পূন্যভূমী ভারত মাতার আসল চেহারা দেখুন।

কোন মন্তব্য নেই
বিশ্বাস করুন বর্তমান পৃথিবীতে যুদ্ধ,
ক্ষুধা, মহামারী, প্রাকৃতিক দুর্যোগে যত
লোক মারা যায়, তার চেয়ে অনেক
বেশি মেয়েশিশুকে হত্যা করা হয়
ভারতে । পুরা লেখাটা পড়ে শেয়ার
করে জানিয়ে দিন সাম্রদায়ীকতার
পূন্যভূমী ভারতমাতার আসল চেহারাঃ
মহিলার নাম অনুরাধা। থাকেন ভারতের
একটি দারিদ্র্যপীড়িত অঞ্চলে। ছিলেন
ছয় মাসের গর্ভবতী। অনাগত
সন্তানটি ছেলে না মেয়ে, তা জানার জন্য
উদগ্রীব তার পরিবার।
মহিলাকে নিয়ে যাওয়া হলো মেডিকেল
টেস্টের জন্য। জানা গেল, তার গর্ভের
সন্তানটি মেয়েশিশু।
এরপরই অনুরাধার (ছদ্মনাম) ওপর
নেমে এলো নারকীয় এবং পৈশাচিক
নির্যাতন। লোহার রড দিয়ে মহিলার
পেটের ওপর নির্দয়ভাবে পেটালো তার
স্বামী। এ
কাজে স্বামীকে সহযোগিতা করল মহিলার
শ্বশুর। নির্দয় প্রহারে গর্ভেই
মারা গেল শিশুটি। গত সপ্তাহেই এ
ঘটনাটি ঘটে ভারতে। গর্ভপাতের
মাধ্যমে এর আগেও হতভাগা ওই মহিলার
দুটি মেয়েশিশুকে (ভ্রূণ)
হত্যা করা হয়েছে। এশিয়ার সুপার
পাওয়ার হওয়ার স্বপ্নে বিভোর
ভারতে মেয়েশিশুদের প্রতি এই ভয়াবহ
নির্মমতার খবর গত
সপ্তাহে বিশ্বমিডিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ
স্থান দখল করে নেয়। অনুরাধার ওপর
পৈশাচিকতা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়;
ভারতে প্রতিনিয়ত ঘটে চলা লাখ লাখ
ঘটনার একটিমাত্র। ভারত
ভূখণ্ডে প্রতিদিনই ঘটছে এ ধরনের
হাজারো বর্বর ঘটনা।
ভারতে মেয়েশিশুকে বিবেচনা করা হয়
‘অবাঞ্ছিত বালিকা’ (আনওয়ান্টেড
গার্ল) হিসেবে। যদি গর্ভাবস্থায়
নিশ্চিত হওয়া যায় যে, অনাগত
শিশুটি মেয়ে, তবে পৃথিবীর
সবচেয়ে নিরাপদ স্থান মায়ের গর্ভেই
তাকে হত্যা করা হয়। বিভিন্ন
বেসরকারি সংস্থার
গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যায়,
গত এক দশকেই ভারতে অন্তত ৮০
লাখ মেয়েশিশুর ভ্রূণ (গর্ভের শিশু)
হত্যা করা হয়েছে। ১৯৪৭ সালে ভারত
স্বাধীন হওয়ার পর অন্তত ৫
কোটি মেয়েশিশুর ভ্রূণ
হত্যা করা হয়েছে। গবেষকরা বলছেন,
বর্তমান পৃথিবীতে যুদ্ধ, ক্ষুধা,
মহামারী, প্রাকৃতিক দুর্যোগে যত লোক
মারা যায়, তার চেয়ে অনেক
বেশি মেয়েশিশুকে হত্যা করা হয় ভারতে।
একে ‘সাইলেন্ট জেনোসাইড’ বা নীরব
গণহত্যা বলে মন্তব্য করছেন তারা।
কোনো মেয়েশিশু যদি সৌভাগ্যবশত
পৃথিবীর আলো দেখার সুযোগ পায়, তার
জন্য অপেক্ষা করে আরও নির্মমতা।
অনেক সময় এসব
মেয়েশিশুকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
যদি কোনো সহৃদয় বাবা-মা একান্তই
তাকে হত্যা করতে না চায়, তবে তার
স্থান হয় রাস্তা কিংবা ডাস্টবিনের
পাশে। গত
সপ্তাহে ভারতে এভাবে কয়েকটি শিশুকে পরিত্যাগ
করে তাদের বাবা-মা। এরকম
একটি শিশুকে ফেলে রাখা হয়
বাসস্ট্যান্ডের কাছে। গত বৃহস্পতিবার
ভারতীয় টিভি চ্যানেল এনডিটিভির
প্রতিবেদনে দেখানো হয় এ ধরনের
একটি মর্মস্পর্শী প্রতিবেদন।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই নির্মমতার
কাহিনী প্রচার করে বলা হয়েছে, এভাবেই
মেয়েশিশুর জন্য ভারত পৃথিবীর
সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রাষ্ট্রে পরিণত
হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,
ভারতে এক বছর থেকে পাঁচ বছর
বয়সী মেয়েশিশুদের বেঁচে থাকার
সম্ভাবনা ছেলেশিশুদের চেয়ে অন্তত
৭০ শতাংশ কম।
PLZ
সবারই পোস্ট তা শেয়ার করুন ! !

কোন মন্তব্য নেই :