একজন মুসলিম মেয়ের জন্য উপদেশ যে তার পরিবারের চাপের কারণে ইসলাম পালন করতে পারে না

কোন মন্তব্য নেই
প্রশ্নঃ
আমার বয়স ১৬ বছর। আমার
পরিবারের কেউই ইসলামের
বিধিবিধানগুলো পালন করে না। আমিই
পরিবারের একমাত্র সদস্য যে আমার
সাধ্যমত সর্বোত্তম চেষ্টা করি
সালাত পড়ার এবং ইসলাম
মেনে চলার।
আমার পরিবার আমার সালাত
পড়া এবং ইসলাম পালনের ঘোর
বিরোধী। আমার মা চান
না আমি ফজর এবং এশার সালাত
পড়ি কারন ফজরের সময় অনেক
সকালে উঠতে হয় আর এশার সালাত
রাতে দেরীতে পড়তে হয়। কিন্তু
আমি যেভাবেই হোক সালাত আদায়ের
চেষ্টা করি, যতটা সম্ভব
লুকিয়ে লুকিয়ে। আর
যখনি মা জিজ্ঞেস করেন
যে আমি ফজর আর
এশা পড়েছি কিনা আমি সবসময়
মিথ্যা কথা বলি। আচ্ছা, এই
পরিস্থিতিতে কি মিথ্যা বলা জায়েজ?
আমি একটা পিৎজার
রেস্ট্রুরেন্টে পিৎজা বিক্রির কাজ
করতাম,আমি সেটাও
ছেড়ে দিয়েছি,আমার মা এখনো এই
ব্যপারে জানেন
না,আমি উনাকে মিথ্যা বলার
সিদ্ধান্ত নেই,আর বলেছি যে আমার
চাকরিটা চলে গেছে। আমার জন্য
কি এই অবস্থায় মিথ্যা বলার
অনুমতি আছে?
আমি আরেকটি ব্যপারে জানতে চাইঃ আগামী মাসে আমরা সপরিবারে অন্য
একটি দেশে যাচ্ছি, আর আমি জোহর
এবং আসরের সালাত পড়তে পারবনা,
আমাকে ভ্রমণের সময় কিছুতেই
সালাত পড়তে দেয়া হবে না।আর আমার ভয় হচ্ছে যখন
আমরা পৌঁছাব
তখনো আমাকে এশা আর ফজরের
সালাত পড়তে দেয়া হবে না…
আমি জানিনা আমি কি করব,
আমি যতদূর জানি যে (ভ্রমণের
সময়) দুই সালাত
নাকি একসাথে পড়া যায়,কিন্তু
কিভাবে পড়তে হয় আমি তা জানিনা।
আচ্ছা, জোহরের নামাজের
সাথে কি আসরের সালাত পড়া যায়?
অর্থাৎ, আমি জোহরের সালাত
জোহরের ওয়াক্তে পড়েই আসরের
সালাতটা পড়ে ফেললাম,
এভাবে পড়তে হবে নাই অন্য
কোনভাবে?
আর আমার যদি একাধিক সালাত
ছুটে যায়
তবে কোনটা আগে কাযা করতে হবে?
আর আমাকে হিজাবও করতে দেয়া হয়
না। কিন্তু আমি যথাসম্ভব
শালীনভাবে পোষাক পরার
চেষ্টা করি।
এখন গ্রীষ্মকাল, আমার মা চান যেন
আমি টি-শার্ট আর শর্টস পড়ি।
কিন্তু আমি শর্টস পরতে সাফ সাফ
না করে দিয়েছি, কিন্তু
কখনো কখনো আমি টি-শার্ট
পরে বাইরে যাই, আমার মা আমার
স্কিনের ব্যপারে অনেক অভিযোগ
করেন, কারন আমার চেহারা মলিন,
উনার ধারণা রোদ আমাদের
স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।
কিন্তু আমি ঘৃণা করি আল্লাহর
আদেশ অমান্য করা, আমি টি-শার্ট
পরি,কিন্তু আমি খুবই মন খারাপ
লাগে যখন মা এসব ব্যপারে আমার
সাথে চিৎকার চেঁচামেচি করেন আর
বলেন যে উনি আমার জন্য চিন্তিত
ইত্যাদি ইত্যাদি।
আমার আসলেই খুব মন খারাপ হয়
কারন আমি আমার
মাকে হাসি খুশি দেখতে চাই আর একই
সাথে গুনাহও করতে চাইনা।
উত্তরঃ
সকল প্রশংসা আল্লাহর।
প্রথমতঃ আমরা এই
প্রশ্নটি পেয়ে অত্যন্ত
খুশি হয়েছি এবং সকল
প্রশংসা আল্লাহ সুবহানাহু
ওয়া তা’আলার জন্য যিনি আপনার
মনে আল্লাহর দ্বীনের
ব্যপারে আগ্রহ সৃষ্টি করে দিয়েছেন,
আপনাকে সামর্থ্য দিয়েছেন তাঁর
আদেশ নিষেধ পালন করার
এবং আপনি এই কারণে যেই
ক্ষতিগুলির সম্মুখীন হচ্ছেন সেই
ব্যপারে আপনাকে ধৈর্য্য ধারণ
করার। আল্লাহ সুবহানাহু
ওয়া তা’আলা তাঁর বান্দাদেরকে তাঁর
আদেশ নিষেধ পালনের
ব্যপারে ধৈর্য্যধারণ
এবং অবিচলতার আদেশ দিয়েছেন,
পরিস্থিতি যত খারাপই হোক না কেন।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা
বলেছেন (আয়াতের তর্জমা)—“হে ঈমানদানগণ! ধৈর্য্য ধারণ কর
এবং মোকাবেলায় দৃঢ়তা অবলম্বন
কর। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক
যাতে তোমরা তোমাদের উদ্দেশ্য
লাভে সমর্থ হতে পার”।
[সূরা আলে-ইমরান]
“যারা আমার পথে সাধনায়
আত্মনিয়োগ করে , আমি অবশ্যই
তাদেরকে আমার পথে পরিচালিত
করব। নিশ্চয় আল্লাহ
সৎকর্মপরায়ণদের সাথে আছেন”।
[সূরা আনকাবূত]
আপনার বুঝতে হবে যে,
আপনি আল্লাহর আদেশ নিষেধ পালন,
ইবাদত করা, হিজাব পরা ইত্যাদির
পালনের ক্ষেত্রে যেসব সমস্যার
সম্মুখীন হচ্ছেন সে সব কিছুই
শুধুমাত্র আল্লাহরই কারণে। আর
আপনি এসব সমস্যার
সাথে যেভাবে মানিয়ে চলছেন
এটা আল্লাহর তার
বান্দাকে দেয়া সর্বোত্তম ধৈর্য্য;
আল্লাহকে মান্য করার জন্য ধৈর্য্য
এবং আল্লাহর দ্বীন এবং এর
প্রতি অবিচল থাকতে যেসব ক্ষতির
সম্মুখীন হতে হয় তার
প্রতি ধৈর্য্যধারণ করা। আল্লাহ
সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আমাদের
বলেছেন যে, তাঁর প্রেরিত
নবী রাসূলগনও তাদের
জনগণকে বলেছিলেন যে তারা তাদের
ধর্মের উপর অবিচল থাকবেন, তাদের
উপর লোকজনের পক্ষ থেকে যে কোন
ধরণের বিপদ আপদ আসুক না কেনঃ
“আমাদের আল্লাহর উপর
ভরসা না করার কি কারণ
থাকতে পারে, অথচ
তিনি আমাদেরকে আমাদের পথ
বলে দিয়েছেন।
তোমরা আমাদেরকে যে পীড়ন করেছ,
তজ্জন্যে আমরা সবর করব।
ভরসাকারিগণের আল্লাহর উপরই
ভরসা করা উচিত”।
[সূরা ইব্রাহীমঃ ১২/১৪]
হাদীসে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
বলেছেনঃ
“তোমাদের পরে আসবে ধৈর্য্যের দিন
যখন ধৈর্য্য ধারণ করা এমন
হবে যেন হাতের মুঠোয় জ্বলন্ত
কয়লা ধরা আছে,আর যে নেক কাজ
করবে সে তার মত ৫০ জনের ভাল
কাজের সওয়াব পাবে।” একজন
বললেনঃ সে বললঃ হে রাসূলুল্লাহ,
তাদের মধ্য থেকে ৫০ জনের?
তিনি বললেনঃ “তোমাদের মধ্য
থেকে ৫০ জনের।” [বর্ণনায়
আবু দাউদ, ৪৩৪৩]এই জীবন্ত উদাহরণের
কথা চিন্তা করুন যারা পূর্বে গত
হয়েছেন, তাদের একনিষ্ঠ ইচ্ছা তাদের
রব্বের আনুগত্য করার-যিনি বিশ্ব
জাহানের প্রতিপালক, আর
কিভাবে তারা হাজারো বাধা বিপত্তি কষ্ট
আর ভয়ানক পরিস্থিতির
মুকাবিলা করেছেন এই দ্বীনের উপর
অটল থাকার জন্য।
খাব্বাব ইবন আল-আরাত
হতে বর্ণিতঃ
‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন কা’বার
ছায়ায় বালিশে হেলান দিয়েছিলেন।
আমরা তাঁর কাছে অভিযোগ করলাম,
কেন আপনি আল্লাহর কাছে আমাদের
জন্য সাহায্য চাইছেন না, আমাদের
জন্য তাঁর কাছে দু’আ করছেন না।
তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,
তোমাদের পূর্ববর্তীদের মধ্যে (এমন
বিপদও এসেছে যে) কাউকে ধরা হতো।
তারপর গর্ত খনন করে তাকে সেই
গর্তে ফেলা হতো। এরপর করাত
এনে তার মাথার ওপর রাখা হতো।
অতপর তাকে দুই টুকরো করে লোহার
চিরুনী দিয়ে তার শিরা-অস্থিসহ
আচড়ানো হতো।
তদুপরি তারা তাকে দীন
থেকে ফেরাতে পারতো না। আল্লাহর
শপথ! (এখন আমাদের পরীক্ষা চলছে)
আল্লাহ এ দীনকে পূর্ণতা দেবেন।
একদিন এমন আসবে যখন
আরোহীরা সানআ থেকে হাযারামাউত
পর্যন্ত যাবে। চিতা আর ছাগল
নিরাপদে থাকবে। এক আল্লাহ
ছাড়া কাউকে ভয় করতে হবে না।
কিন্তু তোমরা তাড়াহুড়া করছো।’
[বুখারী : ৩৬১২।
আপনার মায়ের ব্যপারটা খুবই
আশ্চর্যজনক এবং দুঃখজনকও বটে।
যেখানে একজন মা তার ধর্মের
প্রতি অটল থাকেন আর তিনিই হন
তার কন্যার দ্বীনি শিক্ষার জন্য
আদর্শ শিক্ষক সেখানে আপনার
মা এমনটি করছেন যেমন
আপনি বর্ণনা করেছেন।
ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
আমরা দু’আ করি আল্লাহ যেন
তাকে সঠিক পথ দেখান এবং তার
অন্তর খুলে দেন, এবং আপনার মায়ের
দ্বারা সংঘটিত বিপদ
থেকে আপনাকে রক্ষা করুন।
আর অবশ্যি আপনি সাবধান থাকবেন
যেন আপনার মা এবং তার
কঠোরতা যেন আপনাকে আল্লাহর
দ্বীন পালনে বিরত
না রাখতে পারে অথবা তাঁর
(আল্লাহর) পথ
থেকে আপনাকে বিচ্যুত
না করতে পারে। আপনার
প্রতিপালকের প্রতি আপনার
আনূগত্যের কারণে আপনার মায়ের
রাগান্বিত হওয়া অতি তুচ্ছ
বিষয়,কারণ আল্লাহর
প্রতি আনুগত্য অন্য যে কারও
প্রতি আনুগত্যের চেয়ে অগ্রগণ্য।রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“গুনাহের ক্ষেত্রে কোন আনুগত্য
নেই; বরং আনুগত্য আছে শুধুমাত্র
সঠিক এবং সঙ্গত
বিষয়গুলোতে।” [বর্ণনায় বুখারী,
৭২৫৭;মুসলিম ,১৮৪০]
এবং তিনি (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
“কোন সৃষ্টির আনুগত্য
করা যাবে না যদি তা আল্লাহ
সুবহানাহু ওয়া তা’আলার
প্রতি অবাধ্যতার সাথে সম্পর্কিত
হয়।” [বর্ণনায় আহমদ,১০৯৮]
দ্বিতীয়তঃ আপনার যদি আপনার
মাকে মিথ্যা বলা ছাড়া আর কোন
উপায় না থাকে সালাত পড়তে,
আল্লাহর দেয়া বিধি বিধান পালন
করতে এবং নিষিদ্ধ
বিষয়গুলো থেকে দূরে থাকতে তাহলে আপনার
কোন দোষ হবে না ইনশা আল্লাহ্।
তবে আপনার কথা বার্তায় একটু
কৌশলী হওয়া ভাল। যেমন ধরুন
আপনার মায়ের খারাপ আচরণ
থেকে বাঁচতে আপনি তার পছন্দসই
কথাবার্তা বলতে পারেন
যাতে মিথ্যা বলাও হবে না আবার
আপনার মা আপনার উদ্দেশ্য
সম্পর্কেও জানতে পারবেনা। ধরুন
আপনার মা আপনাকে জিজ্ঞেস
করলেন, “সালাত পড়েছ?”
আপনি উত্তর দিলেন, “না।” কিন্তু
এই ‘না’
দিয়ে আপনি আসলে বুঝিয়েছেন
যে আপনি তারাবীহ
অথবা তাহাজ্জুদের সালাতপড়েন নি,
অথবা আপনি ফরয গুলো ছাড়া নফল
বা সুন্নত সালাতগুলো পড়েন
নি ইত্যাদি।
আর হিজাবের ব্যপারে
আপনি আপনার মা-কে বোঝানোর
চেষ্টা করুন যে, এটা আল্লাহর আদেশ
এবং একই সাথে আপনার নিজস্ব
পছন্দ, আপনার ইচ্ছা, এবং একই
সাথে সাধ্যমত চেষ্টা করুন তার
খারাপ আচরণ এবং কর্ম
থেকে বেঁচে থাকার যতটুকু
আপনি পারেন। আল্লাহর
কাছে সাহাযা প্রার্থণা করুন যেন
তাকে হেদায়েত দান করেন
এবং আপনাকে তার খারাপ আচরণ
থেকে রক্ষা করেন।
তৃতীয়তঃ আর আপনি যখন ভ্রমণ
করছেন তখন ইচ্ছা করলে চার রাকাত
সালাতগুলো ২ রাকাত
করে পড়তে পারেন(আসর,জোহর,এশা)
। শরিয়তে এর অনুমতি আছে। আর
এটা আপনাকে আপনার মায়ের
সাথে থাকা অবস্থায় সালাত
পড়তে সাহায্য করবে কারন ৪
রাকাতের চেয়ে ২ রাকাত সালাত
পড়ায় সময় কম লাগে।আরেকটি সুবিধা হল যে, একজন
ভ্রমণকারী ইচ্ছা করলে জোহর ও
আসর সালাত ২ রাকাত
করে পৃথকভাবে হয় জোহরের সময়
নতুবা আসরের সালাতের সময়
পড়ে নিতে পারে। কোন
ভ্রমণকারী যদি জোহরের সময় সালাত
না পড়ে তবে আসরের সময় পর্যন্ত
অপেক্ষা করে জোহর ও আসর
একসাথে পড়ে নিয়ে পারে।
অথবা জোহরের সময় জোহর ও আসর
একসাথে পরতে পারে।
এক্ষেত্রে প্রথমে জোহরের ২ রাকাত
সালাত পড়ে নিতে হবে এর পর
আসরের ওয়াক্তের আগেই জোহরের
নামাজের পর পরই ২ রাকাত আসর
সালাত পড়ে নেয়া যায়।
অনুরূপভাবে মাগরিব এবং এশার
সালাতও একসাথে মাগরিব
অথবা এশার ওয়াক্তে পড়া যাবে।
এক্ষেত্রে মাগরিবের সালাত ৩
রাকাতই পড়তে হবে-কমানো যাবে না।
ফজরের ২ রাকাত সালাত যথা সময়েই
পড়তে হবে অর্থাৎ ভোর
বেলা ফজরের ওয়াক্তে। ফজরের
সালাত আগে-
পিছে করা যাবে না অর্থাৎ এই
নামাজের সময়ে রদবদল
করা যাবে না।
এভাবে একত্রে সালাত আদায়
আপনার জন্যে উপকারী হতে পারে,
কারণ আপনি এক্ষেত্রে সময়
বুঝে যখন আপনার
মা আপনাকে চোখে চোখে রাখছে না তখন
সালাত আদায় করতে পারেন,
অথবা তিনি অন্য কোন কাজে ব্যস্ত
থাকতে পারেন,
কিংবা আপনি তাকে মনে করাতে পারেন
যে , আপনি অন্য কোন
কাজে নিয়োজিত আছেন, যেমন ধরুন
বাথরুমে, বা এরকম কিছু, এছাড়াও
যখন আপনার যাত্রাপথে বিরতি হয়
তখন সালাত আদায় করতে পারেন,
বা আপনার মা’র থেকে দূরে কোথাও
অবস্থান করে, কিংবা আপনার
গন্তব্যস্থলে পোঁছাবার পরেও সময়
অনুসারে সালাত আদায় করতে পারেন,
এক্ষেত্রে আপনাকে সতর্ক
হতে হবে যেন সালাত আদায়ের সময়
শেষ না হয়ে যায়, ইত্যাদি।
এবিষয়ের সাথে মিল
আছে বলে আপনি এই প্রশ্নগুলোর
উত্তর পড়ে দেখতে পারেন,
82658, 105109, 38079
সবশেষে, আমরা আপনাকে সবরের
সাথে আল্লাহর আনুগত্যে অবিচল
থাকার পরামর্শ দিচ্ছি, এবং তাঁর
সন্তুষ্টির জন্য সচেষ্ট থাকুন,
সর্বদা আল্লাহকে স্মরণ করবেন,
তাঁর কিতাব কুর’আন পাঠ করবেন,
এতে আপনার মন ও চিত্ত প্রশান্ত
থাকবে আর আপনি থাকবেন
হেদায়াতের উপর। দীনের নিয়ম কানুন
সম্পর্কে জানতে আপনার সংগ্রাম
চালিয়ে যান,এবং এই কাজে লেগে থাকুন
যত বেশি সম্ভব তত, যতক্ষণ
পর্যন্ত না আল্লাহ আপনাকে এই
পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করেন ।

কোন মন্তব্য নেই :