব
বেশি মাত্রায় রক্তচাপ, খুব অল্প
মাত্রার রক্তচাপ ইত্যাদি অবস্থায়, এ
ওষুধটি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত
ঝুঁকিপূূর্ণ
এবং তাত্ত্বিকভাবে অনির্দেশয়ান।
ফিজিশিয়ান আপনাকে পরীক্ষা-
নিরীক্ষার মাধ্যমে দেখবেন আপনার
ইরেকশনে সমস্যা হওয়ার পেছনে মূল
শারীরিক বা মনোগত কারণ
কি এবং সে মতেই তিনি ঠিক করবেন
আপনাকে সিলডেনাফিল সাইট্রেট দেবেন
কি দেবেন না। ভায়াগ্রা সেবনজনিত
আরেকটি মূল জটিলতা হলো আপনি এর
সাথে অন্য আর কোনো ড্রাগ বা ওষুধ
সেবন করছেন। নানা ধরনের ড্রাগের
সাথে ভায়াগ্রার ইন্টারেকশন
বা রাসায়নিক ক্রিয়া হতে পারে। এখন
পর্যন্ত সব ধরনের ড্রাগের সাথে এর
কি ধরনের ক্রিয়া পতিক্রিয়া হয়
তা সম্পূর্ণভাবে জানা যায়নি।
তবে নাইট্রেটস(জিহ্বার
নিচে প্রয়োগযোগ্য গ্লিসারিন
টাইনাইট্রেটস ট্যাবলেট, ¯েপ্র,
ডাইনাইট্রেটস ইত্যাদির সঙ্গে) জাতীয়
ওষুধের সঙ্গে ভায়াগ্রা সেবন সম্পূর্ণ
নিষিদ্ধ। বাজারে প্রচলিত কতক
অর্গানিক নাইট্রেটসের
মধ্যে রয়েছে নাইটোগ্লিসারিন,
আইসোসরবাইটডাইনাইট্রেটস,
নাইটোডুর, নাইটোপেস্ট
এবং আইসোবিউটালনাইট্রে নামক
কতক ওষুধ। আপনি এগুলোর
যে কোনোটি সেবন করতে থাকলে একই
সাথে ভায়াগ্রা বা সিলডেনাফিল
সাইট্রেট সেবন করলে রক্তচাপ
অস্বাভাবিকভাবে এবং
অপরিবর্তনীয়ভাবে স্বাভাবিক
লেভেলেরা অনেক নিচে নেমে যেতে পারে।
এটি যেমন নানাবিধ মেডিকেল
অসুস্থতার
সৃষ্টি করতে পারে তেমনি দুটি একই
সাথে সেবনে মৃত্যুর ঘটনাও অনেক
ঘটেছে। যেসকল রোগীরা সিমেটিডিন,
ইরাইথ্রোমাইসিন, কেটোকনাজল
অথবা ইট্রাকনাজল জাতীয় ওষুধ সেবন
করেছেন তাদের এসকল ওষুধের
সাথে সিলডেনাফিল সাইট্রেস
বা ভায়াগ্রা সেবন করা সম্পূর্ণ
নিষিদ্ধ। ক্লিনিক্যাল গবেষণায়
দেখা গেছে যে , ভায়াগ্রা উপরোল্লিখিত
ওষুধগুলোর
সাথে রাসায়নিকভাবে বিক্রিয়া করে
থাকে। একে আমরা ড্রাগ ইন্টারেকশন
বলি। তাই আপনি যদি ওপরের
কোনো ধরনের ওষুধ সেবন করে থাকেন
তবে ডাক্তারকে অবশ্যই অবহিত
করবেন।
ভায়াগ্রা নিয়ে এবং এর
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে যেহেতু
নানা গবেষণা হয়েছে তাই
অনেকক্ষেত্রে বিরুদ্ধ ফলাফল বা এর
কি কি পার্শ্বপতিক্রিয়া হতে পারে তা
নিয়ে অনেকের মাঝে দ্বিমত রয়েছে।
তবে গড়পড়তা সাধারণভাবে প্রচলিত
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার
ক্ষেত্রে দেখা যায় শতকরা ১৬ ভাগের
মাথাব্যথা , শতকরা ৪ ভাগের
ক্ষেত্রে মুখমন্ডল রক্তবর্ণ
ধারণা করা এবং শতকরা ৩ ভাগের
ক্ষেত্রে দৃষ্টি শক্তিতে সামান্য
অসুবিধা পরিলক্ষত হয়েছে।
তবে এটা ঠিক যে দৃষ্টিশক্তিজনিত
যে সমস্যা দেখা দিয়েছে তা অত্যন্ত
সাময়িক এবং অল্প মসয়ের জন্য
হয়ে থাকে এবং এটি আস্তে আস্তে ঠিক
হয়ে যায়।
তবে কারো যদি আগে থেকে রেডিনাল
ডিসফাংশন যেমন রেটিনাইটিস
পিগমেন্টোসা থেকে থাকে তাহলে ওষুধটি
সাবধানতার সাথে সেবন করতে হবে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার
হলো চক্ষুর সাথে জড়িত
দৃষ্টি শক্তি সম্পর্কীয়
ব্যাপারটি সাধারণত অধিকমাত্রায়
ভায়াগ্রা সেবনে হয়ে থাকে। তথাপি এই
সমস্যার জন্য ভায়াগ্রা বন্ধ
করতে হয়েছে এমন রোগীর
সংখ্যা নিতান্তই কম।
কি ডোজে ভায়াগ্রা সেবন করবেন:
বেশিরভাগ রোগীর
ক্ষেত্রে ক্লিনিক্যাল
ট্রায়ালে প্রতিষ্টিত হয়েছে যে, ৫০
মিঃ গ্রাঃ এর নির্দেশিত মাত্রায়
পুরুষের পেনিসের ইত্থান নিশ্চিত
হয়েছে এবং এই মাত্রায়
খেলে স্বাস্থ্যজনিত ঝুঁকি সবচেয়ে কম।
তবে এটি রোগীর বয়স এবং নিচের
কতক শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর
করে। রোগীর যদি যকৃত বা লিভার,
কিডনি ইত্যাদি কোনো ধরনের
কার্যগত সমস্যা দেখা দেয়
তবে সিলডেনাফিল সাইট্রেটের ডোজ
কমিয়ে ২৫ মিঃ গ্রামে আনা উচিত।
আবার অনেক রোগীর ক্ষেত্রে ৫০
মিঃ গ্রাঃ ভায়াগ্রা সেবন ইরেকশনের
জন্য যথেষ্ট নাও হতে পারে।
সেক্ষেত্রে তার যদি অন্যান্য
স্বাস্থ্যজনিত
ঝুঁকি না থাকে তবে ডাক্তার সাহেব তার
ডোজ বাড়িয়ে ১০০ মিঃ গ্রাঃ পর্যন্ত
করতে পারেন। তবে কখনোই ১০০
মিঃ গ্রাঃ এর বেশি ভায়াগ্রা এক
সাথে সেবন করা উচিত নয়।
এতে করে আপনার তীব্র নিুরক্তচাপ
দেখা দিতে পারে যা স্বাস্থ্যের জন্য
খুব হুমকিস্বরূপ।
আরেকটি কথা বিষেশভাবে
প্রনিধানযোগ্য
তা হলো ভায়াগ্রা বা সিলডেনাফিল
সাইট্রেস একদিন বা ২৪ ঘন্টা সময়ের
ভেতরে একেবারে বেশি সেবন
করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ তা যে ডোজেই
সেবন করা হোক না কেন।
ভায়াগ্রা কখন সেবন করবেন:
ভায়াগ্রা নিয়ে গবেষণার প্রারম্ভিক
পর্যায়ে এটি কখন সেবন
করা সবচেয়ে বেশি কার্যকর তা নিয়েও
দ্বিমত দেখা দিয়েছে।
শেষে প্রতিষ্টি হয়েছে যে, যৌন সঙ্গম
বা যৌনমিলনের এক
ঘন্টা পূর্বে এটি সেবন
করা সবচেয়ে বেশি যুক্তিযুক্ত।
ভায়াগ্রা সম্বন্ধে আপনার আর
কি জানা উচিত:
যৌনজ্ঞান সম্পর্কীয় বিজ্ঞান
ভিত্তিক বই সেক্স
গাইডে আমরা এফরোডাইসিয়াক
নামে যৌন উদ্দীপক এবং যৌন
ইচ্ছা বর্ধক পদার্থ
নিয়ে আলোচনা করছি।
এখানে জেনে রাখা ভালো ভায়াগ্রা কিন্তু
এফরোডাইসিয়াক হিসেবে কাজ করে না।
এটি আপনা আপনি সেক্সুয়াল আগ্রহ
বাড়াবে না। এটি কোনো সেক্সুয়াল
ডিভাইস বা যন্ত্র ,
উদ্দীপককারী ব¯ত্ত ও নয়। নারী-
পুরুষের পারস্পরিক সম্পর্কজনিত
নানা বিধ দ্বন্দ্ব
যদি থেকে থাকে উভয়ের মাঝে উষ্ণ
সন্নিধ্যেও সমঝোতার অভাব
যদি পরিলক্ষিত হয় তাহলে স্বাভাবতই
যৌন আচরণ চাপা পড়ে যায়। তাই
ভায়াগ্রা বা সিলডেনাফিল সেবন করলেই
পেনিস ইরেক বা উত্থিত হয়ে যাবে এ
ধারণাটি ঠিক নয়। এ কথাটির মূল
মানে হল ইন্টাকোর্স বা যৌনসঙ্গমের
জন্য যে পরিমাণ যৌন উদ্দীপনাকর
যৌন আচরণ সেক্স এবং সেক্স
পার্টনারদের করতে হয়
তা করা ব্যতীত ইরেকশন বা লিঙ্গ
উত্থান সম্ভব নয়। তাই যৌন সঙ্গম
বা যৌনমিলনের ব্যর্থতা যদি মনোগত
কোনো কারণে হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই
মনের সেই দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ফেলার জন্য
অভিজ্ঞ সাইকিয়াট্রিস্টের পরামর্শ
নিতে হবে । ভায়াগ্রা সেবন করেও
আপনি কেমন ধরনের যৌনানন্দবোধ
করবেন তা অনেকাংশে নির্ভর করে ও
আপনার সেক্স পার্টনারের
যৌনতা সম্পর্কে মনোভঙ্গি বা
দৃষ্টিভঙ্গি, আপনাদের মুড বা মেজাজ-
মর্জি, আশপাশের পরিবেশ, মিউজিক
বা সঙ্গীত এবং যৌন উদ্দীপক ইরটিক
ইস্টিমিউলির ওপর।
ওপরে যে ব্যাপারগুলো উল্লেখ
করা হলো তার প্রত্যেকটিই কিন্ত
ইরেকশন বা লিঙ্গ উত্থানের গুণগত
মনোন্নয়ন
বা কোয়ালিটিকে অনেকখানী নিয়ন্ত্রণ
করে থাকে। তাই যৌন সঙ্গমের
ক্ষেত্রে বা যৌনমিলনের
ক্ষেত্রে আমরা মনে করি যৌনতা
সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান, সাবলীল
স্বচ্ছ, সুন্দর
মনোভঙ্গি বা দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদি না
থাকলে ভায়াগ্রা সেবন করলেও যৌন
আচরণের তেমন কোনো পার্থক্য
পরিলক্ষিত হবে না।
ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে আরেকটি ব্যাপার
দেখা গেছে সেটি হলো যৌন অক্ষম
বা পুরুষত্বহীনতায় ভুগছে এমন
পুরুষটি প্রথমবার
হয়তোবা সিলডেনাফিল সাইট্রেট
বা ভায়াগ্রা সেবন করল কিন্ত এতেও
তার যে লিঙ্গ উত্থান বা ইরেকশন
হলো তা খুব দুর্বল ধরনের ছিল।
এক্ষেত্রে অনেকে মনে করতে পারে
ওষুধটি ভালো নয় এবং তার
ক্ষেত্রে অকার্যকর। প্রকৃতপক্ষে এ
ধারণাটি সম্পূর্ণ অমূলক সিলডেনাফিল
সাইট্রেট সম্পর্কে এবং এর যৌন
আচরণের ওপর
কার্যকারিতা সম্পর্কে জানার জন্য ও
বোঝার জন্য অন্তত চার পাঁচবার
এটি সেবন করে দেখা দরকার
(পুরুষত্বহীনদের জন্য) প্রথমিক
পর্যায়ে এটি সেবনে তেমন উপকার
না পাওয়ার একটি মূল কারণ
থাকে এন্টিসিপিটরি এ্যাংজাইটি বা
ওষুধটি কাজ
করবে কি না এটি নিয়ে আগের তীব্র
দুশ্চিন্তাবোধ। সেক্ষেত্রে সেক্সুয়াল
পারফরমেন্স বা যৌন আচরণ বিঘ্নিত
হতেই পারে।
নারীরা কি ভায়াগ্রা সেবন
করতে পারে?
নারীরা ভায়াগ্রা সেবন
করতে পারে কিনা এটি এখানো
প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ভায়াগ্রা সেবন
করে তারা যৌন ইচ্ছা, যৌন আগ্রহ
বা অতিরিক্ত যৌনপুলক বা অর্গাজম
লাভ করতে পারে কিনা এ
নিয়ে এখনো অনেক বৈজ্ঞানিক
স্টাডি পরিচালিত হচ্ছে। যেগুলোর
ফলাফল এখনো পাওয়া যায়নি।
তবে এটি ঠিক যে, কতক ডাক্তার
কিন্তু ঠিকই নারীদের জন্য
ভায়াগ্রা প্রেসক্রাইব করা শুরু করেছে।
কতক নারী যারা যৌনমিলনের
আগে ভায়াগ্রা সেবন
করেছে তারা যৌনতায় এক ধরনের
উষ্ণতার কথা বলেছে এবং অতিরিক্ত
যৌনানন্দও যৌন শিহরণ লাভের
অনুভূতি পেয়েছে। এর মূল কারণ
হলো পুরুষের যেমন পেলভিক
এরিয়া বা শ্রোণী এলাকায় যেমন রক্ত
সরবরাহ বাড়িয়ে থাকে ঠিক
তেমনি নারীদের শ্রোণী এলাকায় যেহেতু
এটি রক্ত সরবরাহ বাড়ায়
ফলশ্র“তিতে জেনিটাল
বা যৌনাঙ্গে এক ধরনের আনন্দদায়ক
সাড়া হতে পারে এবং এতে ইন্টারকোর্সে
অন্যরকম যৌন সুখ বা যৌন আরাম
পাওয়া যেতে পারে।
তবে এটি এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি এ
কথাটি স্মরণ রাখা প্রয়োজন। কতক
পুরুষের দেখা যায় নারীর সঙ্গে মিলত
হবে এর সঙ্গে সঙ্গে নানা ধরনের যৌন
আচরণ বা যৌনক্রীড়া শুরু করে দেয়।
অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে যৌন
আচরণের এবং যৌন সঙ্গমের
মাঝামাঝি সময় টুকুতে পেনিসের
ইরেকশন বা লিঙ্গের উত্থান বিলম্বিত
হয়। ভায়াগ্রা সেবনে পেনিসের ইরেকশন
বিশেষ সময়কালীন বেশ ত্বরান্বিত
হয়।- আরো প্রশ্ন ও উত্তর দেখুন
Monday, January 2, 2006
Source: blogspot.com

কোন মন্তব্য নেই :