জেনে রাখা ভালো
কোন মন্তব্য নেই
১. ডায়রিয়া রোগীর সন্তোষজনক Rehydrtion- এর নৈর্ব্যক্তিকপ্রথম লক্ষণ কী? উত্তরঃ প্রস্রাব হওয়া। ২. ORS- এ সোডিয়াম বাই কার্বনেটের পরিমাণ কত? উত্তরঃ ৩.৫ মিলিগ্রাম ৩. গরুর দুধের তুলনায় বুকের দুধে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ- উত্তরঃ অতিমাত্রায় কম ৪. মুখে Iron সেবন করলে তা সম্পূর্ণ শোধিত কিসে? উত্তরঃ Jegunum- এ ৫. শারীরিক বৃদ্ধি (Growth) এবং উন্নয়নের (Development) ক্ষেত্রে যেকথা প্রযোজ্য? উত্তরঃ ‘বৃদ্ধি’ এবং ‘উন্নয়ন’ দুটোই প্রায় পাশাপাশি চলতে থাকে। ৬. অধুনা সরকারিভাবে বিতরণকৃত উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন Vitamin-A তে যা আছে- উত্তরঃ ৬ ফোঁটা তৈলাক্ত দ্রবণ (oily solution) ৭. স্বাস্থ্যবান শিশুদের হিমোগ্লোবিনের ন্যূনতম মাত্রা কত? উত্তরঃ 11mg/dl ৮. একজন গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারিনি মাতার জন্য Vit-C -এর দৈনিক বরাদ্দ কত? উত্তরঃ ৫০ মিলিগ্রাম ৯. মানুষের শরীরে বেশির ভাগ ফসফেট (Phosphate) রয়েছে- উত্তরঃ হাড়ে ১০. একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষেরশারীরিক লৌহের মোট পরিমাণ প্রায়- উত্তরঃ ৪ গ্রাম ১১. রাতকানা রোগ বোঝানোর প্রতীক হলো- উত্তরঃ xN ১২. Lathyrism রোগে অসাড়তা দেখা যায়- উত্তরঃ প্রত্যঙ্গের পেশিতে ১৩. Vit-D সম্বন্ধে যে কথাটি সত্য নয়- উত্তরঃ বর্তমানে এই ভিটামিনেরঅভাব সচরাচর দেখা যায় না। ১৪. জন্মের ৬ ঘণ্টার মধ্যে নবজাতকের জন্ডিস দেখা দিলে তা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই- উত্তরঃ Physiological কারণেহয় ১৫. বাংলাদেশে বর্তমানে মায়ের মৃত্যুর হার প্রায়- উত্তরঃ ৬০/১০,০০০ জীবিত জন্ম ১৬. যে ওষুধ ব্যবহার করে জরায়ুরসংকোচন বন্ধ করা যায়- উত্তরঃ Salbutamol ১৭. স্বাভাবিক প্রসবের প্রথম স্তর (First stage of labour) - উত্তরঃ Oxytocin ব্যবহার করে সংক্ষিপ্ত করা যায়। ১৮. গর্ভবতী মহিলার অতি প্রয়োজনীয় দুটি পরীক্ষা হলো- উত্তরঃ হিমোগ্লোবিনের মাত্রা নির্ণয় এবং প্রস্রাবে অ্যালবুমিন এবং শর্করার পরিমাণনির্ণয়। ১৯. ১ বছর বয়সে স্বাস্থ্যবান শিশুর মধ্য বাহুর পরিধি হবে প্রায়- উত্তরঃ ১৬ সেন্টিমিটার। ২০. বিলিংস মেথড (Billings method) - উত্তরঃ প্রাকৃতিক জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ২১. IUCD এর অকার্যকারিতা (Failure Rate) হার হলো- উত্তরঃ ৪/১০০ Woman Years -এর কাছাকাছি ২২. কোনো মহিলার Thromboembolic Disorder- এর পূর্ব ইতিহাস থাকলে তার জন্য- উত্তরঃ খাবার বড়ি ভবিষ্যতের জন্য সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ২৩. বন্ধ্যাকরণের সাধারণত যে পদ্ধতি ব্যবহৃত হয় তার নাম হলো- উত্তরঃ Pomeroy technique ২৪. স্বল্পমাত্রার জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়িতে সাধারণত Oestrogen- এর পরিমাণ থাকে? উত্তরঃ ৩৫ mcg ২৫. IUD -তে তামার তার জড়ানোর কারণ কী? উত্তরঃ Cytotoxic ক্ষমতার জন্য ২৬. বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কোনটি? উত্তরঃ খাবার বড়ি ২৭. মায়া বড়িতে আছে- উত্তরঃ 0.05 mg mestranol ২৮. সার্ক দেশগুলোর মধ্যে আয়তনে সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম দেশ কোনটি? উত্তরঃ মালদ্বীপ। ২৯. ‘সংশয়’ শব্দের বিপরীত শব্দ হলো- উত্তরঃ প্রত্যয়। ৩০. Shortly শব্দের ক্রিয়াপদ কী? উত্তরঃ Shorten. ৩১. Windfale- এর অর্থ কী? উত্তরঃ অপ্রত্যাশিতভাবে পাওয়াসুফল। ৩২. Aspirin কোন ওষুধটির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে? উত্তরঃ Probenceid ৩৩. ভাইরাসজনিত ব্যাধি হলো- উত্তরঃ র‌্যাবিশ ৩৪. বাংলাদেশে Infant mortality rate কত? উত্তরঃ ৭৬.৮ ৩৫. টাইফয়েড জ্বরের প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ হলো- উত্তরঃ মাথাব্যথা ৩৬. কত ডিগ্রি তাপমাত্রায় ফারেনহাইট ও সেলসিয়াস স্কেলে একই পাঠ দেয়? উত্তরঃ -৪০ ৩৭. ওজোন স্তরের ফাটলের জন্য মুখ্যত দায়ী কোন গ্যাস? উত্তরঃ ক্লোরোফ্লোরো কার্বন ৩৮. রংধনুর সাতটি রঙের মাঝের রঙকোনটি? উত্তরঃ সবুজ ৩৯. বার্ষিক শতকরা ১০ টাকা হার সুদে কোনো মূলধন কত বছর পরে আসলের দ্বিগুণ হবে? উত্তরঃ ১০ বছর। ৪০. চোখের সাথে মিল আছে কোনটির? উত্তরঃ ক্যামেরা। ৪১. বর্ষকালে ভেজা কাপড় শুকাতে দেরি হয় কেন? উত্তরঃ বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকে বলে। ৪২. চলন্ত রেলগাড়িতে দাঁড়িয়ে হাত দিয়ে একটি বল ঠিক ওপরে ছুড়েদিলে তার অবস্থা কী হবে? উত্তরঃ পুনরায় হাতে ফিরে আসবে ৪৩. দুধের বিশুদ্ধতা পরিমাপক যন্ত্রের নাম কী? উত্তরঃ ল্যাকটোমিটার। ৪৪. উড়োজাহাজ প্রথম উড়ান কে? উত্তরঃ রাইট ভ্রাতৃদ্বয়। ৪৫. ফারেনহাইট তাপমান যন্ত্রে পানির স্ফুটনাংক কত? উত্তরঃ ২১২ ৪৬. Hypertrophy বলতে কী বোঝায়? উত্তরঃ কোষের আয়তন বৃদ্ধি হওয়া। ৪৭. প্রাচীন ‘শ্যামদেশ’ কোনটি? উত্তরঃ থাইল্যান্ড ৪৮. কবি ফেরদৌসীর জন্মস্থান কোথায়? উত্তরঃ ইরান। ৪৯. ভারতের কোন প্রদেশ নিরক্ষরতামুক্ত বলে ঘোষিত হয়েছে? উত্তরঃ কেরালা। ৫০. বাংলাদেশের কোথায় সর্বাধিকবৃষ্টিপাত হয়? উত্তরঃ শ্রীমঙ্গলে। লিখেছেন মো. ছাকিব আল জুবায়ের

কোন মন্তব্য নেই :

বাংলাদেশে নি:সন্তান দম্পতিরা টেস্টটিউবের মাধ্যমে সন্তান লাভ করতে পারবেন page 2
কোন মন্তব্য নেই
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক রাশিদা বেগম বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত চার বছরে ১০০ টেস্টটিউববেবির জন্ম হয়েছে। ১৯৭৮ সাল থেকে টেস্টটিউব বেবি পদ্ধতির মাধ্যমে পৃথিবীব্যাপী প্রায় এক মিলিয়ন শিশুর জন্ম হয়েছে। এটি বেশ ব্যয়বহুল বলে উন্নত দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে কম। তিনি আরও বলেন, সন্তান না থাকায় বিবাহ বিচ্ছেদ বেড়ে যাচ্ছে। গ্রামে প্রথম বছরের মধ্যে যদি একটা সন্তান না হয় তাহলে স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করে। সন্তান না হওয়ায় তারা বিয়ের একটা ইস্যু পেয়ে যায়। স্কয়ার হাসপাতালের এমব্রায়োলজিস্ট ডা. সায়লা সিরাজবলেন, আইভিএফের সফলতার হার বাংলাদেশে শতকরা ২৫ থেকে ৩০ ভাগ। বিদেশে এই হার শতকরা ৩০-৩৫ ভাগ। ভ্রূণ স্ত্রীর জরায়ুতে স্খাপন করার আগ পর্যন্ত কৃত্রিমপদ্ধতি। স্খাপন করার পর স্ত্রীরস্বাভাবিক গর্ভধারণের যেমন অনুভব করেন টেস্টটিউব বেবি নিলেও তেমনি অনুভব করেন। এতে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না। নিপোর্টের বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক হেলথ সার্ভে ২০০৭ রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ২০ বছরের আগেই শতকরা ২৩ ভাগ নারীসন্তানধারণে সক্ষম থাকেন, ২০ বছরে সন্তানধারণে সক্ষম থাকেন শতকরা ৫৫ ভাগ নারী এবং ৩০ বছর বাতার পরে সন্তানধারণে সক্ষম থাকেন প্রায় এক পঞ্চমাংশ নারী। এমব্রায়োলজিস্ট ডা. সায়লা সিরাজবলেন, বাংলাদেশে নারী-পুরুষ দু’জনের ক্ষেত্রেই বিয়ের আইনগত বয়স বেড়েছে। বিয়ের পরে সংসারে একটু সচ্ছলতা আনতে দেরিতে সন্তান নিচ্ছে। ফলে দম্পত্তিদের ইনফার্টাইল হওয়ার ক্ষেত্রে এগুলো ব্যাপকভাবে ভূমিকা রাখছে। দিন দিন এ অবস্খা বাড়ছে। ফলে এ ব্যাপারে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি হয়ে পড়েছে। ডা. মরিয়ম ফারুকী স্বাতী আরও বলেন, বাংলাদেশে সামাজিদ, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় প্রথা ও নীতিতে স্বামী-স্ত্রী ছাড়া সন্তানধারণ গ্রহণযোগ্য নয়। সন্তানাকাáক্ষী দম্পতি সব রকম টেস্ট করলেও কখনও তৃতীয় কারও মাধ্যমে সন্তান নেয়ার কথা ভাবতেপারে না। শুক্রাণু সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ভ্রূণ তৈরির প্রক্রিয়ায় ঝুঁকির আশঙ্কা থেকে যায়। আমার স্বাম-স্ত্রীর কাছ থেকে প্রায় একই সময়ে শুক্রাণু ও ডিম্বাণু নিয়ে সংরক্ষণ করি। আর খুব অল্প রোগী নিয়ে থাকি। ফলে একজন দম্পতির জন্য আমাদের হাতে অনেক সময় থাকে। আমরা এ ব্যাপারে অত্যন্ত সাবধান থাকি। ফলে ঝুঁকির সম্ভবনা কম থাকে।

কোন মন্তব্য নেই :

বাংলাদেশে নি:সন্তান দম্পতিরা টেস্টটিউবের মাধ্যমে সন্তান লাভ করতে পারবেন page 1
কোন মন্তব্য নেই
কুমিল্লার দম্পতি সোহেল (৩৪) ও তানিয়ার (২৬) বিয়ে হয়েছে প্রায় ছয় বছর। বিয়ের পাঁচ বছরেও কোন সন্তান হয়নি তাদের যার সবটুকু দায়ভার এসে পড়ে তানিয়ার ওপর। দিনরাত শ্বশুরবাড়ির নানা গঞ্জনা পোহাতে হতো তাকে। সোহেলের মাও ছেলেকে দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। তারা প্রথমে গাইনি বিশেষজ্ঞের কাছে চিকিৎসা শুরু করেছিলেন। সেখানে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারলেন সোহেলের কিছু শারীরিক সমস্যার কথা। তখনই জানতে পারলেন‘টেস্টটিউব বেবি’ সম্পর্কে। চিকিৎসক তাকে পাঠালেন স্কয়ার ফার্টিলিটি সেন্টারে, যেখানে সোহেলের মতো আরও অনেকে তাদের শারীরিক সমস্যার চিকিৎসা পেয়ে সন্তান লাভ করেছেন। তানিয়া জানালেন, মানুষ কিছুতেই বুঝতে চায় না যে সন্তান হওয়া না হওয়ার ব্যাপারটিতে কোন নারী এককভাবে দায়ী হতে পারেন না। নি:সন্তান হওয়ায় মানুষের কাছে অপয়া অপবাদও শুনতে হয়েছে আমাকে। মিরপুরের মেহেদী (৩৮) ও বন্যার (৩৩) বিয়ে হয়েছে প্রায় আট বছর। মেহেদী একটি গার্মেন্টেসে চাকরি করেন। বন্যা টিউশনি করে কিছু আয় রোজগার করলেও তার সংসারের খরচেই চলে যায়। তবে নিজেদের মধ্যে চমৎকার বোঝাপড়ার কারণে দিনগুলো সুখেই কাটছে তাদের। তারপরও আত্মীয়স্বজন পাড়া-প্রতিবেশীদের একটাই কথা এতগুলো বছর বিয়ে হয়েছে অথচ একটা সন্তান হলো না। চিকিৎসা করতে গিয়ে তারা জেনেছেন, তাদের শারীরিক কিছু সমস্যা আছে। তবে ‘টেস্টটিউব বেবি’র মাধ্যমে তারা তাদের এ আশা পূরণ করতে পারেন। তারা এটাও জেনেছেন, এ ব্যাপারটি খুবই ব্যয়বহুল যা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই তারা চিকিৎসা স্খগিত রেখেছে। ঢাকার বঙ্গবু শেখ মুজিব মেডিকেলকলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সুলতানা জাহান জানালেন, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে হাজারও সামাজিক কুসংস্কার অজ্ঞতার রেড়াজালে সন্তানহীন দম্পত্তি কী যে অসহায়অবস্খায় জীবনযাপন করে তা বলে বোঝানো যাবে না। সামাজিক, পারিবারিক, দাম্পত্য পুরো জীবনটাই থাকে বিপর্যস্ত। আর যা হয়, পুরো দোষটাই পড়ে মেয়েটার ওপর। যদিও ৫০ থেকে ৬০ ভাগ ক্ষেত্রে পুরুষদের অক্ষমতাই দায়ী।একটি সন্তানের স্বপ্ন থাকে প্রত্যেক দম্পতিরই। তবু শারীরিক সীমাবদ্ধতা অনেক দম্পতিরই স্বপ্ন ছুঁতে দেয় না। সৃষ্টি করে জটিলতা, প্রতিবকতা। ইে প্রতিবকতা উত্তরণে বু হয়ে এলো বিজ্ঞান। আবিষ্কৃত হলো টেস্টটিউব বেবি পদ্ধতি। আইভিএপ (ইন-ভাইট্রোফার্টিলাইজেশন) পদ্ধতির মাধ্যমে টেস্টটিউব বেবির জন্ম হয়। আশির দশকের বেশভাবে আবিষ্কৃত হওয়া এই প্রযুক্তির বাংলাদেশে আগমন ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশের প্রথম টেস্টটিউব বেবি হীরা, মণি ও মুক্তার জন্ম হয়। হোপ ইনফার্টিলিটি সেন্টারের এমব্রায়েলজিস্ট এবং বঙ্গবু শেষ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়েরক্লিনিক্যাল প্যাথলজি বিভাগের কনসালটেন্ট প্যাথলজিস্ট ডা. কামরুন নেছা বাণী বলেন, সবচেয়ে উন্নতর চিকিৎসা হলো আইভিএফ পদ্ধতি। এই চিকিৎসায় ডিম্বাণু এবং শুক্রাণু শরীরের বাইরে গবেষণাগারে সংগৃহীত করে তাকে উর্বর করে ভ্রূণ তৈরি করে জরায়ুর মধ্যে স্খানান্তর করা হয়। স্কয়ার হাসপাতালের ফার্টিলিটি সেন্টারের ফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞডা. জাকিউর রহমান বলেন, সন্তানহীনতা একটি বড় ধরনের সমস্যা। সন্তানহীনতা বলতে সন্তানধারণ ক্ষমতাকে দুর্বল বা নষ্ট থাকাকে বোঝায়। একজন দম্পত্তির কাছে সন্তানহীনতার মতো কষ্টকর আর কিছু হতে পারে না।একজন দম্পতি সফল গর্ভধারণে সক্ষম হতে পারে কি না তা বহুভাবেনির্ধারণ করা যায়। আনুমানিকভাবে কারণগুলোর মধ্যে শতকরা ৪০ ভাগ নারী সম্পর্কিত, শতকরা ৪০ ভাগ পুরুষ সম্পর্কিত এবং শতকরা ২০ ভাগ উভয় সঙ্গীর সমস্যা রয়েছে এবং তাদের মূল্যায়ন প্রয়োজন। গত ১০ বছরের গবেষণায় দেখা গেছে বাংলাদেশে প্রতি ৮ জন দম্পতির মধ্যে একজন দম্পতি নি:সন্তান হয়ে থাকেন। জানালেন হোপ ইনফার্টিলিটি সেন্টারের ইনফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞ ডা. মরিয়ম ফারুকী স্বাতী। এর কারণ হিসেবে অস্বাভাবিক শুক্রাণু, অনিয়মিত ডিম্বাণু, ইন্ডোমেট্রেসিস, অবর্ণনীয় বাত্বইত্যাদির কথা বললেন তিনি। এমআর (মিনস্ট্রুয়াল রেগুলেশন) এর ফলেটিউব অনেক সময় ব্লক হয়ে যেতে পারে বলেও তিনি জানালেন। তিনি আরও বলেন, ইনফার্টিলিটি সেন্টারে সব পদ্ধতি যদি ব্যর্থ হয় সেক্ষেত্রে টেস্টটিউব বেবির কথা বলা হয়। প্রায় শতকরা ৮০ ভাগ দম্পতিই টেস্টটিউব বেবি লাগে না। বাকি শতকরা ২০ ভাগ দম্পতির জন্য টেস্টটিউব বেবির প্রয়োজন হয়।ইউনাইটেড নেশন্স পপুলেশন ফান্ড (ইউএনএফপিএ) ২০০৫ সালে একটি পর্যবেক্ষণে দেখিয়েছে, ভারতে ৪-১০ লাখের বেশি ব্যা দম্পতি আছেন। দুর্ভাগ্যবশত সবার মধ্যে সাধারণ বিশ্বাস যে তারা স্ত্রীরকারণে সন্তানহীন। কিন্তু স্বামীর ব্যাত্বের কারণেও এমনটি ঘটে। এর ফলে বিবাহ বিচ্ছেদ পর্যন্ত ঘটে। ডা. জাকিউর রহমান আরও বলেন, টেস্টটিউব বেবি চিকিৎসা খুবই ব্যয়বহুল। প্রায় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা এতে ব্যয় হয়। তবে সবাইকে সেই পর্যায় পর্যন্ত যেতেহয় না। কারও কারও অল্প চিকিৎসাতেই সন্তান লাভ হয়। চিকিৎসার ব্যাপারটি বিভিন্ন জনে বিভিন্ন রকম হতে পারে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে চিকিৎসার ব্যয়টি বেশি। স্কয়ার হাসপাতালের ইনফার্টিরিটি সেন্টারে রেসিডেন্ট মেডিকেল অফিসার ডা. সাহানা সুলতানা বলেন, সিঙ্গাপুরথেকে একটা টিম এসে আইভিএফ করে যায়। এতে প্রায় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা লেগে যায়। এদেশে ফার্টিলিটি বিষয়ে কোন ট্রেনিং চালু হয়নি। এটা চালু হওয়া খুব প্রয়োজন। হাতেগোনা যে ক’জন ফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞ আছেন তারা বিদেশ থেকে এ বিষয়ে ট্রেনিং বা কোর্স করে এসেছেন। যদি আমাদের দেশেও এরকম ট্রেনিং চালু করা যায় তবে আমাদের আর বিদেশের ওপর নির্ভর করতে হবে না এবং দেশের টাকা দেশেই থাকবে। মিডিয়াও এ ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধিতে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করতে পারে। আরো পড়ুন বাংলাদেশে নি:সন্তান দম্পতিরা টেস্টটিউবের মাধ্যমে সন্তান লাভ করতে পারবেন page 2

কোন মন্তব্য নেই :

মেয়েদের সঙ্গমের সমস্যা
কোন মন্তব্য নেই
নারীর যৌন সমস্যা, নারীদের যৌন মিলনে স,মস্যা, মেয়েদের সেক্সের সমস্যা

পরিণত বয়সের নারী-পুরুষ অনেকের কাছে যে সমস্যা অনেক সময় প্রকট হয়ে উঠে তা হলো যৌন দূর্বলতা , যার কারণে অনেক সময়ই দম্পতি মানসিক অশান্তিতে ভোগেন । পুরুষের ও মহিলাদের সঙ্গমের সমস্যা গুলো কিছুটা ভিন্ন প্রকৃতির । পৃথীবিতে শতকরা ৪৩ ভাগ পরিণত বয়সের মহিলাই কোনো না কোনো সঙ্গমের সমস্যায় ভোগেন । এই সমস্যার কোনোটি যৌন উত্তেজনা বোধ না করার কারনে , কোনটি আবার যৌন কার্যে আগ্রহ বোধ না করা , সঙ্গমে ব্যথা অনুভব করা ইত্যাদি উপসর্গ সমন্নয়ে বিন্যস্ত ।
সাধারণত কিছু কিছু রোগে আক্রান্ত হলে মহিলাদের সঙ্গম এরসমস্যা গুলো দেয় । এই রোগ গুলো হলো হৃদ রোগ উচ্চ রক্ত চাপ বা হাইপারটেনশন এন্ডোক্রাইন বা হরমোনের সমস্যা (যেমন ডায়াবেটিস , হাইপোপ্রলাকটিনোমিয়া ইত্যাদি)
নিউরোলজিকাল রোগ (যেমন স্ট্রোক , মেরুদন্ডের রজ্জু বা স্পাইনাল কর্ডে আঘাত) বড় কোনো সার্জারি করা বা আঘাত পাওয়া কিডনি রোগ লিভার রোগ মানসিক চাপ বা বিভিন্ন মানসিক ব্যধি এছাড়া কিছু কিছু অসুধ সেবনের কারনেও এমন সমস্যা দেখা দেয় ।
এসব সমস্যা হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত । Behavioral modification এবং কিছু অসুধ (যেমন হরমোন) এবং কিছু কিছু ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমেও এসকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ।
আরো পড়ুন.........
০১. স্ত্রীকে ভালোবাসুন, সুখী হবেন...
০২. স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসার গল্প
০৩. মাসিক চলাকালে সেক্স করার নিয়ম
০৪. স্ত্রী বদ মেজাজী হলে তাকে কিভাবে রাখবেন?
০৫. স্বামীর যৌন সমস্যা মোকাবেলায় স্ত্রীর ভূমিকা
০৬. স্বামী স্ত্রীর এক সঙ্গে নামায পড়া
০৭. বিবাহের পূর্বে কি বাগদত্তা স্বামী স্ত্রী মেলামেশা করা যায়
০৮. বাসর রাতে স্ত্রীর সাথে স্বামীর আচরণ
০৯. মেয়েদের দুধ চোষার পদ্ধতি
১০. যৌন কেশ পরিস্কার করার নিয়ম


♥♥♥♥সমাপ্ত♥♥♥♥
প্রকাশক : সৈয়দ রুবেল উদ্দিন
www.facebook.com/sayed.rubel3

কোন মন্তব্য নেই :

সিফিলিস (Syphilis)
কোন মন্তব্য নেই
সিফিলিস রোগের জীবানুর নাম ট্রেপনোমা প্যালিডাম। সিফিলিস আক্রান্ত কারো সাথে যৌন মিলনে এই রোগ হয়ে থাকে , তবে রোগীর রক্ত গ্রহনের মাধ্যমেও এই রোগ হয়। আবার গর্ভাবস্থায় মায়ের সিফিলিস থেকে থাকলে সন্তান সেখান থেকে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ভূমিস্ট হয়ে থাকে। সাধারণত আক্রান্ত কারো সাথে যৌন মিলনের ২ - ৪ সপ্তাহ পরে এই রোগের লক্ষন গূলো দেখা দেয় , তবে কারো কারো ক্ষেত্রে ৩ মাস পর্যন্ত দেরী হতে পারে।
এটা শুরুতে পুরুষের যৌনাঙ্গের মাথায় বা শীস্নে হাল্কা গোলাপী ব র্ণের একটা দাগ হিসেবে দেখা দেয়। ধীরে ধীরে এটা বড় হয়ে ফোস্কা বা ঘায়ের মতো হতে থাকে। রোগ শুরুর ২ মাসের মধ্যেও যদি চিকি ৎ সা না নেয়া হয় তবে যৌনাঙ্গের ঘা দ্রুত ছড়াতে থাকে এবং সেই সাথে জর ও মাথা ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দেয় এবং শরীরের বিশেষ করে কুচকীর গ্রন্থিগুলো বড় হয়ে যেতে থাকে। এ রোগ পায়ু-পথ , ঠোট , মুখ , গলনালী , খাদ্যনালী এমনকি শ্বাসনালীতেও ছড়িয়ে পড়তে পারে , অবশ্য এটা নির্ভর করে কোন পথে যৌনাচার করা হয়েছিলো তার উপড়।
এ অবস্থায় ও যদি কেউ চিকিৎসা নিতে অবহেলা করে তবে রোগটি খুবই জটিল আকার ধারন করে। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে এটি সুপ্ত অবস্থায় চলে যায় এবং বছর দুয়েক সুপ্ত থাকার পরে ভয়াবহ রুপে দেখা দেয়। এভাবে চিকিৎসাহীন থেকে গেলে পুরুষাঙ্গের মাথায় বিশাল আকৃতির বিশ্রী ক্ষত বা ঘা হয় , অবস্থা আরো জটিল হতে থাকে এবং এক সময় এই রোগ হৃদপিন্ড এবং মস্তিস্কে ছড়িয়ে পরে বা নিউরোসিফিলিস (Neurosyphilis) হয় , যা রো গীকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়।
বিভিন্ন রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ( যেমন VDRL, TPHA) এই রোগটি সনাক্ত করা যায়। প্রাথমিক পর্যায়েই সিফিলিসের চিকিৎসা করানো উচিত। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পেনিসিলিন শ্রেনীর ঔষধ সেবন অথবা ইঞ্জেকশন গ্রহনে এই রোগ পুরোপুরি ভালো হয়ে যায়। স্বামী - স্ত্রী বা যৌনসঙ্গী উভয়েরই চিকিৎসা নেয়া উচিত অন্যথায় এই ইনফেকশন সঙ্গীর কাছ থেকে আবার হতে পারে।


♥♥♥♥সমাপ্ত♥♥♥♥
প্রকাশক : সৈয়দ রুবেল উদ্দিন
www.facebook.com/sayed.rubel3

কোন মন্তব্য নেই :

গনোরিয়া (Gonorrhoea)

কোন মন্তব্য নেই
যৌন বাহিত এই রোগটি নাইজেরিয়া গনোরি নামক একপ্রকার ব্যকটেরিয়ার কারনে হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে মিলনের ৮ - ১০ দিন পর এই রোগের লক্ষন গুলো দৃষ্টিগোচর হয়। পুরুষের যৌনাংগ দিয়ে পুজ (Pus) বের হওয়া , প্রসাবে জ্বালাপোড়া এই রোগের উপসর্গ।
মহিলাদের যোনিপথ , মূত্রনালী ও গুহ্যদারে এই রোগ হয়। যদিও অনেক মহিলার ক্ষেত্রেই রোগটি কোনো লক্ষন প্রকাশ করেনা তবে প্রসাবে জ্বালাপোড়া , যোনিপথে স্রাব আসা (Vaginal discharge) এসব উপসর্গ নিয়ে অধিকাংশ রোগী চিকিৎসকের দারপ্রান্তে উপস্থিত হয় । সমকামীরা এই রোগে গুহ্যদারে আক্রান্ত হয়।
যৌনাংগ থেকে নিঃসৃত নির্যাস বা পুজ থেকে স্মেয়ার (Smear) বা স্লাইড তৈরী করে অথবা কালচার (Culture) করেও এর জীবানু সনাক্ত করা হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পেনিসিলিন বা সেফালোস্পোরিন জাতীয় অসুধ গ্রহনে এই রোগ ভালো হয়ে যায়। সঠিক সময়ে চিকিতৎসা না করালে পুরুষের শুক্রাশয় (Testes), মহিলাদের ডিম্বাশয় (Ovary), ডিম্বনালী এসব স্থানে প্রদাহ হয়ে রোগী বন্ধাত্ব বরণ করতে পারে। মায়ের এইরোগ থাকলে শিশু অপথাল্মিয়া নিওন্যাটারাম (Opthalmia neonataram) নামক চোখের প্রদাহ নিয়ে জন্ম নিতে পারে।

♥♥♥♥সমাপ্ত♥♥♥♥
প্রকাশক : সৈয়দ রুবেল উদ্দিন
www.facebook.com/sayed.rubel3

কোন মন্তব্য নেই :

বুকের দুধ বাড়াতে করণীয়
কোন মন্তব্য নেই
বুকে কম দুধ আসা অনেক মায়ের জন্য একটি বড় সমস্যা। কিন' এর সমাধান খুব সহজ। দুধের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য মূলত যে বিষয়গুলোজরুরি সেগুলো হলো শারীরিক ও মানসিক বিশ্রাম, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং বিশেষ কিছু খাবার খাওয়া যে খাবারগুলো দুধের পরিমাণ বাড়াতে সরাসরি সহযোগিতা করে।
শারীরিক ও মানসিক বিশ্রাম
বুকে দুধ কম এলে অনেক ক্ষেত্রে মাকে ‘অপয়া’ হিসেবে অপবাদ দেয়া হয়। কিন' বিষয়টি সম্পূর্ণই ভ্রান্ত। এরূপ অপবাদে মা মানসিকভাবে আরও বেশি ভেঙে পড়েনএবং এই মানসিক সমস্যাই মায়ের বুকে দুধ না আসার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। এক্ষেত্রে মা এবং পরিবারের সবাইকে মনে রাখতে হবে যে, বাচ্চা জন্মগ্রহণের পর দুধ আসা একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এবং মায়েরপুষ্টি যদি নিশ্চিত করা যায় তাহলে দুধ আসবে। অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম এবং মানসিক অশান্তি মায়ের বুকের দুধ তৈরিরপ্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। এজন্য মায়ের পর্যাপ্ত বিশ্রামেরব্যবস্থা করতে হবে। যদি সম্ভব হয় প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ মিনিট বিশেষ নিয়মে শবাসন করতে হবে।
শবাসনের নিয়ম
মা বালিশ ছাড়া চিৎ হয়ে আরামের সঙ্গে শুয়ে পড়বেন (বিছানা বা মেঝেতে পাটি বিছিয়ে)। হাত দুটি শরীরের দুই পাশে থাকবে। দুই পায়ের মাঝে আধা হাত পরিমাণ ফাঁকা থাকবে। হালকাভাবে চোখ বন্ধ রেখে নাক দিয়ে লম্বা করে দম নিয়ে মুখ দিয়ে দম ছাড়তে হবে (পাঁচ-ছয়বার)। এরপর কিছুক্ষণ (দুই-তিনবার) স্বাভাবিকভাবে দমনিতে হবে। এরপর নাক দিয়ে ধীরে ধীরে দম নিয়ে নাক দিয়েই ধীরে ধীরে দম ছাড়তে হবে। দম নেয়ার চেয়ে ছাড়ার সময় একটু বেশি হবে। এরপর মনের চোখে নিঃশ্বাসের প্রবেশপথে মনোযোগ দিতে হবে। এতে শরীর ভারী ভারী অনুভব হবে। এবার চিন্তা করবেন বিশাল ফাঁকামাঠে নরম ঘাসের ওপর আপনি শুয়ে আছেন। শীতকাল হলে চিন্তা করবেনহালকা গরম বাতাস আপনাকে ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছে। গরমকাল হলে চিন্তা করবেন হালকা শীতল বাতাসআপনার শরীরে পরশ বুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছে। এবার চারপাশের প্রাকৃতিক পরিবেশ চিন্তা করবেন। পাখির কলতান, ঝরনার ছলছলআর পাতার ঝিরিঝিরি শব্দ ও রঙ, ফুলের মিষ্টি সুবাস প্রভৃতি। এবার আপনার শিশুকে কল্পনায় প্রচুর পরিমাণে আনন্দের সঙ্গে দুধ পান করাতে থাকবেন।
তার সঙ্গে খেলবেন, হাসবেন। ঘুমানোর সুযোগ থাকলে ঘুমিয়ে পড়বেন অথবাধীরে ধীরে মাথা, হাত-পা নাড়বেন এবং উঠে যাবেন।
পানি পান
প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত। পানি পানের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়াতে হবে। ভাতের সঙ্গে কাঁচা লবণ খেতে হবে (অতিরিক্ত পানি খাওয়ার কারণে যাতে শরীরে লবণের ঘাটতি না হয়)। তবে যাদের হাইপ্রেসার বা উচ্চরক্তচাপ আছে তারা কাঁচাবা পাতে লবণ খাবেন না।
ঘন ঘন দুধ খাওয়ানো
বাচ্চাকে যত ঘন ঘন দুধ দেবেন ততবেশি দুধ আসতে থাকবে। বাচ্চা যদি খুব কম দুধ পান করে সে ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে দুধ চিপে ফেলে দেবেন। প্রথম ছয় মাস প্রতিদিন ৮-১০ বারবা বাচ্চার চাহিদা অনুযায়ী আরওবেশি বার দুধ পান করাতে হবে। একবারে ১০-২০ মিনিট বা তারও বেশি সময় ধরে দুধ দেবেন।
খাবার
মাকে যতটুকু সম্ভব বেশি পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার (যেমন-মাছ, ডিম, দুধ প্রভৃতি) খেতে হবে। অতিরিক্ত দুধ তৈরিতে যে খাবারগুলো সরাসরি সহযোগিতা করেসেগুলোর মধ্যে রয়েছে গাজর, শিম,বাদাম (চীনাবাদাম, কাজুবাদাম), কালোজিরার ভর্তা, লাউ, ডুমুর, পালংশাক, কলমিশাক, টমেটো প্রভৃতি।
বিশেষ সতর্কতা
দুধদানকারী মা যদি এইডস, যক্ষ্মা বা অন্য কোনো দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হন তবে দুধদানের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অনুমতি নিতে হবে। দুধদানের সময় মায়ের কখনোই কোক, পেপসি, স্প্রাপ্রাইটপ্রভৃতি কোমল পানীয় এবং চা, কফিপান করা ঠিক নয়। কারণ এগুলো থেকে ক্ষতিকর কিছু উপাদান মায়ের শরীরে এবং মায়ের শরীর থেকে দুধের সঙ্গে বাচ্চার শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এতে বাচ্চা অসুস' হয়ে পড়তে পারে।
লেখক : ডায়েটিশিয়ান

♥♥♥♥সমাপ্ত♥♥♥♥
প্রকাশক : সৈয়দ রুবেল উদ্দিন
www.facebook.com/sayed.rubel3

কোন মন্তব্য নেই :

মনের জানালা page 1
কোন মন্তব্য নেই
আমার অসহায় মা
পৃথিবীতে যতগুলো শব্দ আছে তার মধ্যে সবচেয়ে মধুর শব্দ ‘মা’। মা কথাটি ছোট অতি কিন্তু যেন ভাই ইহার চেয়ে নাম যে মধুর ত্রিভুবনে নাই। হ্যাঁ আমি আমারমমতাময়ী অসহায় মায়ের কথা বলছি।আমার মায়ের মুখের দিকে তাকালে আমার দুঃখে বুক ফেটে যায়। আমার মা ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী কিন্তু ছোটবেলা থেকেই অসুস্থতার জন্য পড়াশোনা বেশিদূর করতে পারেননি। তারপর মাত্র ১৫ বছর বয়সে আমার মায়ের বিয়ে হয়ে যায়। আমার দাদার পরিবার ছিল আমার নানার পরিবারের চেয়ে সচ্ছল। তাই অবহেলা, অপমান, লাঞ্ছনা জুটেছে বিয়ের পর থেকেই। আমার বাবা ছিলেন একজন স্কুলশিক্ষক। মাত্র১০ বছর বয়সে মাকে হারান আমার বাবা। তাই অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করেন। আমার বাবা মানুষহিসেবে অত্যন্ত সৎ এবং ভালো মনের অধিকারী ছিলেন। কিন্তু আমার বাবা অত্যন্ত রাগীও ছিলেন। গ্রামের সবার বিপদে বিনা স্বার্থে ঝাঁপিয়ে পড়তেন। কিন্তু তার সকল রাগ যেন এসে পড়তআমার দুঃখী মায়ের ওপর। হঠাৎ করে অনেক রেগে যেতেন কারণে-অকারণে। এমনকি মাঝে মাঝে মারধরও করতেন আমার মাকে। আমরা সবাই বাবাকে খুব ভয়ও করতাম। আর সে কারণে আমরা বাবার থেকে মাকেই পছন্দ করতাম। আবার বাবা ছিলেন অলস প্রকৃতির। সংসারে যাবতীয় কাজ আমার মা একাই সামলাতেন। আমার মাকে বাবা অনেকভালোবাসেন, শুধু রেগে গেলে খারাপ ব্যবহারও করেন। আমার বাবাও অবশ্য অনেক দুঃখী, ইচ্ছা করে বাবার জন্য কিছু করতে কিন্তু সে যোগ্যতা এখনো হয়নি। আমার মা সব সময় কোনো না কোনো অসুখে ভুগতেন। স্থানীয় ডাক্তারদেখাতেন কিন্তু টাকা-পয়সার অভাবে ভালো ডাক্তার দেখানো সম্ভব হয়নি। কিন্তু এক সময় হঠাৎ অসুখ হওয়ার পর তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। ডাক্তার বলছে আমার মায়ের স্তন ক্যান্সার আর বেশিদিন বাঁচবে না। আমরা অনেক দেরি করে ফেলেছি। কিন্তু আমরা কেউ মানতে রাজি নই। যত দিন বেঁচে থাকে তার চিকিৎসা আমরা করাব। তারপর মায়ের ক্যান্সারেরচিকিৎসা চলছে আজ দুই বছর ধরে। প্রায় ৬-৭ লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে এখন আমার মা পিজি হাসপাতালে রয়েছে। মায়ের আরও একটি অপারেশন লাগবে। তার জন্য সবকিছু ঠিকঠাক ও ওষুধপত্র কিন্তু হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার সময় আমার বাবা অ্যাক্সিডেন্ট করেন। আমার বাবার চোখে ছানি পড়েছে, ভালো করে দেখতেও পারে না। আমার ছোটবোন ক্লাস সিক্সে পড়ে এবং আমার ছোট ভাই মাত্র অনার্সে ভর্তি হয়েছে। আর আমার পড়াশোনাওশেষ হয়নি। বাবা-মাকে সাহায্য করতে পারছি না এ দুঃসময়ে। আমার ভাইয়ের মাথায়ও একটি টিউমার, জানি না চিকিৎসা করাতে পারব কি না। আপনারা আমার বাবা-মায়ের জন্য দোয়া করবেন। তারা যেন তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যান। মা আপনাকে বলছি আমি আপনাকে অনেক ভালোবাসি। আমাদের ছেড়ে এই পৃথিবী থেকে এত তাড়াতাড়ি চলে যাবেন না।
তুশি
গলাচিপা, পটুয়াখালী
ফোনঃ ০১৭৩৯-০৬২০৫০
বাবা তোমায় ভালোবাসি
বাবা-মায়ের অবদানেই আমরা পৃথিবীতে আসি। অথচ একটা সময় তাদের অসহ্য মনে হয়। অবশ্য তাদের বুক নিংড়ানো ভালোবাসায় ধীরে ধীরে বড় হয়ে উঠি। স্বার্থপরের মতো ভুলে যাই তাদের কষ্টের করুণ কাহিনী। এটাযেন আমাদের সমাজের একটা অংশ।
আমার জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্র ছিল মাকে ঘিরে। বাবার প্রতি শ্রদ্ধা ছিল কিন্তু ভালোবাসা অনুভব করতাম না। আজ মনে হচ্ছে বাবা তোমাকে খুব খুউব ভালোবাসি। তুমি বিশ্বাস করবে কি না জানি না মায়ের সাথে যখন অকারণে রাগারাগি করতে, অপমানিত করতে খুব কষ্ট হতো আমার। ছোট ছিলাম বলে কেউ শুনত না আমার কথা, বলতেও পারতাম না। মায়ের চোখের জল আমাকে বিদ্রোহী করে তুলত। মনে হতো মরে যাই, এ রকম অশান্তি আর ভালো লাগে না।
সত্যি কথা বলতে কি দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে আজ প্রেক্ষাপট সব পাল্টে গেছে। আজ যার শুধু ভালোবাসা পাওয়ার কথা সে কেবল অযৌক্তিকভাবে অবহেলা আর গঞ্জনার শিকার। বাবা-মায়ের কষ্ট দেখে মনে হয় সন্তান জন্ম দেয়া এক মহা ভুল। সন্তানের কাছে লাঞ্ছনা আর বঞ্চনার যে কী কষ্ট তা তোমাদের দেখে উপলব্ধি করতে পারি।
আমার বাবার সবচেয়ে আদরের সন্তান হলো আমার বড় ভাই। বাবা কখনো কি ভেবেছিলে তোমার সবচেয়েআদরের সন্তানটি তোমাকে কষ্ট দেবে। শিক্ষা-দিক্ষা ও কর্মজীবনে সাফল্যের দাবিদার হয়েও এ কেমন ব্যবহার জন্মদাতারসাথে। অকথ্য ভাষার মাধ্যমে পিতার চোখের জল ঝরায়, হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটায়, উপর থেকে নিচে ফেলে দেয়। বিত্ত বৈভবের কাছে মনুষ্যত্ব হারিয়ে গেছে। বিলীন হয়ে গেছে বাবার আদর-ৱেহ-ভালোবাসা। প্রতি মাসে কিছু টাকা হাতে ধরিয়ে দিলেই সন্তান হিসেবে দায়িত্ব শেষ। ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও ইচ্ছার বড় অভাব।বাইরের লোকদের জন্য উদারভাবে খরচ করতে বাধা নেই, সংসারের কারও জন্য কিছু করলেই হিসাব।
একবারও ভাবে না বাবা-মা, ভাই-বোনদের প্রতি রয়েছে দায়িত্ব। দায়িত্ব পালন করলেই সে পাবে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা। বাবার অহংকার ছিলে তুমি...কিন্তু বাবার মনের ক্ষতস্থানে কষ্টের প্রলেপ এঁকেদিলে নির্দ্বিধায়। আমার সামনে যখন তোমাকে কটূক্তি করে আমার বুকটা কষ্টে ভেঙে খান খান হয়ে যায়। বুকটায় টনটন একটা ব্যথা অনুভব হয়। প্রতিবাদ করতে ইচ্ছাকরে কিন্তু পারি না। কারণ আমি যে সংসারে আর্থিক সাহায্য করতেপারি না। বাবা তোমার জন্য নীরবে-নিভৃতে চোখের জল ঝরে। এমনও হয় সারারাত ঘুমাতে পারি না। বাবা তোমাকে যে এত ভালোবাসি সেটা নিজেও জানতাম না। তোমার চোখের জল আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছে বাবা হওয়াটা আনন্দের চেয়ে কষ্টের বেশি। আজ কেবল মনে হয় আমার বুঝতে অনেক দেরি হয়ে গেছে। তোমার জন্য কিছুই করতে পারি না, এটা আমাকে যন্ত্রণা দেয়। আমি আপ্রাণ চেষ্টা করছি তোমার কষ্ট দূর করার জন্য।
বাবা তোমার কষ্টগুলো আমাকে বলেদেয়...তোমাকে অনেক ভালোবাসি।
সাদিয়া খানম
কাওলার মেইন রোড, উত্তরা, ঢাকা
ফোনঃ ০১৭২১-১৫০১৯০

কোন মন্তব্য নেই :

নারী যৌনতা নিয়ে দুশ্চিন্তা

1 টি মন্তব্য
অনেক নারী যৌনতা নিয়ে অস্বাচ্ছন্দ্যতা বা এক ধরনের চিন্তা, বা শঙ্কায় ভোগেন। তারা স্বাভাবিক শরীরের অধিকার হলেও যৌনাঙ্গ নিয়ে অনেক সময় বেশ অস্থির থাকেন। অবশ্য নারীরা চরমপুলক বা যৌন শিহরণমূলক অনুভূতি অথবা অন্যদের মতো সেক্স তারা কেন করতে পারেন না এ নিয়েও য় ভোগেন। হঠাৎ করে কোনো যৌনসঙ্গম একটু ব্যথাদায়ক হলে তাদের উদ্বেগের সীমা থাকে না।
যৌন আচরণ অনুভূতি আর যৌন ইচ্ছার নির্দিষ্ট কোনো সীমা নেই। বিভিন্ন ধরনের আসন, বিভিন্ন রকমের টেকনিকে অনেকে খুব যৌনমুখ পান-আবার অনেকে পান না। একজন নারী যৌন আনন্দ বা যৌনসুখের জন্য যে আসন বা ব্যবস্থাটিই বেছে নিক না কেন তা কিন্তু সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। অন্য নারীরা যা করে তা আপনাকে একইভাবেকরতে হবে এমন কোনো কথা নেই। তবে কারো অনিচ্ছা আরআপত্তি সত্ত্বেও তার সাথে যৌন সঙ্গম করা অন্যায়। বলাৎকার এবং অপব্যবহার এই দুটিই আইনের দৃস্টিতে অপরাধ।
আসলে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে একজন নারীকে অবশ্যই তার শরীর বা বডি ইমেজ সম্পর্কে স্বচ্ছ সাবলীল ধারণা থাকা চাই। এক্ষেত্রে নারী তার যৌনসঙ্গীর সাথে যোগাযোগ করে ও পরামর্শ নিয়ে উপকৃত হবেন। নারীকে অবশ্যই জানতে হবে কিসে যৌনানন্দ বোধ হয় এবং তিনিকি অপছন্দ করেন।
নারী যৌনাঙ্গের সবচেয়ে সংবেদনশীল স্পর্শকাতর ফুলের মতো বা ঠোঁটের মতো অংশটাকে ক্লাইটোরিস বা ভগাংকুর বলে। এতে সুখস্পর্শ করলে নারীর দেহমনে এক অন্যরকমের যৌনসুখ অনুভূত হয়।যৌন সঙ্গমের সময় একজন নারী ঠিক যেভাবে বা যেরকম স্পর্শ তার ক্লাইটোরিসে চায় সেরকম হয় না। তাই যৌনসঙ্গমের সময় এমন একটা পথ বেছে নিন যাতে কিনা ক্লাইটোরিসের সাথে মৃদু বা মাঝারি ঘর্ষণ নিশ্চিত হয়। নারী নিজে বা তার যৌনসঙ্গী যৌনক্রিয়ার সময়ক্লাইটোরিসকে উদ্দীপিত করতে পারে বা বীর্যস্খলনের পর নারীকে চরমপুলক বা যৌন শিহরণ দেয়ার জন্য এটাকে উদ্দীপিত করতে পারে। নারী নিজেই আবিস্কার করবে কার মাধ্যমে হস্তমৈথুনে তিনি বেশি যৌনসুখ পান, তার যৌনসঙ্গীর মাধ্যমে না নিজের মাধ্যমে।
নারী যদি সত্যিকারভাবেই উদ্দীপিত হয় তাহলে কিন্তু যোনি ভিজে যায়। এরফলে যৌনসঙ্গম সহজতর হয়। কতক নারী-পুরুষ আবার যোনিকে ভেজা রাখার জন্য দ্রবণীয় কোনো পিচ্ছিল তরল ব্যবহার করেন।
এটা যেকোনো ড্রাগ ষ্টোর থেকে কেনা যেতে পারে; তবে পেট্রোলিয়াম জাতীয় পিচ্ছিলকারক পদার্থ কখনোই ব্যবহার করবেন না।
একজন নারী তার যৌনানুভূতি বা যৌন ইচ্ছার কথা দেহের ভাষাতে প্রকাশ করতে পারেন। আর আপনি যদি এতে সফল হন তবে আপনার যৌনসঙ্গী আপনার সাথে যৌনকর্মে বা যৌনসঙ্গমে মিলিত হতে চাইতে পারেন-এতে করে উভয়েই যৌনানন্দ আর যৌনসুখ নিঃসন্দেহে পাবেন।
গর্ভসঞ্চারের ভীতি, যৌনবাহিত রোগ হওয়ার শঙ্কা বা দুশ্চিন্তা ইত্যাদি সবকিছুই সেক্সেরঅনুভূতিকে কমিয়ে দিতে পারে। ক্লান্ত বা অবসাদগ্রস্ত হওয়া, মনোশারীরিক চাপ বা ষ্ট্রেস, অসুস্থতা বা এ্যালকোহল সেবন যৌন আচরণ আর অনুভূতিতে গভীর প্রভাব ফেলে।
সেক্স সম্বন্ধে নেতিবাচকঅভিজ্ঞতা যেমন অপব্যবহার, যৌন অত্যাচার বা নিপীড়ন, ধর্ষণ, বলাৎকার বা সেক্স একটা নোংরা ব্যাপার-এরূপ ধারণা সেক্সের ওপরে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে। তবে কতক নারীর ফিজিক্যাল বা শারীরিক সমস্যা থাকতে পারে। সেক্স সম্পর্কীয় মানসিক সমস্যার জন্য অবশ্যই সেক্স থেরাপিষ্টের শরণাপন্ন হওয়া দরকার।

♥♥♥♥সমাপ্ত♥♥♥♥
প্রকাশক : সৈয়দ রুবেল উদ্দিন
www.facebook.com/sayed.rubel3

স্ত্রীকে দ্রুত তৃপ্তির উপায়

কোন মন্তব্য নেই

১। গালে ঠোঁটে ঘন ঘন চুম্বন করা।
২। স্ত্রীর ঊরুদেশ জোরে জোরে মৈথুনের আগে ঘর্ষণ করা।
৩। সম্ভোগের আগে যোনিদেশ, ভগাঙ্কুর কামাদ্রি আলতো ভাবে ঘর্ষণ করা।
৪। ভগাঙ্কুর মর্দন।
৫। মৈথুনকালে স্তন মর্দ্দন।
৬। সহাবাসের আগে যদি পুরুষাঙ্গের আগায় খুব সামান্যপরিমাণ কর্পূর লাগানো হয় তবে স্ত্রী দ্রুত তৃপ্তি লাভ ক’রে থাকে। তবে কর্পূর যেন বেশি না হয়, তাতে স্ত্রী যোনি ও পুরুষাঙ্গ জ্বলন অনুভূত হ’তে পারে। আরো কৌশল জানতে এখানে ক্লিক করুন
আরো কিছু পোস্ট এর তালিকা...
০১ সহবাসের সময় যে দো'আ পড়তে হয়
০২ প্রশ্নঃ আমি আমার বউয়ের মলদ্বার দিয়ে সহবাস করতে চায়। সে রাজি আছে, সে বলে করতে এখন আমি কি করবো?
০৩ মামা-ভাগ্নির সেক্স কাহিনী
০৪ বীর্য যোনিতে ঢুকার কতদিন পর মেয়েরা গর্ভবতী হয়?
০৫ ভয়ঙ্কর অগ্নীগিরি র ভিডিও
০৬ আবাসিক হোটেল রমরমা সেক্স বানিজ্য (দেহ ব্যবসার ভিডিও)
০৭ ব্রা-পেন্টি পড়া কি ইসলামে জায়েয আছে?
০৮ পায়ু পথে সঙ্গম করা কি ভালো?
০৯ বাচ্চা হয় কিভাবে?
১০ ভাবির সাথে দেবরের সেক্স

কোন মন্তব্য নেই :

এইডস প্রতিরোধে করণীয়
কোন মন্তব্য নেই
এইডস সম্পর্কে সবচেয়ে ভয়ংকর যে তথ্যটি আমরা এখন পর্যন্ত পাই তা হলো এইডসে আক্রান্ত রোগীকে সুস্থ করার জন্য কোন কার্যকরী ওষুধ এখনো উদ্ভাবন করা সম্ভব হয় নি। “হার্রট” অর্থাৎ Highly active antiretroviral therapy (HAART) নামক এক ধরণের কম্বিনেশন ওষুধ রয়েছে এইডসের চিকিৎসার জন্য যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এ ওষুধ এইডস রোগীকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করতে পারে না বরং মৃত্যুকে কিছুদিনের জন্য বিলম্বিত করতে পারে মাত্র। যেহেতু এইডসের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং চিকিৎসায় পুরোপুরি আরোগ্যলাভ অসম্ভব তাই এইডস প্রতিকারের চেয়ে এইচআইভি অনুপ্রবেশ অর্থাৎ এইডস প্রতিরোধই কার্যকর উপায়। তবে হতাশার কথা এই যে, এইডস প্রতিরোধের জন্য ব্যাপক গবেষণা চললেও এর প্রতিরোধের জন্য কোন টীকা বা প্রতিষেধক আবিস্কারে অগ্রগতি ঘটে নি এবং খুব সহসাই এইডস প্রতিরোধক টীকা আবিস্কার হওয়ার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। তাই এইচআইভি সংক্রমিত করে এমন সব মাধ্যমগুলো সম্পর্কে সতর্ক থাকা জরুরী।
কনডম শতভাগ নিরাপদ নয়
এইডস সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রচার মাধ্যমে কনডমের ব্যবহারকে উৎসাহিত করার জন্য চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়। অথচ এইডস প্রতিরোধে কনডম শতভাগ কার্যকরী পন্থা নয়, এমনকি কনডম জন্মনিয়ন্ত্রনেও শতভাগ সফল নয়। তাই কনডমের কার্যকারীতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদানের জন্য খোদ আমেরিকাতেই জোড় তৎপরতাশুরু হয়েছে।
এইডস প্রতিরোধে সংযত যৌনাচার
যৌনস্পৃহা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। বংশবিস্তারের জন্য তথা মানবজাতির ধারা অব্যাহত রাখতে যৌনমিলনের কোন বিকল্প নেই। আর এ জন্যই মানুষ বিয়ে করে,গড়ে তোলে সমাজের ভিত্তিমূল তথা পরিবার। স্বামী-স্ত্রীর যৌনমিলনে ঘর আলোকিত করে আসে নতুন প্রজন্ম এবং তাকে স্থান ছেড়ে দিয়ে পৃথিবী থেকে এক সময় বিদায় নেয় পূর্বসূরীরা। এভাবেই ক্রমান্বয়ে মানবজাতি অব্যাহতভাবে টিকিয়ে রেখেছে তার অস্তিত্ব।
কিন্তু পরিবার প্রথার বাইরে অবাধ যৌনাচার একদিকে যেমন পরিবারকে করে তোলে অশান্ত, সমাজকে করে কলুষিত তেমনি ভয়াবহতম আপদ তথা এইডসের বিস্তারঘটিয়ে অপরাধী-নিরপরাধ এমনকি নিষ্পাপ শিশুদের পর্যন্ত মৃত্যুর কোলে ঠেলে দেয়, মানবজাতির অস্তিত্বকে করে হুমকির সম্মুখীন। একজন অনৈতিক যৌনাচারী এইডসের বীজানু বহণ করেরোপন করে স্ত্রী/স্বামীর শরীরে,স্ত্রীর শরীর থেকে তা চলে যায় গর্ভস্থ সন্তানের শরীরে।। অথচ স্বামী-স্ত্রী একে অন্যের প্রতিবিশ্বস্ত থাকলে খুব সহজেই এইডসের ভয়াবহতা থেকে মুক্ত থাকাযায়।
ব্যভিচার এইডসের প্রধান বাহক
ইসলাম যৌনতাকে অস্বীকার করে না বরং নির্ধারিত সীমার মাঝে যৌনাচারকে ইসলাম ইবাদত হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। অবাধ যৌনাচার বা ব্যভিচারকে ইসলাম কখনো অনুমোদন করে না এমনকি ব্যভিচারেলিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমনবিষয়গুলোকে থেকেও বেঁচে থাকতে ইসলাম নির্দেশ দেয়।
আর ব্যভিচারের কাছেও যেও না। নিশ্চয়ই এটা অশ্লীল কাজ ও মন্দ পথ। -সূরা বনী ইসরাইল, আয়াত ৩২
ব্যভিচারকে ইসলাম এতটাই অভিষপ্ত কাজ বলে সাব্যস্ত করেছেযে আল্লাহ ব্যভিচারী/ব্যভিচারীনীর জন্য কঠোরতম শাস্তি এবং তা জনসম্মুখেবাস্তবায়নের বিধান করেছেন।
ব্যভিচারিনী নারী, ব্যভিচারী পুরষ, তাদের প্রত্যেককে একশ করে বেত্রাঘাত কর।আল্লাহর বিধান কার্যকর কারণে তাদের প্রতি যেন তোমাদের দয়ার উদ্রেগ না হয়, যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাক। মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে। সূরা আন-নূর ২
শুধু তাই নয় ব্যভিচারী/ব্যভিচারীনীর সাথে মুমিনদের বিয়েকেও আল্লাহ নিষিদ্ধ করেছেন:
ব্যভিচারী পুরষ কেবল ব্যভিচারী নারী অথবা মুশরিক নারীকেই বিয়ে করে এবং ব্যভিচারীনীকে কেবল ব্যভিচারী অথবা মুশরিক পুরুষই বিয়ে করে এবং এদেরকে মুমিনদের জন্য হারাম করা হয়েছে। সূরা আন-নূর ৩
সমকামিতা নিকৃষ্টতম যৌনাচার]
সমকামিতা প্রকৃতি ও নৈতিকতা বিরুদ্ধ নিকৃষ্টতম যৌনাচার। এইডসসহ যাবতীয় যৌনরোগ সংক্রমনের অন্যতম ঘৃণ্য মাধ্যম সমকামিতা। জানামতে কোন ধর্মই সমকামিতাকে বৈধ মনে করে না এবং ইসলাম সমকামিতার ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর মনোভাব পোষণ করে। সমকামিতার আল্লাহর কাছে এতটাই ঘৃণ্য আচরণ যে এ অন্যায় আচরণের জন্য তিনি হয়রত লুত (সাঃ) -এর সভ্যতাকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ সমকামিতাকে নিষিদ্ধ করে বলেন:
এবং আমি লূতকে প্রেরণ করেছি। যখন সে স্বীয় সম্প্রদায়কে বলল: তোমরা কি এমন অশ্লীল কাজ করছ, যাতোমাদের পূর্বে সারাবিশ্বের কেউ করেনি? তোমরা তো কামবশত: পুরুষদের কাছে গমন কর নারীদেরকেছেড়ে। বরং তোমরা সীমা অতিক্রম করছ। সূরা আল-আ’রাফ ৮০-৮১
সারা জাহানের মানুষের মধ্যে তোমরাই কি পুরুণদের সাথে কুকর্মকর? এবং তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের যে স্ত্রীগণকে সৃষ্টি করেছেন, তাদেরকে বর্জন কর? বরং তোমরা সীমা লংঘনকারী সম্প্রদায়। সূরা আশ শো’আরা ১৬৫-১৬৬
শুধু তাই নয় যৌনআবেগের সাথে পুরুষের সাথে পুরুষের কিংবা নারীর সাথে নারীর আলিঙ্গণকেও ইসলাম নিষিদ্ধ করেছে এবং একে ব্যভিচার হিসেবে সাব্যস্ত করেছে।
রাসূল (সাঃ) বলেন, যৌন আবেগের সাথে নারীদের পারস্পরিক আলিঙ্গনও ব্যভিচারের পর্যায়ভুক্ত -তাবারানী
স্ত্রীর মলদ্বারে সঙ্গমও হারাম
ইসলামে স্বামী-স্ত্রীকে একে অপরের পরিচ্ছদ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ স্বামী এবং স্ত্রীর মাঝে যৌনাচারের ক্ষেত্রে অবাধ স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর অবাধ মেলামেশার পরেও কয়েকটি ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ বেঁধে দেয়াহয়েছে। ঋতুকালীন সময়ে স্ত্রী সহবাসকে ইসলাম নিষিদ্ধ করেছে।
আর তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে ঋতু সম্পর্কে। বলে দাও, এটা অশুচি। কাজেই তোমরা ঋতুঅবস্থায় স্ত্রীগমন থেকে বিরত থাক। সূরা বাক্বারা -২২২শুধু তাই নয়, সমকামিতা যেমন ইসলাম নিষিদ্ধ করেছে ঠিক তেমনি স্ত্রীর মলদ্বারেও সংগমকে ইসলাম কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছে।
এ প্রসঙ্গে রাসূল (সাঃ) বলেন, যে লোক সমকাম কিংবা মহিলাদের মলদ্বার দিয়ে যৌন সঙ্গম করবে, আল্লাহ পাক তার দিকে ফিরেও তাকাবেন না-তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনে হেববান।
সর্বপ্রকার অশ্লীলতাই মূলত অবাধ যৌনাচারকে উস্কে দেয়। এক্ষেত্রে অবাধ যৌনাচার প্রতিরোধে যাবতীয় অশ্লীলতাই পরিহার করা উচিত। আর শয়তান (কিংবা আমাদের প্রবৃত্তি) সব সময় আমাদেরকে অশ্লীলতার দিকে ধাবিত করতে চায়। তাই অশ্লীলতা প্রতিরোধে রাসূল (সাঃ) -এর পরামর্শ হলো নিভৃতে একাকী কোন স্ত্রী/পুরুষের সাথে অবস্থান নাকরা। তিনি বলেন:
কোন পুরুষ যখন কোন মহিলার সাথে নিভৃতে অবস্থান করে, শয়তান তখন তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে সেখানে অবস্থান নেয়” -তিরমিযী, তাবারানী।

♥♥♥♥সমাপ্ত♥♥♥♥

কোন মন্তব্য নেই :

এইডস প্রতিরোধে করণীয়(দুই)
কোন মন্তব্য নেই
এইডসের বীজানু সংক্রমিত হওয়ার আরেকটি বিপদজনক মাধ্যম হলো মাদক। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাদকের যে আগ্রাসনচলছে তাতে অন্য মাধ্যমগুলো বাদ দিলেও শুধুমাত্র মাদকের মাধ্যমেই এইডস মহামারী আকার ধারণ করতে পারে। মহাজ্ঞানী আল্লাহ তায়ালা তাই মাদককে নিষিদ্ধ করেছেন।
“হে মুমিনগণ, এই যে মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য-নির্ধারক শরসমূহ এসব শয়তানের অপবিত্র কার্য বৈ তো নয়। অতএব, এগুলো থেকে বেঁচে থাকো- যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও। শয়তান তো চায়, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদেরপরস্পরের মাঝে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চারিত করে দিতে এবং আল্লাহর স্মরণ ও নামায থেকে তোমাদেরকে বিরত রাখতে। অতএব, তোমরা এখনো কি নিবৃত হবে না”? সূরা আল-মায়েদাহ ৯০-৯১।
মাদকতো মানুষের চিন্তা-চেতনাকে আচ্ছন্ন করে ফেলে, ফলে হিতাহিত জ্ঞানশূণ্য মানুষ যে কোন অনৈতিককাজে ঝাপিয়ে পড়তে পারে মাদকের কারনে। তাই এইডস থেকে বাঁচতে হলে মাদককে অবশ্যই পরিহার করতে হবে।
রাসূল (সাঃ) বলেন; “তোমরা মদ থেকে বেঁচে থাক, এটা সকল অশ্লীলতার উৎস” -হাকাম।
একজন ঈমানদার কখনোই মাদকের ফাঁদে পা দিতে পারে না। ঈমানদার মাদকে জড়িয়ে পড়লে তার ঈমান চলে যায় এবং তওবা ছাড়া তার পক্ষে আর মুমিন হওয়া সম্ভব নয়। আর তওবা করে মুমিন অবস্থায় ফিরে এলেও মাদকের কারনে যদি এইচআইভি বীজানু শরীরে প্রবেশ করে তবে তওবা কিন্তু এইডস থেকে মুক্ত করে না।
রাসূল (সাঃ) বলেন: “চোর চুরী করার সময় মুমিন থাকে না। ব্যভিচারী ব্যভিচারে রত অবস্থায় মুমিন থাকে না। মদ্যপায়ী মদপানরত অবস্থায় মুমিন তাকে না। অতপর তওবা করলে মুমিন অবস্থায় ফিরে আসে”। -বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী
সিরিঞ্জ ব্যবহারে সতর্কতা জরুরী
প্রতিদিন হাজারো প্রয়োজনে আমাদের চিকিৎসকের সরনাপন্ন হতে হয় এবং ইনজেকশনের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ দরকার হয়ে পরে। কিছু কিছু জটিল রোগ রয়েছে যা রোগীদেরকে দিনে একাধিকবার ইনজেকশন নিতে বাধ্য করে। এছাড়া রক্ত পরীক্ষার জন্যও ইনজেকশন ব্যবহার জরুরী।
আর এর প্রতিটি পর্যায়েই এইচআইভি সংক্রমনের মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে। তাই শরীরে ইনজেকশনের সুই প্রবেশের পূর্বেই নিশ্চিত হওয়া দরকার যে এটি এইচআইভি বীজানু বহন করছে কি না। এজন্য ইনজেকশনের সিরিঞ্জ ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই তা জীবানুমুক্ত করে নেয়া জরুরী। আরএক্ষেত্রে একবার ব্যবহার উপযোগী সিরিঞ্জ ব্যবহার করাই শ্রেয়। বাংলাদেশের এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী ফেলে দেয়া পুরনোইনজেকশনের সিরিঞ্জকে পুনরায় বাজারজাত করে থাকে। এর ফলে শরীরে বিভিন্ন সংক্রমক রোগের বীজানু অনুপ্রবেশের ঝুঁকি থেকেই যায়। তাই এ ব্যাপারে জনসচেতনা এবং সরকারী কঠোর নিয়ন্ত্রন অত্যন্ত জরুরী।
রক্ত পরিসঞ্চালনে সতর্কতা
এছাড়া রক্ত পরিসঞ্চালন চিকিৎসা ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয়। কিন্তু জরুরী প্রয়োজনে রক্ত গ্রহণ করতে গিয়ে শরীরে প্রবেশ করতে পারে ভয়ংকর এইচআইভিবীজানু। তাই রক্ত গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই সঠিকভাবে রক্ত পরীক্ষা করে নেয়া অত্যন্ত জরুরী। যদিও এক্ষেত্রে দেশের বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে ব্যাপক অবহেলা পরিলক্ষিত হয় বিশেষ করে অদক্ষ ও অশিক্ষিত টেকনিশিয়ান দ্বারা রক্ত পরীক্ষা করিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অগ্রিম সীল ও স্বাক্ষরযুক্ত রিপোর্ট ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে নামী-দামী অনেক প্রতিষ্ঠানের নামেও অভিযোগ পাওয়া যায়। তাই রক্ত পরীক্ষার ক্ষেত্রে বিশ্বস্ত কোন ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা ক্লিনিকে পরীক্ষা করানো উচিত।
মাতৃত্বকালীন সতর্কতা জরুরী
এইচআইভি বীজানু মায়ের শরীর থেকেখুব সহজেই গর্ভস্থ শিশুর শরীরে প্রবেশ করতে পারে। তাই শিশুর সুন্দর ভবিষ্যতের স্বার্থে অত্যন্ত সতর্কাবস্থা জরুরী। প্রসবকালী সময়ে এইচআইভি বহণকারী মায়ের শরীর থেকে শিশুর শরীরে এইচআইভি সংক্রমিত হতে পারে।
এক্ষেত্রে করণীয়:
১। গর্ভাবস্থায় এইচআইভি প্রতিরোধকারী ওষধ নিয়মিত ব্যবহার করা।
২। সিজারের মাধ্যমে সন্তান জন্মদান করা।
৩। বাচ্চাকে বোতলের দুধ খাওয়ানো। তবে জিডোভুডিন ওষুধ ব্যবহারের মাধ্যমে ঝুঁকি কিছুটা হ্রাস করা যায় এবং সন্তানকে মায়ের দুধ পান করানো যায়। কিন্তু এরপরও এইচআইভি সংক্রমনের ঝুঁকি রয়েই যায়। ধারণা করা হয় যে শিশুর শরীরে এইচআইভি সংক্রমনের ১০ভাগ মায়ের দুধের মাধ্যমেই সংক্রমিত হয়।
মনে রাখতে হবে যে মায়ের শরীর থেকে বাচ্চার শরীরে এইচআইভি সংক্রমন প্রতিরোধে যে সকল সতর্কতার কথা বলা হয়েছে তার কোনটাই শতভাগ কার্যকরী পন্থা নয়, পদ্ধতিগুলো ঝুঁকি কিছুটা কমাতে পারে মাত্র, ঝুঁকিমুক্ত করে না।
উল্কি হতে পারে এইচআইভি বাহক
ইদানিং পাশ্চাত্য সমাজের অন্ধ অনুকরণে তরুন সমাজ শরীরে উল্কি অঙ্কনের দিকে ধীরে ধীরে ঝুঁকে পড়ছে। তরুন সমাজ শরীরে উল্কি অঙ্কনকে আধুনিকতার নিদর্শন হিসেবে মনে করছে। অথচ উল্কি আদৌ আধুনিক কোন শিল্পকর্ম নয় বরং অন্ধকার যুগেও উল্কি অঙ্কনের প্রচলন ছিল। অথচ পাশ্চাত্য অনুকরনে শরীরে উল্কি অঙ্কন করে আমাদের তরুনরা ভয়াবহ এইচআইভি সংক্রমনের ঝুঁকিকে বাঁড়িয়ে তুলছে। উল্কি অঙ্কনের জন্য ব্যবহৃত সুঁচ এবং কালি হয়ে উঠতে পারে এইচআইভি সংক্রমনের বাহন। অথচ রাসূল (সাঃ) উল্কি অঙ্কনককে নিষিদ্ধ করেছেন।
“আল্লাহর রাসূল অভিষাপ দিয়েছেন উল্কি অঙ্কনকারীনীদের এবং তাদের যারা শরীরে উল্কি অঙ্কন করায়”। -বুখারী।

♥♥♥♥সমাপ্ত♥♥♥♥
প্রকাশক : সৈয়দ রুবেল উদ্দিন
www.facebook.com/sayed.rubel3

কোন মন্তব্য নেই :

ছেলে এবং মেয়েদের যৌন অক্ষমতার সমস্যা এবং তার সহজ মেডিকেল সমাধান page 2
কোন মন্তব্য নেই
মেয়েদের কমন যৈন অক্ষমতার সমস্যা:
মেয়েদের যৈন অক্ষমতার বেপারে রয়েছে আরো বেশি নলেজের অভাব। এটা যে হয় সেটাই ৯০ ভাগ মানুশ জানে কিনা সন্দেহ আছে, এমনকি স্বয়ং মেয়েরাও জানে না অনেক সময়। দেশে আমি এই পর্যন্ত কোথাও এই বেপারে কোনো আরটিকেল দেখি নাই।
ভাজাইনাল ড্রাইনেস এবং পেইনফুল ইন্টারকোর্স:
মেয়েদের বেলায় সেক্সুয়াল এরাউসালের ( যৈন উত্যেজনার ) সময় লুব্রিকেশন (যোনিরস) হয় যার ফলে ভাজায়না ভিজে যায় এবং সেক্স করতে ( পেনিস ঢুকতে ) সুবিধা হয়। লুব্রিকেশনের বেশির ভাগ ফ্লুইড (রস) ভাজাইনার দেয়াল থেকে নির্গত হয় তবে ছোট একটি গ্লেন্ড ( থলি )থেকেও কিছু বর হয়। অনেক মেয়েদের সমস্যা দেখা দেয় যে লুব্রিকেশন হয়না বা সময়মত হয়না, যার ফলে সেক্স এনজয়ের বদলে পেইনফুল হয় ( পেইনফুল ইন্টারকোর্স)।বেশিরভাগমেয়েরা সেটা তার হাসবেন্ড কে জানায় না নিজের অক্ষমতা মনে করে। কিনতু এখানে খোলামেলা কথা না বললে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। ভাজাইনাল ড্রাইনেসের সবচে বরো কারনটা আসলে ছেলেদেরই দোষ। ইন্টারকোর্স ( ভাজিনাতে পেনিস প্রবেশে) এর পুর্বে যথেষ্ঠ স্টিমুলেশন ( যৈন উত্যেজনা ) না থাকলে লুব্রিকেশন সময় মতন হয় না। ইন্টারকোর্সের আগে যথেষ্ঠ সময় আর এটেনশন নিয়ে সেক্সয়ালস্টিমুলশন ( কিসিং, সাকিং ) করলেই বেশিরভাগ বেলায় এর সমাধান সম্ভব। ছেলেদের যেমন পেনিসে রক্তনালিতে ফেট ( চর্বি )জমার কারনে ইমপোটেন্সি হয় তেমনি মেয়েদের বেলাতেও তেমনি ভাজাইনাল ব্লাড ভেসেলের ( রক্তনালিতে ) চর্বি জমলে এই সমস্যা হতে পারে। তাই ব্লাড ভেসেলের চর্বি কমানোর চেস্টা করতে হবে। ফেট কম খাওয়া, বেয়ামকরা, সিগারেট না খাওয়া হল এর উপায়।
আর্টফিসিয়াল লুব্রিকেশন: এরপরেয় যদি এনাফ লুব্রিকশন না হয় এবং সেক্স পেইনফুল হয় তাহলে আর্টিসিয়াল লুব্রিকেশন ( নকল যোনিরস) ইউজ করা যায়। দেশের মেয়েরা সাধারনত তেল বা ভেসলিন ইউজ করে থাকে কিন্তু এতে সমস্যা হচছে যে বেশি ইউজ করলে ভাজাইনার নরমাল বেকটেরিয়াল ফ্লোরা ( শরিরের জন্য উপকারি বেকটেরিয়া ) নষ্ট হয় এবং তাতে ঘন ঘন ভাজাইনাল ইনফেকশন হতে পারে। এর জন্য স্শেপয়াল আর্টিফিসিয়াল লুব্রিকেশন পাওয়া যায় যা নাকি ঘন পানির মতন হয়। ( বাংলাদেশে আছে কিনা জানিনা )। যদি তেল বা ভেসেলিন ইউজ করা হয় তাহলে সেটা সেক্সের পরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

♥♥♥♥সমাপ্ত♥♥♥♥
প্রকাশক : সৈয়দ রুবেল উদ্দিন
www.facebook.com/sayed.rubel3

কোন মন্তব্য নেই :

ছেলে এবং মেয়েদের যৌন অক্ষমতার সমস্যা এবং তার সহজ মেডিকেল সমাধান page 1
কোন মন্তব্য নেই
বাংলাদেশ একটি কনসারভেটিভ দেশ, তবে বর্তমানে এদেশের সেক্স কালচার অনেক ফাস্ট, অনেক কম বয়সথেকেই ছেলে মেয়েরা সব কিছু জানে, বুঝে এবং করে ( বিশেষ করে শহরে )। কিন্তু সেক্সের এট্রাকটিভ দিক গুলোতেই সবার সাভাবিক ভাবেই আকর্ষন বেশি এবং এসব সমন্ধে জানার আগ্রহ থাকে, বেশি। তবে সেকসু্যাল সমস্যার বেপারে রয়ে গেছে ভয়ানক অগ্যতা, এবং যা জানা থাকে তার বেশিরভাগি ভুল তথ্য। আমি এই পোস্টে এইডস এর বেপারে কোনো আলোচনা করবো না কারন বিদেশি ফান্ডের সুবাদে এই সমন্ধে যথেষ্ঠ প্রচারনা হয়। কিন্তু এইডস হচ্ছে একটি রেয়ার প্রবলেম, এর থেকে কমন কমন সমস্যাসমন্ধে বেশিরভাগ মানুষের কোন আইডিয়া নাই, যেসব সমস্যা ঘরের কাছের সমস্যা। আর কমন সমমস্যার নিয়ে অনেক আরটিকেল পেপার মেগাজিনে পরলেও এর সঠিক মেডিকালসমাধান খুব কমি পরসি। তাই আমি চেষ্টা করবো কমন লেংগুয়েজে শুধু মাত্র মোস্ট কমন কারোন গুলো উল্যেখ করার এবং সহজ সমাধান গুলো তুলে ধরার চেস্টা করলাম। ছেলেদের কমন সেকসুয়াল সমস্যা এবং তার সমাধান।
মেইল ইমপোটেন্স:
ছেলেরা যেই বেপারে সবচাইতে বেশিচিন্তিত থাকে সেটা হচ্ছে ইরেকশনপ্রবলেম। যদিও এই সমস্যা মধ্যবয়সিদের মাঝে বেশি দেখা দেয়, কিন্তু অনেকগুলো কারোনের জন্য দেশের যুবক শ্রেনিদের মাঝেও এখন এই সমস্যা টা একটি বরোসমস্যা।
ধুমপান: ইউথ ইমপোটেন্স বা যুবকদের যৈন অক্ষমতার প্রধান কারন গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ধুমপান, বাংলাদেশের মোটামুটি সবাই ধুমপান করে যা নাকি ওয়ার্ল্ডের ওয়ান অফ দা হাইয়েস্ট। দেশে অনেক আজিরা কথাপ্রচলিত আছে যেমন গোল্ড লিফ খেলে সেক্স পাওয়ার কমে যায়, আরবেনসন খেলে তেমন একটা খতি হয় না। ইটস আ বুলশিট। নিকোটিন সব সিগারেটেই আছে কম বেশি আর সিগারেটের অন্যান্য খতিকারক কেমিকাল গুলো সব সিগারেটেই সমপর্যায়ে থাকে। যেসবের কারনে পেনিসের রক্তনালি সংকচিত হতে থাকে।
স্ট্রেস: এটি পশ্চমা দেশ গুলোতে ইমপোটেন্সের প্রধান সমস্যা তবে দেশেও এটি একটি উল্যেখযোগ্য কারন। বিভিন্য কারনে যদি মাথায়বিভিন্য ধরনের টেনশন থাকে তাহলেব্রেইন সেক্সের দিকে যথেষ্ঠ এটেনশন দিতে পারেন না। আপনার যদি সেক্স করার সময় ( এনাফ ) ইরেকশন না হয়ে থাকে, কিন্তু মর্নিং ইরেকশন ঠিক থাকে তাহলে মনে করবেন আপনার ফিসিকাল পাওয়ার ঠিকি আছে কিন্তু স্ট্রেস বা অন্য কোন মানসিক সমস্যার কারনে মেন্টাল কনসেনট্রেশন টা নেই।
ড্রাগস: ড্বাগসের মধ্যে বিশেষ করে হেরোইন এর জন্য ইমপোটেন্স হতে পারে। কোকেইন সেবনে প্রথম দিকে সাময়িক ইরেকশন হলেও পরে সেটা আর হয় না এবং উল্টো খতি করে।
ওভার এক্সপেকটেশন: এটি আসলে কোন সমস্যা না। এটি ভুল বুঝা বা জানার জন্য হয়। সেক্স কালচার বেশি অপেন হওয়াতে পর্ন দেখে বা মৈখিক মিথ্যরচনার কারনে দেশ বিদেশ সব খানেই সেক্স পাওয়ার সমন্ধে ৯০ ভাগ মানুশের একটি ভুল ইমেজ তৈরি হয়েছে। এই বেপারে দেখা যায় যে মানুশ মনে করে তার হয়তো সেক্স পাওয়ার কম, কিন্তু ডাক্তারের কাছে গেলে কোনকিছু ধরা পরে না ( যদিও দেশের ডাক্তাররা অযথা অনেক টেস্ট করাবে)। ডাক্তার জিগ্যেশ করার পর দেখা যায় তার সেক্সয়াল একটিভিটি নর্মালি আছে, কিন্তু পেশেন্ট সেটা নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। মানুস মনে করে যে ডেইলি এবংলং এনাফ সেক্স করতে না পারাটাই অক্ষমতার লক্ষন। আবার অনেকে তারপেনিসের লেনথ নিয়ে খুশি নয়। এসব হচ্ছে অযথা টেনশন, পর্ন মুভিতে যা দেখানো হয় সেটা নর্মাল সেকসুয়াল একটিভিটি নয়। আপনার বউ ( সেক্সুয়াল পার্টনার) কে জিগ্গেশ করুন যে সে সেটিসফাইড নাকি, তাহলেই কিস্সা খতম। এক্সেসিভ পর্ন দেখার বদৈলতে আবার নিজের বউ বা সেকসুয়াল পার্টনারের প্রতি এট্রাকশন কমে যায় অনেকের।
জেনে রাখা ভালো, এভারেজ সেক্সয়াল ফ্রিকয়েন্স হলো সপ্তাহে ৩ বার।
ডিইরেশন ১৫ মিন। পেনিস লেনথ রেস অনুযায়ি ভেরি করে। ইউরোপ এমেরিকা: ১৪,৫ সে. মি. চায়না/ জাপান: ১২ সে.মি. সাবকন্টিনেন্ট ( ইন্ডিয়া/ বাংলাদেশ): ১৩ সে.মি.থেরাপি:
সবচে এফেকটিভ থেরাপি হচ্ছে চেন্জ অফ লাইফ স্টাইল
-ধুমপান বন্ধ করুন। বেপারটি খুবি কঠিন, এই বেপারেও আপনি সঠিকমেডিকাল গাইড পেতে পারেন আপনার ডাক্তারের কাছ থেকে।
-যথেষ্ঠ বেয়াম করুন। ফিসিকাল মুগমেন্ট ভায়াগরা বা অন্যান্য অষুধ থেকে অনেক বেশি এফেকটিভ, বিশেষ করে ইয়াং দের জন্য। -সেক্স বেপারটাকে স্পোর্টসের মতন দেখবেন না যে এটা তে আপনাকে ফার্সট প্রাইজ আনতেই হবে। বাট হালকা / রিলেক্স ভাবে নেন দেখবেন ফার্সট প্রাইজ থেকা বেশিএনজয় পাচ্ছেন।
-ভায়াগ্রা থেরাপি ডাক্তারের পরামর্শ ছারা শুরু করবেন না। এতে সাময়িক উপকারিতা পেলেও লং টার্মের জন্য এফেকটিভ থেরাপি নয়। -আল্টারনেটিভ ( ফুটপাথের সপ্নে পাওয়া ) ওৈষধ থেকে ১০০ মাইল দুরে থাকুন )
আরো পড়ুন-ছেলে এবং মেয়েদের যৌন অক্ষমতার সমস্যা এবং তার সহজ মেডিকেল সমাধান page 2

কোন মন্তব্য নেই :

পুরম্নষের বন্ধ্যাত্ব সমস্যা দোষ নিতে হয় নারীকে, কিভাবে করবেন কারণ নির্ণয়
কোন মন্তব্য নেই
আমি মহিলাদের বন্ধ্যাত্ব নিয়ে কখনও লিখি না৷ তবে যেসব কারণে মহিলাদের বন্ধ্যাত্ব হয় তা আমাকে জানতে হয়৷ যাতে করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বন্ধ্যাত্বের জন্য দায়ী কে তা সনাক্ত করা যায়৷ কিছু কিছু ৰেত্রে দেখাযায় অভিনব সব ঘটনা৷ বরিশালে চাকরি করেন এমন একজন রোগীর তথ্য দিয়েই শুরম্ন করবো৷ ভদ্রলোক বিয়ে করেছেন ৫/৭ বছর হবে৷ কোন সনত্মান হচ্ছে না৷ স্ত্রী থাকেন ঢাকায়৷ পিতা-মাতারএকমাত্র সনত্মান৷ আমি সাধারণত আগে মহিলাদের কোন প্রকার পরীৰা-নিরীৰা করতে দেইনা৷ কারণ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যেকোন একজন বন্ধ্যাত্বের সাময়িক অথবা স্থায়ী সমস্যায় পড়লে প্রথমে পুরম্নষের পরীৰা-নিরীৰা করা উচিত্‍৷ পুরম্নষের বন্ধ্যাত্বের কারণ সনাক্ত করতে কেবল মাত্র একটি মামুলি পরীৰাই যথেষ্ট৷ সিমেন এনালিসিস এর রিপোর্ট দেখে মোটামুটি ধারণা করা যায় বন্ধ্যাত্বের বা সনত্মান না হবার কারণ কি৷ মনে রাখতে হবে শুধু মাত্র স্পার্ম বা শুক্রাণুর অনুপস্থিতির কারণে পুরম্নষের বন্ধ্যাত্ব হয় তাই নয়, শুক্রাণুর পরিমাণ অপেৰাকৃত কম থাকলে অথবা শুক্রাণুর আকৃতি, গঠনগত দুর্বলতা থাকলেও বন্ধ্যাত্ব হতে পারে৷ সিমেন-এ শুক্রাণুর পরিমাণ কম হলে আমরা পুরম্নষের এই সমস্যাকে বলে থাকি ওলিগোসপারমিয়া৷ বেশীরভাগ ৰেত্রে যথাযথ পরীৰা-নিরীৰা ও চিকিত্‍সা দেয়া গেলে ওলিগোসপারমিয়ার কারণে বন্ধ্যাত্বের অনেক ৰেত্রে সুরাহা করা যায়৷ তবে ৰেত্র বিশেষ ছয়মাস থেকে দু’বছর পর্যনত্ম চিকিত্‍সার প্রয়োজন পড়ে৷ আর পুরম্নষের এই সমস্যাটিরচিকিত্‍সা তেমন ব্যয়বহুল নয়৷ এছাড়াও পুরম্নষের বন্ধ্যাত্বেরকারণ নির্ণয় করতে ৰেত্র বিশেষ কিছু কিছু হরমোন পরীৰা, ক্রোমোসোম এনালিসিন এবং টেস্টিকুলার বায়োপসি করার প্রয়োজন পড়ে৷
পৰানত্মরে মহিলাদের বন্ধ্যাত্বনির্ণয় করতে হলে নানাবিধ পরীৰা-নিরীৰা, এমনকি ল্যাপারোস্কপি পর্যনত্ম করতে হতে পারে৷ তাই আমি কখনও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বন্ধ্যাত্ব নিরূপণের ৰেত্রে মহিলাদের আগে পরীৰা-নিরীৰা করতেদেই না৷ তবে ইদানিং একাধিক ৰেত্রে পুরম্নষের বন্ধ্যাত্ব নিয়ে আমার খানিকটা অভিনব অভিজ্ঞতা হয়েছে৷
বরিশালে চাকরি করেন ঐ ভদ্রলোকেরকথায় ফিরে আসি৷
বরিশালে চাকরি করেন ঐ ভদ্রলোকেরকথায় ফিরে আসি৷ পরীৰা-নিরীৰায় তার তীব্র ওলিগোসপারমিসেহ শুক্রাণুর গঠনগত ত্রম্নটি ধরা পড়লো৷ অথচ ভদ্রলোক পরিবারে নতুনঅতিথি না আসায় স্ত্রীকে দায়ী করে আসছিলেন৷ স্ত্রীর অবস্থা এমন দাঁড়ালো যে অতি মানসিক চাপ কমানোর ওষুধ সেবন করতে অভ্যসত্মহলেন৷ আমি কখনও স্বামী-স্ত্রীর সমস্যা একে অপরের কাছে বলিনা অথবা দু’জনের সামনে তাদের কোন গোপন সমস্যা আলোচনা করিনা৷ ভদ্রলোক আমাকে বললেন, স্যার আমার স্ত্রীর যত ধরনের পরীৰা-নিরীৰা আছে সব করতে চাই৷ আমি বললাম প্রয়োজন নেই৷ সমস্যাটি আপনার৷ ভদ্রলোক শিৰিত৷ বললাম আপনার যে ধরনের সমস্যা সনাক্ত হয়েছে তাতে টেস্টটিউব বেবী ছাড়াস্বাভাবিকভাবে আপনার পিতা হবার সম্ভাবনা একেবারেই কম৷ ভদ্রলোক বললেন, স্যার টেস্টটিউব বেবীর কথা বললেইতো তার স্ত্রী বুঝে যাবে সমস্যাটি স্বামীর৷ টেস্টটিউব ছাড়া অন্যকোন উপায় আছে কি৷ বিষয়টি খানিকটা জটিল দেখে ভদ্রলোককে প্রতিশ্রম্নতি দিলাম তার শারিরীক সমস্যা স্ত্রীর কাছে বলবো না৷ এথিক্যালিও আমি একজনের সমস্যা অপরজনের কাছে কখনও বলিনা৷ আমি আগেও বলেছি আমি জটিল অবস্থার ৰেত্রে স্বামী-স্ত্রীর সঙ্গে পৃথক পৃথকভাবে কথা বলি৷
ভদ্রলোক চেম্বারের বাইরে গেলেন৷ নার্সসহ ভদ্রমহিলা আসলেন৷ আমি কিছু বলার আগেই ভদ্রমহিলা কেঁদে ফেললেন৷ বললেন স্যার আমার সনত্মান না হলে তার সংসার হয়তো টিকবেনা৷ ইতিমধ্যেই শ্বশুর বাড়ীর লোক বংশ রৰার্থে ছেলের দ্বিতীয় বিয়ের চিনত্মা-ভাবনা শুরম্ন করে দিয়েছে৷ এক কঠিন সমস্যায় পড়লাম৷ ভদ্র মহিলার আগের কিছু পরীৰা-নিরীৰাররিপোর্ট দেখলাম৷ একেবারেই নরমাল৷ পিরিয়ডে সামান্য সমস্যা ছাড়া আর কোন জটিল সমস্যা নেই৷ তবুও বলতে পারলাম না আপনার সনত্মান ধারণে কোন সমস্যা নেই৷ যা সমস্যা ধরা পড়েছে তা আপনার স্বামীর৷ পুনরায় ভদ্র মহিলাকে বাইরে যেতে বললাম৷ ভদ্রলোক আসলেন৷ ওষুধ দিয়ে তিন মাস পর আসতে বললাম৷ তিন মাসের ওষুধ শেষ করে পুনারায় আর্মি প্যাথলজি থেকে সিমেন এনালিসিস- করে রিপোর্ট নিয়ে আসতে বলি৷ তবে ডাক্তার হিসাবে না হলেও মানুষ হিসেবে কিঞ্চিত হলেও মানুষের উপকার করতে চেষ্টা করি৷ ভদ্রলোককে বললাম মহান আলস্নাহর কাছে প্রার্থনা করেন তিনি যেন আপনাদের একটা সনত্মান দেন এবং স্ত্রীর মুখের হাসি ফিরিয়ে আনুন৷ভদ্রলোক স্বীকার করলেন অজ্ঞাতার কারণে তার ফুলের মত স্ত্রীকে নানাভাবে নিগৃহীত হতে হয়েছে৷ আমি বললাম ভুল মানুষই করে৷ মানুষ যখন তার ভুল বুঝতে পারে অনুতপ্ত হয়, তখন সে সোনার মানুষ হয়ে যায়৷ এবার কাউন্সিলিংপর্ব স্বামী-স্ত্রী উভয়কে মানসিক ও শারীরিক সম্পর্ক উন্নতকরার কিছু টিপস দিলাম৷ তিন মাস পর দু’জনকে আবার একসঙ্গে আসতে বলি৷ দীর্ঘ কাউন্সিলিং-এর পর স্বামী-স্ত্রী হাসতে হাসতে বেরিয়ে যান৷ একজন ডাক্তার হিসেবে অর্থের চেয়ে এই মমতার বন্ধন তৈরি করে দেয়ার আনন্দ অনেক বেশি৷ যাক এসব কথা৷
ইদানীং এ ধরনের বেশ কয়েকটি সমস্যা দেখেছি৷ বেশিরভাগ ৰেত্রে স্বামীর দোষ ধরা পড়লে তা আর স্ত্রীর কাছে প্রকাশ করতে চান না৷ অথচ স্ত্রীর সামান্যতম ত্রম্নটি ধরা পড়লে পুরো পরিবার, আত্মীয়-স্বজন সকলেই জেনে ফেলেন৷তারপর স্ত্রীনামের ভদ্র মহিলাদের নানাভাবে নিগৃহীত হতে হয়৷ আমাদের এই পুরম্নষশাসিত সমাজে (কিছু কিছু ৰেত্রে ব্যতিক্রম ছাড়া) কত মেয়েকে নিজের দোষ না থাকা সত্ত্বেও নিরবে স্বামী-শাশুড়ি, শ্বশুরবাড়ির লোকদের অত্যাচার নিরবে মেনে নিতে হয়৷ তার হিসাব ক’জন রাখে৷ তবে একটা কথা সকলের মনে রাখা উচিত্‍ বন্ধ্যাত্বের অনেক ৰেত্রে চিকিত্‍সা সম্ভব৷ একে অপরে দোষারোপ না করে পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে উপযুক্ত চিকিত্‍সা নেয়া উচিত্‍৷ সমস্যা গোপন করে বা গোপনে গোপনে চিকিত্‍সা অনেক ৰেত্রে সমস্যা আরো বাড়ে৷ তাই সমস্যা থাকলে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের সহযোগিতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন৷
ডাঃ মোড়ল নজরম্নল ইসলাম
চুলপড়া, যৌন সমস্যা ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ
এবং লেজার এন্ড কসমেটিক্স সার্জন
বাংলাদেশ লেজার স্কিন সেন্টার
বাড়ী নং-২২/এ, রোড-২, ধানমন্ডি, ঢাকা

♥♥♥♥সমাপ্ত♥♥♥♥
প্রকাশক : সৈয়দ রুবেল উদ্দিন

কোন মন্তব্য নেই :

ওরা যেন সমাজের উচ্ছিষ্ট, ওরা মানুষ নয়, ওরা পতিতা?
কোন মন্তব্য নেই
তখন রাত ৮টা কিংবা সোয়া ৮টা বাজে। বিজয়নগরে একটি কাজ সেরে হলে ফেরার উদ্দেশে কাকরাইল মোড়েআসার জন্য আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের সামনে দিয়ে হাঁটছিলাম। পেভমেন্টে খুব বেশি আলো নেই। আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের গেটের দু-একটি বাতি, বিশেষ করে গাড়ির আলোয় যতটুকু আলোকিত ছিল এই যা। এ পাশটায় কোনো দোকান কিংবা লাইটপোস্ট নেই বলে ঝলমলে আলো নেই এ ফুটপাতে। কিন্তু তার পরও মোটামুটি সবকিছুই ভালোভাবে দেখা যায়। সঙ্গে আমার এক বন্ধু। হাঁটতে হাঁটতে চোখে পড়লো ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সী ১০-১৫ জন নারী।অতিমাত্রায় মেকআপ নেয়া এসব মেয়েদু-চার হাত দূরে দূরে দেয়াল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে। বছরখানেক আগে পত্রিকার কাজ করতে গিয়ে এ জায়গাটা সম্পর্কে জেনেছিলাম। তাই বুঝতে অসুবিধা হলো না।
এরাই সেই নারী যারা জীবনযুদ্ধে হেরে গেছে। সমাজ এদের জায়গা দেয়নি। এরা যৌনকর্র্মী। যাদের কটূক্তি করে, ঘৃণাভরে বলা হয় পতিতা। কথা বলার চেষ্টা করি ওদের একজনের সঙ্গে। কিন্তু ওরা পত্রিকায় কাজ করি জেনে কোনো কথা বলতে রাজি হচ্ছে না। যেভাবেই হোক আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের এক গেটম্যানের সহায়তায় মিনিট পাঁচেকের একটি মিনি সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম। মেয়েটার বয়স ২০-২৫ হবে। নাম জিজ্ঞেস করলেও কোনোমতেই সে তার নাম বলতে রাজি হয়নি। তবে সে জানালো কোনো সখ বা ইচ্ছের বশবর্তী হয়ে সে এ পেশায় নামেনি। বাড়ি নাটোরে। ধর্ষিত হয়েছিল একই গ্রামের যুবকদের হাতে। ধর্ষিত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি কিভাবে হয়েছিল তা সে জানে না। তবে এটুকু জানে, হাসপাতালে তার খবর নিতে বাড়ির গরিব বাবা-মা কেউই আসেননি।
যা বোঝার বুঝে নিয়েছিল সে। কোনোদিন বাড়ি ফিরে যায়নি। ঢাকায়এসে ২০০৪-এর শেষের দিকে দেহপসারিণী হিসেবে জীবন সংগ্রাম শুরু করেছিল। এখনো চলছে। সর্বোচ্চ ১০ জনের দ্বারাও ধর্ষিত হয়েছিল একবার। প্রায়ই কোনো পারিশ্রমিক পায় না ওরা। সাধারণত ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত পায় প্রতি রাতে। আবার মাঝে মাঝে কন্ট্রাক্ট করে গিয়েও সারারাত ধর্ষিত হয়ে সকালেফিরতে হয় শূন্য হাতে। আমাদের করা বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসবকথা বলে সে। আমি সবচেয়ে আশ্চর্য ও ব্যথিত হয়েছি, যখন আমি এই লেখাটি লেখা শুরু করেছি।
মার এক বন্ধু লেখার বিষয়টি দেখে আমাকে খুব উৎকণ্ঠা ভরে বললো, ‘তুই শেষ পর্যন্ত এসব নোংরা বিষয়নিয়ে লিখতেছিস’? আমার বন্ধুর কথা বলার ভাবটা এরকম ছিল, যেন এইযৌনকর্মীদের নিয়ে আলোচনা করাই মহাপাপ। ওরা যেন সমাজের উচ্ছিষ্ট, ওরা মানুষ নয়, ওরা পতিতা। আমার বন্ধুকে আমি দোষ দেই না। কারণ এ ধরনের মানসিকতা আমাদের সমাজই ওকে তৈরি করে দিয়েছিল। এটাতো অত্যন্ত ছোট ব্যাপার।
যখন দেখি কোনো নারী ধর্ষিত হয়ে সমাজে চরমভাবে অপমানিত ও লাঞ্ছিত হয়ে সবশেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে, তখন আমাদের এই সমাজের প্রতি ঘৃণা হয়। আমি বুঝি না একটা মেয়ে ধর্ষণের শিকার হলে এ মেয়েটার দোষ কি? ভেবে দেখুন, পরিবার বা সমাজের দায়িত্ব ছিল এ মেয়েটিকে রক্ষা করা। নিরাপত্তা দেয়া। কিন্তু সমাজ কতটুকু নিরাপত্তা দিতে পেরেছে একটা নারীর। আমি একটু কম বুঝি, তাই আমার বুঝতে কষ্ট হয়, যে নারী ১৯৭১ সালে দেশের জন্য জীবন ও ইজ্জত দিয়েছে এবং রাষ্ট্র কর্তৃক তাকে বীরাঙ্গনা খেতাব দেয়ার পরও যখন তার পরিবার ও সমাজতাকে চরমভাবে বর্জন করেছিল তখন সে নারীর টানবাজারের পতিতাপল্লীতে যাওয়া ছাড়া আর কিইবা করার ছিল। আমরা কেন বুঝতে চাইনা সখ করে কোনো নারী তার জীবনে এপেশা বেছে নেয় না। মনে রাখতে হবে, যারা এ পেশায় নিজেদের নিযুক্ত করেছে তাদের আর কোনো উপায় ছিল না জীবনকে টেনে নেয়ার।
হয়তো বা এ নারীদের কেউ কেউ সারারাত তার সব শরীর বিকিয়ে দিয়ে সকালবেলা যা পাচ্ছে তা দিয়ে অসুস্থ মা অথবা বাবার জন্য ওষুধ কিনে বাসায় ফিরছে। আবার কেউ কেউ তার ছোট ভাই-বোনের পরীক্ষার ফি জোগাড় করার জন্য খদ্দেরের আশায় দাঁড়িয়ে আছে। আমরা শুধু দেখি ওরা কি করে। কিন্তু কেন করে সেটা কি কখনো জিজ্ঞাসা করে দেখেছি? আমাদের ভাবা উচিত ওরা আমাদের মতোই। ওরা সমাজের বিচ্ছিন্ন কোনো অংশ নয়। নিঃসন্দেহে ওদের মানবাধিকার নিশ্চিত করা উচিত।


♥♥♥♥সমাপ্ত♥♥♥♥
প্রকাশক : সৈয়দ রুবেল উদ্দিন
www.facebook.com/sayed.rubel3

কোন মন্তব্য নেই :

নারী ছলনাময়ী-পুরুষ কিন্তু ছলনায় সেরা
কোন মন্তব্য নেই
সঙ্গিনীর চেয়ে কম রোজগার করলে পুরুষের প্রতারণা করার প্রবণতা বেড়ে যায় কে বেশি ছলনা করে? নারী না পুরুষ সঙ্গীটি? সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় এসব প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজে পাওয়া গেছে। বিবাহিত বা কমপক্ষে ১ বছর ধরে একসঙ্গে আছেন এমন ১০২৪ জন পুরুষ ও ১৫৫৯ জন নারীর কাছ থেকে পাওয়া বিভিন্ন তথ্য এবং অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ করেই এ সমীক্ষাটি করা হয়েছে। সমীক্ষাটির লেখক কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞানের ডক্টরেট প্রার্থী ক্রিস্টিন মুনস্চ বিষয়টিকে বলেছেন এইভাবে, যখন কোনো পুরুষ মনে করেন সঙ্গিনীর চেয়ে কম রোজগার তার জন্য হুমকি, তখন তিনিতার নিজস্বতাকে বজায় রাখার জন্যপ্রতারণার আশ্রয় নেন। ‘অ্যামেরিকান স্যোসিওলোজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন’-এর বার্ষিক আলোচনা সভায় লেখক এ বিষয়টি উপস্থাপন করেন। ক্রিস্টিন বলেন,পুরুষ নারীর চেয়ে বেশি রোজগার করবে এবং পুরুষই পরিবারের প্রধান রোজগেরে, এ ধারণাটি এতটাই বদ্ধমূল, যে সঙ্গিনীর চেয়ে কম রোজগার করাটা পুরুষের সামনে হুমকি হয়ে দেখা দেয়। পুরুষতান্ত্রিক সমাজগুলোতে এ বিষয়টি আরো প্রকট। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, পুরুষতান্ত্রিক সমাজে যদি কোনো পুরুষ তার সঙ্গিনীর চেয়ে কম রোজগার করেন তাহলে তার বিশ্বাসঘাতক হওয়ার প্রবণতা নাটকীয়ভাবে বেড়ে যায়। আবার ওই একই সমীক্ষাতে দেখা যাচ্ছে, যেসব পুরুষের সঙ্গিনী তাদের ওপর খুব বেশিমাত্রায় নির্ভরশীল সেসব পুরুষেরও প্রতারণার প্রবণতা যথেষ্ট বেশি। যদিও নারীদের বেলায় চিত্রটি ভিন্ন। দেখা গেছে, একজন নারী যখন পরিবারের প্রধান রোজগারদাতা হচ্ছেন, তখন তার মধ্যে প্রতারণার প্রবণতা বেশি। কিন্তু তিনি যদি তার পুরুষ সঙ্গীটির ওপর নির্ভরশীল হন, সেক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত কম প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছেন। সমীক্ষা বলছে, সবমিলিয়ে মেয়েদেরপ্রতারণা করার প্রবণতা পুরুষদের প্রতারণার অনুপাতে অর্ধেক


♥♥♥♥সমাপ্ত♥♥♥♥
প্রকাশক : সৈয়দ রুবেল উদ্দিন
www.facebook.com/sayed.rubel3

কোন মন্তব্য নেই :

সুন্দরী নারী স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি!
কোন মন্তব্য নেই
সুন্দরী নারীর সঙ্গ পুরুষের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হতে পারে। ভ্যালেন্সিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের একটি গবেষণায় এই তথ্য দেয়া হয়েছে। এ গবেষণায় বলা হয়, কোনো দৃষ্টিনন্দন নারীর সাক্ষাতের পাঁচ মিনিটের মধ্যে পুরুষদের মধ্যে করটিসল (যে হরমোন শারীরিকও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করে) নামের এক ধরনের হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। যেসব পুরুষ সাক্ষাত পাওয়া সুন্দরী নারীদের নিজেদের নাগালের বাইরে বলে মনে করেন তাদের ক্ষেত্রে এই প্রতিক্রয়া আরো বেশি হয়। এতে পরবর্তী সময়ে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপও পুরুষত্বহীনতা দেখা দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মানসিক ও শারীরিক চাপের সময় করটিসল নামেরহরমোনটি উৎপন্ন হয়। বিজ্ঞানীরা ৮৪ জন ছেলে শিক্ষার্থীর ওপর এই গবেষণা চালান। এখানে একটি কক্ষেদুজন করে ছাত্রকে সুডোকু মেলাতেবলা হয়। কক্ষটিতে তাদের সঙ্গে একজন সুন্দরী তরুণী এবং একজন তরুণকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে পাঠানো হয়। এ দুজনই ছাত্রদের নিকট ছিল অপরিচিত। বিজ্ঞানীরা বলছেন, যখন মেয়েটি স্বেচ্ছাসেবকছেলেটিকে রেখে কক্ষ থেকে বেরিয়েযায় তখন ওই দুই ছাত্রের করটিসল মাত্রা স্থির ছিল। কিন্তু ছেলেটি যখন তরুণীকে রেখে বের হয় তখন ছাত্র দুজনের করটিসল বৃদ্ধিপেতে থাকে। গবেষণাটি থেকে বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে আসেন যে, কোনো সুন্দরী ও মোহনীয় নারীরকাছাকাছি এলে অধিকাংশ পুরুষের মধ্যে ওই নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার সুযোগ এসেছে এমন ধারণার সৃষ্টি হতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, আকর্ষণীয় নারীদের সঙ্গে পাঁচ মিনিটের সংক্ষিপ্ত সাক্ষাতে পুরুষদেহে করটিসল বেড়ে যেতে পারে। অল্প মাত্রায় বাড়লে করটিসল সতর্কতা সৃষ্টির মতো কিছু ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া ফেলতে পারে। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ বাড়তে থাকলে এটি স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হতে পারে।


♥♥♥♥সমাপ্ত♥♥♥♥
প্রকাশক : সৈয়দ রুবেল উদ্দিন
www.facebook.com/sayed.rubel3

কোন মন্তব্য নেই :

পুরুষের জন্য জন্মবিরতিকরণ পিল!
কোন মন্তব্য নেই
পুরুষদের জন্য জন্মবিরতিকরণ পিল! হ্যাঁ, এতদিন ধরে শুধু নারীরাই এমন পিল সেবন করছেন। কিন্তু আর না। উটকো এ ঝামেলা থেকে নারীদের রেহাই দেয়ার আশা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলেছেন, আর মাত্র ৩ বছরের মধ্যে পুরুষের জন্য জন্মবিরতিকরণ পিলে ভরে যাবে বাজার। ফলে নারীর পরিবর্তে জন্মবিরতিকরণ পিল সেবন করতে হবে পুরুষকে।
এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র নারীদের জন্যই বের হয়েছে পিল বা জন্মবিরতিকরণ বড়ি। কিন্তু ইসরাইলের একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, তারা পুরুষের জন্যও এমন পিল উদ্ভাবন করেছেন। ওই পিল বা বড়ি সেবনকারী পুরুষের শুক্রাণু নারীর গর্ভাশয়ে পৌঁছানোর আগে তানিষ্ক্রিয় করে দেবে। তারা আরও দাবি করেছেন, একজন পুরুষকে এ পদ্ধতি অবলম্বনকারীকে প্রতিদিননারীদের মতো পিল সেবনের দরকার নেই। তাদেরকে একটি পিল খেতে হবে প্রতি তিন মাসে। ইসরাইলের বার-ইয়ান ইউনিভার্সিটির প্রফেসর হেইম ব্রেইটবার্ট ও তারসহযোগীরা আবিষ্কার করেছেন এ পিল। তাদের উদ্ভাবিত এ পিলটি একই সঙ্গে পুরুষের হরমোন টেস্টোস্টেরন ও নারীর হরমোন প্রজেস্টেরনকে গর্ভসঞ্চারে সরাসরি বাধা দেবে না। এর কর্মকৌশল হবে একটু ভিন্ন। আবিষ্কৃত এ পিলটি হলো একটি ট্যাবলেট। এর কাজ হলো পুরুষের শুক্রাণুর ভিতরে থাকা একটি প্রোটিনকে সরিয়ে ফেলা, যা নারীর গর্ভসঞ্চারে আবশ্যক। ফলে ওই পিলসেবনকারী পুরুষের শুক্রাণু গর্ভাশয়ে পৌঁছলেও নারী গর্ভবতী হবে না। এ পিল সেবনে জন্মনিয়ন্ত্রণে শতভাগ সফলতার আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।

♥♥♥♥সমাপ্ত♥♥♥♥
প্রকাশক : সৈয়দ রুবেল উদ্দিন
www.facebook.com/sayed.rubel3

কোন মন্তব্য নেই :

ঝগড়াটে স্বামী-স্ত্রীর আলাদা থাকাই ভালো সন্তানের স্বার্থে
কোন মন্তব্য নেই
কমবেশি সব স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেই ঝগড়া হয়ে থাকে। এর মাত্রাও কমবেশি হয়। অনেকে নিয়মিত ঝগড়া করেন। আবার সমঝোতাওহয় তাদের মধ্যে। তবে কোনো কোনো দম্পতি ঝগড়ায় ডুবে থাকেন দিন-রাত। অভ্যাসে পরিণত হয় ঝগড়া। কারো পারিবারিক অশান্তি চিরস্থায়ী হয়। কলহপ্রবণ অনেক দম্পতি বেশির ভাগ সময় সন্তানের কথা ভেবেই একত্রে জীবন পার করেন। আবার একই সঙ্গে তাদের কলহ চলতেই থাকে। কিন্তু যাদের কথা ভেবে এই বিষময় জীবনযাপন, তাদেরই এতে বেশি ক্ষতি হচ্ছে। যা অনেকেই ভেবে দেখেন না। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, কলহপ্রবণ দম্পতির সন্তান আরো বেশি অশান্তি নিয়ে বড় হয়। তারা মানসিক অস্থিরতায় ভোগে এবংঅনেক সময় মানসিক ভারসাম্যও হারিয়ে ফেলে। সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ডও এসব বাবা-মার সন্তানেরাই বেশি করে।
এই গবেষণাটি পরিচালিত হয় বৃটেনের ভঙ্গুর সমাজব্যবস্থার শিকার প্রায় ৭ হাজার শিশুর ওপর। এই গবেষণাটি পরিচালনা করেন লন্ডনের ইউনিভার্সিটি অব ইয়র্ক। এই গবেষণার মাধ্যমে তারাদেখান বিবাহ বিচ্ছেদের শিকার শিশুরা বা কিশোর-কিশোরীরা কলহপ্রিয় কিন্তু একসঙ্গে বাস করা পিতা-মাতার সন্তানদের চেয়ে শতকরা ২০ ভাগ ভালো আছে। গবেষকদের মতে, এই সংখ্যা পরিবর্তনশীল হলেও এটা সত্য পিতা-মাতার বিচ্ছেদের পর নতুন বা একক অভিভাবকের কাছে সন্তানরাকিছুদিন মনমরা হয়ে থাকলেও ১ বছরের মাথায় তারা পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়। তখন তাদের মধ্যে অতৃপ্তি বা অপ্রাপ্তি বলেআর কোন কিছু থাকে না। নিজের দায়িত্ব নিজে পালন করাও তারা দ্রুত আয়ত্ত করে নেয়। গবেষকরা এক্ষেত্রে শুধু শতকরা হিসাব দিয়েই ক্ষান্ত হননি। বেশ কিছু কেস স্টাডি প্রকাশ করে এই গবেষনার সারবেত্তা প্রমাণেরও চেষ্টা করেছে তারা। প্রায় দু বছর ব্যাপী এই গবেষণায় শিশুর আকাঙ্খা ও সন্তুষ্টির স্কেল ব্যবহার করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

♥♥♥♥সমাপ্ত
♥♥♥♥
প্রকাশক : সৈয়দ রুবেল উদ্দিন
www.facebook.com/sayed.rubel3

কোন মন্তব্য নেই :

KAMSUTRA: Deshi Hottie
1 টি মন্তব্য
http://sayedrubel.blogspot.com
জানারমত অনেক কিছু পাবেন । সেক্স অবশ্যই গুরূত্বপূর্ণ বিষয়। পড়ুন , জানুন । মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্যতম অবশ্যই সেক্স । পোস্ট গুলোয় কমেন্ট করুন , জানান আপনারা কি চান ,http://sayedrubel.blogspot.com পাবেন । Update today
KAMSUTRA: Deshi Hottie:   Magider golpo, Magider pic, Magi, Hol, Dhon chosa, Bangla choti, Vabi k choda, sali k choda, bandhobi k choda, boy friend k cho...
New happy sex life info post add today ! You visit to,http://sayedrubel.blogspot.com
নারী সমস্যার মূল কারণ ফাইব্রয়েড
কোন মন্তব্য নেই
ডা. বশির আহমেদ তুষার
মেয়েদের শরীরে মাতৃত্ব ধারণের অন্যতম শত্রু ফাইব্রয়েড। ফাইব্রয়েড এক ধরনের টিউমার। কিন্তু এই টিউমার থেকে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা এক শতাংশেরও কম। অধিকাংশ ক্ষেত্রেঅপারেশন না করেই চিকিৎসা করা সম্ভব এবং সন্তান নেয়ার আগে অপারেশন না করে শুধু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিলেই হবে। জরায়ুতে ছুরি কাঁচি চালানোর আগে হরমোন থেরাপি বা অন্য ওষুধ প্রয়োগ করে চিকিৎসা করে নেয়া গর্ভবতী মা ও সন্তান উভয়ের পক্ষে নিরাপদ এবং মঙ্গলজনক, তবেসন্তান প্রসবের পর ফাইব্রয়েড সরিয়ে ফেলতে হবে।
প্রশ্ন জাগতে পারে ফাইব্রয়েড কী এবং কোথায় সৃষ্টি হয়? ফাইব্রয়েড হলো নারীদেহের অত্যন্ত কমন টিউমার। নীরবে ও সন্তর্পণে বিভিন্ন আকৃতিতে এই ফাইব্রয়েড বেড়ে ওঠে। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি পাঁচজন মহিলার মধ্যে অন্তত একজনের শরীরে এই অসুস্থতা দেখা যায়। শতাংশের বিচারে ২৫% মহিলার দেহে ফাইব্রয়েড থাকতে পারে। ১৫-১৬ বছর বয়স থেকে শুরু করে ৫০বছর বয়সী যে কোনো মহিলার দেহে ফাইব্রয়েড হতে পারে। তবে ২০ বছরের কম বয়সী মেয়েদের দেহে এর উপস্থিতি কম। ৩০-৪০ বছর বয়সীদের মধ্যেই ফাইব্রয়েডে আক্রান্তের হার বেশি। দৈর্ঘ্যের দিক থেকে ফাইব্রয়েডগুলো এক মিলিমিটার থেকে শুরু করে এক মিটার বা আরো বেশি হতে পারে। ওজনের দিক থেকে ১ থেকে ১০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। মাঝেমধ্যেই ডাক্তাররা মহিলাদের জরায়ু থেকে ফুটবলের আকৃতির ফাইব্রয়েড টিউমার অপারেশন করে বের করে থাকেন।
কোথায় এবং কেন ফাইব্রয়েড সৃষ্টি হয়?
মূলত মহিলাদের জরায়ুতে ফাইব্রয়েড হয়ে থাকে। তবে জরায়ুর পেশিতেও অন্তঃত্বকে অনেক সময় ফ্যালোপিয়ান টিউবের মুখে, ব্রড লিগামেন্ট ও ডিম্বাশয়ের পাশেও ফাইব্রয়েড সৃষ্টি হতে পারে। শতকরা ২০ থেকে ৫০% মহিলার দেহে এই টিউমার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হতে পারে। কিন্তু কেন শরীরের অভ্যন্তরীণ একাধিক অঙ্গে এই ফাইব্রয়েড সৃষ্টি হয় তার প্রকৃত কারণ এখনো চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা জানতে পারেননি। অনুমান করা হয়, যৌবনবতী মহিলাদের দেহে ইস্ট্রোজেন হরমোন নিঃসরণের সঙ্গে এই ফাইব্রয়েড সৃষ্টির কোনো সম্পর্ক থাকলেও থাকতে পারে। কারণ নারীর দেহে যখন ইস্ট্রোজেন সর্বাপেক্ষা বেশি ক্ষরণ হয় সেই সময় অর্থাৎ ২৫-৪০বছর বয়সে ফাইব্রয়েড তৈরি হয়। আবার মনোপজ হওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ফাইব্রয়েডের বৃদ্ধি থেমে যায়।
মহিলারা কী করে বুঝবেন?
একটু গুরুত্ব দিয়ে লক্ষ করলেই যে কোনো সতর্ক মহিলা বুঝতে পারবেন তার শরীরে নীরবে এই মারাত্মক শত্রু হানা দিয়েছে। শরীরে এই অসুস্থতা সৃষ্টি হলেইমহিলাদের দেহে কতগুলো লক্ষণ ফুটে ওঠে। আবার অনেক সময় মহিলাদের শরীরে এই অস্বাভাবিক অসুস্থতা নীরবে থাকায় রোগী বুঝতেই পারেন না।
লক্ষণ
ক. ঋতুকালীন সময়ে অতিরিক্ত রক্তস্রাব
খ. নির্দিষ্ট সময় অন্তর মাসে একবারের পরিবর্তে ১০-১৫ দিন পরপর হঠাৎ হঠাৎ করেই রক্তস্রাব
গ. তলপেটে ভারী কিছু থাকার অনুভূতি
ঘ. ঋতুস্রাবের সঙ্গে পেটে অস্বাভাবিক ব্যথা
কী কী ক্ষতি হয়
মহিলাদের স্বাভাবিক মা হওয়ার পথে ফাইব্রয়েড অনেকটাই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, কখনো কখনো কোথায় ফাইব্রয়েড হয়েছে তার ওপর নির্ভর করে অসুস্থতা। এগুলো হলো-
ক. সব সময় শরীরে একটা অস্বস্তিরঅনুভব হয়
খ. জরায়ুর অন্তঃত্বকে হলে অকাল গর্ভপাত হয়
গ. জরায়ুর ভেতর হলে রজঃস্রাবে সমস্যা হয়
ঘ. জরায়ুর মাংসপেশিতে হলে ঋতুকালীন সময়ে পেটে প্রচণ্ড ব্যথা হয়
ঙ. কোষ্ঠকাঠিন্য ও রক্তাল্পতা (অ্যানিমিয়া)
চ. স্থায়ী বন্ধ্যাত্ব, সাময়িক বন্ধ্যাত্ব হতে পারে
ছ. অনেকের ক্ষেত্রে মূত্রথলিতে সংক্রমণও হয়
চিকিৎসা
অনেক মহিলার শরীরে ফাইব্রয়েড থাকলেও সারা জীবনে তেমন কোনো সমস্যা অনুভূত না হওয়ায় চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে হয় না।আবার অনেকে এক বা দুটি সন্তান জন্মের পর এই সমস্যায় ভোগেন বলে খুব একটা গুরুত্ব দেন না। বিশেষ করে গ্রামের মহিলারা অতিরিক্ত ঋতুস্রাব বা স্রাবের সঙ্গে পেটে ব্যথার বিষয়টিকে নারী জীবনের অভিশাপ হিসেবে ধরেনেন। আর এই কারণেই অনেকে স্রেফ জরায়ুতে ফাইব্রয়েড হওয়ায় বন্ধ্যাত্বের শিকার হন। কোন বয়সে বা কী অবস্থায় আছেন রোগী তার ওপরেই চিকিৎসার বিষয়টি নির্ভর করে। কারণ চিকিৎসার তিনটি পদ্ধতি আছে যেমন-(ক) কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্ট (খ) মেডিকেল ম্যানেজমেন্ট (গ) সার্জিক্যাল ম্যানেজমেন্ট। প্রথম পদ্ধতি মায়োমেক্ট্রমি অর্থাৎ ফাইব্রয়েড নামের টিউমারটি পুরোপুরি বাদ দেয়া। এই বাদ দেয়া পদ্ধতিও তিন ধরনের। (১) ল্যাপারোস্কোপি (২) হিস্টোরোস্কোপি (৩) ল্যাপারোটমি দ্বিতীয় পদ্ধতি- অ্যাম্বোলাইজেশন এই পদ্ধতি অনেক বেশি নিরাপদ ও ঝুঁকিহীন। তৃতীয় পদ্ধতি-হিস্টোরেকটমি এই পদ্ধতিতে টিউমার অর্থাৎ ফাইব্রয়েডসহ গোটা জরায়ুটি অস্ত্রোপচার করে বাদ দিয়ে দেয়াহয়, মূলত যারা মা হয়েছেন অর্থাৎআর সন্তান নেয়ার প্রশ্নই নেই তাদের ক্ষেত্রে এই চিকিৎসা প্রয়োগ করা হয়।

♥♥♥♥সমাপ্ত
♥♥♥♥
প্রকাশক : সৈয়দ রুবেল উদ্দিন
www.facebook.com/sayed.rubel3

কোন মন্তব্য নেই :

কিভাবে ফিঙ্গারিং দিবেন??

৪টি মন্তব্য

রিলেশনে মেকিং আউট বা সেক্সের আগের একটা মজার ব্যাপার ফিঙ্গারিং। গার্লফ্রেন্ড বা পার্টনারকে ফিঙ্গারিং করে দিতে পারেন আপনি। এটা দুইজনের জন্যই অনেক বেশি এরোটিক একটা ব্যাপার।এতে কারো ভার্জিনিটি চলে যায় না। এবং এতে STD (Sexually transmitted diseases) হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
আপনি যদি আপনার গার্লফ্রেন্ডকে ফিঙ্গারিং দিতে চান, তবে তাকে জিজ্ঞেস করুন। সে মানা করলে জোরকরবেন না। কারণ সব মেয়ে এটার জন্য রেডি না ও থাকতে পারে। তাকে প্রেসার দিবেন না। সে যখন প্রস্তুত হবে তখন সে আপনাকে জানাবে। আপনি যদি মেয়ে হয়ে থাকেন এবং আপনাদের রিলেশনকে আর ইন্টিমেন্সির দিকে নিতে চান, এবং চান আপনার বয়ফ্রন্ড আপনাকেফিঙ্গারিং দিক, তবে তাকে বলুন খোলাখুলি। সে খুশিই হবে।
ফিঙ্গারিং করে বেশ সহজ, খালি কিছু ব্যাপারের প্রতি দৃষ্টি রাখলে আপনার পার্টনার কে মজা দিতে পারবেন পুরোপুরি, এবং আপনিও মজা পাবেন। যারা আগে ফিঙ্গারিং দিয়েছেন তাদেরও কিছু খুটিনাটি ব্যাপার জানা থাকা উচিত।
ফিঙ্গারিং যদি ও একটা ফোরপ্লে, তবুও আপনি হুট করে ফিঙ্গারিং শুরু করবেন না। বিশেষ করে মেয়েটির জন্যে এটা যদি প্রথম হয়, তবে তাকে সময় দিন। দুইজন রিল্যাক্সড থাকুন। শুরুতে কিস করুন এবং ফ্রি হন। এবং অবশ্যই আপনার হাতের নখ কেটে ছোট রাখবেন,যেন ফিঙ্গারিঙ্গের সময় তার ভেতরের অঙ্গ গুলোর কোন ক্ষতি নাহয়, বা সে ব্যথা না পায়।

ফিঙ্গারিঙ্গের আগে তার ব্রেস্ট চাপতে পারেন। এতে সে টার্ন অন হবে, এবং তার ভ্যাজায়না ভিজে যাবে। আস্তে আস্তে নিচে নামুন। গলায় কিস করুন, পেটে, নাভিতে কিস করুন। হাত বুলান তার শরীরে।পায়ে হাত ঘষুন। প্রথমেই খুব রাফ হবেন না। আদর করুন তাকে। তার পুসি তে হাত দেওয়ার আগে নরম ভাবে জিজ্ঞেস করুন তাকে। পুসির উপর হাত রেখে জিজ্ঞেস করুন কি চায়।  এতে মেয়েরা চরম সেক্সুয়ালি টিজড হয়।

ভ্যাজায়নার চারদিকে হাত ঘষুন। এরপর আস্তে আস্তে হাত ভ্যাজায়নার উপরে নিন। সেখানে হাত বুলান, সুড়সুড়ি দিন। সে যদি পছন্দ করে তবে জোড়ে ঘষুন। ফিঙ্গারিং করার জন্য ভাল পজিশন বেছে নিন, যেন আপনি যখন তার ভিতরে হাত ঢুকান তখন যেন হাত ভিতর পর্যন্ত যায়। দুই জন পাশাপাশি শুয়ে, বা তাকে আড়আড়ি ভাবে কোলে নিয়ে বসে ফিঙ্গারিং দিতে পারেন। যেভাবে দুইজন কম্ফোর্টেবল হবেন সে পজিশনটি বেছে নিন। সে যখন চাইবে তখন একটি আঙ্গুল, ভ্যাজায়নার ভেতরে প্রবেশ করান। প্রথমে আস্তে আস্তে একদুইবার ঢুকান এবং সে যখন মজা পাওয়া শুরু করবে তখন জোরে দিন, এবং আস্তে আস্তে দুইটা আঙ্গুল দিয়ে চেষ্টা করুন, এবং তার ইচ্ছা অনুযায়ী আঙ্গুলের সংখ্যা বৃদ্ধি করুন।
 
তার ভ্যাজায়নার ভেতরে হাত ঢুকান, জি স্পট স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। এছাড়া মুখেই থাকে ক্লিটরিস । এখানে আঙ্গুল ঘষলে সে মজা পাবে। পুসির ভিতর আঙ্গুল ঢুকান বের করুন, জোরে তাকে মজা দিয়ে, তার ভেজা পুসি ফিল করুন। ভেতরে আঙ্গুল ঘুড়ান। তার এক্সপ্রেশনের দিকে লক্ষ রাখুন। দেখবেন সে অনেক হর্নি হয়ে , গেছে। বেশি সেক্সুয়াল কিছু করতে চাইলে আঙ্গুল বের করে আপনি খেতে পারেন, বা তাকে চুষতে দিতে পারেন। শুধু ফিঙ্গারিং করেও তাকে অর্গাসোম দিতে পারেন, পেনিস ছাড়াই।
 
ফিঙ্গারিং করার সময় শুরুতে মেইক আউট না করাই ভাল, কারন তখন তার ঠিক জায়গায় আঙ্গুল নাও ঢুকতে পারে। যদি আপনি স্থানটা নিয়ে কনফিউজ থাকেন তবে তাকে জিজ্ঞেস করুন। সে ভুল জায়গায় আঙ্গুল ঢুকালে তা পছন্দ করবে না। বরং আপনাকে দেখিয়ে দিতেই মজা পাবে। ফিঙ্গারিং শুরু করার পর মেইক আউট করতে পারেন। মনে রাখবেন সে খালি একটা ভ্যাজায়নানা। ফিঙ্গারিং দেওয়ার সময় তারদিকে দৃষ্টি রাখুন। সে ব্যথা পাচ্ছে নাকি খেয়াল রাখুন। সে যেন জানে আপনি তার প্রতি কেয়ার করেন। আদর করুন তাকে। ফিঙ্গারিং করে মজা দিন।-

একটা মেয়েঃ

কোন মন্তব্য নেই
♥একটা মেয়ে আল্লাহর সবচেয়ে সুন্দর সৃষ্টিগুলো র মধ্যে একটি!!
♥সে খুব ছোটবেলা থেকেই সবকিছুরকারন বুঝতে শিখে!!
♥সে নিজে চকলেট না খেয়ে ছোটভাইটিকে দিয়ে দেয়!!
♥সে তার পিতামাতার জন্য নিজের ভালবাসা উৎসর্গ করে!!
♥সে তার স্বামীর আরাম-আয়েসে র জন্য নিজের সুখ ত্যাগ করে!!
♥সে তার পুরো যৌবন ত্যাগ করেকোন প্রকার অভিযোগ ছাড়া শুধুমাত্র তার স্বামী ও সন্তানের জন্য!!
♥পরিশেষে তার জীবন শেষ হয় শুধুমাত্র অন্যের সুখের জন্য নিজের সুখ ত্যাগ করে!!
সে সৃষ্টিকর্তার এমন একটি সুন্দর সৃষ্টি যে কেউ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবে না!! সবশেষে একটাই কথা – আমরাআমাদের আশেপাশের মেয়েদের টিজিং করি!! একবারও কি নিজের বোন , মা , স্ত্রীর কথা ভেবেছি?? ভাবিনি!! যদি ভাবতাম তাহলে ইভ টিজিং করতেপারতাম না!! যদি পারেন কথাগুলো সবাই মাথায় রাখবেন!!
♥ প্রতিটি মেয়েকে শ্রদ্ধা করুন!! আপনি হয়তো নিজেও জানবেন না আপনার জন্য “সে” কখন কি সেক্রিফাইস করবে!! ♥♥♥♥♥♥

♥♥♥♥সমাপ্ত
♥♥♥♥
প্রকাশক : সৈয়দ রুবেল উদ্দিন
www.facebook.com/sayed.rubel3

কোন মন্তব্য নেই :

মেয়েদের অর্গাসোম, ক্লিটরিস এবং জি-স্পট
কোন মন্তব্য নেই
অর্গাসোম সম্পর্কে আগেই বলা হয়েছে। মেয়েদের অর্গাসোমের বেলায় বেশ গুরুত্বপূর্ণ দুইটি ব্যাপার হল তার জি স্পট ও ক্লিটরিস কে স্টিমুলেট করা।এগুলো মেয়েদের অন্যতম দুইটি সেক্স অর্গান। জি স্পট ও ক্লিটরিস স্টিমুলেট করলে মেয়েরা অর্গাসোম লাভ করতে পারেসহজেই।
ক্লিটরিস কিঃ ক্লিটরিস একটা ছোট্ট বাডের মত অংশ যা ভ্যাজায়নার উপরের দিকে মুখের ঠিক ভেতরে থাকে। এটি সাধারনত একটা চামড়ার আড়ালে ঢাকা থাকে, কিন্তু মেয়েরা যখন সেক্সুয়ালি এরৌসড হয় তখন এটি বেরিয়ে আসে।
কিভাবে স্টিমুলেট করবেনঃ ক্লিটরিস ঘষে, সাক করে, প্রেসার দিয়ে স্টিমুলেট করা যায়। এটিকে দীর্ঘ সময় ধরে স্টিমুলেটকরা যায় আস্তে আস্তে স্পর্শ করুন, প্রথমেই বেশি প্রেসার দিবেন না। এ জায়গাটা বেশ সেন্সিটিভ। শুধু ক্লিটরিস নউ, বরং এর চারপাশে হাত ঘষুন। এতে সে আরাম পাবে। আস্তে আস্তে স্ট্রোক বারান। প্রেসার বেশি প্রয়োজন হলে সে ই বলবে। ক্লিটরিসে ফিঙ্গারিং(১),(২) করার সময়, বা ইন্টারকোর্সের সময় পেনিস দিয়ে মজা দিতে পারেন। এছাড়া ওরাল সেক্সের সময় জিহবা ক্লিটের উপর ঘুরালেওসেটি অনেক বেশি স্টিমুলেটেড হয়।
জি-স্পট কিঃ Gräfenberg Spot, কে সংক্ষেপে জি-স্পট(G-Spot) বলা হয়। জিস্পট অনেকটা সীমের বিচীর মত দেখতে। এটা ভ্যাজায়নার ভিতরে, যাকে ভ্যজায়নাল ওয়াল বলে তার মুখে অবস্থিত, অনেকটা নাভি বরাবর। এটা স্টিমুলেটেড হলে রাফ লাগে ধরতে।কি ভাবে খুজে পাবেনঃ জি স্পট পেনিস বা আঙ্গুল দুইটা দিয়েই স্টিমুলেট করা যায়। জি স্পট আপনার নিজেরই খুজে নিতে হবে। প্রথমবারের ক্ষেত্রে আঙ্গুল দিয়ে জি স্পট খুজে বের করা বেশি সহজ। আঙ্গুল পুরোপুরি ভেতরে ঢুকার পর এমন একটি জায়গাপাবেন যেটি আশেপাশের ভ্যাজায়নাল ওয়ালের থেকে বেশি রাফ। সেটাই জি স্পট। ফিঙ্গারিং করার সময় সে সোজা হয়ে শুয়ে থাকলে জি স্পট সহজেই খুজে পাবেন। ইন্টারকোর্সের সময় জি স্পট পাওয়ার জন্য সেক্স পজিশন ঠিক থাকা বেশ জরুরি। ডগি স্টাইলে পেছন দিক থেকে বা দুইজনএকি দিকে মুখ করে শুয়ে তাকে পেছন দিক থেকে ফাক করলে জি স্পট সহজে হিট করতে পারবেন। ডগি স্টাইলে তার অ্যাস ধরে উচু করে পেনিস ঢুকালে সহজে জি স্পট খুজেপাওয়া যায়। এছাড়া মেয়েরা উপরে থেকে সেই পজিশনে সেক্স করলে সহজেই তার জি স্পট হিট করা সম্ভব। এছাড়া সে পেনিসের উপরে তার অ্যাস সারকুলার ভাবে ঘুড়িয়ে, উপরে নিচে করে জি-স্পট হিট করতে পারে। জি স্পট হিট করার জন্য এবং স্টিমুলেট করার জন্য বেশ প্রেসার দিতে হয়। এতে সে ব্যথা না পাওয়া পর্যন্ত কোন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।

♥♥♥♥সমাপ্ত
♥♥♥♥
প্রকাশক : সৈয়দ রুবেল উদ্দিন
www.facebook.com/sayed.rubel3

কোন মন্তব্য নেই :

মেয়েদের মাস্টারবেশন- ফিঙ্গারিং!!
কোন মন্তব্য নেই
ছেলেদের মত মেয়েরাও অনেক সময়ইঅনেক হর্নি হয়ে যায় যে তাদের মাস্টারবেট করার প্রয়োজন হয়। মাস্টারবেট হিসাবে মেয়েরা সাধারনত ফিঙ্গারিং করে থাকে। মাস্টার্বেট করে সর্বোচ্চ আনন্দ পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে ফিঙ্গারিং করে যায়। যে ভাবে করে আপনি সবচেয়ে অনন্দ পান, এবং কম্ফোর্টেবল ফিল করেন, সেভাবে ফিঙ্গারিং করুন। ফিঙ্গারিং এ সাহায্য করতে পারে এমন কিছু তথ্যই দেওয়া হল।
আপনি যখন বেশ হর্নি ফিল করবেন, বা টার্ন অন থাকবেন তখন ফিঙ্গারিং করা শুরু করুন। চাইলেফিঙ্গারিং করার আগে পর্ন বা সেক্স মুভি দেখুন, এরোটিকা পড়ুন।এছাড়া বয়ফ্রেন্ড এর সাথে ফোন সেক্স করার সময় বা এরোটিক কথা বলার সময় করতে পারেন ফিঙ্গারিং। হর্নি হলে জি স্পটের চার পাশের স্পঞ্জি এরিয়া গুলোতে রক্ত পৌছায়, ফলে জায়গাগুলো স্ফিত হয়। তাতে ফিঙ্গারিং করা সহজ হয় এবং এতে করে আপনি মজাও বেশি পাবেন।
ফিঙ্গারিং শুরু করার আগে আপনার ব্রেস্ট চাপতে পারেন, নিপল টুইস্ট করতে পারেন। এটি আপনাকে মুড এ আসতে সহায়তা করবে। দুই পা ফাক করে কম্ফোর্টেবল কোন পজিশনে বসুন বা শুয়ে পড়ুন। আঙ্গুল লাগান আপনার ভ্যাজায়নাতে। আঙ্গুল একটু ঘষুন ও আস্তে আস্তে চাপুন। ভিজেউঠলে ভেতরে ঢুকান একটা আঙ্গুল। চাইলে সে সময় আঙ্গুলের পরিবর্তে পেনিস কল্পনা করে নিতেপারেন। জোরে ঢুকান বের করুন, আস্তে আস্তে দুইটি বা তিনটি আঙ্গুল দিন। ভেতরে আঙ্গুল ঘোরান। জি স্পট স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। ক্লিটরিস স্পর্শ করুন, টিপুন, সুড়সুড়ি দিন। বেশমজা পাবেন। আঙ্গুল ব্যথা না পাওয়া পর্যন্ত জোরে ঢুকান। এতেস্যাটিস্ফেকশন পাবেন। এক হাত দিয়ে ফিঙ্গারিং করার সময় আরেকহাত দিয়ে ব্রেস্ট বা অ্যাস চাপতে পারেন। আপনার ভ্যাজায়না ভিজে না উঠার আগে ফিঙ্গারিং শুরু করবেন না, এতে পরে ব্যথা করতে পারে। অর্গাসোম লাভ করা পর্যন্ত বা সম্পূর্ণ স্যাটিস্ফাইড হওয়া পর্যন্ত ফিঙ্গারিং করুন।মেয়েদের মাস্টার্বেটে আরো মজা পাওয়ার জন্য আছে বিভিন্ন সেক্সটয়, যেমন ডিলডো, ভাইব্রেটর। এসবে লুব্রিক্যান্ট অয়েল মাখিয়ে নিতে পারেন যদি বেশি শুকনো লাগে। এর পর পছন্দ মত ভইব্রেশন দিয়ে মাস্টারবেট করুন। জি স্পট খুজে বের করা টা মেয়েদের মাস্টারবেটে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। পরবর্তীতে এর সম্পর্কে বলা হবে। জি স্পট খুজেসেখানে জোরে প্রেস করুন। এতে আপনার কোন ক্ষতি হবে না। বরং অর্গাসোম লাভ করতে পারবেন। সেক্স টয় বা ডিলডো ব্যাবহারে শরীরের কোন ক্ষতি হয় না। তবে এগুলো না থাকলে আপনি আঙ্গুল দিয়ে ই কাজ চালাতে পারেন। অনেকে ডিলডোর অভাব মেটাতে পেন্সিল বা অন্যান্য জিনিস ব্যাবহার করে থাকে। আপনি যদি এসব ব্যাবহারে মজা পান, এবং কম্ফোর্টেবল হন তবে চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
♥♥♥♥সমাপ্ত
♥♥♥♥
প্রকাশক : সৈয়দ রুবেল উদ্দিন
www.facebook.com/sayed.rubel3

কোন মন্তব্য নেই :

আমার দ্রুত বের হয়ে যায় । আমি কি করবো ? সমাধান দেখুন।

কোন মন্তব্য নেই
আমরা অনেকের কাছ থেকে প্রশ্ন পেয়েছি দ্রুত বির্যপাত বিষয়ে । আজকে এ বিষয়ে স্পষ্ট কথা এবং সলিউশন দেয়া হবে ।
ছেলেদের প্রথমেই যে প্রশ্ন টা থাকে তা হল , – “আমার দ্রুত বের হয়ে যায় । আমি কি করবো ? “
এটির জন্য আমরা অনেকগুলো সলিউশনদেখবো । তবে সবার আগে দ্রুত বলতে আপনি কি বোঝান তা বুঝতে হবে । একটি ছেলের যদি করার সময় ১০মিনিটের মাথায় বীর্যপাত হয়,সেটি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক । একে দ্রুত বীর্যপাত বলা যাবে না । এমনকি ৬-৭ মিনিট ও স্বাভাবিক বলা হয় । আপনি তখনি আপনার এ বিষয় টি নিয়ে চিন্তা করবেন যখন আপনার তার থেকেও কম অর্থাৎ ১-৫ মিনিটে বের হয়ে যাবে । কেবলতখনি আপনি বলতে পারবেন যে আপনারএ সমস্যা অর্থাৎ দ্রুত বের হয়েযাচ্ছে। চিন্তার কোন কারণ নেই । মূল আলোচনার আগে আর একটি প্রচলিত ধারণার কথা বলা যাক ।
অনেক মানুষ ই আছেন যারা মনে করেনতার অধিকাংশ সমস্যার কারণ মাস্টারবেশন । এটি ভুল ধারণা । মাস্টারবেশন বা হস্তমৈথুন সম্পুর্ণ স্বাভাবিক একটি ব্যপার । এতে আপনার কোন দিক দিয়েই কোন ক্ষতি হবার চান্স নেই ।
এই কথাটি বলার কারণ খুব ই সরল । কারণ অনেকেই মনে করে তার দ্রুত বীর্যপাতের আসল কারণ সে অনেক মাস্টারবেট করে । এখানে একটি থিওরি আছে ।বোঝানোর চেষ্টা করছি। ধরুণ আপনি বাথরুমে গেলেন মাস্টারবেশন করতে । আপনি যসি ২০মিনিট ধরে করেন তাহলে অবশ্যই আপনার বাসা থেকে ডাকাডাকি হবে , না হলেও আপনার অবচেতন মন ই আপনাকে তাড়া দেবে । এজন্য যা হয় তা হল , অবচেতন ভাবেই ছেলেরামাস্টারবেট করতে করতে দ্রুত কিভাবে বের করা যায় সেটা শিখে ফেলে । পরে সেক্স করার সময় মনের অজান্তেই হয়তো পেনিসের তার সেই স্পেশাল জায়গা অথবা তার সে বিশেষ স্টাইল সে ধরে ফেলে , ফলে তাড়াতাড়ি বের হয়ে যায় ।
এখন , যাদের আসলেই দ্রুত বের হয়ে যায় তারা কি করবেন ? কারণ অবশ্যই , আপনার গার্লফ্রেন্ড বা ওয়াইফ আপনার পেনিস মুখে নিল , আর আপনার বের হয়ে গেল কিছু করার আগেই , অথবা ধরলো আপনার পেনিস , সাথে সাথে বের হয়ে গেল ,অথবা আপনার গার্লফ্রেন্ড বা পার্টনার হয়তো উত্তেজক কিছু করলো আপনার সাথে , তখনি বের হয়েগেল । এগুলো হল সমস্যা। সলিউশনেযাই এবার আমরা ।
একটি ব্যপার স্বাভাবিক । ধরুন আপনি অনেকদিন করেন না , আপনার পার্টনারের সাথে অনেকদিন পর করতে গিয়ে উত্তেজনায় দ্রুত বের হয়ে আসলো স্পার্ম । এটি স্বাভাবিক , এতে ঘাবড়ানোর কিছুনেই । এটি আপনার অক্ষমতা নয় । এবার আসুন দেখি যাদের দ্রুত বেরহয়ে যায় তারা কি কি করতে পারেন -
- হাতের ওপর জোর বাড়ানো । অনেক সময় দেখা যায় ছেলেরা করার সময় সব বা প্রায় সব ভর পেনিস এই দিয়ে থাকে , এতে দ্রুত বের হয়ে যেতে পারে তাই হাতে জোর বাড়াতে হবে ।
- এক পজিশনে বেশিক্ষণ না করে পজিশন বদলে বদলে করতে হবে ।
- একটি অন্য্রকম পদ্ধতি হল একবার বের করে দেয়া । আপনি আপনার স্পার্ম পার্টনার কে দেখিয়ে তার গায়ে অথবা অন্য কোথাও সেক্স এর আগেই বের করুন একবার। সে হর্নি হবে দেখে । এবার পেনিস টা ভালমত পানি দিয়েধুন । এবার ২মিনিট ব্রেক এর পর আস্তে আস্তে আবার কিসিং শুরু করুন । ১৫মিনিটের মাথায় আবার ঢুকাতে সক্ষম হবার কথা ।
- ঢোকানো অবস্থায় যদি আপনার মনে হয় যে এখনি বের হয়ে আসছে তখন আর সোজা ধাক্কা না দিয়ে ঘোরানো শুরু করুন । হাত দিয়ে পেনিস ধরবেন না ।
- একটি অভ্যাস প্র্যাকটিস করুন বাসায় । নিজে পেনিস কে উত্তেজিত করে বের হওয়ার ঠিক আগমুহূর্ত পর্যন্ত নিয়ে যান , এর পর আবার স্বাভাবিক হোন বের না করে । এটি সপ্তাহে একবারের বেশিনা করাই ভাল কারণ এতে দেহের ক্ষতি হতে পারে ।
আশা করি এসকল ব্যপারে সতর্ক থাকলে আপনার সেক্স লাইফ হবে আরোমজার ।
                                  ♥♥♥♥সমাপ্ত ♥♥♥♥

                      আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ।

কোন মন্তব্য নেই :

ছেলেদের প্রধাণ সমস্যা – দ্রুত বীর্যপাত
৭টি মন্তব্য
আমরা অনেকের কাছ থেকে প্রশ্ন পেয়েছি দ্রুত বির্যপাত বিষয়ে । আজকে এ বিষয়ে স্পষ্ট কথা এবং সলিউশন দেয়া হবে ।
ছেলেদের প্রথমেই যে প্রশ্ন টা থাকে তা হল , – “আমার দ্রুত বের হয়ে যায় । আমি কি করবো ? “
এটির জন্য আমরা অনেকগুলো সলিউশনদেখবো । তবে সবার আগে দ্রুত বলতে আপনি কি বোঝান তা বুঝতে হবে । একটি ছেলের যদি করার সময় ১০মিনিটের মাথায় বীর্যপাত হয়,সেটি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক । একে দ্রুত বীর্যপাত বলা যাবে না । এমনকি ৬-৭ মিনিট ও স্বাভাবিক বলা হয় । আপনি তখনি আপনার এ বিষয় টি নিয়ে চিন্তা করবেন যখন আপনার তার থেকেও কম অর্থাৎ ১-৫ মিনিটে বের হয়ে যাবে । কেবলতখনি আপনি বলতে পারবেন যে আপনারএ সমস্যা অর্থাৎ দ্রুত বের হয়েযাচ্ছে। চিন্তার কোন কারণ নেই । মূল আলোচনার আগে আর একটি প্রচলিত ধারণার কথা বলা যাক ।
অনেক মানুষ ই আছেন যারা মনে করেনতার অধিকাংশ সমস্যার কারণ মাস্টারবেশন । এটি ভুল ধারণা । মাস্টারবেশন বা হস্তমৈথুন সম্পুর্ণ স্বাভাবিক একটি ব্যপার । এতে আপনার কোন দিক দিয়েই কোন ক্ষতি হবার চান্স নেই ।
এই কথাটি বলার কারণ খুব ই সরল । কারণ অনেকেই মনে করে তার দ্রুত বীর্যপাতের আসল কারণ সে অনেক মাস্টারবেট করে । এখানে একটি থিওরি আছে ।বোঝানোর চেষ্টা করছি। ধরুণ আপনি বাথরুমে গেলেন মাস্টারবেশন করতে । আপনি যসি ২০মিনিট ধরে করেন তাহলে অবশ্যই আপনার বাসা থেকে ডাকাডাকি হবে , না হলেও আপনার অবচেতন মন ই আপনাকে তাড়া দেবে । এজন্য যা হয় তা হল , অবচেতন ভাবেই ছেলেরামাস্টারবেট করতে করতে দ্রুত কিভাবে বের করা যায় সেটা শিখে ফেলে । পরে সেক্স করার সময় মনের অজান্তেই হয়তো পেনিসের তার সেই স্পেশাল জায়গা অথবা তার সে বিশেষ স্টাইল সে ধরে ফেলে , ফলে তাড়াতাড়ি বের হয়ে যায় ।
এখন , যাদের আসলেই দ্রুত বের হয়ে যায় তারা কি করবেন ? কারণ অবশ্যই , আপনার গার্লফ্রেন্ড বা ওয়াইফ আপনার পেনিস মুখে নিল , আর আপনার বের হয়ে গেল কিছু করার আগেই , অথবা ধরলো আপনার পেনিস , সাথে সাথে বের হয়ে গেল ,অথবা আপনার গার্লফ্রেন্ড বা পার্টনার হয়তো উত্তেজক কিছু করলো আপনার সাথে , তখনি বের হয়েগেল । এগুলো হল সমস্যা। সলিউশনেযাই এবার আমরা ।
একটি ব্যপার স্বাভাবিক । ধরুন আপনি অনেকদিন করেন না , আপনার পার্টনারের সাথে অনেকদিন পর করতে গিয়ে উত্তেজনায় দ্রুত বের হয়ে আসলো স্পার্ম । এটি স্বাভাবিক , এতে ঘাবড়ানোর কিছুনেই । এটি আপনার অক্ষমতা নয় । এবার আসুন দেখি যাদের দ্রুত বেরহয়ে যায় তারা কি কি করতে পারেন -
- হাতের ওপর জোর বাড়ানো । অনেক সময় দেখা যায় ছেলেরা করার সময় সব বা প্রায় সব ভর পেনিস এই দিয়ে থাকে , এতে দ্রুত বের হয়ে যেতে পারে তাই হাতে জোর বাড়াতে হবে ।
- এক পজিশনে বেশিক্ষণ না করে পজিশন বদলে বদলে করতে হবে ।
- একটি অন্য্রকম পদ্ধতি হল একবার বের করে দেয়া । আপনি আপনার স্পার্ম পার্টনার কে দেখিয়ে তার গায়ে অথবা অন্য কোথাও সেক্স এর আগেই বের করুন একবার। সে হর্নি হবে দেখে । এবার পেনিস টা ভালমত পানি দিয়েধুন । এবার ২মিনিট ব্রেক এর পর আস্তে আস্তে আবার কিসিং শুরু করুন । ১৫মিনিটের মাথায় আবার ঢুকাতে সক্ষম হবার কথা ।
- ঢোকানো অবস্থায় যদি আপনার মনে হয় যে এখনি বের হয়ে আসছে তখন আর সোজা ধাক্কা না দিয়ে ঘোরানো শুরু করুন । হাত দিয়ে পেনিস ধরবেন না ।
- একটি অভ্যাস প্র্যাকটিস করুন বাসায় । নিজে পেনিস কে উত্তেজিত করে বের হওয়ার ঠিক আগমুহূর্ত পর্যন্ত নিয়ে যান , এর পর আবার স্বাভাবিক হোন বের না করে । এটি সপ্তাহে একবারের বেশিনা করাই ভাল কারণ এতে দেহের ক্ষতি হতে পারে ।
আশা করি এসকল ব্যপারে সতর্ক থাকলে আপনার সেক্স লাইফ হবে আরোমজার ।
♥♥♥♥সমাপ্ত
♥♥♥♥
প্রকাশক:সৈয়দ রুবেল উদ্দিন
www.facebook.com/sayed.rubel3
সাধারণ স্ত্রী রোগ : যোনি পথে প্রদাহ
কোন মন্তব্য নেই
এটি একটি যৌনবাহিত রোগ৷ স্বামী-স্ত্রী মিলনের ফলে অথবা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে অথবা অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্নতার কারণে স্ত্রীলোকের যোনিপথে প্রদাহ হয়ে থাকে৷
কারণ
যোনিপথে দুটি কারণে প্রদাহ হতে পারে
১. অসংক্রমিত প্রদাহ : যৌনিপথের স্রাব পরীক্ষা করলে কোনও রকম জীবাণু পাওয়া যায় না৷ স্বামী-স্ত্রীর মিলন ছাড়া এ রোগ এক দেহ হতে অন্য দেহে সংক্রমিত হয় না৷
এ ধরনের প্রদাহের উত্‌স হচ্ছে
* যৌনিপথের অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্নতা
* চর্মরোগ
* মূত্রতন্ত্রের সংক্রমণ
* পুষ্টির অভাবে
* গর্ভাবস্থায়
* অপরিষ্কার এবং আটসাট পায়জামা বা প্যান্ট ব্যবহার করলে
* জণ্মনিয়ন্ত্রণে যৌনিপথে কোনও জেলি বা কপারটি ব্যবহার করলে
২. সংক্রমিত প্রদাহ : যে প্রদাহ এক দেহ হতে অন্য দেহে সংক্রমিত হয় তাকে সংক্রমিত প্রদাহ বলে৷ এ প্রদাহকে আবার দুভাগে ভাগ করা যায়৷
* নির্দিষ্ট ব্যাকটেরিয়া দ্বারা গনোরিয়া, সিফিলিস ইত্যাদি৷
* নির্দিষ্ট ছত্রাক দ্বারা : ট্রাইকোমোনাল, মনিলিয়াল ইত্যাদি৷
লক্ষণ
* স্বামী সহবাসে যোনিপথে জ্বালাও ব্যথা হতে পারে৷
* প্রস্রাবে জ্বালা-পোড়া থাকতে পারে৷
* জ্বর থাকতে পারে৷
* যোনিপথে দুর্গন্ধযুক্ত পাতলা সাদা স্রাব থাকে৷
* যোনিপথে ফোলা ও লাল দেখা যেতে পারে৷
* যোনিপথের স্রাব পরীক্ষা করলে নির্দিষ্ট জীবাণু পাওয়া যাবে৷
চিকিত্‌সা (Treatment)
* দ্রুত চিকিত্‌সকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খেতে হবে৷ অন্যথায় পরে নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে৷
* প্রতিরোধ
* রোগীকে ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে৷
* পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে৷
* রোগীকে প্রচুর পানি খেতে হবে৷
* বিশ্রাম নিতে হবে৷
* রোগমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত স্বামী সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে অথবা স্বামী সহবাসের সময় স্বামীকে কনডম ব্যবহার করতে হবে৷
* রোগীর কাপড় চোপড় যাতে অন্য কেউ ব্যবহার না করে সে বিষয়ে রোগীকে সতর্ক থাকতে হবে৷
byসৈয়দ রুবেল উদ্দিন to
www.facebook.com/sayed.rubel3

কোন মন্তব্য নেই :

Model: naughty
কোন মন্তব্য নেই
Model: naughty

কোন মন্তব্য নেই :

সৈয়দ রুবেল উদ্দিন: সতী নারীর
কোন মন্তব্য নেই
সৈয়দ রুবেল উদ্দিন: সতী নারীর: সতী নারীর শত গুন জলন্ত প্রমাণ, অন্য কাউকে করেনা স্বামীর মত সম্মান স্বামী হল মনের মানুষ সব কিছুরই চাবি স্বামীর মনে দুঃখ দিয়ে করেনা কিছ...

কোন মন্তব্য নেই :

মানুষের মস্তিষ্ক সম্পর্কে ১০০টি বিস্ময়কর ও অজানা তথ্য part 4

কোন মন্তব্য নেই
৯১. সপ্তম লেনিনঃ লেনিনের মৃত্যুর পর তার মস্তিষ্ক পরীক্ষা করে দেখা গেছে তার মস্তিষ্ক অস্বাভাবিকভাবে বড় এবং কিছু অংশে অসংখ্য নিউরন রয়েছে যা ব্যাখ্যা দান করে তার তীব্র এবং আক্রমণাত্মক তীক্ষ্নঅত্যাচারী মনোভাবের এবং যার জন্য তিনি বিখ্যাত।
সবচেয়ে পুরাতন মস্তিষ্ক
৯২. পুরাতন মস্তিষ্কঃ ইংল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলের নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২০০০ বছর পুরানো মস্তিষ্কের সন্ধান পাওয়া গেছে।
৯৩. বেব রুথঃ কলম্বিয়ার মনোবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন ছাত্র বেবের মস্তিষ্ক পরীক্ষা করে দেখেছে যে,এতে প্রায় ৯০ ভাগ বেশি কাজের দক্ষতা সম্বন্ধীয় বস্তু রয়েছে যা সর্বাধিক মানুষের থাকে ৬০ ভাগ।
৯৪. ডানিয়েল ট্যামেটঃ ডানিয়েল ট্যামেট যে ছিল আত্মসংবেদী পণ্ডিত তার তিন বছরবয়সে মৃগী সংক্রান্ত অপারেশন ঘটে। তিনি তিন বছর বয়স থেকে গণিতে পারদর্শী ছিলেন এবং সাতটি ভাষা জানতেন এবং নিজে নিজে শব্দ বা ভাষা সৃষ্টিতে সক্ষম ছিলেন।
৯৫. কেউথ জ্যারেটঃ এই যাজক এবং গায়ক তিন বছর বয়স থেকে নিখুঁত ধর্ম উপদেশ দিতে পারত এবং বিজ্ঞানীরা তার মস্তিষ্ক পরীক্ষা করে দেখেছিল যে তার মস্তিষ্কে ডান দিকের সম্মুখ ভাগ কিছুটা উঁচু ছিল।
৯৬. ২০০০ অব্দঃ নৃবিজ্ঞানীরা প্রমাণ পেয়েছেন যে ওই সময়ে মস্তিষ্কের খুলিতে ছিদ্র করার মাধ্যমে অস্ত্রোপচার করা হতো।
৯৭. ১৮১১ : স্কটিশ সার্জন চার্লস বেল ব্যাখ্যা দিয়েছেন যে প্রতিটি অনুভূতির একটি যোগাযোগ কেন্দ্র রয়েছে মস্তিষ্কে।
৯৮. ১৮৯৯ : অ্যাসপিরিন নামক ওষুধটি ব্যথা নিবারক হিসেবে বাজারজাত হয়েছিল কিন্তু ডাক্তারের নির্দেশ ছাড়া এটি নিষিদ্ধ ছিল ১৯১৫ সাল পর্যন্ত।
৯৯. ১৯২১ : হারমান রোরসাচ আবিষ্কার করেছেন বিখ্যাত ইনক ব্লট পরীক্ষা।
১০০. ১৯৫৯ : প্রথম ক্ষুদ্র লেজবিশিষ্ট বানর মহাশূন্যে পাঠানো হয়েছিল মানুষের আচরণ পরীক্ষার জন্য।
এই পোষ্টটি লিখেছেন♥♥বাংলাদেশের বিশিষ্ট মনোশিক্ষাবিদ, মনোবিজ্ঞানী ও মনোচিকিৎসক
অধ্যাপক ডা. এ এইচ মোহাম্মদ ফিরোজ
মানসিক রোগ শিক্ষা, গবেষণা, চিকিৎসা ও জনসচেতনতায় পথিকৃৎ !
সৈয়দ রুবেল উদ্দিন ।
ঠিকানা ,শাহপরান মাজার খাদিম
নগর সিলেট ,বাংলাদেশ ।
www.facebook.com/sayed.rubel3

কোন মন্তব্য নেই :

মানুষের মস্তিষ্ক সম্পর্কে ১০০টি বিস্ময়কর ও অজানা তথ্য part 3

কোন মন্তব্য নেই
৬৭. রঙঃ কিছু লোক প্রায় ১২ ভাগ লোক সাদা কালো স্বপ্ন দেখে যখন অন্যরা রঙিন স্বপ্ন দেখে।
৬৮. অন্ধ লোকও স্বপ্ন দেখেঃ স্বপ্ন হচ্ছে দৃশ্যমান কোনো বস্তু অপেক্ষা বেশি কিছু এবং অন্ধ লোকও স্বপ্ন দেখে। অন্ধ লোকটি স্বপ্নে ছবি দেখতে পারে কি না তা নির্ভর করে তারা জন্মকালীন অন্ধ বা জন্মের পর দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে কি না তার ওপর।
৬৯. নাক ডাকাঃ যদি আপনি নাক ডাকেন তবে আপনি স্বপ্ন দেখেন না।
৭০. স্বপ্নের সময়কালঃ স্বপ্নের সময় যদি আপনি জেগে যান তবে আপনি সারা রাত ঘুমালে স্বপ্ন যেটুকু মনে রাখতে পারতেন তা অপেক্ষা বেশি মনে রাখতে পারবেন।
৭১. চিহ্নঃ যারা স্বপ্নের মানেজানতে চান তাদের জন্য বলছি স্বপ্ন এমন কিছু উপস্থাপন করে যা আপনি ব্যক্তি জীবনে নন। অবচেতন মন চেষ্টা করে আপনার কাঙিক্ষত কোনো কিছুর সাথে সংযোগ ঘটাতে। তাই স্বপ্ন হচ্ছেএক ধরনের সংকেতময় প্রতিবেদন।
৭২. অ্যাডেনোসাইনঃ ক্যাফেইন দেহে অ্যাডেনোসাইন প্রবেশে বাধা দেয় এবং সতর্কতা সৃষ্টি করে। বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে এই ক্যাফেইন না খাওয়া স্বাভাবিক নিদ্রা এবং ইনসমনিয়া বা নিদ্রাহীনতা কমাতেসাহায্য করে।
৭৩. স্বপ্ন প্রদর্শনীঃ জাপানের গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন এমন এক যন্ত্র যা মনের চিন্তাভাবনার চিত্র দেখতে এমনকি স্বপ্নকে ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে দেখাতে সক্ষম।
সভ্যতার এক বিস্ময়কর তথ্য
৭৪. উড়োজাহাজ এবং মাথাব্যথাঃ একটি গবেষণা প্রমাণ করেছে উড়া এবং মাথাব্যথার মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে। বলা হয়েছে যারা প্লেন চালায় তাদের মধ্যে ৬ ভাগ লোক বেশি মাথাব্যথায় আক্রান্ত হয় যারা উড়োজাহাজে ভ্রমণ করছে তাদের অপেক্ষা।
৭৫. হাত সাফাইঃ ভোজবাজি বা জাদু দেখানো মস্তিষ্কের পরিবর্তন আনতে পারে সাত দিনের চেয়েও কম সময়ে। সমীক্ষণ দেখিয়েছে নতুন কিছু শেখা মস্তিষ্কে খুব দ্রুত পরিবর্তন আনতে পারে।
৭৬. ডিজনি এবং ঘুমঃ স্লিপ মেডিসিন নামক একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে যে কীভাবে মায়াডিজনি খেলায় বিভিন্ন প্রাণীদেরদিয়ে তাদের ঘুমের বিচ্ছেদ ঘটিয়ে খেলার নানা কৌশল শেখাতে গিয়ে।
৭৭. চোখ টেপাঃ প্রত্যেক সময় আমরা চোখের পাতা ফেলি এবং মস্তিষ্ক এটা করে এবং সব সময় সবকিছু দৃশ্যমান রাখাও যাতে পুরোপৃথিবী আমাদের সামনে অদৃশ্য না হয় যখন আমরা চোখের পাতা ফেলি। আমরা দিনের ভেতর প্রায় বিশ হাজার বার চোখের পাতা ফেলি।৭৮. হাসিঃ কোনো কিছু শুনে বা দেখে হাসি পাওয়া এত সোজা নয় কারণ এর জন্য মস্তিষ্কের ৫টি অঞ্চলকে সক্রিয় হতে হয়।
৭৯. হাই সংক্রামকঃ কখনো লক্ষ করেছেন আপনার হাই তোলার পর আপনার চারপাশের লোকজন কী করছে?দেখা যাবে তারাও হাই তুলছে। কারণ বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন এটা প্রাচীন মানুষের সামাজিক আচরণের একটি অংশ।
৮০. মস্তিষ্কের সংরক্ষণঃ হার্ভার্ড প্রায় ৭০০০ মস্তিষ্কের সংরক্ষণ করেছেন।
৮১. বাহ্যিক এলাকাঃ মহাবিশ্বের ঘনত্বের হেরফের মস্তিস্ককে বিভিন্ন উপায়ে আঘাতকরে। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন কীভাবে এবং কেন মানুষ চাঁদে পা রাখতে চায়।
৮২. গানঃ গান শুনলে বড় এবং ছোট উভয়ের মস্তিষ্কের ক্রিয়াশীলতা বুদ্ধি পায়।
৮৩. চিন্তাঃ মানুষের চিন্তা যা তারা বিশ্বাস করে তার সম্মুখীন হয় তারা প্রায় ৭০,০০০ বার।
৮৪. সব্যসাচীঃ যারা বামহাতি বা সব্যসাচী তাদের মস্তিষ্কের দুটি খণ্ডের সংযোজক অঙ্গ যার নাম করপাস কোলোসাম যেটি ১১ ভাগ বেশি চওড়া ডানহাতি লোকদের তুলনায়।
৮৫. চাপসম্পন্ন কাজঃ একটি সমীক্ষণে দেখা যায় প্রথমে হিসাবরক্ষক, তারপর লাইব্রেরিয়ান, তারপর বাস ও ট্রাকচালক সবচেয়ে বেশি মাথাব্যথায় ভুগে থাকে।
৮৬. অ্যারিস্টটলঃ অ্যারিস্টটল ভুলবশত ভেবেছিলেন মস্তিষ্কের সব কাজ হৃৎপিণ্ডে ঘটে।
৮৭. স্বজাতি ভক্ষণঃ কিছু পরীক্ষা প্রমাণ করেছে যে, মানুষের দেহে এমন কিছু জিন রয়েছে যা তাদের স্বজাতি ভক্ষণ রোগ থেকে দূরে রাখে। এ থেকে ধারণা করা হয় যে আদিকালের মানুষ তাদের নিজেদের মাংস ভক্ষণ করত।
৮৮. শেক্সপিয়ারঃ ব্রেইন শব্দটি শেক্সপীয়রের শেক্সপিয়ার প্রায় ৬৬ বার ব্যবহার করেছিলেন।
৮৯. আলবার্ট আইনস্টাইনঃ আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের আকার সাধারণ মানুষের মস্তিষ্কের আকারের সমান ছিল। শুধু মস্তিষ্কের যে অংশ গণিত এবং তৎসংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত সেটি আকারে ভিন্ন ছিল। ওই অংশটি প্রায় ৩৫ ভাগ চওড়া ছিল সাধারণ মানুষের তুলনায়।
৯০. লন্ডনের টেক্সি ড্রাইভারঃ লন্ডনের টেক্সি চালকরা বিখ্যাত ছিল লন্ডনের মতো বিশাল এলাকায় রাস্তাঘাট চেনার জন্য। তাদের মস্তিষ্ককে বলা হতো হিপোক্যাম্পাস বা বিশাল অঞ্চল। বিশেষত যারা অনেকদিন ধরে টেক্সি চালায়। এ জন্য যারা বেশি মনে রাখতে চায় তাদের মস্তিষ্ক ক্রমান্বয়ে বড় হতে থাকে।
আরো দেখুন+মানুষের মস্তিষ্ক সম্পর্কে ১০০টি বিস্ময়কর ও অজানা তথ্য part 4/এই পোষ্টটি লিখেছেন-বাংলাদেশের বিশিষ্ট মনোশিক্ষাবিদ, মনোবিজ্ঞানী ও মনোচিকিৎসক
অধ্যাপক ডা. এ এইচ মোহাম্মদ ফিরোজ
মানসিক রোগ শিক্ষা, গবেষণা, চিকিৎসা ও জনসচেতনতায় পথিকৃৎ
www.facebook.com/sayed.rubel3

কোন মন্তব্য নেই :

মানুষের মস্তিষ্ক সম্পর্কে ১০০টি বিস্ময়কর ও অজানা তথ্য part 2

কোন মন্তব্য নেই
৩৮. খাবার এবং বুদ্ধিমত্তাঃ নিউইয়র্কের ১ মিলিয়ন শিশুর ওপরপরীক্ষা করে দেখা গেছে যারা কৃত্রিম সুগন্ধকারক এবং প্রতিরোধক জীবাণুসম্পন্ন দুপুরের খাবার খায় না তাদের ১৪ ভাগই বুদ্ধিমত্ত্বায় অন্য অনেকশিশু যারা ওপরোল্লিখিত খাবার খায় তাদের তুলনায় ভালো করে।
৩৯. সমুদ্র থেকে প্রাপ্ত খাবারঃ ২০০৩ সালের মার্চ ডিসকভার পত্রিকার ৭ বছরের এক প্রতিবেদনে দেখা যায় যারা সমুদ্রের খাবার সপ্তাহে অন্তত একবার খায় তারা অন্য শিশুদের তুলনায় ৩০% কম মতিভ্রষ্টতা বাউন্মত্ততা রোগে আক্রান্ত হয়।
৪০. কাতুকুতু দেয়াঃ আপনি নিজেনিজেকে কাতুকুতু বা সুরসুরি দিতে পারবেন না কারণ আপনার মস্তিষ্ক আপনার স্পর্শ এবং অন্য কারও স্পর্শের পার্থক্য করতে পারে।
৪১. কল্পিত খেলার সাথীঃ অস্ট্রেলিয়ার এক গবেষণায় প্রমাণিত যে, যারা কল্পিত খেলারসাথী নিয়ে খেলা করে তারা অন্যদের তুলনায় বেশি আদর যত্ন বা সোহাগ যা প্রথম সন্তানের ক্ষেত্রে ঘটে সে রকমভাবে বড় হয়।
৪২. মুখের অভিব্যক্তি বুঝতে পারাঃ কোনো কথা ছাড়াই আপনি অন্যের সুখের অভিব্যক্তি বুঝতেপারবেন যেমন সে কি খুশি অথবা দুঃখিত কিংবা রাগান্বিত। মস্তিষ্কে অ্যামাগডালা নামক একটি ছোট অঞ্চল আছে যার মাধ্যমে আপনি অন্যের অভিব্যক্তি কোনো কথা ছাড়াই বুঝতে পারবেন।
৪৩. কানে শব্দ শোনাঃ অনেক বছরআগে ডাক্তাররা মনে করত কোনো বস্তুর ঝনঝনে শব্দ থেকে আমরা কানে শব্দ শুনতে পাই কিন্তু নতুনতম তথ্য হচ্ছে এই যে আমাদের শ্রবণশক্তির জন্যও মস্তিষ্কই দায়ী।
৪৪. পুরুষ এবং মহিলার আঘাতপ্রাপ্তিতে ভিন্ন প্রতিক্রিয়াঃ বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে, পুরুষ এবং মহিলারা আঘাতে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখায় যা প্রমাণ করে কেন তারা দুঃখজনক ঘটনার ভিন্ন ব্যাখ্যা প্রদান করে।
৪৫.স্বাদ আস্বাদনে বিশেষত্বঃ একটা শ্রেণী আছে যাদের জিহ্বায় বিভিন্ন স্বাদ আস্বাদনকারী গ্রন্থি রয়েছে যারফলে তাদের মস্তিষ্ক খাদ্য এবং পানীয়ের ক্ষেত্রে বেশি প্রতিক্রিয়াশীল। এমনকি তারা বিভিন্ন গন্ধের পার্থক্য করতে পারে যা অন্যরা পারে না।
৪৬. ঠাণ্ডাঃ কিছু ব্যক্তি আছে যারা ঠাণ্ডার প্রতি বিশেষ প্রতিক্রিয়াশীল এবং ঠাণ্ডায় অসুস্থবোধ করে। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা প্রমাণ করে তাদের দেহেএমন কিছু যোগাযোগ গ্রন্থি আছে যা মস্তিষ্কে খবর পাঠায় যে তাদের শীত লাগছে।৪৭. সিদ্ধান্ত গ্রহণঃ মহিলারা সিদ্ধান্ত গ্রহণে পুরুষ অপেক্ষা বেশি সময় নেয় কিন্তু সিদ্ধান্ত পালনে তারা পুরুষ অপেক্ষা বেশি দৃঢ় কারণ পুরুষেরা সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরঅনেক ক্ষেত্রেই পালনে বেশি হেরফের করে ফেলে।
৪৮. ব্যায়ামঃ কিছু পরীক্ষা প্রমাণ করে যখন কোনো ব্যক্তি বেশি কাজে আগ্রহী আর কখনো কোনো ব্যক্তি একেবারেই অলস তা নির্ধারণ করে কেন কারও জন্য সকালে ঘুম থেকে ওঠা এবং ব্যায়াম করা কঠিন এবং কারও জন্য নয়।
৪৯. বিরক্তিঃ বিরক্তির সৃষ্টিহয় কিন্তু উদ্দীপকের পরিবর্তনের অভাবে যা বেশির ভাগনির্ভর করে মস্তিষ্ক কীভাবে কোনো কাজকে গ্রহণ করছে এবং যা মানুষের সহজাত কৌশলের ওপর নির্ভর করে।
৫০. শারীরিক অসুখঃ দেহ ও মনের সাথে এক ও অবিচ্ছিন্ন সম্পর্ক রয়েছে। এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে ৫০-৭০% লোকই ডাক্তারের কাছে আসে শারীরিক অসুখ নিয়ে তার কারণ তাদের মানসিক উপসর্গ।
৫১. মন খারাপ এবং কেনাকাটাঃ গবেষকরা দেখাচ্ছে নীলাঞ্জনারা তাদের দুঃখ কমাতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কেনাকাটা করে।
স্মরণশক্তি
৫২. ঘোর মন্থরতাঃ প্রায়শই ঘোরমন্থরতা আপনার স্মরণশক্তি যা সাধারণত চাপ সহনকারী হরমোনের নিঃসৃত হওয়ার কারণে ঘটে তার কারণ ঘটায়।
৫৩. নতুন যোগাযোগঃ প্রত্যেকটি সময় যখন আপনি নতুন কিছু নিয়ে ভাবেন বা পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করেন তখন প্রত্যেকবার মস্তিষ্কের সাথে আপনার নতুন যোগাযোগের ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়।
৫৪. সম্পর্ক সৃষ্টিঃ স্মরণশক্তি বিভিন্ন ঘটনার সাথেসম্পৃক্ত। তাই আপনি যদি কোনো কিছু মনে রাখতে চান বা মনে করতেচান তবে তার সাথে কিছু সম্পৃক্ত করে মনে রাখুন।
৫৫. সুগন্ধি এবং স্মরণশক্তিঃ স্মরণশক্তি সুগন্ধ দ্বারা বেশি প্রভাবিত হয়। তাই যারা সুগন্ধিদ্রব্য ব্যবহার করেন তারা বেশি গভীর স্মরণশক্তিমূলক আবেগ পেতে সক্ষম হন।
৫৬. স্মরণশক্তির ব্যাহত তৎপরতাঃ অ্যাগোসিনা হচ্ছে এমনএকটি শব্দ যখন আপনি কোনো একটি শব্দ জানেন এবং যা আপনার জিহ্বার ডগায় কিন্ত যখন আপনার বলা দরকার তখন মনে আসি আসি করেওআসছে না।
৫৭. ঘুমঃ যখন আপনি ঘুমিয়ে থাকেন তা হচ্ছে আপনার সবচেয়ে ভালো সময় যা আপনাকে সারা দিনের ক্লান্তি দূর করে সব ঘটনা মনে রাখতে সাহায্য করে।
৫৮. নিদ্রাহীনতাঃ নিদ্রাহীনতা আপনার মস্তিষ্কের নতুন কিছু সৃষ্টির ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।৫৯. বিশ্বচ্যাম্পিয়নঃ স্মরণশক্তির ক্ষেত্রে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্যক্তি যার নাম বেন প্রিডমোর। তিনি মাত্র ৫ মিনিটে ৯৬টি ঐতিহাসিক ঘটনা মনে রাখতে পারতেন এবং ছাব্বিশ দশমিক দুই আট সেকেন্ডে পুরো তাশ হাত সাফল করতে পারতেন।
৬০. ইস্ট্রোজেন এবং স্মরণশক্তিঃ ইস্ট্রোজেন মস্তিষ্কের স্মরণশক্তির সক্রিয়তা বাড়াতে সাহায্য করে।
৬১. ইনসুলিনঃ ইনসুলিন দেহের রক্তে শর্করা কমাতে সাহায্য করে কিন্তু সামপ্রতিককালে বিজ্ঞানীরা গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন যে মস্তিষ্কে ইনসুলিন স্মরণশক্তির বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে।
ঘুম এবং স্বপ্ন
৬২. ঘুম এবং স্বপ্ন দেখে শুধু যারা স্বপ্ন মনে রাখতে পারে না তারা মনে করে তারা স্বপ্ন দেখে না। আসলে প্রত্যেকে স্বপ্ন দেখে।
৬৩. স্বপ্নের পরিমাপঃ বেশির ভাগ লোক ১-২ ঘণ্টা স্বপ্ন দেখে এবং প্রত্যেক রাতে প্রায় ৪-৭টা স্বপ্ন দেখে।
৬৪. চিন্তার অবসাদঃ যখন আপনি ঘুমিয়ে থাকেন তখন আপনার মস্তিষ্ক থেকে এমন একটা হরমোন নিঃসৃত হয় যা আপনাকে স্বপ্নের অতল গহ্বরে নিয়ে যায় কিন্তু আপনার সক্রিয় আঙ্গিক ক্রিয়া নিবারণ করে এবং আপনাকে ঘুমের রাজ্যে জড়িয়ে চেতনাহীন বা অবসাদগ্রস্ত করে রাখে।
৬৫. ক্ষয়িত বা হারানো স্বপ্নঃ স্বপ্নের ৫ মিনিট পর স্বপ্নের অর্ধেক স্মৃতি লোপ পায়। দশ মিনিট পর স্বপ্নের ৯০ ভাগ লোপ পায়। স্বপ্ন লিখে রাখুন যদি আপনি মনে রাখতে চান।
৬৬. মস্তিষ্কের তরঙ্গঃ সমীক্ষা প্রমাণ করেছে যে মস্তিষ্কের তরঙ্গ অধিক সচল থাকে যখন আপনি স্বপ্ন দেখেন এবং যখন আপনি জেগে থাকেন সেই সময় থেকেও।
আরো দেখুন part 3

কোন মন্তব্য নেই :

মানুষের মস্তিষ্ক সম্পর্কে ১০০টি বিস্ময়কর ও অজানা তথ্য p1

কোন মন্তব্য নেই
মানব সৃষ্টির অনাদিকাল থেকে মানব মস্তিষ্ক মানুষকে বিস্মিতও হতবুদ্ধি করে চলেছে। অনেক বিজ্ঞানী এবং ডাক্তার মানব মস্তিষ্ক সম্পর্কে জানতে গিয়ে তাদের জীবনের পুরো সময় পার করে দিয়েছেন। এটা কোনো বিস্ময়কর ব্যাপার নয় যে মানুষ এই অবিশ্বাস্য রহস্যজনক অঙ্গ সম্পর্কে জেনে আনন্দ লাভ করছে।নিচে আপনি মানুষের মস্তিষ্ক কীভাবে কাজ করছে, কীভাবে উন্নতিকরছে, কীভাবে মানুষকেই নিয়ন্ত্রণ করছে, কীভাবে এটা ঘুম, স্বপ্ন, স্মরণশক্তির ওপর প্রভাব বিস্তার করছে এ রকম আরও অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য সম্পর্কেজানতে পারবেন যা আপনাকে প্রভাবিত ও উপকারী করবে। এই বিস্ময়কর ও মজাদার তথ্যগুলো জেনে আপনি যাচাই করুন আপনার মস্তিষ্কের প্রখরতা। শিখুন এবংজানুন আপনার মস্তিষ্ক সম্পর্কে।
১. ওজন মানুষের মস্তিষ্কের ওজন প্রায় ৩ এলবিএস।
২. সেরেব্রামঃ সেরেব্রাম মস্তিষ্কের সবচেয়ে বড় অংশ এবং মস্তিষ্কের ৮৫ ভাগ ওজনই সেরেব্রাম বহন করে।
৩. আবরণঃ মস্তিষ্কের ওজনের প্রায় দ্বিগুণ ওজন হচ্ছে মস্তিষ্কের আবরণ বা চামড়ার।
৪. ধূসর পদার্থঃ মস্তিষ্কের ধূসর পদার্থ তৈরি হয় নিউরন দিয়ে যা বিভিন্ন বাহ্যিক এবং আভ্যন্তরিক সংকেত নিয়ন্ত্রণ করে।
৫. সাদা পদার্থঃ সাদা পদার্থ জেনডাইট ও অ্যাক্সনের সূক্ষ্ম তন্তু দিয়ে তৈরি হয় যা নিউরনকে সংকেত পাঠানোর ক্ষেত্র সৃষ্টি করে।
৬. ধূসর ও সাদা পদার্থের পরিমাণঃ মস্তিষ্কের ৬০ ভাগ সাদা পদার্থ এবং ৪০ ভাগ ধূসর পদার্থ।
৭. পানিঃ মানব মস্তিষ্কের ৭৫ ভাগ পানি রয়েছে।
৮. নিউরনঃ আপনার মস্তিষ্কে একশবিলিয়ন নিউরন রয়েছে।
৯. ব্যথাহীনতাঃ মস্তিষ্কে ব্যথা সংগ্রাহক কোনো অঙ্গ নেই তাই মস্তিষ্ক কখনো ব্যথা অনুভবকরে না।
১০. শাখা-প্রশাখাঃ প্রত্যেক নিউরনে ১০০০ থেকে ১০,০০০ শাখা-প্রশাখা বা সিন্যাপসিস রয়েছে।
১১. সবচেয়ে বৃহৎ মস্তিষ্কঃ হাতির মস্তিষ্ক মানুষের মস্তিষ্কের অপেক্ষা বৃহৎ হলেও হাতির মস্তিষ্ক তার দেহের ০.২৫ ভাগ যেখানে মানুষের মস্তিষ্ক তার দেহের ওজনের দুই ভাগ। এতে বোঝা যাচ্ছে মানুষের মস্তিষ্কইসবচেয়ে বড়।
১২. রক্ত সঞ্চালক শিরাঃ একশ মাইল লম্বা শিরা রয়েছে মানব মস্তিষ্ক।
১৩. চর্বিঃ মানুষের মস্তিষ্ক সবচেয়ে চর্বিবহুল অংশ এবং দেহের মোট চর্বির প্রায় ৬০ ভাগ।
মস্তিষ্কের বৃদ্ধিকরণ প্রক্রিয়া
গর্ভাশয় থেকে শুরু করে মানব মস্তিষ্ক ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত নিজেকে বৃদ্ধি করে এক অবিশ্বাস্য পথে এগিয়ে যায়।
১৪. নিউরনঃ নিউরন বৃদ্ধির হার প্রথম ভ্রূণ সৃষ্টির পর থেকে প্রতি মিনিটে প্রায় ২৫০ হাজার।
১৫. জন্মের সময় আকৃতিঃ জন্মের সময় থেকে মানব মস্তিষ্কপূর্ণাঙ্গ মানুষের মস্তিষ্কের আকৃতি নিয়ে আসে এবং মস্তিষ্কেরপ্রায় পূর্ণাঙ্গ কোষ নিয়েই আসে।
১৬. নবজাতকের বৃদ্ধিঃ নবজাতকের প্রথম বছর মস্তিষ্ক তিনবার আকারে বৃদ্ধি পায়।
১৭. বৃদ্ধিকরণের সমাপ্তিঃ মস্তিষ্ক ১৮ বছর বয়সের পর বৃদ্ধি হয় না।
১৮. সেরেব্রাল কর্টেক্সঃ মস্তিষ্ক যত ব্যবহৃত হয় ততই এর সেরেব্রাল কর্টেক্স মোটা হতে থাকে।
১৯. উদ্দীপকের ভূমিকাঃ একটি উদ্দীপক পরিবেশে শিশু ২৫% বেশি দক্ষ হয়ে গড়ে যে কোনো অনুদ্দীপক পরিবেশে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত শিশুর তুলনায়।
২০. নতুন নিউরনঃ মানুষের মস্তিষ্কের সারা জীবন ্লায়ু বৃদ্ধি করতে থাকে পরিবেশের ওপরপ্রভাব বিস্তার করতে গিয়ে।
২১. শব্দ করে পড়ার উপকারিতাঃ শব্দ করে পড়া এবং শিশুদের সাথে কথা বলা মস্তিষ্কের বৃদ্ধির জন্য মঙ্গলজনক।
২২. আবেগঃ আনন্দ, জয়, সুখ, ভয় এবং লজ্জা ইত্যাদি আবেগীয় অনুভূতি শিশু জন্ম থেকেই বহন করে। শুধু পরিবেশের এবং বৃদ্ধিপ্রতিপালনের প্রক্রিয়া সেই আবেগীয় অনুভূতিকে আকার দেয়।
২৩. মস্তিষ্কের প্রথম অনুভূতিঃ প্রথম শিশু ত্বকের মাধ্যমে অনুভূতি পেতে শেখে। ঠোঁট এবং গালের স্পর্শ অনুভূতিজন্মায় আট সপ্তাহের মধ্যে এবং বাকি অনুভূতি জন্মের ১২ সপ্তাহের মধ্যে জন্মায়।
২৪. দ্বিভাষাকেন্দ্রিক মস্তিষ্কঃ যেসব শিশু পাঁচ বছরবয়সের আগে দুটি ভাষা শেখে তাদের মস্তিষ্ক অন্যদের তুলনায়ভিন্ন হয় এবং তাদের ধূসর পদার্থ বেশি ঘন হয়।
২৫. মস্তিষ্কের ওপর যক্ষ্মার প্রভাবঃ বিভিন্ন সমীক্ষা থেকে দেখা যায় যে, যেসবশিশুর স্বাভাবিক বিকাশে যক্ষ্মার প্রভাব বেশি তাদের মস্তিষ্ক বেশি আঘাত পেয়ে থাকে।
মানব মস্তিষ্কের ক্রিয়া
২৬. অক্সিজেনঃ দেহের মোট অক্সিজেনের প্রায় ২০ ভাগ মস্তিষ্ক ব্যবহার করে থাকে।
২৭. রক্তঃ অক্সিজেনের মতো প্রায় ২০ ভাগ রক্তই মস্তিষ্ক আদান-প্রদান করে।
২৮. অবচেতনঃ যদি মস্তিষ্ক ৮ থেকে ২০ সেকেন্ড রক্ত না পায় তবে মানুষ জ্ঞান হারায়।
২৯. গতিঃ মানব মস্তিষ্ক তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে ন্যূনতম০.৫ মিটার সেকেন্ড থেকে সবচেয়ে বেশি ১২০ মিটার সেকেন্ড পর্যন্ত।
৩০. ক্ষমতাঃ যখন মস্তিষ্ক জেগে থাকে তখন মস্তিষ্ক ১০ থেকে ২৩ ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে যা দিয়ে একটি বাল্ব জ্বালানো যায়।
৩১. হাই তোলাঃ এটা ধারণা করা হয় যে, একবার হাই তোলা মস্তিষ্কে বেশি অক্সিজেন পাঠাতে কাজ করে যাতে মস্তিষ্ক শান্ত হয় এবং একে জাগিয়ে রাখা যায়।
৩২. নিউকর্টেক্সঃ নিউকর্টেক্স মস্তিষ্কের প্রায় ৭৬ ভাগ অংশ তৈরি করে। মানুষের ভাষা আদান প্রদান এবং চেতনার জন্য নিউকর্টেক্স দায়ী। প্রাণীদের চেয়ে মানুষের মস্তিষ্কের নিউকর্টেক্স বেশি মোটা।
৩৩. ১০ ভাগঃ মানুষের বয়স্ককালেমস্তিষ্ক ১০ ভাগ কাজ করে থাকে অন্য সময়ের তুলনায় এটা সত্যি নয়। মস্তিষ্কের প্রতিটা অংশই তার কাজ জানে।
৩৪. মস্তিষ্কের মৃত্যুঃ মস্তিষ্ক ৪ থেকে ৬ মিনিট অক্সিজেন ছাড়া বাঁচতে পারে এবংতারপর মারা যেতে থাকে। ৫ থেকে ১০ মিনিট অক্সিজেন না থাকলে মস্তিষ্কের স্থায়ী সমস্যা দেখাদেয়।
৩৫. সর্বোচ্চ তাপমাত্রাঃ যখনআপনি জ্বরে আক্রান্ত হবেন তখন মনে রাখবেন মানুষের মস্তিষ্কেরসর্বোচ্চ তাপ সহনীয় ক্ষমতা ১১৫.৭ ডিগ্রি এবং ততক্ষণ পর্যন্ত মানুষ বাঁচতে পারে।
৩৬. চাপ সহনীয় ক্ষমতাঃ যখন মানুষকে অত্যধিক চাপ সহ্য করতেহয় তখন মস্তিষ্কের কোষ, গঠন বা আকার এবং কাজ বাধাগ্রস্ত হয়।
৩৭. ভালোবাসাজনিত হরমোন এবং আত্মসংবৃত্তিঃ অক্সিটোক্সিন নামক হরমোন মস্তিষ্ক থেকে ক্ষরিত হয় এবং ভালোবাসা এবং আত্মসংবরণের জন্য দায়ী।
আরো দেখুন+মানুষের মস্তিষ্ক সম্পর্কে ১০০টি বিস্ময়কর ও অজানা তথ্য part 2♥♥লিখেছেন♥♥অধ্যাপক ডা. এ এইচ মোহাম্মদ ফিরোজ

কোন মন্তব্য নেই :