যৌন আগ্রহ

কোন মন্তব্য নেই
যৌনমিলনের আগে নারী এবং পুরুষের
পূর্ণাঙ্গ মাত্রায় যৌনতার
ব্যাপারে ধারনা জন্মাতে হয়। এর
ব্যাত্যয় ঘটলে চরমপুলক লাভ সম্ভব
হয় না। কাজেই পূর্ণ মাত্রায় যৌন
আনন্দ পেতে চাইলে যৌনতার
ব্যাপারে আগ্রহ এবং যৌনতার
ইচ্ছা থাকতে হবে। মস্তিষ্ক সর্ব
প্রথম যৌনতার
ব্যাপারে উদ্দীপনা জাগায়।
এটি পরবর্তীতে সারা শরীরে চলে আসে
এবং এর জন্য পুরুষ কিংবা নারী যৌন
উত্তেজিত হতে থাকে। এই
পর্যায়ে আগ্রহ যৌন ইচ্ছা নারীও
পুরুষকে আরো উত্তেজিত
করে তোলে এবং চূড়ান্ত যৌনমিলন ও
চরমপুলক সম্ভব হয়।
প্রতিটি নারী এবং পুরুষের
জীবনে যৌনতার প্রয়োজন
রয়েছে এবং তা আনন্দঘন এবং সুস্থ
যৌনতা হওয়া উচিত। যৌনাতার আগ্রহ
একেক বয়সে একেক রকম হয়। তবে সব
নারী , পুরুষের ক্ষেত্রে এই
বিষয়টি প্রযোজ্য নয়। অনেকের
ব্যক্তিগত শারীরিক স্বাস্থ্য
কিংবা মানসিক সমস্যার জন্য যৌনতার
প্রতি আগ্রহ থাকে না, থাকলেও
তা কমে যেতে শুরু করে। শারীরিক
নানা সমস্যা বিশেষ করে দীর্ঘ
শারীরিক অসুখ বিসুক নারী এবং পুরুষের
যৌনতাকে তিগ্রস্ত করতে পারে।
তেমনি মানসিক নানা চাপ
এবং মনোদৈহিক
কোনো অসুবিধা বা কোনো রোগ
থাকলে ও তা নারী পুরুষের যৌন
জীবনের উপর প্রভাব ফেলে। মোট
কথার যৌনতার ব্যাপারে আগ্রহ
এবং শারীরিক ও মানসিক সামর্থ্য
সুখী যৌন জীবনের জন্য একান্ত
প্রয়োজন। যৌন আগ্রহ
ব্যাপারে আরেকটি বিষয় হলো মধ্য
বয়সে নারী , পুরুষের যৌনাঙ্গ
সবচেয়ে তীব্র থাকে। এটি হলো ত্রিশ
থেকে পঁয়ত্রিশ বা চল্লিশ বছর
বয়সসীমা। মনোপজের
পরবর্তী সময়ে নারীর যৌনতার
ব্যাপারে আগ্রহ একেবারে কমে যায় ।
কিন্তু এও দেখা যায় যে মনোপজ
পরবর্তী সময়ে ও বহু নারীর যৌন
ইচ্ছা বা আগ্রহ পূর্বের মতোই
থাকে এবং বহু নারীর যৌন
ইচ্ছা বা আগ্রহ যথা পূর্বের
থাকে এবং তারা যৌনমিলনের আনন্দ
পায়। যৌনতার আগ্রহ অনেক
ক্ষেত্রে তিগ্রস্ত হয় যদি নারী-
পুরুষের যৌনতা সংক্রান্ত কোনো ভুল
ধারণা থাকে। নারী, পুরুষের জানার
ক্ষেত্রে বা যৌনশিক্ষার
ক্ষেত্রে অজ্ঞতা যৌন
ইচ্ছাকে তিগ্রস্ত করতে পারে। জীব
বিজ্ঞানভিত্তিক
ব্যাখ্যা মতে নারী এবং পুরুষের যৌন
ইচ্ছা এবং আগ্রহ সমার্থক ।
সবগুলো ইন্দ্রিয়ের ব্যবহার হলেই
কেবল যৌন
উত্তেজনা বেড়ে যেতে পারে।
প্রথমে চিন্তা করা, তারপরে আগ্রহ
পরে দেখা শোনা গন্ধ
নেয়া এবং স্পর্শের দ্বারা উত্তেজিত
হয়ে উঠাই হচ্ছে প্রকৃতপ েযৌন
উত্তেজনার ধারা। যৌন উত্তেজনার
পর্যায়ে পুরুষের এবং নারীর উত্তেজিত
হবার বিষয়ে কিছু পার্থক্য থাকে।
নারী সহজেই উত্তেজিত হয়
না এবং উত্তেজিত হলে তা দীর্ঘণ
নারীকে উদ্দীপনা যোগায়। পুরুষ
উত্তেজিত হয় তাড়াতাড়ি এবং তার
উত্তেনাও তাড়াতাড়ি কমে যায়।
আবার পুরুষ যৌন উত্তেজক ছবি ,
মুভি বা অন্যান্য নগ্ন নারীর
ছবি দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়তে পারে।
কিন্তু স্বাভাবিক ভাবেই নারী যৌন
উত্তেজক ছবি দেখে খুব সহজেই যৌন
কাতর হয়ে উঠে না। ১৯৬৬
সালে মাস্টার এবং জনসন নামক দুজন
যৌন বিজ্ঞানী এবং গবেষক নারীর
যৌন উত্তেজনার ব্যাপারে দীর্ঘ
গবেষনা করেন। তাদের মতে নারীর
যৌন ইন্দ্রিয়ের
সাড়া আসে ধীরে ধীরে এবং তা নারী পুরো
শরীরে বিস্তার করে।
সূত্রঃ প্রফেসর ডাঃ মোহাম্মদ ফিরোজ

কোন মন্তব্য নেই :