যুক্তরাষ্ট্রে মসজিদ বাড়ছে : মুসলিমরা আসছে মূলধারায়

কোন মন্তব্য নেই
যুক্তরাষ্ট্রে দিন দিন মসজিদের সংখ্যা বাড়ছে। এর পাশাপাশি দেশটির মুসলমান সম্প্রদায়ও অনেক বেশি মূলধারার সঙ্গে যুক্ত হতে শুরু করেছে। নতুন এক জরিপে দেখা গেছে, দেশটিতে বর্তমানে মসজিদ রয়েছে দু’হাজার একশ’ ছয়টি। এ সংখ্যা ২০০০ সালের চেয়ে শতকরা ৭৪ ভাগ বেশি। এর মধ্যে নিউইয়র্ক শহরেরয়েছে ১৯২টি মসজিদ, দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়াতে ১২০টি, ফ্লোরিডায় ১১৮টি এবং টেক্সাসে রয়েছে ১৬৬টি মসজিদ। এমনকি মন্টানা যেখানে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বাইরের জনসংখ্যা হচ্ছে—শতকরা এক ভাগেরও কম, সেখানেও দু’টি মসজিদ রয়েছে। ২০০২ সালে মসজিদের সংখ্যা ছিল এক হাজার ২০৯টি। আর ২০০২ সালে যেখানে ঈদের জামাতে অংশ নিয়েছিলেন ২০ লাখ মুসুল্লি সেখানে ২০১১ সালে এ সংখ্যা ছিল ২৬ লাখ।
যুক্তরাষ্ট্রে মসজিদ ও মুসলমানদেরসংখ্যা বেড়ে যাওয়া নিয়ে সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে কথিত সন্ত্রাসী হামলার পরও মসজিদ এবং মুসলমানের সংখ্যা বাড়ার বিষয়ে কোনো ছেদ পড়েনি। অবশ্য, ওই হামলার পর মুসলমানদের ওপর নির্যাতনের মাত্রা ব্যাপক হারে বেড়ে গিয়েছিল। এর আগে, ২০০০ সালের এক জরিপে ৫৪ ভাগ মুসলমান বলেছিলেন, ‘মার্কিন সমাজ ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে।’ এদিকে, দেশটিতে বসবাসরত মুসলমানদের মধ্যে বিরাটসংখ্যক তরুণ নিয়মিত মসজিদে যায়। এসব তরুণ সম্পর্কে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো অপপ্রচার চালাচ্ছে যে, তারা মৌলবাদ ও চরমপন্থার দিকে ঝুঁকে পড়ছে। কিন্তু, দেশটির শতকরা৮৭ ভাগ মুসলিম নেতা ও ইমাম তাদের নিজেদের অভিজ্ঞতার আলোকে বলেছেন, ‘মুসলিম তরুণদের মধ্যে চরমপন্থা বাড়ছে না। এছাড়া, এবারের জরিপে অংশ নেয়া মুসলিম নেতাদের মধ্যে শতকরা ৯৮ ভাগবলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত মুসলমানদের উচিত মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোতে জড়িত হওয়া।’ নিউইয়র্কের পুলিশ বিভাগ ২০০৭ সালে প্রতিবেশী নিউআর্ক শহরে বসবাসরত মুসলমানদের ওপর বিশেষ গোয়েন্দাবৃত্তি ও নজরদারি চালিয়েছে বলে খবর বের হওয়ার এক সপ্তাহ পর এ জরিপ প্রকাশ হলো।
উৎসঃ আমার দেশ/ রয়টার্স

কোন মন্তব্য নেই :