গাঁজার মেলা

কোন মন্তব্য নেই

শুক্রবার, ১১ মে ২০১২
জিয়া শাহীন, বগুড়া থেকে: বগুড়ার
ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়ে বসেছিল
গাঁজাসেবীদের মিলনমেলা।
মহাস্থানগড়ে অবস্থিত হযরত শাহ
সুলতান বলখী মাহমুদ মাহীসওয়ার (র.)-
এর ওরসকে কেন্দ্র করে বসেছে মেলা।
এ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জেলা ও
দেশের বাইরের নেপাল, ভারত, ভুটান
থেকে লাখো ভক্ত জড়ো হয়েছেন
সেখানে।
জানা যায়, ১৭৬৩ থেকে ১৭৮৭
খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ফকির
নেতা মহাস্থানগড়কে তার
কার্যকলাপের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র
হিসেবে ব্যবহার করেন। ফকির মজনু
শাহ পরবর্তী সময়ে মহাস্থানগড়
এলাকায় তার অবস্থান সুদৃঢ় করেন
এবং ইংরেজ বিরোধী আন্দোলন
গড়ে তোলেন। প্রতি বছর বৈশাখ মাসের
শেষ
বৃহস্পতিবারে মহাস্থানগড়ে মেলা বসে।
একদিকে মেলায় লাখো মানুষের ঢল।
অন্যদিকে ওই দিন নির্ধারণ থাকে শাহ
সুলতান মাহমুদ বলখী (র.)-এর কবর
জিয়ারত। দেশী-বিদেশী সাধু সন্ন্যাসীর
আগমনও ঘটে। একসময় এই
মেলাকে বলা হতো, গাঁজার মেলা। সাধু
সন্ন্যাসী ও ভক্তদের গাঁজার ধোঁয়ায়
আচ্ছন্ন হতো এলাকা। মণকে মণ গাঁজা,
মাটি পিতলসহ নানা মডেলের হাজার
হাজার গাঁজার কলকি বিক্রি হতো।
এখন অবশ্য সে অবস্থা নেই।
মেলা উপলক্ষে জটাধারী সন্ন্যাসীদের
আগমন ঘটলেও তাদের গান-বাজনা ও
গাঁজা খাওয়া চলে অনেকটা গোপনেই।
গোপনে গাঁজা সেবন করার পরেও গাঁজার
ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে মহাস্থানগড়
এলাকার বাতাস। সরজমিন দেখা গেছে,
ভক্তরা মাজার জিয়ারত
করতে এসে কেউবা খাসি,
কেউবা মুরগি কেউবা খিচুড়ি রান্না করে
তাদের বিপদ থেকে রক্ষার জন্য গরিব
মানুষদের মাঝে বিতরণ করেছেন।
অনেকেই বছরের প্রথমে মাজার
জিয়ারত এবং মানতের জন্য খাসি,
মুরগি, টাকাসহ অন্যান্য জিনিস
মাজারে দেয়ার জন্য সিদ্ধান্ত
নিয়ে থাকে।
বগুড়া পুলিশের একটি সূত্র জানায়,
এবার শেষ বৈশাখীতে মহাস্থানগড়
এলাকায় গাঁজা সেবন তথা সম্পূর্ণ
মাদকমুক্ত পরিবেশ এবং সার্বিক
আইনশৃঙ্খলা বজায়
রাখতে সার্বক্ষণিক দুইজন
ম্যাজিস্ট্রেট, বিপুল সংখ্যক পুলিশ,
র্যাব, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার
লোকজন দায়িত্ব পালন করেন।
তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে,
মাজার এলাকায় সম্পূর্ণ গাঁজামুক্ত
পরিবেশে এবারের শেষ বৈশাখ পালিত
হচ্ছে। মহাস্থানগড় এলাকায় সরজমিন
দেখা যায়, সারা দিন ও রাতের কিছু
অংশ গোটা এলাকা ছিল উৎসবমুখর।






শেয়ার করে আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবীদের পড়ার সুযোগ দিন।
আপনি জেনেছেন....হয়তো সে জানেনা ।আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক --আমিন ।

কোন মন্তব্য নেই :