"দুনিয়া অন্তর ও দেহকে বিক্ষিপ্ত ও আবিষ্ট করে।

কোন মন্তব্য নেই
বর্ণিত আছে যে, খলিফা উমর বিন আব্দুল আযীয (রহিমাহুল্লাহ) একবার তাবেয়ী আল হাসান আল বসরী (রহিমাহুল্লাহ) কে কিছু উপদেশ লিখে দেবার জন্য বল্লেন। আল হাসান লিখে পাঠালেন,
"দুনিয়া অন্তর ও দেহকে বিক্ষিপ্ত ও আবিষ্ট করে। কিন্তুযুহুদ (দুনিয়াকে প্রাধাণ্য না দিয়ে সংযমী ও অনাড়ম্বর জীবনযাপন) অন্তর ওদেহকে স্হিরতা/ বিশ্রাম দেয়। (দুনিয়ায়) হালাল যে সমস্ত বিষয় আমরা ভোগ করেছি নিশ্চয়ই, আল্লাহ আমাদেরকে সে সম্পর্কে প্রশ্ন করবেন, তাহলে হারাম বিষয়গুলোর ব্যপারে কি হবে"!
সকাল থেকে সন্ধ্যাবধি আমরা দুনিয়ার জীবনকে সুশোভিত, আনন্দময়, আরামদায়ক করবার প্রতিযোগীতায় মেতে আছি। দুনিয়াটা আমাদের কাছে যেন একটা ঘোড়দৌড়ের ময়দান। কখনও কি ভাববারসময় হয়েছে, জন্মের পর থেকে আজ পর্যন্ত স্রষ্টার কত আশীর্বাদ ভোগ করে এসেছি? না চাইতেই কত নিয়ামত লাভ করেছি? যদিও আমরা কেউই এর যোগ্য ছিলাম না!
কখনও কি এই ঘোড়দৌড়ে কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে একটু ভেবেছি - প্রতিটা শীতল পানির ফোঁটা, প্রতিটা হালালগ্রাসের হিসাব একদিন নিবেন আমাদের প্রভূ আর-রাজ্জাক? পঞ্চাশ হাজার বছর.....! ষাট-সত্তর বছরের নাতিদীর্ঘজীবনের হিসাব দিতে হবেপঞ্চাশ হাজার বছর ধরে.....।
সেই হালাল নিয়ামতের হিসাব যদি দিতে না পারি, তাহলে কেমন করে হিসাব দেব যে সমস্ত হারাম এই দেহভোগ করেছে তার?
ইয়া রব্বি! আমাদের হিসাবকে সহজ করে দিন। যাকে আপনি পাকড়াও করবেন সে তো প্রকৃতইক্ষতিগ্র স্ত।


শেয়ার করে আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবীদের পড়ার সুযোগ দিন।
আপনি জেনেছেন....হয়তো সে জানেনা ।আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক --আমিন ।

কোন মন্তব্য নেই :