দাম্পত্য জীবনঃ-----প্লিজ আমাকে বোরকা পরতে বাধ্য করবে না
কোন মন্তব্য নেই
স্বামী-স্ত্রী দুজনেই চাকরীজীবি। স্বামী একটি কলেজেরপ্রভাষক। আর স্ত্রী একটি ব্যাংকের অফিসার। স্ত্রী বিয়েরআগে বোরকা পরত না। তাদের পরিবারে ও কেউ বোরকা পরত না। বিয়ের পর স্বামীর কাছ থেকে ইসলামের বিভিন্ন মাসআলা শিখার পর স্ত্রী বোরকা পরে অফিসে যায়। এবং পরিবারের অন্যরা ও বোরকা পরে বাইরে যায়। ইসলামী বিধান মোতাবেক তাদের সাংসারিক জীবন চলতে থাকে।
আজ বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ। যে দেশের ৮৫ ভাগের ও বেশী মুসলমান, হঠাৎ করে একটি আইন হলো বোরকা পরতে কাউকে বাধ্য করা যাবে না। বাধ্য করলে জেল-জরিমানা হবে। কি কি শাস্তি হবে সেই ব্যাপারে আগামীতে দিক নির্দেশনা আসবে। এতদিন মহিলারা স্বামীর অনুরোধেবা পিতা-মাতার অনুরোধে বোরকা পরত। কিন্তু এখন আর তাদেরকে বোরকা পরতে বাধ্য করা যাবে না। বোরকা পরতে আদেশ দিতে পারবে না। আল্লাহ তায়ালা নির্দেশ অনুযায়ী মহিলারা চলতে পারবে না। যেমন-খুশী তেমন করে সাজতে পারবে। কেউ বাধা দিতে পারবেনা।যে দেশে রাষ্ট্র প্রধান নারী যিনি প্রতিবছর হজ্জ করে থাকেন তিনি কিভাবে এই আদেশ দিলেন একমাত্র আল্লাহই জানেন। কাদেরকে খুশী করার জন্য এই আইনটি করা হয়েছে? এখন যদি বাংলাদেশের প্রতিটি মুসলিম পরিবারে শিরোনামের মত
" প্লিজ আমাকে বোরকা পরতে বাধ্য করবে না.." এই শব্দটি উচ্চারিত হয় তখন প্রধানমন্ত্রীআর বিরোধী নেত্রীর কেমন লাগবে?জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন রইল।
হিজাব কি?
হিজাব অর্থ হলো ছতরের ঢাকনা, বোরকা বা শরীরের আচ্ছাদন।
পর্দা সম্পর্কে আল্লাহ রাব্বুলআলামীন তার প্রিয় রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)কে সুরা আহযাবের ৫৯ আয়াতে এরশাদ করেছেনঃ
হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রীগনকে,কন্যাগনকে ও মুমিন মহিলাগনকে বলে দিন, তারা যেন উপর দিক থেকে (নিজেদের মুখমন্ডল ও বক্ষদেশেরউপর) নিজেদের চাদরের আচঁল ঝুলিয়ে দেয়, এতে তাদের চেনা সহজতর হবে। ফলে তাদের উত্যক্ত করা হবেনা। আল্লাহ ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।
(আল-কোরআন, সুরা আযহাব, ৩৩ঃ আয়াত ৫৯)
আল্লাহ তায়ালা আল-কোরআনে আরো এরশাদ করেছেনঃ বৃদ্ধা নারী, যারা বিবাহের আশা রাখে না তারা যদি নিজেদের চাদর খুলে রাখে, তাহলে তাদের কোন (অপরাধ) গুনাহ হবে না। তবে শর্ত হলো, তারা স্বীয় রূপ-সৌন্দর্যের প্রদশনকারিনী হিসেবে তা খুলতে পারবেনা। তবে এ থেকে বিরত থাকাই উত্তম। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। (সুরা নূর, ২৪, আয়াত ৬০)মহান আল্লাহ পাক পবিত্র আল-কোরআনে ঘোষণা করেছেন-"(হে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আপনি) ঈমানদার পুরুষদের বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনমিত রাখে এবং যৌন পবিত্রতা রক্ষা করে চলে। ইহাই তাদরে জন্য পবিত্রতম পন্থা। নিশ্চয়ই তারা যা কিছু করে, আল্লাহ পাক তা জানেন এবং মুমিন নারীদের বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং যৌনাঙ্গের হেফাযত করে, তার যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান তা ব্যতীত তাদের সৌন্দর্য, বেশ-ভূষা ও অলংকারাদী প্রকাশ না করে এবং তারা যেন তাদের মাথায় ওড়না বক্ষদেশ পর্যন্ত ঝুলিয়ে রাখে। আর তারা যেন স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভাই, ভাইয়ের পুত্র, বোনের পুত্র, স্ত্রীলো , অধিকারভুক্ত বাদী, য়ৌন কামনামুক্ত পুরুষ ও বালক যারা নারীদের গুপ্তাঙ্গ সর্ম্পকে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো নিকট তাদের সাজ-সজ্জা, পোশাক প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজসজ্জা প্রকাশ করার জন্য (রাস্তা-ঘাটে) জোরে পদচারণা না করে, হে ঈমানদারগণ! তোমরা সকলে আল্লাহর দরবারে তওবা কর যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।" (সূরা-নূর, আয়াত-৩০-৩১)
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আরো বলেন-"জাহিলিয়াতের যুগের যে ধরনের সাজ-সজ্জা ও ঠাট-ঠমক করা হত এখন তা কর না।" (সূরা-আহযাব, আয়াত-৩৩)
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আরো বলেন-"যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল ও আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে বাক্যালাপ করো না, কারণ তাতে অন্তরে ব্যধি রয়েছে সে কু-বাসনা করে।" (সূরা-আহযাব, আয়াত-৩২)
পবিত্র আল-কোরআনের আলোকে নারী-পুরুষদের পর্দার আবশ্যকিয়তা কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ তা উপরের লিখিত আল্লাহর বানীতেই প্রমাণিত।
পর্দা সম্পর্কে প্রিয় নবী হযরতমহাম্মদ (স.) এর বানীঃ
==========================================
একবার উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা (রাঃ)রাসুল (সাঃ)কে প্রশ্ন করেছিলেন, মেয়েরা নিজেদের কাপড়কে (পোষাক বা বোরকা) কতটুকু নিচের দিকে ঝুলিয়ে দিবে?
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ তারা স্বীয় পদতালুর সামনে অথ্যাৎ গোড়ালীর নিচে রেখে কাপড় পরবে। উম্মুল মুমিনীন পুনঃ প্রশ্ন করলেন যে, যখন তারা লম্বা কদমে হাটবে? (তখন কাপড় তো উঠে যাবে, সে সময় কি করবে?) উত্তরে রাসুল (সাঃ) বললেন, তারা কখনও এক হাতের বেশী লম্বা কদমে হাটতে না। (বুখারী ও মুসলিম)
কিন্তু আল্লাহর নির্দেশ অস্বীকার বা অমান্য করলে কিংবাপর্দা মেনে না চলার পরিণাম কী?
=============================================আল্লাহ পাক বলেন-"যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর মিথ্যা বলে এবং তার নিকট সত্য পৌঁছার পর তাকে (সত্যকে) মিথ্যা সাব্যস্ত করে তার চেয়ে অধিক অত্যাচারী আর কে হতে পারে? কাফেরদের বাসস্থান জাহান্নামে নয় কি?" (সূরা-যুমার, আয়াত-৩২)
"যারা কিতাবরে কিছু অংশ মান্য করে আর কিছু অংশ মেনে চলে না তাদের জন্য রয়েছে দুনিয়াতে লাঞ্চণা-গঞ্চণা, অপমান আর পরকালে রয়েছে কঠিন শাস্তি।" (সূরা-মায়েদা)
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলিম নারীর পোষাকঃ
বাংলাদেশী মুসলিম নারী...
মিশরের মুসলিম নারী...
সিরিয়ার মুসলিম নারী...
ইন্দোশিয়ান মুসলিম নারী...
মালয়েশিয়ান মুসলিম নারী..
ওমানের মুসলিম নারী...
ভ্রমনরত মুসলিম নারী...
আরব আমিরাতের মুসলিম নারী..
চীনের মুসলিম নারী...
অফিসে মুসলিম নারী..
================== ===============
...................................মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন, দুবাই, ইউ এ ই
ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড : দাম্পত্য জীবন
বিষয়শ্রেণী: নারী

কোন মন্তব্য নেই :