দাম্পত্য জীবনঃ----হে বাংলার বউরা..... তোমাদেরকে বলছি.
কোন মন্তব্য নেই
১. একটি সংসারকে গতিশীল রাখতে পুরুষের পাশাপাশি নারীর অবদান কম নয় বরং অনেক বেশী।
২. পিতা সংসারের ব্যয়ভার বহন করেন, কিন্ত মাকে সংসারের যাবতীয় কাজের পাশাপাশি সন্তানকে স্কুলে, প্রাইভেট স্যারের বাসায় আনা-নেয়া থেকে শুরু করে সন্তানের অসুস্থতায় বিনিদ্র রজনীও হাসিমুখে পার করতে হয়।
৩. কোন ও কিছুতেই যেন মায়ের ক্লান্তি নেই। শত অভাবে ও সব সময় সন্তানদের মুখে হাসি ফোটাতে ও তাদের চাহিদা পূরণ করতে ব্যস্ত থাকেন।
৪. সবচেয়ে ভালো জিনিষটি সন্তানের মুখে তুলে দিতে পারলেমায়ের মুখে তৃপ্তির হাসিরেখা ফুটে উঠে।
৫. স্বপ্ন দেখতে থাকেন তার সন্তান বড় হবে, ভালো রোজগার করবে, সংসারে আরো সুখ শান্তি আসবে।
৬. তারপর একদিন ঘর আলো করা বউ আসবে, বৃদ্ধ বয়সে ছেলে-ব্উয়ের সেবা-যত্নে বাকী জীবনটা পরম সুখে কাটিয়ে দেবেন।
কিন্তু..................................
৭. বাস্তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তার চিত্র হয় উল্টো। বউ ঘরে আসার পর পাল্টাতে থাকে ছেলে, পাল্টায় ঘরের পরিবেশ। বাবা-মা, ছোট ভাই-বোন সব যেন পর হতে থাকে। অবশ্য এর ব্যতিক্রম ও আছে।
তবে বেশীর ভাগ চিত্রটা কিন্ত এমন।
৮. ছেলে বাবা-মাকে সঙ্গ দিক, তাদের প্রতি আগের মত টান থাকুক,তা সহ্য করতে পারে না বেশীর ভাগবউ।
৯. তারা মনে করেন, স্বামীটি তার নিজস্ব সম্পতি, তার উপর বাবা-মা, ছোট ভাই-বোন কারও কোনওঅধিকার নেই।
১০. বউয়ের সঙ্গে দ্বন্দ মিটাতে বাবা-মা, ভাইবোনদের কাছ থেকে দুরে চলে যান ছেলে।
১১. নিজের বাবা-মাকে বাদ দিয়ে ছেলে শ্বশুর-শাশুড়ী,শ্যালক-শালিকা নিয়ে মেতে থাকে। আর মায়ের অনেক কষ্টের সংসারে আস্তে আস্তে তার অধিকার কমতে থাকে।
১২. ভাইকে পড়াশোনা করানোর জন্য মা'র সঙ্গে যে বোনেরা সংসারে শ্রম দিয়েছে--ভাইয়ের ঘর ঘোছানো, কাপড় ধোয়া আর ও কতভাবে সেবা করেছে যে বোনেরা, স্বপ্ন দেখত ভাই লেখাপড়া শেষ করে ভালো চাকরী করে বোনদের আবদার মিটাবে,সেই আদরের ভাই হারিয়ে যায় চোখের সামনে থেকেও।
১৩. বাবা-মা, ভাই-বোনকে বাড়তি ঝামলো মনে করেন বউ-ছেলে।
১৪. একসময় বৃদ্ধ বয়সে একা হয়ে যান বাবা-মা। অনেকে বয়সের ভারে,আর নানা রোগব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে যান। এই সময় তাদের প্রয়োজন একটু ভালবাসা, একটু মমতা, প্রিয়জনের একটু সঙ্গ।
১৫. এ সময় অনেক বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে হোমে পাঠানো হয়, কারন বউরা চান না এ ঝামেলা ঘরে রাখতে।
১৬. হোমে নিঃসঙ্গতা ও একাকিত্ব তাদের সঙ্গী হয়। প্রিয়জনকে একটু দেখার, তাদের ছোঁয়া পাওয়ারজন্য তারা ব্যাকুল হয়ে উঠেন
তাদের এ আকুলতা আমরা কি বুঝতে পারিনা? তাই হে বাংলার বউমাদের বলছি, আজসে যে সংসার, যে মানুষকে নিয়ে জীবন উপভোগ করছ,তার যারা কারিগরতাদের অবহেলা করোনা। তোমার বাবা-মাকে যতখানি ভালবাস তাদেরপ্রতিও ঠিক ততখানি ভালবাসা প্রাপ্য। তোমার সন্তানের জন্য তুমি যে কষ্ট করছ, তোমার শাশুড়ীও তোমার স্বামীর জন্য একই কষ্ট করেছেন। তাই বলছি শেষ বয়সে তাদের অবহেলা না করে একটু ভালবাস।
সুত্রঃ
যুগান্তর থেকে-----------------
==================== ==================
...

কোন মন্তব্য নেই :