নিকোটিনে শারীরিক ক্ষমতা হ্রাস

কোন মন্তব্য নেই
ধূমপানের
নানা অপকারিতা সম্পর্কে জানেন
মোটামুটি সকল ধূমপায়ী। তারপরও
ধূমপান ত্যাগ করতে দেখা যায় অনেক
কমসংখ্যক ধূমপায়ীকে। ধূমপান
থেকে ফুসফুসের ক্যান্সার, হার্টের
রক্তনালী সরু হয়ে হার্ট এ্যাটাকের মত
বেদনাদায়ক ঘটনা ঘটতে পারে।
কমে যায় গড় আয়ু, কর্ম ক্ষমতা তার
পরও ধূমপায়ীদের তেমন কোন উদ্বেগ
নেই। অনেকের ধারনা বহু বছর
ধরে ধূমপান করছি,
দাদা ধূমপায়ী ছিলেন,
বাবা ধূমপায়ী ছিলেন কোন
সমস্যা তো দেখিনি। কিন্তু
দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য বিপদ যাদের
আসে তারাই বোঝেন।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয়
হচ্ছে ধূমপানের বড় বড়
ক্ষতি বেশী চোখে পড়ে। কিন্তু অনেক
ক্ষতি আছে যা চোখে পড়ে না। অথচ
ধূমপানের ফলে শতকরা ৫ থেকে ১০
ভাগ ধূমপায়ীর শারীরিক
ক্ষমতা বা যৌন ক্ষমতা হ্রাস পায়।
আর এই শারীরিক ক্ষমতা হ্রাসের
প্রধান শত্রু হচ্ছে সিগারেট, বিড়ি,
তামাক, জর্দ্দার মধ্যে থাকা বিষ
নামের মারাত্মক ক্ষতিকর রাসায়নিক
পদার্থ নিকোটিন। নিকোটিন শুধু
রক্তনালী সরু করে দেয় এবং হার্টের
রক্তনালীতে চর্বি জমতে সাহায্য
করে তাই নয়, এই নিকোটিন রক্তের
স্বাভাবিক প্রবাহকে কমিয়ে দেয়।
ফলে অঙ্গ-প্রতঙ্গের রক্ত চলাচল
বাধাগ্রস্ত হয়। এতে শারীরিক
ক্ষমতা হ্রাস পায়, পাশাপাশি নিকোটিন
ফুসফুস ও হার্টের স্বাভাবিক
ক্ষমতাকেও হ্রাস করে। ফলে শারীরিক
দুর্বলতা প্রতীয়মান হয়
নানা ক্ষেত্রে। সিগারেটের নিকোটিন
সাময়িক ভাবে মস্তিষ্ক উজ্জীবীত
করলেও মস্তিষ্ক নিকোটিনের দীর্ঘ
মেয়াদী ক্ষতি নানাবিধ। নিকোটিন
মস্তিষ্কের রক্তনালীকে সরু করে দেয়
ফলে মস্তিষ্কে রক্তচলাচলেও ব্যহত
হয়। মস্তিষ্ক হয়ে পড়ে দুর্বল।
ফলে বিশেষ ক্ষেত্রে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ
অধিক রক্ত প্রবাহের প্রয়োজন
হলে মস্তিষ্ক হার্টকে প্রয়োজনীয়
সিগনাল বিলম্ব ঘটায়। ফলে কাংখিত
শারীরিক শক্তি অনেক
ক্ষেত্রে পাওয়া যায় না। তাই
কর্মক্ষম, সক্ষম থাকতে আজই
ধূমপান ত্যাগ করুন, সুন্দর দাম্পত্য
জীবন গড়ে তুলুন।
ডা: মোড়ল নজরুল ইসলাম
চর্ম, এলার্জি ও
যৌনসমস্যা বিশেষজ্ঞ
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক,

কোন মন্তব্য নেই :