একেমন অবিচার করলো সরকার। ১৮দলের ৩৩নেতাকে পাঠালেন জেলে ।

কোন মন্তব্য নেই

গাড়ি পোড়ানোর মামলায় ১৮ দলীয়
জোটের ৩৪ নেতার জামিন নামঞ্জুর
করেছে আদালত।
সেইসঙ্গে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর
নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আজ
দুপুরে মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালত
তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর
করেন। আদেশের পরই একটি প্রিজন
ভ্যানে করে জোট নেতাদের
কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এর
আগে হরতালে প্রধানমন্ত্রীর
কার্যালয়ের সামনে গাড়ি পোড়ানোর
মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশ
অনুযায়ী মুখ্য মহানগর হাকিম
আদালতে আত্মসমর্পণ ও জামিনের
আবেদন করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম
আলমগীরসহ বিএনপি ও সমমনা দলের
৩৪ জন নেতাকর্মী। তাদের
আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া জানান,
সকালে ৩৪ জনের পক্ষে জামিনের
আবেদন জমা দেয়া হয়। বেলা ১২টায়
মহানগর দ্রুত বিচার হাকিম মো.
এরফান উল্লাহর আদালতে এ
বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আদালত
শুনানি শেষে তাদের জামিন না মঞ্জুর
এর আদেশ দেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম
আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আ স ম
হান্নান শাহসহ এ মামলার
আসামিরা আদালতে উপস্থিত
হয়ে জামিন আবেদন করেন।
তারা আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশের পর
আইনজীবীদের কক্ষে অবস্থান নেন।
আদালত প্রাঙ্গণে সকাল থেকে ব্যাপক
নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়।
আদালতে আত্মসমর্পনকারী নেতারা এখন
আদালতে রয়েছেন। তাদেরকে অল্প
কিছুক্ষনের
মধ্যে কারাগারে নেয়া হতে পারে।
তবে ওই মামলায় জামায়াতের
নেতারা আদালতে উপস্থিত হননি।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন,
হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী আজ
আমরা নিম্ন আদালতে জামিনের
আবেদন করেছি। এম ইলিয়াস
আলীকে ‘গুমের’ প্রতিবাদে গত ২৯ ও
৩০ এপ্রিল হরতালের সময়
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের
সামনে একটি বাসে আগুন দেয়া হয়,
বোমার বিস্ফোরণ ঘটে সচিবালয়ে।
দু’টি ঘটনায় বিএনপি ও
সমমনা দলগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের
নেতাদের আসামি করে শাহবাগ ও
তেজগাঁও থানায় দুটি মামলা করে পুলিশ।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর,
খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম
কে আনোয়ার, মির্জা আব্বাস, আ স ম
হান্নান শাহ, সাদেক হোসেন খোকা,
এলডিপি প্রধান অলি আহমদসহ ১৮
দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের এ দুই
মামলায় আসামি করা হয়। এর
আগে ফখরুলসহ বিএনপির সিনিয়র
নেতারা আগাম জামিনের আবেদন
করলে হাইকোর্টের একটি দ্বৈতবেঞ্চ
বিভক্ত আদেশ দেয়। এরপর
বিষয়টি তৃতীয় বেঞ্চে গেলে গত ১৩
মে বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল
হকের একক বেঞ্চ ১৬ মে’র মধ্যে এ
মামলার আসামিদের নিম্ন
আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
দেন। ওই নির্দেশ
অনুযায়ী তারা গতকাল নিম্ন
আদালতে হাজির হন।
পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থার
কারণে আদালতে প্রবেশ করাকে কেন্দ্র
করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী প্যানেলের
সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের
ধস্তাধস্তিহয়। সকাল থেকেই আদালত
প্রাঙ্গণে নেয়া হয় কঠোর
নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিপুলসংখ্যক
পুলিশ র্যাব মোতায়েন করা হয়। বন্ধ
করে দেয়া হয় সিএমএম আদালতের
প্রধান ফটক। পাশের ছোট ফটক
দিয়ে তল্লাশি করে লোকজনকে ঢুকতে দেয়া হয়।
এ মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত
মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম
আলমগীরসহ ১৮ দলীয় জোটের ৪৪
নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। ১০
মে মামলার তদন্ত
কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক
নুরুল আমিন ঢাকার মুখ্য মহানগর
হাকিম আদালতে জোটের ৪৫
নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল
করেন।

কোন মন্তব্য নেই :