৫.২ পরনারীর লাভের উপায়

কোন মন্তব্য নেই
পরনারীর সহিত কামকেলীর বিভিন্ন উপায়
বাৎস্যায়ন বলেন, যে নারী তরুণী বা অবিবাহিতা, তাদের পেতে হলে ব্যক্তিগত চেষ্টায় এবং আত্নীয়স্বজনের চেষ্টায় পেতে পারে। কিন্তু যারা বিবাহিতা সেসব নারীকে পেতে হলে, কামদূতী বাধাত্রী কন্যা পাঠিয়ে তাকে দিয়েনানা গুণের কথা বলে, তার মন ভিজিয়ে তাকে পেতে হয়।
অবশ্য এর জন্যে প্রথম পরিচয়ের দরকার। পরিচয় করার জন্যে অভিলাষিতা নারীর পরিচিতা ধাত্রী কন্যা বা উপযুক্ত কোন ঘটকীয় প্রয়োজন হয়।
যখন কোন রকমে পরিচয় ঘটবে, তখন মাঝে মাঝে তার কাছে ঘোরাফেরা করা একান্তভাবে প্রয়োজন।
সে যে যে পথ দিয়ে যায়, সেই পথে ঘোরাফেরা করা প্রয়োজন। একা পেলে কথাবার্তা বলা উচিত। তার যে সব সখী বা বান্ধবী আছে তাদেরসঙ্গে গল্প করা প্রয়োজন।
সখীদের সঙ্গে গল্প করতে করতে উক্ত নারীর সঙ্গে গল্প করাও সুরু হয়ে যেতে পারে।
সেই সময় এই নারীর সখীদের বা ঐ নারীকে কিছু বিলাস দ্রব্য উপাহার দেওয়া উচিত। এইভাবে ক্রমশঃ তার সঙ্গে আত্নীয়তা শুরু হয়ে যাবে।
যদি বিবাহিতা তরুণী হয় তবে তাহার কোনও ভাইকে খুড়তুতো, জ্যেঠতুতো বা মামাতো ভাইদের সঙ্গে কিছু ভাব করা দরকার।
যদি সেই পরনারীর কোন ছোট শিশু থাকে, তখন তাকে কোল থেকে তুলে নিয়ে নিজের কোলে দুলিয়ে আদর করলে ভাল হয়। এতে অনেক ঘনিষ্ঠতা আসে।
পরনারীর সহিত ঘনিষ্ঠতা
ক্রমে ক্রমে সামান্য ঘনিষ্ঠতারপর কথা বলার সুযোগ আসে। তখন সেইনারীর পাশে এসে নানা সাধারণ বা সামাজিক কথা বলবে। যখন দেখবে গল্প করতে তার কোন আপত্তি নেই, তখন ক্রমশঃ রসের গল্প অবতারণা করবে। যেমন অমুক লোক তার কন্যাকে ্লেহবশতঃ চুমু খেলো। তারপর, তার স্ত্রীর গালে মুখে চুমু খেলো। চুমু খেতে বেশ লাগে-এই সব বলে তরুণীর মন রসসিক্ত করবে।
প্রায়ই প্রত্যহই সুযোগ মত নিভৃতে বসে তরুণীর সঙ্গে এই সব কথা বলবে। বলতে বলতে মাঝে মাঝে প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে তরুণীর অঙ্গ স্পর্শ করবে।
যখন তরুণী বিশেষ আপত্তি করবে না তখন তার একটু উপরে উঠবে।
ক্রমশঃ ক্রমশঃ তার কাছে প্রেমের কথা জানাবে। অবশ্য যদিএর আগে অঙ্গ স্পর্শে বাধা ন দেয়তবেই তা করবে।
বসন নিয়ে নাড়াচাড়া করলেও যদি সে ঐ পুরুষের কাছে লজ্জাবোধ না করে, তা হলে জানবে তার মনে কিছু কামভাব জাগ্রত হয়েছে।
হঠাৎ যদি একদিন ঐ পুরুষ এই নারীর গাল টিপে ধরে তাতে নারী লজ্জিত হয় বটে, আপত্তিও একটু করে, কিন্তু তা পাঁচ জনকে জানাতে চায় না। তখন জানবে নারী প্রেমের পথে একটু করে, কিন্তু তা পাঁচ জনকে জানাতে চায় না। তখন জানবে নারী প্রেমের পথে একটু এগিয়ে গেছে।
হঠাৎ যদি একদিন ঐ পুরুষ এই নারীর গাল টিপে ধরে তাতে নারী লজ্জিত হয় বটে, আপত্তিও একটু করে, কিন্তু তা পাঁচ জনকে জানাতে চায় না। তখন জানবে নারী প্রেমের পথে একটু করে, কিন্তু তা পাঁচ জনকে জানাতে চায় না। তখন জানবে নারী প্রেমের পথে একটু এগিয়ে গেছে।
যখন অধিকাংশ সময় ঐ নারী পুরুষটির সঙ্গে একত্রে নির্জনেথাকতে চাইবে-সরস গর্‌প গুনতে সে আগ্রহ প্রকাশ করবে।
তারপর ক্রমশঃ ঐ নারীর সঙ্গে যৌন কথা বলা সম্ভব হ’তে পারে।
পরনারীর সহিত যৌন সম্পর্ক
যৌন ভাব প্রকাশ করতে হলে পুরুষকে খুব ধীরে ধীরে অগ্রসর হতে হবে।
প্রথমে নারীকে দু-একটা বিদেশী বই, নানা গল্পের বই এবং সবার শেষে কোন যৌন বিষয়ক বউ উপহার দেবে।
তারপর থেকে জিজ্ঞাসা করবে তুমিও বই থেকে কি পাঠ গ্রহণ করলে? তরুণী ধীরে ধীরে হয়ত উত্তর দেবে। তখন তাকে বিসতৃতভাবে কামবিষয়ক গ্রন্থের বিষয়ে বর্ণনা করে বুঝিয়ে দিতে হবে।
ক্রমশঃ সেগুলি গা সহ্য হলে বলবে-আচ্ছা ধর আমি যদি তোমাকে জড়িয়ে ধরি ত কেমন লাগতে পারে?
ধীরে ধীরে তরুণী নিরুত্তর থাকলে গালে গাল ঘষবে, হাতে হাত ঘষবে, ধীরে ধীরে তার অনুমতি নিয়ে দেহ মর্দন করবে।
যে যখন বলবে, বেশ লাগছে।
তখন তার অনুমতি নিয়ে তার হাত পাজোর মর্দন করবে। দেখবে সে চুপ করে তা উপভোগ করছে।
তারপর তাকে সজোরে আলিঙ্গন করবে-খুব জোরে তা হবে। তারপরই আসবে চুম্বন। তাতেও যদি সে বাধা না দেয়, তখন তার সারা দেহ মর্দন চলবে, তার কামকেন্দ্র জোরে জোরে মর্দন করবে। স্তন নিপীড়ন যৌন কেন্দ্র বা যোনিতে হাত প্রয়োগ করবে।
তখন নিশ্চয়ই নারী পুরুষের পুরুষাঙ্গে হাত দেবে বা চাপ দেবে। এতে বুঝতে হবে সে নিশ্চয়ই কামার্তা হয়ে উঠেছে।
তখন পুরুষ নারীকে চিৎ করে শুইয়ে তার বুকের উপর উঠে শৃঙ্গার করবে। প্রথমে অন্য কোনআসন গ্রহণ করা উচিত নয়।
এই আসন বেশ ধীরে ধীরে এবং দীর্ঘক্ষণ করতে থাকবে।
এই আসন হলে পরে ধীরে ধীরে অন্য আসনও করা চলবে।

কোন মন্তব্য নেই :