যৌন অপরাধ

কোন মন্তব্য নেই
যৌন অপরাধ হলো মানসিক কারণে সৃষ্ট
নানা সমস্যার একটি । এটি মূলত
মানসিক আবেগের কারণে সংঘটিত
করতে পারে। শিশু থেকে বৃদ্ধ যে কেউ
নানা যৌন অপরাধ সংঘটিত
করতে পারে। যৌন সংসর্গ স্থাপনের
অবৈধ চেষ্টার জন্যও যৌন
নানা অপরাধ ঘটে থাকে। সাধারণত
নানা আইনের নানা ব্যবস্থা বিভিন্ন
যৌন অপরাধের জন্য গৃহীত হয়ে থাকে।
১৯৭৮ সালে আমেরিকার গৃহীত
একটি সমীক্ষায় দেখা যায় যে,
শতকরা ২ জন বাদী যৌন অপরাধের
জন্য অভিযুক্ত হয়ে থাকে।
যৌন অপরাধের প্রকার
ক. পতিতাবৃত্তির জন্য অপরাধ
১৬% পুরুষ অপরাধী ৩৬%
নারী অপরাধী।
খ. জোরপুর্বক ধর্ষণ ১৪% পুরুষ
গ. অন্যান্য যৌন অপরাধ ৩৩% পুরুষ
৩% নারী।
যৌন অপরাধ-২
সম্পর্কের মধ্যেও অপরাধ
দেখা যায় যে, দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক
থাকাকালীন সময়ও যৌন অপরাধ
সংঘটিত হয়। যেমন প্রেমিক
প্রেমজনিত ধর্ষণ
করে থাকে এবং বন্ধু বান্ধবের
দ্বারা প্রেমিকা ধর্ষিত হয়।
অপরাধের স্থান
বিভিন্ন যৌন অপরাধ বিভিন্ন
স্থানে শতকরা হারে ঘটে থাকে।
স্থানগুলো বিভিন্ন হতে পারে। যেমন
বাসা, বাড়ির বাইরে, গাড়ির ভেতরে,
মঞ্চে, পাবলিক টয়লেটে, স্কুলে,
অন্যান্য যে কোনো স্থানে।
পতিতাবৃত্তি
নানা কারণ এর
পেছনে থাকতে পারে তবে প্রধান
যে কারণটি বিবেচ্য হয় তা হলো অর্থ
উপার্জন। পতিতাবৃত্তির
বিরুদ্ধে আইন আছে এবং সমাজবাদীদের
মতে এটি একটি জঘন্য পেশা । অনেক
দেশেই অবশ্য
পতিতালয়কে স্বীকৃতি দেয়া হয় তাও
আইনের মাধ্যমে । অবশ্য আমাদের
মতো ইসলামিক
দেশগুলোতে পতিতাবৃত্তি কড়াকড়িবাবে
নিষিদ্ধ।
সমকাম ঘটিত অপরাধ
সমকামিতাও এক ধরনের অনৈতিক
যৌনকর্ম । অনেকে মনে করেন
এটি জঘন্য এবং ঘৃন্যতম যৌন
অপরাধ। তবে সমকামিতায় যারা লিপ্ত
তারাও এটিকে স্বাধীন এবং তাদের
মনের ইচ্ছার প্রতিফলন মনে করে।
অনেক ক্ষেত্রেই জনগনের
আড্ডাস্থান বা কোনো অনুষ্ঠান
থেকে সমকামিদের গ্রেফতার পর্যন্ত
করা হয়ে থাকে। অনেক সময়
সমকামিতা ধর্ষণের মতো অবস্থার
সৃষ্টি করে। যেমন কোনো নাবালক
বা ছোট বালক বৃদ্ধ পুরুষের
সমকামিতার শিকার হয়। অনেক সময়
সমকামিতায় লিপ্ত
হয়ে অনেকে ডাক্তারি,
চুরি বা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটাতে পারে।
সমকামী অপরাধ
কালো পুরুষ এবং শ্বেতাঙ্গদের এক
সমীক্ষায় সমকামিতার অপরাধের
শতকরা হার প্রকাশিত হয়।
১. শ্বেতাঙ্গ পুরুষ ১৫% অপরাধী
২. কালো পুরুষ ১৭% অপরাধী
৩. শ্বেতাঙ্গ নারী ১% অপরাধী
৪. কালো নারী ০% অপরাধী।
ধর্ষণ-১
জোরপূর্বক যৌনমিল কোনো নারীর
মতের বিরুদ্ধে হলেই তাকে ধর্ষণ
বলা হয়। সাধারণত মামলায়
এটিকে চোরপূর্বক ধর্ষণ ইল্লেখ
করা হয়। গত বিশ বছর ধরে শুধু
আমেরিকাতেই ধর্ষণের
মাত্রা বেড়ে গিয়েছে। কোনো সময়
দেখা যায় যে, ধর্ষণকারী ধর্ষীতার
কোনো না কোনোভাবে পরিচিত।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ধর্ষণ দিনের
বেলায় ধর্ষীতার বাড়িতেই হয়ে থাকে।
অনেক সময় ঝোপের
আড়ালে ক্ষেতে বন্ধুর
বাড়িতে কিংবা অজানা কোনো স্থানে হতে
পারে। তবে বর্তমানে আইন ধর্ষণের
ব্যাপারে খুবই কঠিন।
ধর্ষণকারী সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড
পর্যন্ত হতে পারে। আমাদের
দেশে ধর্ষণের শতকরা হার
উদ্বেগজনক। প্রতিদিনই কিছু না কিছু
ধর্ষণের ঘটনা আমাদেরকে আশ্চর্য
করে দেয়।
ধর্ষণ-২
শতকরা রির্পোট
আমেরিকাতে শ্বেতাঙ্গরা অধিকমাত্রায়
ধর্ষণ
করে থাকে এবং তারা কালো নারীদের
বা অণ্যান্য গোত্রীয়দের ধর্ষণ করে।
যে কারণে রির্পোট হয় না
অনেক সময় পুলিশের কাছে ধর্ষনের
প্রকৃত রিপোর্ট দেয়া হয় না ।
নানা কারণেই এটি হয়ে থাকে।
ক. ব্যক্তিগত ব্যাপার বিধায়
খ. কে জরিত তা না জানা থাকলে
গ. পুনর্বার ধর্ষণের ভয়ে
ঘ. সাক্ষী বা আলামত না থাকার জন্য
ঙ. পুলিশকে ডেকে ঝামেলা না বাড়ানোর
জণ্য।
ধর্ষক এবং ধর্ষিতার বয়স
ধর্ষিতাদের শতকরা ২৮ জন ১৮
বছরের নিচে এবং ৩৩ শতাংশ ১৫
থেকে ২৪ বছর
বয়সী এবং ধর্ষণকারীদের বয়স ৬৬
শতাংশ ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২৫ বছর
এবং মাত্র ২৪ শতাংশের
ক্ষেত্রে ২৫ থেকে ৩৪ বছর
হয়ে থাকে।
শিশুদের সাথে অপরাধ
বিভিন্ন যৌন অপরাধীদের ওপর
পরীক্ষা করে দেখা গেছে সে,
শিশুরা যৌন অপরাধের শিকার হয় খুব
কম ক্ষেত্রেই ।
নানা সময়ে নানা বয়সী শিশু ধর্ষণ
বা এরকম নানা যৌন অপরাধের শিকার
হয়ে থাকে। মনোবিজ্ঞানীরা মত দেন
যে শিশুরা একবার যৌন
যে কোনো অপরাধে ব্যবহৃত হলে তাদের
আত্মবিশ্বাস ভেঙ্গে যায়
এবং তারা উন্মাসিক উদাসীন
হয়ে যেতে পারে। মনের কারিশমা আর
শারীরিক পাশবিকতাকে নির্লিপ্ত
করার উপায় হিসেবে শিশুদের
সাথে অনেক যৌন সংসর্গ স্থাপন
করে এতে করে শিশুর মানসিক বিকাশ
রহিত হয়। দেখা যায় যে, শিশু অপরাধের
সাথে জড়িত ব্যক্তিরা নানা সময়েই
ছাড়া পেয়ে যায়। কেননা চূড়ান্ত
কোনো প্রমান শিশুটির
পক্ষে থাকে না । আমেরিকাতে শিশুর
সাথে যৌন অপরাধের জন্য মৃত্যুদন্ড
পর্যন্ত শাস্তির ব্যবস্থা আছে।
আমাদের দেশেও ইদানীংকাল নারী ও
শিশু নির্যাতন আইন
ব্যাপকভাবে পরিচালিত হচ্ছে এর
ফলে নৈতিক অবক্ষয়ের
কিছুটা উন্নতি আশা করা যেতে পারে।
শিশুদের সাথে যৌন অপরাধ ( যাদের
বয়স ১৫ এর নিচে)
১. যৌনমিলনের জন্য আহবান
করা কোনো ভয় বা জোর না । এর
শতকরা হার ৪৬%
২. সমকামী আচরণ ছোট বালকদের
সাথে এর শতকরা হার ৩১%
৩. আপন বা সৎ কন্যার সাথে যৌন
সম্পর্ক স্থাপন এর শতকরা হার
১৪%
৪. জোর বা ভীতি দেখিয়ে যৌন সম্পর্ক
স্থাপন এর শতকরা হার ৬%
আপন কন্যা বা পুত্রের সাথে যৌন
সম্পর্ক
ক. বাবা-মেয়ে ৪৪%ক্ষেত্রে এই
সম্পক দেখা যায়।
খ. সৎ-বাবা-মেয়ে ৪১% ক্ষেত্রে এই
সম্পক দেখা যায়।
গ. দাদ-নাতনী ৫% ক্ষেত্রে এই
সম্পক দেখা যায়।
ঘ. মা- ছেলে ৪%ক্ষেত্রে এই সম্পক
দেখা যায়।
ঙ. মা- মেয়ে ১%ক্ষেত্রে এই সম্পক
দেখা যায়।
অন্যান্য যৌন অপরাধ
অন্যান্য যৌন অপরাধের
মধ্যে পাবলিক নুইসেন্স ক্ষুন্ন হয়
এমন অপরাধ বিদ্যমান। এসব
অপরাধীদের জোরপূর্বক
কোনো চাওয়ার থাকে না । কিন্ত
তারা যৌন সমর্থক চায়। অধিকাংশ
সময়ই এক্সিবিশন যা দেখানোর
প্রক্রিয়া হলো সবচেয়ে মুখ্য।
সাধারণত টেলিফোনে আড়ি পাতা,
কাউকে সঙ্গনরত অবস্থায়
দেখা বা কাপড় পাল্টানোর অবস্থায়
দেখা যা স্বাভাবিকভাবেই অন্যজনের
ব্যক্তিগত ব্যাপারে সমস্যার
সৃষ্টি করে । কেননা এই সব
অপরাধীরা অন্যদের যৌননিপীড়নের
মাধ্যম হিসেবে বিভিন্ন মাধ্যম
খুজে নেয়। বিভিন্ন আচার আচরণের
মধ্যে যৌন অপরাধ ব্যাপৃত হতে পারে।
যেমন ন্যাকরোফিলিয়া বা মৃত মানুষের
সাথে যৌনসম্পর্ক, বেন্টিয়ালিটি-
জীবজন্তুর সাথে যৌন সম্পর্ক
এবং অনেক সময় পিতা বা মাতা তার
নিজ পুত্র বা কন্যাদের সাথে যৌন
সম্পর্ক স্থাপন করে। অনেক সময়
আবার পারিবারিক এই যৌন সম্পর্কের
ফলাফল
হিসেবে পরবর্তী জীবনে ছেলে বা মেয়ের
অন্যত্র বিয়ে হয় না ।
যৌন অপরাধ
তিন ধরনের যৌন অপরাধের ওপর
সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে যে, এদের
মধ্যে দেখানো ক্রিয়ার হার
সবচেয়ে বেশি।
ক. দেখানো ক্রিয়া ১৩%
খ. নগ্ন দৃশ্য দেখা ৪%
গ. নগ্ন কতাবার্তা শোনা ২%
প্রদর্শনগত অপরাধ
১. বয়প্রাপ্ত নারীকে যৌন লিঙ্গ
প্রদর্শন এর শতকরা হার ৪০%
২. ছোট মেয়েদেরকে যৌন লিঙ্গ
প্রদর্শন এর শতকরা হার ২৮%
৩. জনসমক্ষে হস্তমৈথুন এর
শতকরা হার ২২%
৪. নগ্নতার প্রচার এর শতকরা হার
৯%
‘জোরপূর্বক যৌনমিলন কোনো নারীর
মতের বিরুদ্ধে হলেই তাকে ধর্ষণ
বলা হয়। সাধারণত মামলায় তখন
এটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ উল্লেখ
করা হয়।’
(ডাটাগুলো প্রাশ্চাত্যের
গবেষণা থেকে বের হয়েছে)
Source: blogspot.com

কোন মন্তব্য নেই :