মুসলিম নারীদের প্রতি) শিশুদের আরবী ভাষার প্রতি ভালবাসা সৃষ্টি করুন

কোন মন্তব্য নেই
প্রতিটি মায়ের একথা অবগত হওয়া উচিত যে ইসলাম ধর্মে আরবী ভাষার কত গুরত্ব। প্রিয় নবীজী (সাঃ) ইসলামের দাওয়াত আরবী ভাষায় আরম্ভ করেছিলেন। যার ফলশ্রতিতে আজ সমগ্র বিশ্ব জগতের দেশে-দেশে, শহরে-শহরে, গ্রামে-গ্রামে, মহল্লায় একত্বাবাদী মুসলমান বিদ্যমান। পবিত্র হাদীস শরীফে আরবী ভাষারমুহব্বতের তাকীদ এসেছে।
মহানবী (সাঃ) ইরশাদ করেন, “তিন কারনে আরবী ভাষাকে ভালবাস। ১. পবিত্র কোরআনের ভাষা আরবী ২. জান্নাতের ভাষা আরবী ৩. আমার ভাষাও আরবী।”
সুতারাং দুর্ভাগ্য বশতঃ আপনি যদি আরবী ভাষা না বুঝেন বা পড়তেও না পারেন, তাহলে কমপক্ষে নিজ সন্তানদের আরবী শিক্ষা দিন। যাতে করে আপনার সন্তান কুরআন-হাদীসের হুকুম-আহকামকে সঠিকরূপে শিক্ষা লাভ করতে পারেএবং কুরআন ও হাদীসে যত দু’আ রয়েছে, সেগুলো হতে স্বল্প সংখ্যক হলেও যেন তার অর্থ ও ভাবার্থ বুঝতে পারে, হূদয়ঙ্গম করতে পারে আমল করতে পারে। নিঃসন্দেহে বিশ্বের সকল ভাষাই আল্লাহ প্রদত্ত ভাষা। তাই তার কোন ভাষা বুঝতে আমাদের অসুবিধাহয় না। তথাপি যে দু’আ আরবী ভাষায় করা হয়, আল্লাহ তায়ালা তাতে খুব খূশী হন।
কত আফসোস ও দুঃখের কথা, যেই মহান স্বত্তা (সাঃ) আমাদের জন্যকত কষ্ট-যন্ত্রনা, নির্যাতন, নিপীড়তন অকাতরে সহ্য সয়ে গেছেন। ক্রন্দন করে অশ্র“তে নয়নযুগল প্রবাহিত করে আল্লাহ তায়ালার নিকট দুআ করেছেন, আমাদেরকে জান্নাতে যাওয়ার সহজ সঠিক পথ প্রদর্শন করেছেন, আমরা সেই মহান স্বত্তার প্রিয় আরবী ভাষা সম্পর্কে মোটেও অবগত নই। হুজুর আকরাম (সাঃ) স্বীয় পবিত্রআয়াতে যত ইরশাদ ফরমায়েছেন, সবই তো আরবী ভাষার। আমরা তাও অনুধাবন করতে এবং সেগুলোর অর্থবুঝতে সক্ষম নই।
সুতারাং সন্তানদেরকে শৈশবকাল হতেই আরবী ভাষা শিক্ষা দিন।
====================== ====================
....................................মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন, দুবাই ইউ এ ই
ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড : দাম্পত্য জীবন
বিষয়শ্রেণী: নারী

কোন মন্তব্য নেই :