দাম্পত্য জীবনঃ------"দেবর-ভাসুর মৃত্যু সমতূল্য ভয়ানক বিষয়।"
কোন মন্তব্য নেই
পত্রিকার পাতা খুললেই বিভিন্ন বিচিত্র সংবাদ দেখতে পাই। এই যেমন পরকীয়া প্রেম, দেবরের সাথেভাবী পলায়ন, ভাসুরের সাথে ছোট ভাইয়ের বউয়ের অনৈতিক সম্পর্ক, ভাসুরের ছেলের সাথে চাচীর প্রেম কাহিনী, চাচা-ভাতিজীর প্রেম, মামীর সাথে ভাগিনার প্রেম-পিরিতির খবর.. এই সব ঘটনা আমাদের সমাজে অহরহ ঘটছে। দিন দিন সমাজ কুলষিত হয়ে পড়ছে। নোবেল বই, টিভি নাটক ও সিনেমায় এই যাততীয় সম্পর্ককে সহজ ভাবে তুলে ধরছে। ধর্মীয় বিধি-নিষেধকে উপেক্ষা করে আমাদের মুসলিম সমাজে এই দুঃখজনক ঘটনা গুলি ঘটছে।
দেবর-ভাবীর সম্পর্কের ব্যাপারে রাসুল (সাঃ) এর একটি গুরত্বপূর্ণ হাদিস পেশ করলাম।
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন,"দেবর-ভাসুর মৃত্যু সমতূল্য ভয়ানক বিষয়।" অর্থ্যাৎ মৃত্যু যেমন জীবনে জন্য ভয়ানক, অনূরূপ ভাবে চাচাতো, মামাতো, ফুফাতো, খালাতো ভাইবোন ও দেবর ভাবী ও শালিকা-দুলাভাইয়ের সাক্ষাত ঈমান আমলের জন্য তদ্রুপ ভয়ানক।
পরিবারে নিরাপদ থাকার সহজ উপায়ঃ----------------------
১. নিজের স্বামীকে এবং পরিবারেরলোকদেরকে এবং সমস্ত মানুষদের থেকে লজ্জা করতে চেষ্টা করুন।
২. দেবর-ভাসুরের সাথে আজে বাজে কথা বলবেন না। অশ্লীল কথা যেন মুখ দিয়ে বের না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখবেন।
৩. এমন কোন কাজ করবেন না অথবা এমন কোন কথা বলবেন না যা আপনার সম্ভ্রমকে ধূলিসাৎ করে দেয়। কারণ লজ্জার সবটুকু উত্তম উহা মঙ্গল বয়ে আনে।
৪. নিজের লজ্জা সম্ভ্রমের হিফাযত করুন।
৫. নিজের কথা বার্তাকে সুন্দর করুন।
৬. চোখের দৃস্টি হিফাযত করবেন।
৭. কোন অবস্থাতেই চুল খোলা রাখবেন না। ওড়না দিয়ে সর্বদা মাথা ঢেকে রাখুন।
৮. বিশেষ প্রয়োজন দেখা না দিলে ঘর হতে বের হবেন না।
৯. আর আপনার বাড়ীতে যদি কোন মেহমান থাকে, সে যেন আপনার কণ্ঠস্বর শুনতে না পায়।
১০. আপনার যে সকল গায়েব মাহরিম আত্মীয় রয়েছে, তাদেরকে আপনার সাথে দেখা সাক্ষাতের কিংবা পর্দা লংঘনের জন্য অনুমতি দেবেন না।
১১. তাদের সাথে একাকী অবস্থান করবেন না।
১২. তাদের সাথে হাতে হাত মিলাবেন না। কারণ, তারা গায়েরে মাহরিম আত্মীয় স্বজন।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নিকট দুআ করি, তিনি যেন আপনাদের সঠিকজ্ঞানের অধিকারী হওয়ার তাওফীক দান করেন এবং আমল করার তাওফীক দেন। পালনীয় কাজগুলো খুবই সহজ যদি আল্লাহ তাআলা আপনার জন্য উহা সহজ করে দেন। তাই এ কাজগুলিপালন করার জন্য আল্লাহর তাওফিককামনা করুন।
১. পাঁচ ওয়াক্ত সালাত সর্বদা সঠিক সময়ে আদায় করতে চেষ্টা করুন। ২. সবসময় স্বামীর অনুগত থাকবেন।
৩. আপনি যদি সন্তানের মা হন, তাহলে সন্তানের উত্তমরূপে প্রতিপালন করবেন।
৪. আপনার উপর দায়িত্ব হচ্ছে, বাড়ীকে সুন্দরভাবে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। জিনিসপত্রসমূহ সুন্দর করে গুছিয়ে রাখা, খাদ্য দ্রব্য ইত্যাদি তৈরী করা। কাজগুলি করবেন ধীরস্থিরভাবে, কোন রকম চেচামেচি কিংবা তাড়াহুড়ো করবেননা, যাতে অন্যের শান্তিতে কোন বিঘ্ন অথবা কারো কোন দু:খ কষ্টের কারণ না হয়ে দাড়ান।
৫. মাতা পিতার হক্ক আদায় করা এবং আত্মীয় স্বজনদের সাথে সদ্ব্যবহার করা। এগুলি খুব গুরুত্ববহ ওয়াজিব।
৬. প্রতিবেশিনী মেয়েদের খোজ খবরনেয়া এবং তাদের প্রতি দরদ ও সহানুভূতি দেখান। তাদেরকে কোন রকম কষ্ট না দেয়া। যদি তাদের প্রয়োজন হয়, তাহলে তাদের সাহায্য সহায়তা করা।
হে প্রিয় বোন, পুরুষ হৃদয়ে ঝড়তোলা লাস্যময় চলন আর মনোযোগ আকৃষ্ট করা কোমল বচন ত্যাগ করি। আল্লাহর কাছে এ থেকে তাওবা করি। তাওবা করি অশ্লীল পোশাক ও সৌন্দর্য বিকাশকারী লেবাস থেকে। তাওবা করি পুরুষদের সাদৃশ্য গ্রহণ, পুরুষদের বেশ ধারণ থেকে।
আসুন হে বোন, আল্লাহর নির্দেশ মত পরিপূর্ণ পর্দা ও পবিত্রতারজীবন যাপন করি। আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সবার মা-বোনকে ইসলামের প্রথম যুগের নেককার নারীদের মতো পর্দানশীল ও দীনদার হবার তাওফীক দিন। আল্লাহ তাদের সকলকে পঙ্কিল জীবনের স্পর্শ থেকে দূরে রাখুন। আমীন। ইয়া রব্বাল আলামীন।
=================== ===============
--------------------মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন, দুবাই ইউ এ ই
ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড : দাম্পত্য জীবন
বিষয়শ্রেণী: নারী

কোন মন্তব্য নেই :