আটপাড়ায় স্কুলছাত্রী ধর্ষিত
কোন মন্তব্য নেই
স্কুলে ক্লাস করতে গিয়ে শ্রেণীকক্ষে দশম শ্রেণীর ছাত্র কর্তৃক ধর্ষিত হয়েছে একই স্কুলের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। সহপাঠীরা ধর্ষককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সকাল১১টায় জেলার আটপাড়া সদরের বানিয়াজান সিটি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে। এ নিয়ে স্কুলের ছাত্র-শিক্ষক অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বানিয়াজান সিটি স্কুলের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীগতকাল সকাল ১০টায় স্কুলে যাওয়ারপর দ্বিতীয় তলার একটি নির্জন কক্ষে গেলে একই স্কুলে দশম শ্রেণী ছাত্র সালমান তাকে জাপটেধরে ধর্ষণ করে। এ সময় তার আর্তচিৎকারে বিদ্যালয়ের পিয়ন ও সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে এবং ধর্ষককে আটক করে। খবর পেয়ে আটপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচএম লোকমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধর্ষিতার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন এবং ধর্ষককে পুলিশে সোপর্দ করেন। এ ব্যাপারে আটপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসাইন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই ছাত্রীর মামা মো. জুয়েল বাদী হয়ে সালমানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন।

কোন মন্তব্য নেই :

প্রতারকের খপ্পরে রাজিয়া
কোন মন্তব্য নেই
র, নোয়াখালী থেকে: প্রেমিক জাহিদ হোসেনের সঙ্গে ঘরবাঁধার স্বপ্ন পূরণ হলো না সুলতানা রাজিয়ার। গত ২২শে অক্টোবর রাতে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে জাহিদের ঠাঁই হলো জেলহাজতে।কক্সবাজার সদর উপজেলার টেকপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে সুলতানা রাজিয়া দুই বছর ধরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর গ্রামের সিএনজি অটোরিকশা চালক জাহিদ হোসেনের (৩৫) সঙ্গে প্রেম ছিল। মোবাইল ফোনের ক্রস কানেকশনের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়। এ পরিচয়ের মাধ্যমে প্রায়ই মোবাইলের মাধ্যমে তাদের কথা হয়। দু’জন দু’জনকে ভালবেসে ফেলে। আস্তে আস্তে তা গড়িয়ে যায় ঘনিষ্ঠ হওয়ার দিকে। এরই মধ্যে ওদের দু’বছর চলে গেছে। একে অপরকে পাওয়ার জন্য তারা ব্যাকুল হয়ে ওঠে। গত ১৯শে অক্টোবর প্রেমিকা সুলতানা রাজিয়ার সঙ্গে দেখা করার জন্য কক্সবাজারে যায় জাহিদ। এসময় একজন আরেকজনের সঙ্গে দেখা শুনার পর তাদের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর হয়ে উঠে। এসময় প্রেমিক জাহিদ অবিবাহিত বলে দুইজনের মধ্যে বিয়ের কাজটি শেষ করার সিদ্ধান্তনেয়। সুলতানা রাজিয়া প্রেমিক জাহিদ হোসেনের হাত ধরে ওই দিন কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে এসে এক আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রীপরিচয় দিয়ে রাত্রি যাপন করে। পরের দিন তারা দু’জনে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া গ্রামের চৌকিদার বাড়িতে জাহিদ হোসেনের এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে উঠে। এসময় জাহিদের আত্নীয়-স্বজন জাহিদ যে বিবাহিত এবং তিন সন্তানের জনক এই কথাটি বলার সঙ্গে সঙ্গে সুলতানা রাজিয়া চিৎকার শুরু করে। পরে এলাকার লোকজনের কাছে প্রেমিকা সুলতানা ঘটনাটি বিস্তারিত জানায়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে তাদের আটককরে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ সুলতানা রাজিয়ার অভিভাবকদের এনে তাকে ওদের হাতে তুলে দেয়। নিরুপায় রাজিয়া তার বাবার সঙ্গেকক্সবাজারে ফিরে যায়। পুলিশ জাহিদকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠিয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই :

ভারতে ১৬ বছরে আড়াই লাখেরও বেশি কৃষক আত্মহত্যা করেছে : প্রায় ১৬ হাজার কৃষক আত্মঘাতী ২০১০-এ দিনে৪৩ কৃষক আত্মহত্যা করছেন
কোন মন্তব্য নেই
ভারতে প্রতিদিন অন্তত ৪৩ জন কৃষক আত্মঘাতী হচ্ছেন। ভারতের জাতীয় অপরাধ ব্যুরোর দুর্ঘটনা এবং আত্মহত্যা সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য দেয়া হয়েছে।
ভারতে কৃষি ক্ষেত্রের সঙ্কটকে আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর সর্বশেষ ওই রিপোর্ট। ‘দুর্ঘটনা ও আত্মহত্যার’ রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে ২০১০-এ অন্তত ১৫,৯৬৪ জন কৃষক আত্মঘাতী হয়েছেন। রিপোর্টে আত্মঘাতী মানুষের পেশাভিত্তিক বিশ্লেষণ থেকে দেখা যাচ্ছে কৃষির সঙ্গে যুক্ত মানুষই সবচেয়ে বেশি। মোটআত্মহত্যার সর্বোচ্চ অংশ (১১.৯ শতাংশ) কৃষি ক্ষেত্রের। এ সংখ্যা ন্যূনতম সরকারি হিসাব। কেননা গত কয়েক বছরের হিসাব থেকেই দেখা গেছে রিপোর্টে ‘অন্যান্য’ পেশা তালিকাভুক্ত মানুষেরও একটি অংশ আসলে কৃষক। ২০০৯ সালে ১৭,৩৬৮ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছিলেন। ২০০৮-এ ছিল ১৬,১৯৬। আপাতদৃষ্টিতে ২০০৯-র তুলনায় ২০১০-এ কৃষক আত্মহত্যার সংখ্যা ১৪০৪ কম। কিন্তু ২০০৯-র ওই সংখ্যা ছিল ৬ বছরের সর্বোচ্চ। সাধারণভাবে কৃষকদের আত্মহত্যার যে মারাত্মক প্রবণতা গত দেড় দশকে ভারতকে গ্রাস করেছে, তা কমবেশি অব্যাহতই আছে। ১৯৯৭ থেকে ২০১০ পর্বে কৃষক-আত্মহত্যার সংখ্যা দাঁড়ালো ২,৩২,৪৬৪।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ক্রমবর্ধমান উত্পাদনের খরচ অথচঘন ঘন ফসলের ন্যায়সঙ্গত দাম না পাওয়া কৃষকদের ঋণের বোঝা বাড়িয়ে দিয়েছে। ঋণ শোধ করতে না পেরে আত্মহত্যা ১৯৯৭ থেকেই বাড়তে থাকে। ২০০০ নাগাদ তা কয়েকটি রাজ্যে মহামারীর রূপ নেয়। মূলত পাঁচ রাজ্যে কৃষকদেরগণহারে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটতে থাকে। এ পাঁচ রাজ্য হলো—অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ। প্রথম দিকে অন্ধ্রপ্রদেশে এ সংখ্যা সবচেয়েবেশি ছিল, পরে তা মহারাষ্ট্রে এসে আরও ভয়াবহ রূপ নেয়। মুখ্যত মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ অঞ্চলের তুলা ও আখচাষীরা আত্মঘাতী হতে থাকেন। বিস্ময়কর হলেও সত্যি যেওই পাঁচ রাজ্যেই কৃষক-আত্মহত্যা এখনও সর্বোচ্চ।। ২০০৯ সালে ওই পাঁচ রাজ্যে মোট ১০,৭৬৫ জন কৃষক আত্মঘাতী হয়েছিলেন। ২০১০-এও এ সংখ্যা গাঁয়ে গাঁয়েই। ওই পাঁচ রাজ্যে ১০,৬১৪ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। ২০০৯-এ মোট কৃষক আত্মহত্যার ৬২ শতাংশ ছিল ওই পাঁচ রাজ্যের। ২০১০-এ বরং তাবেড়ে গিয়ে হয়েছে ৬৬ শতাংশ। এ ঘটনাও প্রমাণ করছে কৃষক আত্মহত্যার মূল কারণ একই রয়ে গেছে।
পাঁচ রাজ্যের মধ্যে পরপর ১১ বছর ধরে মহারাষ্ট্রই শীর্ষে। ২০১০-এও তাই। বস্তুত মহারাষ্ট্রে ২০০৯-র তুলনায় ২০১০-এ আত্মহত্যা বেড়ে গেছে। ২০০৯-এ ছিল ২৮৭২। ২০১০-এ হয়েছে ৩১৪১। কর্নাটকে ২৫৮৫, অন্ধ্রপ্রদেশে ২৫২৫, মধ্যপ্রদেশে ১২৩৭, ছত্তিশগড়ে ১১২৬ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। গত ১৪ বছরে মহারাষ্ট্রে ৪৭,৪১৭ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। এসব সংখ্যাইসরকারি।

কোন মন্তব্য নেই :

নারী নির্যাতন : নীলফামারীতে ধর্ষণেরহাত থেকে রক্ষা পেলেওসন্তান হারিয়েছেন গৃহবধূ
কোন মন্তব্য নেই
নীলফামারীতে ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রতিপক্ষের হামলায়গর্ভের সন্তানকে হারাতে হয়েছে এক গৃহবধূকে। কালীগঞ্জে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করায় স্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে স্বামী। চট্টগ্রামে এক মাদরাসাছাত্রীকে জোর করে বিয়ে দেয়ায় পরীক্ষা দিতে পারছে না সে। দিনাজপুরের কাহারোলে লম্পটের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত।
নীলফামারী : নীলফামারীতে ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা পেতে চিত্কার করায় প্রতিপক্ষের হামলায় গর্ভের সন্তানকে হারাতেহয়েছে অনিতা রানী রায় নামের এক গৃহবধূকে। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার ডিমলা উপজেলার উত্তর সোনাখুলি গ্রামের
আশ্রয়ন প্রকল্পের গ্রামে।
ওই এলাকার মৃত মজিবর রহমানের ছেলে মনজুরুল ইসলাম গত মঙ্গলবার রাতে তার দলবল নিয়ে ওই আশ্রয়ন প্রকল্পের গ্রামে যায় এবং প্রভাত চন্দ্র রায়ের অনুপস্থিতির সুযোগে তার স্ত্রীঅনিতা রানীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে অনিতা রানী রায় মনজুরুল ইসলামকে আটক করে এবং বাঁচার জন্য চিত্কার করলে মনজুরুল ইসলামের দলের লুত্ফর রহমান, কাল্টু হোসেন ও অন্যরা মিলে অনিতা রানীকে বেদম মারপিটকরে। এ সময় এলাকাবাসী এগিয়ে এসে অনিতা রানীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে চিকিত্সাধীন অবস্থায় শনিবার রাতে অনিতা রানীর গর্ভপাত ঘটে।
কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) : ঝিনাইদহেরকালীগঞ্জে যৌতুকের ৫০ হাজার টাকা দিতে না পারায় স্বামী, শাশুড়ি, ভাসুর ও ননদ মিলে অমানবিক নির্যাতন করেছে সাকুরাখাতুন নামের এক গৃহবধূকে। শুধুতাই নয়, ৫০ হাজার টাকা পাওয়ার আশায় দ্বিতীয় বিয়ে করেছে যৌতুকলোভী স্বামী আলমগীর হোসেন। এ ঘটনায় ঝিনাইদহ সিনিয়রজুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বামীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনের ৪ ধারায় মামলা করা হয়েছে। মামলায়আদালত থেকে স্বামী আলমগীর জামিনে মুক্তি পেয়ে স্ত্রী সাকুরাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। মামলা তুলে না নিলে যে কোনো সময় তাকে হত্যা করা হবেবলে হুমকি দিচ্ছে।মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,১২ বছর আগে কালীগঞ্জ উপজেলার মহেশ্বরচান্দা গ্রামের আলমগীরের সঙ্গে একই উপজেলার ভাটাডাঙ্গা গ্রামের সাকুরা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ঘরে শারমিন ও শাপলা নামের দুই কন্যাসন্তান জন্ম নেয়। কন্যাসন্তান জন্ম নেয়ার পর আলমগীর ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে। অসহায় গরিব সাকুরার পরিবার টাকা দিতে না পারায় বিভিন্ন সময় সাকুরাকে ব্যাপক মারপিট করা হতো। শাশুড়ি, ভাসুর ও ননদ সাকুরাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন ও মারপিট করত। এ ঘটনায় গত ২৫ আগস্ট স্বামী আলমগীর সর্দার, শাশুড়ি রাবেয়া বেগম, ভাসুর মজনু সর্দার ও ননদের স্বামী আকবর আলীসহ ৪ জনের নামে ঝিনাইদহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন সাকুরা। মামলায় স্বামী আদালত থেকে মুক্তি পেয়ে বর্তমানে স্ত্রী সাকুরাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে মাদরাসা পড়ুয়া অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে জোর করে বিয়ে দেয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে তার পরিবার। আলেয়া ইয়াসমিন নামের এই তরুণী নগরীর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মহিলামাদরাসার ছাত্রী।
চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানারনানুপুর ইউনিয়নের পূর্ব মাইজভাণ্ডার আমতলী গ্রামের আলমশাহ বাড়ির প্রবাসী আবুল কাশেম এবং সুলতানা রাজিয়া দম্পতির মেয়ে আলেয়া ইয়াসমিন। তারা দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম নগরীর হিলভিউ এলাকায় বসবাস করছে। মাদরাসায় ভর্তির সময় তার মায়েরদেয়া তথ্য অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ২৫ জানয়ারি ১৯৯৮ উল্লেখ করা হয়। সে সূত্রে তার বয়স বর্তমানে ১৩ বছর ৯ মাস। অপ্রাপ্ত বয়স্ক ওই ছাত্রীকে তার পরিবার ফুফাতো ভাই এমদাদ নামের প্রবাসী এক যুবকের সঙ্গেবিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। জামেয়া আহম্মদিয়া মহিলা মাদরাসার সুপার মাওলানা সরোয়ারউদ্দিন জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত এক অভিযোগে জানান, বিয়ে ঠিক হওয়ার কারণে মাদরাসায় বর্তমানে অনুষ্ঠিত সাময়িক পরীক্ষায় তাকে অংশ নিতে দেয়নি তার পরিবার।
মাদরাসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মেধাবী এই শিক্ষার্থীর আগামী ১নভেম্বর থেকে অনুষ্ঠিতব্য জেডিস পরীক্ষায়ও অংশ নেয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।কাহারোল (দিনাজপুর) : দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার রামপুর গ্রামে রুবেলের স্ত্রী নিলুফা বেগমকে একই এলাকার ডহণ্ডা গ্রামের সাগির উদ্দিনের ছেলে জালাল উদ্দিন গত ১৭ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১১টার সময় পার্শ্ববর্তী ধানক্ষেতে নির্যাতন করে। তার চিত্কারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে লম্পট জালাল পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে কাহারোল থানায় নারী নির্যাতন আইনে ৯-এর ১ ধারায় মামলা করা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই :

সন্ত্রাসী হামলার শিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা সামসুজ্জামান স্বপন

কোন মন্তব্য নেই
আজ সকালেই দুঃসংবাদ শুনে দিনটা শুরু হলো। আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু শাহজাদা ফারুক জানালেন তার শশুরবীর মুক্তিযোদ্ধা সামসুজ্জামান(৬০) গতকাল ৩০শে অক্টোবর বিকেল ৪টায় শ্রীনগর থানায় নিজ গ্রাম মান্দ্রা, ভাগ্যকূলে সন্ত্রাসীদের নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সন্ত্রাসীরা তার বাম হাতের বাহুও কবজির উপরিভাগে ধারালো চাপাতির উপর্যুপরি আঘাত করে। তিনি এখন মিটফোর্ড হাসপাতালে ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডে (১৬), বেড নম্বর এমএক্স-৫ এ ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতালে আহত সামসুজ্জামান স্বপন গতকাল বিকেলে সামসুজ্জামান স্বপন ব্যবসায়িক কাজে যখন তার ট্রাক নিয়ে মান্দ্রার একটা সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন দুর্ঘটনাবশত সড়কের পাশের একটা বৃক্ষকে আঘাত করে। এতে পার্শ্ববর্তী বাড়ীর লোকজন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্বপনের উপরে সম্মিলিতভাবে আক্রমন চালায়। তিনি যাদেরকে শনাক্ত করেছেন তারা হলো মনির, মোয়াজ্জেম ও তাদের সহযোগী কতিপয়সন্ত্রাসী। উল্লেখ্য আক্রমণকারীরা দীর্ঘদিন যাবত স্বপনের ভিটেবাড়ি দখল করার জন্যনানারকম কুটকৌশল চালিয়ে আসছে এবং কোনো সুযোগ না পেয়ে অবশেষে তার উপরে সামান্য অজুহাতে পৈশাচিক আক্রমন চালায়। তদুপরি যে বৃক্ষ নষ্ট হয়েছে বলে তারা অভিযোগ করেছে তা সরকারী সম্পত্তির উপরে অবস্থিত। আজ সকালে শ্রীনগর থানায় মামলা করারপ্রস্তুতি চলছে। শাহজাদা ফারুক সূত্র জানতে পারি মুক্তিযোদ্ধা সামসুজ্জামান স্বপন ইট-বালুর ব্যবসা করেন এবং নিজের ট্রাকে মালামাল সমেত বিভিন্ন সময় যাতায়াত করেন। এলাকায় সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেনএই বীর মুক্তিযোদ্ধা। মহান মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর এম এ জলিল-এর অধীনে সামসুজ্জামান স্বপন যুদ্ধ করেন। তার উপরে নির্মম নির্যাতনের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে অবিলম্বে শাস্তির ব্যবস্থা না করলে স্বাধীনতার চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করা হবে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমন করে সন্ত্রাসীরা নিরাপদে যদি ঘুরে বেড়াবার সাহস পায় তবে সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বলতে আর কিছু অবশিষ্ট থাকবে না। বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করতে পারেন শাহজাদা ফারুকের নম্বরে ০১৭১৪০০৭৯৭৪।

কোন মন্তব্য নেই :

পুঁজিবাজার নিয়ে কথা বলতে চান না অর্থমন্ত্রী

কোন মন্তব্য নেই
পুঁজিবাজার নিয়ে কথা বলতে চান না অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুলমুহিত।
রোববার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূত এইচ ই শিরোসাদোশিমার সঙ্গে বৈঠক শেষে পুঁজিবাজারে দরপতন নিয়ে সাংবাতিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "এটা এসইসির (পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা-সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন) ব্যাপার। আমার কাছে নেই।"
রোববার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক ২৩১ পয়েন্ট কমে ৫০৭৭পয়েন্টে নেমে এসেছে। গত সপ্তাহে সূচক পড়েছিল ২৩৫ পয়েন্ট।
বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়ানোর তাগিদ
অর্থমন্ত্রী বলেন, জাপান আমাদের বড় উন্নয়ন সহযোগী। কিন্তু অর্থনৈতিক সম্পর্ক ব্যাপক নয়। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ খুবই কম। বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়াতে জাপানের অনেক আগ্রহ আছে। তবে সেটার প্রতিফলনহচ্ছে না।
মুহিত বলেন, "আগামী বছর জাপানেরপ্রধানমন্ত্রী একটি বড় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল নিয়ে বাংলাদেশ সফরে আসবেন। আশা করছিসে সফরের মধ্য দিয়ে দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ হবে।"
পদ্মা সেতুতে জাইকার অর্থায়ন অব্যাহত থাকবে
জাপানে বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরও পদ্মা সেতুতে জাইকার অর্থায়ন অব্যাহত থাকবে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন,"জাপানের রাষ্ট্রদুত জানিয়েছেন, আমাদের পদ্মা সেতুতে জাইকার অর্থায়ন নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। তারা যে প্রতিশ্র"তি দিয়েছিলেন সে অনুযায়ী অর্থায়ন করবে।"
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন স্থগিত করেছে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৯০ কোটি ডলার। এর মধ্যে ১২০ কোটি ডলার দেওয়ার কথা বিশ্ব ব্যাংকের। বিশ্ব ব্যাংক ছাড়া এসেতু নির্মাণের জন্য এডিবির ৬১কোটি, জাইকার ৪০ কোটি এবং ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের ১৪ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার কথা।by www.bdnews24.com

কোন মন্তব্য নেই :

আমিনবাজারে ছয় ছাত্র হত্যামামলার আসামি আ. লীগনেতা গ্রেপ্তার

কোন মন্তব্য নেই
সাভার, অক্টোবর ৩১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- আমিনবাজারেছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলার আসামি ইউনিয়নআওয়ামী লীগের সহসভাপতি সামসুল হককে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
সোমবার সকালে বড়দেশী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে সাভার মডেল থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন।
গত ১৮ জুলাই শবেবরাতের রাতে বড়দেশী এলাকার কেবলারচরে ডাকাতসন্দেহে পিটুনিতে ঢাকার ছয় ছাত্র নিহত হয়।
by bdnews24.com

কোন মন্তব্য নেই :

sayed rubel: ইজ্জত বাঁচাতে গিয়ে...
কোন মন্তব্য নেই
sayed rubel: ইজ্জত বাঁচাতে গিয়ে...: মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: পান খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘরে ঢুকে স্বামীর অবর্তমানে এক নিঃসন্তান মহিলার শ্লীলতাহানি করতে গিয়েছিল এক মধ্যবয়সী লম্প...

কোন মন্তব্য নেই :

ইজ্জত বাঁচাতে গিয়ে...

কোন মন্তব্য নেই
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: পান খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘরে ঢুকে স্বামীর অবর্তমানে এক নিঃসন্তান মহিলার শ্লীলতাহানি করতে গিয়েছিল এক মধ্যবয়সী লম্পট। নিজের ইজ্জত বাঁচাতে গিয়ে মহিলা ওই পুরুষের অঙ্গ কেটে দিয়েছেন ব্লেড দিয়ে। সে এখন মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায় রাজনগর উপজেলার শাহেবের গাঁও-এর মধ্যবয়সী তিন সন্তানের জনক জনৈক আনকার মিয়া (৫০) পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে গত সোমবার রাত সাতটার দিকে পার্শ্ববর্তী পাঁচগাঁওর জনৈকা নিঃসন্তান মহিলা (৪০) এর ঘরে প্রবেশ করে পান খাওয়ার উসিলা করে। এই সময় মহিলার স্বামী ছিলেন বাইরে। এ সুযোগে আনকার মিয়া মহিলার শ্লীলতাহানি করতে চাইলে ওই মহিলা নিজের ইজ্জত বাঁচাতে গিয়ে ধারালো ব্লেড দিয়েতার একটি অঙ্গ কেটে দেন। এ সময় তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার হাসপাতালে পাঠায়। জানা গেছে, ঘটনার স্বীকার পুরুষটি মহিলার স্বামীর সম্পর্কীয় চাচাতো ভাই। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মিহির কান্তি দাস মনজু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, মহিলা তার আত্মরক্ষার জন্য এটি করেছে।
রিপোট-www.mzamin.com

কোন মন্তব্য নেই :

ইউনিসেফের প্রতিবেদন: বাংলাদেশে ৫০ লাখ নারী নিখোঁজ
কোন মন্তব্য নেই
স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশে অন্তত ৫০ লাখ নারী নিখোঁজ রয়েছেন। গতকাল আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউনিসেফ এই তথ্য প্রকাশ করেছে। এর পেছনে যুক্তি উপস্থাপন করে বলা হয়েছে, ছেলে-মেয়ের অনুপাতের ‘প্রাকৃতিকনিয়ম’ হলো ১০৫ জন ছেলের বিপরীতে জন্ম নেয় ১০০ মেয়ে শিশু। অথচ বাংলাদেশে এক বছরের কমবয়সীদের মধ্যে অনুপাত হলো ১০৭.৫ ছেলে শিশুর বিপরীতে ১০০ মেয়ে
শিশু। আর প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ১০৫ পুরুষের বিপরীতে রয়েছে ১০০ নারী। এভাবেই নারীদেরনিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি দেখানো হয়েছে। ২০০৯ সালে করা জরিপের আলোকে প্রণীত প্রতিবেদনে একে ‘দুশ্চিন্তাজনক’ বলে মন্তব্য করা হয়। তবে প্রতিবেদনে নারীদেরনিখোঁজ হওয়ার ক্ষেত্রে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। সম্ভাব্য কারণ হিসেবে কন্যা ভ্রূণ হত্যা, যৌতুকের কারণে মৃত্যু, কন্যা শিশু হওয়ায় যথাযথ চিকিৎসা সেবা না পাওয়া, বাসাবাড়িতে কাজ করছে এমন নারীদের গণনায় অন্তভুক্ত নাকরা ইত্যাদির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি ড. অর্মত্য সেনের অর্থনৈতিক সংজ্ঞাকে সামনে রেখে তৈরি করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশে নারী-পুরুষের অনুপাত স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। এই চিত্রটি সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করাযায় বান্দরবান, কুমিল্লা, চুয়াডাঙ্গা, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার। এসব অঞ্চলেই লিঙ্গবৈষম্য প্রকট। তবে ইউনিসেফের এই হিসাব অস্বীকার করেছে সরকার। ইউনিসেফের দাবি নাকচ করে শিশু ও নারী বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, এটা হতেই পারে না। আমরা এর সঙ্গে একমত নই। এই পরিসংখ্যান বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণও না। রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রতিবেদন উপস্থাপন করে ইউনিসেফের পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা লুজমা মোনতানো বলেন, লিঙ্গ ভেদে পাঁচ বছর বয়সী এবং এক বছরের কম বয়সী মেয়েশিশুদের মৃত্যুর হার, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উপস্থিতি এসব বিষয়ের ওপর ভিত্তিকরেই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।দারিদ্র্য ছাড়াও বেশ কিছু কারণে বাংলাদেশের নারীরা কৈশোর থেকেই বিভিন্ন বৈষম্যের শিকার হয়। ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি ক্যারল ডি রয় বলেন, সাধারণ ধারণা ও অর্থনীতি- এ দু’টি নিয়ামকই বলে যে, একটি সমাজের অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে কোণঠাসা অবস্থায় রেখে ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া সম্ভব নয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিরীন শারমিন চৌধুরী আরও বলেন, এটা ঠিক যে আমাদের দেশে নারী ও মেয়ে শিশুরা ছেলেদের চেয়ে শিক্ষায় অনেক পিছিয়ে। বিশেষ করে মফস্বল ও বস্তি এলাকায়। এর কারণ সামাজিক ও অর্থনৈতিক। পারিবারিকভাবে বৈষম্যের কারণেও মেয়ে শিশুরা পড়ালেখা থেকে দূরে থাকছে। ইউনিসেফের প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পর্কে বলেন, এটা সবই যে সত্য তা নয়। যা বলা হয়েছে তা আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তার গবেষণা দরকার। তবে এদেশে শিক্ষাথেকে বিপুল পরিমাণ মেয়ে শিশুর ঝরেপড়া এবং বাল্য বিবাহ এখনও রয়েছে। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। এর পরিবর্তন আনতে সরকার চেষ্টা করছে। বেসরকারি উদ্যোগেও প্রচেষ্টা চলছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, শিশুকালে মেয়ে শিশুরা নিজঘরে নাহলেও বয়সঃসন্ধিকালে পৌঁছানো এবং কৈশোরে পড়া মেয়েরা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক চাপের মুখে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- মাধ্যমিক পর্যায়ে পৌঁছানোর পর তাদের স্কুল ছেড়ে দেয়া, সঙ্গী ছাড়া মেয়েদের বাড়ির বাইরে যেতে না দেয়া, যৌন হয়রানি বা ইভটিজিং, এসিড নিক্ষেপ ও উত্ত্যক্তকরণের মতো শারীরিক ও মানসিক সহিংসতা। প্রতিবেদনে নারী-পুরুষের সমতায় অগ্রগতি আনতে সরকারের সঙ্গে সুশীল সমাজ ও সংস্থা, বেসরকারি খাত, উন্নয়ন সহযোগী এবং অন্যান্য দাতাদের সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব প্রয়োজন। ‘এ পারসপেকটিভ অন জেন্ডার ইকুয়ালিটি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদন নিয়ে ব্যাখ্যা দেন ইউনিসেফের কনসালটেন্ট ড. ডার্ক ওয়েস্টহফ। বক্তৃতা করেন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ইকবাল মাহমুদ, ইউএন উইমেন-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাহিদ এম আহমেদ, ইউনিসেফের শিশু অধিকার বিষয়ক এডভোকেট চলচ্চিত্র অভিনেত্রী মৌসুমী।

রিপোট-www.mzamin.com

কোন মন্তব্য নেই :

সড়ক দুর্ঘটনায় রাজশাহীতে দুই ছাত্র চট্টগ্রামে ছাত্রীসহবিভিন্ন স্থানে নিহত ৮ : পৃথক ঘটনায় ৪ অপমৃত্যু ডেস্ক রিপোর্ট

কোন মন্তব্য নেই
সড়ক দুর্ঘটনায় রাজশাহীতে ২ স্কুলছাত্রসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৮ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া পৃথক ঘটনায় ৪টি অপমৃত্যু হয়েছে। প্রতিনিধিদের খবরে বিস্তারিত :
চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে বাসচাপায় রুপা চৌধুরী (১৫) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকালে নগরীর কোতোয়ালি এলাকার সিরাজউদ্দৌলা রোডে এই দুর্ঘটনাঘটে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করেছে উত্তেজিত জনতা।
পুলিশ জানায়, রুপা চৌধুরী কুসুম কুমারী উচ্চ বিদ্যালয়েরছাত্রী ছিল। গতকাল সকালে বাসা থেকে স্কুলে যাওয়ার সময় একটিদ্রুতগামী যাত্রীবাহী বাস পেছনথেকে তাকে চাপা দেয়। স্থানীয়লোকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকেউদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিত্সকতাকে মৃত ঘোষণা করেন। সে একই এলাকার উজ্জ্বল চৌধুরীর মেয়ে।
রাজশাহী : রাজশাহী মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা বাইপাস সড়কে গতকাল বেলা দেড়টায় স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের চাপায় সাইকেল আরোহী ২ স্কুলছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলো রাজপাড়া থানার আদায়পাড়া এলাকার মুকুলের ছেলে মঞ্জুর হাসান (১৬) ও শাহীনের ছেলে আলামিন সরকার (১৬)। তারা একে অপরের চাচাতো ভাই। তারা কাশিয়াডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রছিল। এ ঘটনার জের ধরে স্থায়ীয় বিক্ষুব্ধ জনতা চার-পাঁচটি বাসে অগ্নিসংযোগ করে। ইসলামিক টিভির রিপোর্টারের মোটরসাইকেলসহ ভাংচুর চালায় আরও অর্ধশতাধিক যানবাহনে। এ ঘটনায় সাংবাদিক, ৫পুলিশসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষুব্ধদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় র্যাব-দাঙ্গাপুলিশ ও বিজিবি। পরে পুলিশ ১০ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ দুই স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। বিকাল পৌনে ৪টায় বিক্ষুব্ধ জনতা অবরোধ তুলে নিলে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিকহয়।ঘটনার সময় ছবি তুলতে গেলে বিক্ষুব্ধ জনতা স্থানীয় দৈনিকসানশাইনের ফটোসাংবাদিক শরিফুল ইসলাম তোতার মোটরসাইকেল ভাংচুরএবং তাকে মারপিট করে। তাদের মারপিটে স্থানীয় অপর একটি দৈনিকের ফটোসাংবাদিক জুয়েল রানার হাত ও ক্যামেরা ভেঙে যায়। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় ইটের আঘাতে পুলিশের ৫ সদস্য আহত হয় বলে জানা গেছে।
রাজপাড়া থানার ওসি মোকাররম হোসেন জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
মান্দা (নওগাঁ) : নওগাঁর মান্দায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকের ড্রাইভার ও হেলপার নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন নওগাঁ শহরের বাঙ্গাবাড়িয়া এলাকার মৃত আছের আলীর ছেলে ট্রাক ড্রাইভার আবদুর রাজ্জাক (৪৫) ও ভীমপুর গ্রামের মৃত আয়েন উদ্দিনের ছেলে হেলপার সাইফুল ইসলাম (৩০)। গতকাল সকাল সাড়ে ৭টায় নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের চেয়ারম্যানের মোড় নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গ্যাসের সিলিন্ডারবাহীট্রাকটি রাজশাহী থেকে নওগাঁর যাওয়ার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ট্রাকের ড্রাইভার ও হেলপার নিহত হন।
যশোর : যশোর-খুলনা মহাসড়কের চাউলিয়ায় গতকাল সড়ক দুর্ঘটনায় মাঝবয়সী অজ্ঞাত একব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তি শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিল বলে জেনারেল হাসপাতালের চিকিত্সকরা জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাস্তা পার হওয়ার সময় যশোরগামী একটি ট্রাক ওই প্রতিবন্ধীকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
বগুড়া : বগুড়ার কাহালুর কর্নিপাড়ায় ভটভটি উল্টে সোহরাব হোসেন নামের এক ব্যক্তিনিহত হয়েছে। সে শিবগঞ্জের দুদাহার গ্রামের কাবিল উদ্দীনের ছেলে। রোববার ভটভটিযোগে কাহালু যাওয়ার পথে ওই স্থানে উল্টে যায়। পরে তাকে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে গতকাল দুপুরে সে মারা যায়।
চাটমোহর (পাবনা) : পাবনার চাটমোহর উপজেলার কুমারগাড়া গ্রামে গতকাল পুকুরে ডুবে তানভীর (৩) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের কুমারগাড়া গ্রামের সাব্বির হোসেনের ছেলে।
বানারীপাড়া (বরিশাল) : বানারীপাড়ায় এক গার্মেন্ট শ্রমিক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, রোববার আনুমানিক দুপুর ১২টায় উপজেলার তেতলা গ্রামের নিমচাঁদহালদারের মেয়ে গার্মেন্ট শ্রমিক দেবিকা হালদার (১৮) ঘরেরআড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায়ফাঁস দেয়। পরে পরিবারের লোকজনদেখে থানায় খবর জানান। থানা পুলিশের এসআই ইউনুস আলী হাওলাদার দেবিকাকে উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসেন।
সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সলপ স্টেশনে রেলে কাটা পড়ে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত সিরাজ উদ্দিনের (৬৫) বাড়ি একই উপজেলার কাজীপাড়া গ্রামে। সিরাজগঞ্জ জিআরপি থানার ওসি বিমল কুমার চাকী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
শরণখোলা (বাগেরহাট) : বাগেরহাটের শরণখোলায় সাপের কামড়ে গতকাল সামছু মাতব্বর নামের এক জেলের মৃত্যু হয়েছে।তিনি উপজেলার দক্ষিণ সোনাতলা গ্রামের মুনসুর আলী মাতব্বরের ছেলে। পূর্ব সুন্দরবনের রেঞ্জ কর্মকর্তা ক্যাসপী বিকাশ চন্দ্র ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) : চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের পোমরা বঙ্গবন্ধু উচ্চবিদ্যালয় ফটকের সামনে ট্রাকচাপায় সিএনজি অটোরিকশার এক আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় অটোরিকশা চালকসহ তিন আরোহীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় এদুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন অটোরিকশা আরোহী মো.আজাদ (২১)। অটোরিকশাচালক মামুন (২৬), জিকু (২১) ও রিদোয়ানকে (২০) গুরুতর আহত অবস্থায় রাঙ্গুনিয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয় লোকজন।

কোন মন্তব্য নেই :

ফাঁকা থাকলো রূপার আসন

কোন মন্তব্য নেই
পরীক্ষার হলে যথারীতি সবাই উপস্থিত, নেই শুধু রূপা। পরীক্ষা শুরুর পনের মিনিট আগে বাস চাপায় মারা গেছে সে।
সোমবার সকাল পৌনে ১০টায় নগরীর সিরাজউদ্দৌলা সড়কের সাব-এরিয়া এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয় কুসুম কুমারী সিটি করপোরেশন বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর(বাণিজ্য) শিক্ষার্থী রূপা চৌধুরী। ১০টায় নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিলো তার।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, রূপা নিহত হওয়র খবরে সহপাঠীরা বিমর্ষ। ছলছল চোখে পরীক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করছে তারা। শিক্ষক-শিক্ষার্থী কেউই বিশ্বাস করতে পারছেন না- 'রূপা নেই'। হলে ফাঁকা পড়ে আছে তার জন্য নির্ধারিত আসনটি।
প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান জানান, সোমবার ইংরেজি প্রথমপত্রের পরীক্ষা হচ্ছে। মঙ্গলবার ইংরেজী দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার মধ্য দিয়েই শেষ হবে নির্বাচনী পরীক্ষা।
"সবাই এসেছে, শুধু রূপা নেই। তার সিট ফাঁকাই পড়ে আছে" খানিকটা আবেগাপ্লুত হয়ে বললেন শিক্ষক আতাউর।
এ ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা ছাড়া সব ক্লাশ ছুটি দিয়ে দেয় সোমবার।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় জয় টেলিকমের মালিক জয় চৌধুরী জানান, রাস্তার এক পাশ দিয়ে দুইসহপাঠীর সঙ্গে হেঁটে যাচ্ছিলো রূপা। এ সময় পিছন দিক থেকে আসা বাসটি তাকে চাপা দেয়।
ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ৩০ গজ পশ্চিমে রূপাদের বাসা। বাবার নাম উজ্জ্বল চৌধুরী। বেলা ১১টায় তাদের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, রূপার মা শিল্পী চৌধুরী শোকে মূহ্যমান। স্বজনদের আহাজারির মাঝে ছোট ভাই ইমন চৌধুরী দাঁড়িয়ে আছে বাকরুদ্ধ হয়ে।
দুর্ঘটনার পর উত্তেজিত এলাকাবাসী বাসটি ভাঙচুর করে। চালক মো. শফিকে ব্যাপক মারধর করা হয়। এ সময় একই রুটে (১ নম্বর সিটি সার্ভিস) চলাচলকারীআরো একটি বাস ভাঙচুর করে স্থানীয়রা। তাদের অবরোধে প্রায়এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে ওই সড়কে।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি অঞ্চলের সহকারী কমিশনার (এসি) মনজুর মোরশেদ জানান, সকাল ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।চমেক পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শকজহিরুল ইসলাম জানান, গুরুতর আহতগাড়ি চালক শফিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই :

তুরস্কের ভূমিকম্পে নিহতদুই শতাধিক

কোন মন্তব্য নেই
- তুরস্কের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে ৭ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংসস্তুপের মধ্যে আটকা পড়েছে বহু মানুষ।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইদ্রিস নাসিম শাহীন সোমবার প্রথম প্রহরে সাংবাদিকদের বলেন, শুধু একরিসেই ১১৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বিধ্বস্ত আরেক শহর ভ্যানেই মারা গেছে অন্তত ১০০ জন।
এখনো শত শত মানুষ নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।
গ্রিনিচ মান সময় রোববার ১০টা ৪১ মিনিটে এ ভূমিকম্পের পর ২০ টিরও বেশি পরাঘাত রেকর্ড করেছেতুরস্কের কান্দিল্লি অবজারভেটরি ইন্সটিটিউট।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা এর আগে ভূমিকম্পেরমাত্রা ৭ দশমিক ৬ বলে জানালেও কান্দিল্লি ইনস্টিটিউট পরে নিশ্চিত করে যে, এই মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ২। উৎপত্তিস্থল ছিল ইরান সীমান্তবর্তী তুর্কি শহর ভ্যানথেকে ২০ কিলোমিটার উত্তরে তাবানলি গ্রামে।
রোববার বিকালে আঘাত হানা ওই ভূমিকম্পে অন্ততপক্ষে ১০৯০ জন আহত হয়েছে।
কান্দিল্লি অবজারভেটরি ইন্সটিটিউটের জেনারেল ম্যানেজার মুস্তফা রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, "আমাদের হিসাব মতে, প্রায় ১ হাজার ভবন ধ্বংস হয়েছে। কয়েকশ মানুষ নিহতহয়েছে বলেই ধারণা করছি আমরা। নিহতের সংখ্যা হাজার ছাড়াতে পারে।"
ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এরসিস এলাকার মেয়র জুলফুকার এরাপগলু স্থানীয় এনটিভিকে বলেন,"আমাদের অবিলম্বে তাঁবু এবং উদ্ধারকারী দল দরকার। আমাদের কোনো এম্বুলেন্স নেই। একটি মাত্র হাসপাতাল আছে। কিন্তু হতাহত হয়েছে বহু মানুষ।"
ইরান সীমান্তবর্তী ভ্যান শহরে ধসে পড়া ভবনের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে আনাতোলিয়া সংবাদ সংস্থা। আহত ৫০ জনকে হাসপাতালেনেওয়া হয়েছে। তবে তাদের অবস্থাকতটা গুরুতর সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
টেলিভিশনে ধসে পড়া ভবন ও বিধ্বস্ত গাড়ির ছবি দেখানো হয়েছে। ভূমিকম্পে আতঙ্কিত লোকজনকে রাস্তায় ছোটছুটি করতে দেখা গেছে।ভূমিকম্পের ফলে টেলিফোন ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রেসেপ তায়েপ এরদোয়ান ইতোমধ্যেই ভ্যান সিটি পরিদর্শন করেছেন।
ভ্যান থেকে ১ শ' কিলোমিটার দক্ষিণের শহর হাক্কারিতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্প ১০ সেকেন্ড স্থায়ী হয়। তবে সেখানে তাৎক্ষণিক কোনোহতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

কোন মন্তব্য নেই :

তুরস্কে ভূমিকম্প, ১ হাজার মানুষ নিহতের আশঙ্কা

কোন মন্তব্য নেই
তুরস্কের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে রোববার ৭ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে ভবন ধসে পড়ে ১ হাজার মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিধ্বস্ত এরসিস এলাকার হাসপাতালে ইতোমধ্যেই ৫০'রও বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
তুরস্কের কান্দিল্লি অবজারভেটরি ইন্সটিটিউটের জেনারেল ম্যানেজার মুস্তফা এরদিক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন,"আমাদের হিসাবমতে, প্রায় ১ হাজার ভবন ধ্বংস হয়েছে। এতে শ শমানুষ নিহত হয়েছে বলেই ধারণা করছি আমরা। ৫শ বা ১ হাজার মানুষমারা গিয়ে থাকতে পারে।"
তুরস্কের উপ-প্রধানমন্ত্রী বেসির আতালে সাংবাদিকদের বলেন, ভ্যান শহরে ১০ টি ভবন ধসে পড়েছে। কাছাকাছি এরসিস অঞ্চলে মাটিতে মিশে গেছে ২৫-৩০ টি ভবন।
কান্দিল্লি ইনস্টিটিউট প্রাথমিক খবরে ভূমিকম্পের মাত্রা ৬ দশমিক ৬ বলে জানালেও পরে তা ৭ দশমিক ২ বলে জানিয়েছে।যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা এর আগে ভূমিকম্পেরমাত্রা ৭ দশমিক ৬ বলে জানিয়েছিলো।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ইরান সীমান্তবর্তী তুর্কি শহর ভ্যানথেকে ২০ কিলোমিটার উত্তরে তাবানলি গ্রামে। গ্রিনিচ মান সময় ১০ টা ৪১ মিনিটে এ ভূমিকম্পের পর ২০ টিরও বেশি পরাঘাত হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আগের খবরে ভূমিকম্পে ৫০ জন আহত হওয়ার কথা জানিয়েছে। ওদিকে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হয়, ভূমিকম্পে ভ্যান শহরে প্রাণহানি ঘটেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের সংখ্যা জানা যায় নি।
ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এরসিস এলাকার মেয়র জুলফুকার এরাপগলু নিউজ চ্যানেল এনটিভি'কে বলেন,"বহু ভবন ধসে পড়েছে। অনেক মানুষ মারা গেছে। তবে কতজন তা আমরা জানি না। আমরা জরুরি সহায়তার জন্য অপেক্ষা করছি। এ মুহূর্তে তা খুবই জরুরি।"
তিনি আরো বলেন, "আমাদের অবিলম্বে তাঁবু এবং উদ্ধারকারীদল দরকার। আমাদের কোনো এম্বুলেন্স নেই। একটি মাত্র হাসপাতাল আছে। কিন্তু হতাহত হয়েছে বহু মানুষ।"
চীনা বার্তা সংস্থা এরসিস অঞ্চলে ৩০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে।ইরান সীমান্তবর্তী ভ্যান শহরে ধসে পড়া ভবনের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে আনাতোলিয়া সংবাদ সংস্থা। আহত ৫০ জনকে হাসপাতালেনেওয়া হয়েছে। তবে তাদের অবস্থাকতটা গুরুতর সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
টেলিভিশনে ধসে পড়া ভবন ও বিধ্বস্ত গাড়ির ছবি দেখানো হয়েছে। ভূমিকম্পে আতঙ্কিত লোকজনকে রাস্তায় ছোটছুটি করতে দেখা গেছে।
ভূমিকম্পের ফলে টেলিফোন ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রেসেপ তায়েপ এরদোয়ান ইতোমধ্যেই ভ্যান পরিদর্শনে গেছেন বলে গণমাধ্যমেজানানো হয়েছে।
ভ্যান থেকে ১ শ' কিলোমিটার দক্ষিণের শহর হাক্কারিতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্প ১০ সেকেন্ড স্থায়ী হয়। তবে সেখানে তাৎক্ষণিক কোনোহতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

কোন মন্তব্য নেই :

আজ লিবিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণা রবিবার, ২৩ অক্টোবর ২০১১
কোন মন্তব্য নেই
আজ লিবিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণার কথা। এজন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারেরনেতারা। ওদিকে মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে জীবিত অবস্থায় আটক চেয়েছিলেন লিবিয়ার অন্তর্বর্তীসরকারের প্রধানমন্ত্রী মাহমুদ জিবরিল। তিনি বলেছেন, তার কাছে আমি নিজেই প্রসিকিউটর হয়ে জানতেচাইতাম কেন তিনি এমন সব অন্যায় করলেন। তিনি বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, জাতিসংঘের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে তিনিও গাদ্দাফি হত্যার তদন্ত চান। কর্নেল গাদ্দাফি হত্যার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যার জন্য মাহমুদ জিবরিলের সরকার বেশচাপে রয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই :

পবিত্র কুরআন পরিবর্তন করতে চেয়েছিল গাদ্দাফি!
কোন মন্তব্য নেই
মুয়াম্মার গদ্দাফিকে যদি কেউ লোহ মানব বলে তাতে আমি কেন কারোরই আপত্তির কিছু থাকার কথা নয়। মাত্র সাতাশ বছর বয়সে রাষ্ট্রক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়ে পরবর্তী বিয়াল্লিশ বছর ক্ষমতা ব্যবহার করেছেন খেয়াল খুশিমত। বলা যায় রাষ্ট্রক্ষমতা নিয়ে খেলায় মত্ত ছিলেন ঠিক যেভাবে ছোটবেলায় বাচ্চারা বেলুন নিয়ে খেলা করে। আমেরিকা থেকে শুরু করে ইসরাইল আর আল কায়েদা থেকে শুরু করে কেউই পাত্তা পায় নি গাদ্দাফির কাছে। তারপরও গাদ্দাফিকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে সেটা কোন ভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। তাকে বন্দী করে বিচারের মুখোমুখি করা যেতে পারত। তা না করে তার সাথে অন্যায়আচরন করা হয়েছে। বিয়াল্লিশ বছরের শাসনামলে অধিকার চর্চা যটতুকু করেছেন তার চেয়েও বেশি অনধিকার চর্চা করেছেন গাদ্দাফি। একেক সময়ে তার একেক রকম খায়েশ হিটলারের কথাই মনে করিয়ে দেয়। শুধুমাত্র নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে বিরোধী মত দমন করেছেন। বিশেষ করে সঠিক ইসলামের অনুসারীদের অকথ্য জুলুম নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়েছে। গাদ্দাফির ইচ্ছাঘুড়িও ছিল খামখেয়ালীপনায় ভরা।

কোন মন্তব্য নেই :

ছাত্রলীগের পিটুনীতে নিহতআবিদ: প্রশাসন জানে না কারা হত্যাকারি!

কোন মন্তব্য নেই
ছাত্রলীগের পিটুনীতে নিহত আবিদ:প্রশাসন জানে না কারা হত্যাকারি!
চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজের ছাত্র আবিদ ছাত্রলীগের কর্মীদের হাতে মারধরের শিকার হনগত মঙ্গলবার। শুক্রবার রাতে হাসপাতালে আইআই সিইউ-তে তার মৃত্যু হয়। খবরটি জানলাম বিডিনিউজ২৪.কমসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সূত্র ধরে। যেভাবেই হোক সারাদেশবাসী জানে ছাত্রলীগের কর্মীদের হাতেই মারধরের শিকার হয়ে মারাত্মক আহতহয় আবিদ। দেশবাসী জানতে পেরেছে মিডিয়ার মাধ্যমে। মিডিয়া কোন ঘটনার সত্য মিথ্যা রায় দেয়ার এখতিয়ার রাখে না। কিন্তু এমনটিওঘটেনা যে মিডিয়ায় যা এসেছে বা আলোচিত হচ্ছে তা সত্য নয়। পুলিশ প্রশাসন বলতে পারে আমরা এখনো জড়িতদের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণসহ জানতে পারি নি। কিন্তু কলেজ প্রশাসন দাবি করছে কারা জড়িত তা তারা জানেন না। কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক সলেমি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, "কি কারণে কারা আবদিকে মারধর করছে তা আমরা জানি না। এটা পুলিশ খতিয়ে দেখছেন" কথাটি কি মিথ্যাচার নয়। একজন ছাত্র মারা গেল এটা তারা জানতে পারলো, সারাদেশবাসী জানে কেন মারা গেল? আর কাছের মানুষ যারা ওই ক্যাম্পাসের নাড়ী নক্ষত্রের সন্ধান জানেন তারা জানেন না কারা আবিদকে মারধর করেছে। সবচেয়ে বড় কথা মিডিয়ায় তো এসেছে কখন কোথায় কিভাবে তাকে মারা হয়েছে। একটা পাগল যদি ওই ক্যাম্পাসে এখন যাই সেও জানতে পারবে কোন ছাত্রলীগ কর্মীরা আবিদের মৃত্যুর জন্য দায়ী। আসলেবাংলাদেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থার সবচেয়ে ন্যাক্কারজনকতাদের আইনী আচরণ হচ্ছে সুন্দর করে আসল ঘটনা লুকিয়ে সাবলীল ভাষায় মিথ্যা বলা। এ প্রসঙ্গে আরেকটি ঘটনা উল্লেখ করি। কয়েকদিন আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রভাষক মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে গভীর রাতের‌্যাবের হাতে আটক হন। আটক হওয়ার প্রায় ২০ ঘন্টা পর আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে জিজ্ঞেস করি -‘স্যার, আমাদের কোনস্যার, কি কারণে আটক হয়েছেন।’ প্রক্টর আমাকে জবাব দেন, ‘আমি কিছুই জানি না’। এরপর ওই আটককৃত শিক্ষককে আদালতে হাজির করলে তারজামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। পরদিন আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে জিজ্ঞেস করলাম, কেউ যদি আটক হয় তাহলে চাকরিবিধি অনুসারে তারা সাময়িক বরখাস্তের পদক্ষেপ নিতে হয়। রেজিস্ট্রার আমাকে বললেন, এখানো বিষয়টি আমরা কাগজে-কলমে জানি না। এসব সত্য ঘটনা প্রশাসন আর কত দিন ! আর কত মৃত্যু হলে তারা জানবেন???????????

কোন মন্তব্য নেই :

চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের পিটুনিতে আহত মেডিকেল ছাত্রের মৃত্য
কোন মন্তব্য নেই
চট্টগ্রাম, অক্টোবর ২১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের পিটুনিতে আহত এক শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মো. আবিদুর রহমান নামের ওইছাত্রের মৃত্যু হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেলের বিডিএস কোর্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আবিদ কক্সবাজার জেলার চকরিয়ার বাসিন্দা নুরুল কবিরের ছেলে। গত বুধবার কলেজের ছাত্রাবাসে আবিদসহ চারজনকে মারধর করে ছাত্রলীগ কর্মীরা।
কলেজ ছাত্রদলের নেতারা বলছেন, আবিদ ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরুর চেষ্টা করায় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা তাকে পিটিয়ে আহত করে।
তবে পুলিশ বলছে, ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়েছিলেন তিনি।
কলেজ ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করতে যাওয়ায় আবিদ, ফয়সাল, নাজিম ও মাসুমকে মঙ্গলবার দুপুরে ছাত্র সংসদে আটকে রেখে মারধর করে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা।
"ওই অবস্থায় তাকে ছাত্রবাসে নিয়ে বিনা চিকিৎসায় বিকাল পর্যন্ত আটকে রাখা হয়। পরে ওইদিন বিকালে হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটিতে ফেলে রাখা হয় আবিদকে। পরে তাকে বাইরে নিয়ে সার্জিস্কোপ ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই রাতেই তাকে আবার মেডিকেলে এনে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।"
শুক্রবার রাতে আবিদকে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিলো বলে ফরহাদ জানান।
অন্যদিকে পাঁচলাইশ থানার উপ-পরিদর্শক আতাউর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে আবিদকে মারধরকরা হয়েছিল। রাতে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।"
এ বিষয়ে কোনো মামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, "আবিদেরপরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করলে মামলা নেওয়া হবে।"কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "কি কারণে কারা আবিদকে মারধর করেছেতা আমরা জানি না। এটা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।"
এ বিষয়ে কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি ছাত্রলীগ নেতা মফিজুরের রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

কোন মন্তব্য নেই :

কার গুলিতে মৃত্যু গাদ্দাফির?

কোন মন্তব্য নেই
সির্তে, লিবিয়া, অক্টোবর ২২ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/রয়টার্স)- লিবিয়ার এক সময়কার লৌহশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির নাটকীয় মৃত্যুর পর তার রক্তাক্ত ছবি টেনে নিয়ে বেড়াচ্ছে ক্ষুব্ধ যোদ্ধারা। দ্রুতই তা ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বজুড়ে।
নিজ জন্মশহর সির্তে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন গাদ্দাফি। কিন্তু কার গুলিতে নিহত হলেন তিনি?
এ নিয়ে নানাজন নানা কথা বলছে। এনটিসি বাহিনীর এক যোদ্ধার কথায়, গাদ্দাফিরই এক রক্ষী তাকেবুকে গুলি করে।
অন্যদিকে, এনটিসি কর্মকর্তা অব্দুল মজিদ ম্লেগতা বলছেন, কয়েক ঘন্টা যুদ্ধ চলার পর সির্তে গাদ্দাফি কোনঠাসা হয়ে পড়েন এবং এনটিসি বাহিনীর গুলিতে আহত হয়ে পরে মারা যান।
লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, গাদ্দাফি আটক হওয়ার পরতার সমর্থক এবং সরকারি যোদ্ধাদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হওয়ায় ক্রসফায়ারে মাথায় গুলি লেগে তিনি নিহত হন। এনটিসি তাকে মারার কোনো নির্দেশ দেয়নি।
তার মৃত্যু নিয়ে একেকজনের একেককথায় আসলেই কি ঘটেছিলো তা এখনো পরিস্কার না। কিন্তু ঘটনাটি সম্পর্কে অনেকটাই ধারণা পাওয়া যায় গাদ্দাফির শেষ সময়ের একটি ভিডিও ফুটেজ থেকে।
সির্তের কাছাকাছি গাদ্দাফি যখনবন্দি হন তখনও তিনি জীবিত ছিলেন।
টেলিভিশনে স¤প্রচারিত একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, হতবিহ্বল, আহত গাদ্দাফিকে একটি গাড়ির বনেট থেকে চুল ধরে টেনে হিঁচড়ে মাটিতে নামানো হচ্ছে।
এসময় কেউ একজন চিৎকার করে বলছিলো, "তাকে বাঁচিয়ে রাখো, তাকে বাঁচিয়ে রাখো।" এরপর ফুটেজে আর গাদ্দাফিকে দেখা যায়নি, শুধু গুলির শব্দ পাওয়া যায়।
এনটিসির এক ঊর্ধ্বতন সূত্র রয়টার্সকে জানায়, "তারা তাকে জীবিত ধরে। এরপর তারা তাকে নিয়ে যাওয়ার সময় পেটায় এবং পরে হত্যা করে। তিনি সম্ভবত তাদেরকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন।"
গাদ্দাফি একসময় তার ৪২ বছরের শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো বিদ্রোহীদের 'ইদুর' সম্বোধন করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গাদ্দাফিকেই খুঁজে পাওয়া গেছে ইঁদুরের মতো গর্তে লুকিয়ে থাকাঅবস্থায়।
ময়লা, নোংরা ড্রেনের পাইপে তাকেখুঁজে পাওয়ার কথা এর আগে জানিয়েছে এনটিসি বাহিনীরই এক যোদ্ধা।সির্তে সেই পাইপের পাশে দাঁড়িয়ে ২৭ বছর বয়সী ওই যোদ্ধার ক্ষেদোক্তি, "তিনি আমাদেরকে ইঁদুর বলেছিলেন। কিন্তু দেখুন আমরা তাকে কোথায় খুঁজে পেলাম।"
মাঠ পর্যায়ের সরকারি যোদ্ধারা গাদ্দাফির জীবনের শেষ মুহূর্তের বর্ণনায় বলেছে, ওই সময়টিতে লড়াই চলছিলো।
গাদ্দাফি এবং তার কিছু অনুগত লোকজন পালিয়ে গিয়ে ড্রেনের পাইপে আশ্রয় নেয়। তাদের দিকে প্রথমে গুলি ছুড়লে তাতে কোনো কাজ হয়নি। এরপর তারা পায়ে হেঁটে ওই পাইপে ঢোকে।
ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে সালেম বাকির নামের এক যোদ্ধা বলেন, "গাদ্দাফির এক লোক বেরিয়েএসে চেঁচিয়ে আত্মসমর্পণ করতে বলে। কিন্তু আমাকে দেখামাত্র সে গুলি করতে শুরু করে। তারপর আমার ধারণা, গাদ্দাফি তাকে থামতে বলেছিলেন। লোকটি বললো, আমার প্রভু এখানে, তিনি আহত।"
"আমরা তখন ভেতরে গিয়ে গাদ্দাফিকে বের করে নিয়ে আসি। তিনি বলছিলেন, কি হলো? কি হলো? হচ্ছেটা কি? আমরা তখন তাকে নিয়ে গিয়ে গাড়িতে তুলি। ধরা পড়ার সময় তার পায়ে এবং পিঠে জখমছিলো।"
গাদ্দাফির মৃত্যু নিয়ে নানাজন নানা কথা বললেও গাদ্দাফিকে আটককরার অভিযানে অংশ নেওয়া যোদ্ধারা বাকিরেই বক্তব্যই নিশ্চিত করেছে।
এনটিসি'র আরেক কর্মকর্তাও গাদ্দাফিকে পিটানোর পর তাকে মেরে ফেলার নৃসংশ ঘটনা বর্নণা করেছেন। কিছু ভিডিও ফুটেজেও দেখা গেছে গাদ্দাফির নিথর দেহ এম্বুলেন্সে তোলা হচ্ছে। গাদ্দাফিকে আটকের অভিযানে অশং নেওয়া আরেক যোদ্ধা তার (গাদ্দাফি) কাছ থেকে কেড়ে নেওয়াএকটি সোনালি পিস্তলও দেখিয়েছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/বিসিএস/এলকিউ/২১০১ঘ.

কোন মন্তব্য নেই :

গাদ্দাফির মৃত্যুর ঘটনা তদন্তের আহ্বান জাতিসংঘের
কোন মন্তব্য নেই
জেনেভা, অক্টোবর ২১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/রয়টার্স)- লিবিয়ার ক্ষমতাচ্যুত শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির মৃত্যুর ঘটনা পূর্ণ তদন্ত করে দেখার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়।
তাকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে শংসয় প্রকাশ করেছে তারা।
ভিন্ন ভিন্ন সেলফোন চিত্রে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার সির্তে আটক হওয়ার পর আহত, রক্তাক্ত গাদ্দাফি প্রথমে জীবিতই ছিলেন।পরে গাদ্দাফি-বিরোধীদের কোলাহলপূর্ণ জটলার মাঝে তাকে মরে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক মুখপাত্র রুপার্ট কলভিলে¬ রয়টার্স টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, "সত্যি কী ঘটেছিল সে সম্পর্কে অনেক অনিশ্চয়তা রয়েছে। কীভাবে তিনি মারা গেছেন এ নিয়ে চার-পাঁচ রকমের ভাষ্য পাওয়া যাচ্ছে।"
তিনি আরো বলেন, "আপনি যদি দুটি ভিডিও মিলিয়ে দেখেন তাতে স্পষ্ট কিছু বোঝা যায় না। কারণ,একটি ভিডিওতে আপনি দেখছেন একজনকে জীবিত ধরা হয়েছে, আবার অন্য ভিডিওতে একই ব্যক্তি মৃত।"
তিনি আরো বলেন, "ওই মুহুর্তে কীঘটেছিল তা আমরা এখনই বলতে পারবো না। কিন্তু কী ঘটেছিলো তা পরিস্কারভাবে জানাটা গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছি। আর তাই কী ঘটেছিলো এবং কিভাবে তার মৃত্যু হল তা উদঘাটনে তদন্ত হওয়া দরকার।"
আটক অবস্থায় গাদ্দাফিকে মেরে ফেলা হয়েছে- মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘ হাই কমিশনার নাভি পিল¬¬াই কার্যালয় এমন মনে করছে কিনা জিজ্ঞেস করা হলে জবাবে কলভিলে¬ বলেন, "দুটি ভিডিও দেখলে সে সম্ভাবনা উড়িয়েদেওয়া যায় না। তাই এ ব্যাপারে তদন্ত প্রয়োজন।"
তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক আইনের মূলনীতি অনুযায়ী, মারাত্মক অপরাধে অভিযুক্তদের যথাসম্ভব বিচার করা উচিত।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) জুনে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য গাদ্দাফিসহ তার ছেলে সাঈফ আল ইসলাম এবং গোয়েন্দাপ্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলো।
কলভিলে¬ বলেন, যে কোনো পরিস্থিতিতেই সংক্ষিপ্ত বিচারে মেরে ফেলাটা অবৈধ।
তবে তিনি বলেন, যুদ্ধে কেউ মারাগেলে সেটি ভিন্ন ব্যাপার। লিবিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলছিলো।সুতরাং যুদ্ধের কারণে গদ্দাফিরমৃত্যু হয়ে থাকলে তা ভিন্ন ব্যাপার। পরিস্থিতির বিচারে তাঅসঙ্গত নয়।
" কিন্তু অন্যরকম কিছু হয়ে থাকলে, কাউকে ধরা হয়ে থাকলে এবংপরে ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে মেরে ফেলা হলে তা মারাত্মক ব্যাপার"বলেন তিনি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/বিসিএস/এলকিউ/২১৩৮ঘ.Given URL is not allowed by the Application configuration.

কোন মন্তব্য নেই :

গাদ্দাফি নিহত
কোন মন্তব্য নেই
মানবজমিন ডেস্ক: লিবিয়ার লৌহমানব কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফি নিহত হয়েছেন। গতকাল নিজ জন্মশহর সির্ত-এ দেশটির ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিল(এনটিসি)’র যোদ্ধাদের হাতে তিনি প্রাণ হারান। লিবিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এনটিসি’র প্রধানমন্ত্রী জিবরিল এ খবর নিশ্চিত করেছেন। গাদ্দাফির মৃতদেহ মিসরাতার একটি মসজিদে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। বার্তা সংস্থা এপি’কে উদ্ধৃত করে বিবিসি এ খবর দিয়েছে। এ অভিযানে তার ছেলে মুতাসিমও নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে কোন কোন সূত্র জানিয়েছে, তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালের একটি বিছানায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে এবং তিনি জীবিত আছেন। এর আগে মারাত্মক আহত অবস্থায় গাদ্দাফিকে আটক করা হয়। তিনি পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। কোন কোন খবরে বলা হয়, তিনি মারা গেছেন। মোবাইলে তোলা একটি ছবি প্রকাশ করে কোন কোন ওয়েবসাইট। তাতে গাদ্দাফির মতো একজনকে দেখানো হয়। তার মাথা দিয়ে রক্ত ঝরছিল। কিন্তু ওই ছবিটি গাদ্দাফির কিনাতা নিয়েও সৃষ্টি হয় ধূম্রজাল। পরে এনটিসি কর্মকর্তারা গাদ্দাফি নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেন। ত্রিপোলি থেকে বিবিসি’র সাংবাদিক ক্যারোলাইন হাউলি বলছেন, লিবিয়ার অনেক নেতাই এখন স্বীকার করছেন গাদ্দাফি নিহত হয়েছেন। এনটিসি’রযোদ্ধা মোহাম্মদ আল বিবি বলেছেন, ধরা পড়ার সময় গাদ্দাফি তাকে গুলি না করতে অনুনয় করতে থাকেন। তিনি বলেন- ‘ডোন্ট শুট, ডোন্ট শুট’। এরপরেই গাদ্দাফি আত্মসমর্পণ করেন। আত্মসমর্পণ করলে তিনি কিভাবে পায়ে গুলিবিদ্ধ হলেন- এমন প্রশ্নের কোন জবাব নেই। লিবিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্যমন্ত্রী মাহমুদ শাম্মাম বলেছেন, তার যোদ্ধারা তাকে বলেছেন যে- তারা গাদ্দাফির মৃতদেহ দেখেছেন। তিনি বলেছেন, গাদ্দাফি নিহত হয়েছেন কিনা তা এনটিসি নেতারা ঘোষণা করবেন। অন্য কর্মকর্তারা বলছেন, গাদ্দাফি নিহত হয়েছেন।। এনটিসি’রপ্রধান মুস্তাফা আবদুল জলিলের গত রাতেই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেয়ার কথা। ওদিকে ইন্টারনেটে একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, এনটিসি’রযোদ্ধারা গাদ্দাফির মৃতদেহ দেখানোর চেষ্টা করছে। বার্তা সংস্থা এএফপি’র এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই ভিডিওতে এনটিসি’র বিপুল সংখ্যক সেনাকে দেখা গেছে।তারা খাকি পোশাক পরা একটি মৃতদেহ ঘিরে উল্লাস করছে। এনটিসি’র এক কর্মকর্তা আবদেল হাফেজ গোগা এএফপিকে বলেছেন, আমরা বিশ্ববাসীকে বলতে চাই, গাদ্দাফি বিপ্লবীদের হাতে নিহত হয়েছেন। এটা এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এটার মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসকের পতন হয়েছে। গাদ্দাফি তার পরিণতি ভোগ করেছেন। গাদ্দাফিকে আটক করার পরমিসরাতা শহরের একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। এনটিসি যোদ্ধারা বলেছেন, তাকে যখন আটক করা হয় তখনতার সঙ্গে ছিল একটি সোনালি রঙের পিস্তল। তিনি ছিলেন খাকি রঙের একটি পোশাক পরা।
মধ্য আগস্টে ন্যাটো বাহিনী ও এনটিসি’র যোদ্ধারা রাজধানী ত্রিপোলিকে যেন জালে ঘিরে ফেলে।তারপর থেকেই দৌড়ের ওপর ছিলেন গাদ্দাফি ও তার পরিবার। এর মধ্যে অনেকবারই বলা হয়েছে, গাদ্দাফি দেশ ছেড়ে পাশের আলজেরিয়াতে চলে গেছেন। কিন্তু গাদ্দাফি বলেছিলেন, তিনি নিজের দেশ ও জনগণকে ছেড়ে যাবেন না। তিনি সেই কথাই রেখেছেন। নিজের মাটিতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। গতকাল গাদ্দাফি আটক হওয়ার খবর প্রচারিত হওয়ার সঙ্গেসঙ্গে বিশ্বের বেশির ভাগ টেলিভিশন চ্যানেল তাদের নিয়মিত অনুষ্ঠান স্থগিত করে দেয়। এর পরিবর্তে তারা ব্রেকিং রিপোর্ট হিসেবে ওই খবর প্রচার করতে থাকে। ইন্টারনেটে ওয়েবসাইটগুলোতে খবর সন্ধানীদেরজ্যাম লেগে যায়। ওদিকে গাদ্দাফিকে আটক ও মারা যাওয়ার খবরে লিবিয়া যেন আনন্দে ভাসছে।মানুষজন ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছে। রাতের লিবিয়া যেন কাল জেগে ছিল। সারারাত উল্লাস করেছে তারা। রাস্তায় রাস্তায় গাড়ির চালকরা সমস্বরে হর্ন বাজিয়ে আনন্দ প্রকাশ করতে থাকে। কেউ কেউ আনন্দ-আবেগে কেঁদে ফেলেন। ওদিকেকোন কোন সংবাদে বলা হয়, লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি ঘটনার সময় একটি ব্যাংকারে লুকিয়ে ছিলেন। তার পরনে ছিল খাকি সামরিক পোশাক। কোন কোন সংবাদে বলা হয়, গাড়ি বহর নিয়ে পালানোর সময় ন্যাটোর বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন গাদ্দাফি। ঘটনা এত দ্রুতপাল্টাচ্ছিল যে, কোন খবর সত্যি তা নির্ধারণ করাই কঠিন হয়ে পড়ে। ওই অভিযানে শুধু গাদ্দাফিই ধরা পড়েননি, তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মুসা ইব্রাহিমও ধরা পড়েছেন। নিহত হয়েছেন গাদ্দাফির প্রতিরক্ষামন্ত্রী আবু বকর ইউনিস জাবের। এ ঘোষণা দিয়েছেন এনটিসি কমান্ডার আবদুল হাকিম আলজলিল। গতকাল লিবিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে উপস্থাপক হাস্যোজ্জ্বল ভঙ্গিতে বলেন, এটাকোন সংবাদ নয়, আমরা যে খবর দিচ্ছি তা খুশির খবর। এনটিসি যোদ্ধারা গতকালই গাদ্দাফির জন্মশহর সির্ত দখল করে নেয়। আর এদিনই চূড়ান্ত পরাজয় হয় গাদ্দাফির। ৪২ বছর যিনি দেশ শাসন করে জনগণের মনের মাঝে স্থান করে নিয়েছিলেন, তিনি এখন পতিত হলেন আস্তাকুঁড়ে। লিবিয়ার মানুষের কাছে এখন তার একটিই পরিচয়- তিনি স্বৈরশাসক।
post by www.mzamin.com

কোন মন্তব্য নেই :

আবুল হোসেনের দুর্নীতিতেই অর্থায়ন স্থগিত: হুদা
কোন মন্তব্য নেই
ঢাকা, অক্টোবর ২০ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি আমলের যোগাযোগমন্ত্রী নাজমুল হুদা বলেছেন, সৈয়দ আবুল হোসেনের দুর্নীতির কারণেই পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন স্থগিত করেছে বিশ্ব ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার বিকালে এক জরুরি সংবাদ সম্মলনে তিনি বলেন,"প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধের বিষয়ে আমার সম্পর্কে অসত্য কথা বলেছেন। আমিস্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই- চারদলীয়জোট সরকারের আমলে মহাখালী ফ্লাইওভারসহ ঢাকা আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্টের (ডিইউটিপি) সাফল্যের কারণে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশাল অংকের অর্থায়নের অঙ্গীকার করে ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করেছিলো।
"অর্থায়ন স্থগিত হয়েছে বিশ্বব্যাংক র্র্কতৃক বর্তমান যোগাযোগমন্ত্রীর দুর্নীতির অভিযোগের কারণেই।"
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার বলেন, বিএনপি আমলের যোগাযোগমন্ত্রীর [নাজমুল হুদা] দুর্নীতির কারণে পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন স্থগিত করেছে বিশ্ব ব্যাংক।
একই দিন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেন, পদ্মা সেতুর জন্য দাতাদের দেওয়া অর্থ সরকার 'খেয়ে' ফেলেছে।
যদিও সরকার বলছে, দাতা সংস্থাগুলো প্রতিশ্র"ত ঋণের অর্থ এখনো ছাড় করেনি।
২৯০ কোটি ডলারের পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ হিসেবে দেওয়ার কথা একশ ২০ কোটি ডলার। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতু নির্মাণে এডিবি ৬১কোটি, জাইকা ৪০ কোটি এবং ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক ১৪ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার কথা। বাকি অর্থ দেবে সরকার।
প্রকল্পের তদারকি সংস্থার প্রাক-নির্বাচনী তালিকায় থাকা কানাডীয় প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিনের বিরুদ্ধে গত মাসে 'দুর্নীতির' অভিযোগ তোলে বিশ্ব ব্যাংক। পরে এ বিষয়ে কানাডীয় পুলিশের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ প্রকল্পে অর্থায়ন স্থগিত করে বিশ্ব ব্যাংক।
নাজমুল হুদা বলেন, "বিশ্ব ব্যাংক স্পষ্ট করে বলেছে, বর্তমান যোগাযোগমন্ত্রী জনাব আবুল হোসেনের কোম্পানি সাকোর দুর্নীতির কথা এবং যার দুর্নীতির তদন্ত সাপেক্ষে অর্থের ছাড় বিশ্ব ব্যাংক স্থগিতরেখেছে।"কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কেন যোগাযোগমন্ত্রীর পক্ষে এতো সাফাই গাইছেন, তা জনগণকে জানাতে হবে। এর পেছনে কী কোনো গোপন রহস্য রয়েছে।"
সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী প্রশ্ন রাখেন, "যদি চারদলীয় জোট সরকার আমলের র্দুর্নীতির কারণে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু নির্মাণে তাদের সহায়তা বন্ধ করবেন, তাহলে এই সরকারের আমলে হাজার হাজার কোটি টাকার ঋণ চুক্তি কেন করতে যাবেন।"
'<ন>আমি আতঙ্কে'
রাজধানীর তোপখানা রোডের মেহরাব প্লাজায় নিজ চেম্বার সংবাদ সম্মেলন করেন নাজমুল হুদা।
তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রী আমারকথিত দুর্নীতির উদ্ভট ও অসত্য তথ্য নিয়ে কেন পাটগ্রামের জনসভায় উপস্থিত হলেন, তা বোধগম্য নয়। আমি তার এরূপ বক্তব্যে আতঙ্কের মধ্যে আছি। কারণ এই সংবাদ সম্মেলনের কথা বলার অভিযোগে আবার কোনো মামলার মুখে আমি পড়তে পারি।"
পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ গত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে শুরু হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী নাজমুল হুদা।
তিনি বলেন, "পদ্মা সেতু প্রকল্পের স্থান নির্ধারণ, নকসাপ্রণয়ন ও ভূমি অধিগ্রহণের কাজ আমাদের আমলে শুরু হয়েছিলো।
"ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে প্রথম দফার ক্ষতিপূরণের অর্থ বরাদ্দেরও কথা ছিলো আমাদের সময়ের শেষ দিকে। কিন্তু তৎকালীনপ্রধানমন্ত্রীর [খালেদা জিয়া] ব্যস্ততার কারণে তা হয়ে ওঠেনি।"
তার দুর্নীতি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবদিতে গিয়ে নাজমুল হুদা বলেন,"১/১১ ক্যাংগারু কোর্টে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ যে হাইকোর্টে খারিজ হয়ে গেছে এবং আমি যে বে-কসুর খালাস পেয়েছি- সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর জানা উচিৎ ছিলো।"
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দুর্নীতির অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা হয় বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী নাজমুলহুদার বিরুদ্ধে।
বিএনপির এক সময়কার প্রভাবশালী এমন্ত্রী বলেন, "আমার মামলার উদ্বৃতি দিয়ে তিনি [প্রধানমন্ত্রী] ১/১১ কুশিলবদেরঅপকর্মের স্বীকৃতি দিয়েছেন।এটা বর্তমান গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার জন্য ন্যক্কারজনক দৃষ্টান্ত। এর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।"
সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী অভিযোগ করেন, "ক্ষমতায় বসে ১/১১ সরকারের দায়ের করা শেখ হাসিনাসহতার দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে শত শত দুর্নীতির মামলাপ্রত্যাহার করে নিয়েছে। অন্যদিকে ওই সময়ে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাগুলো বহাল রাখা হয়েছে। সরকার এ রকম দ্বৈতনীতির মাধ্যমে দেশের খণ্ডিত জনগণের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজেকে চিহ্নিত করেছেন শেখ হাসিনা।"
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসএম/পিডি/১৯৪০ ঘ.

কোন মন্তব্য নেই :

২০১৫ সালে স্তন-ক্যান্সারে আক্রান্ত নারীর সংখ্যা হবে দ্বিগুণ বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর ২০১১

কোন মন্তব্য নেই
আগামী ৪ বছরের মধ্যে বিশ্বে স্তন-ক্যান্সারে আক্রান্ত নারীর সংখ্যা দ্বিগুণ হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভারতের স্তন-ক্যান্সার বিষয়ক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক পি কে জুলকা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতি বছর ১ কোটি ৯ লাখ নারী বিশেষ এ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। আর এতে মৃত্যুবরণ করেন ৬৭ লাখ নারী। বিশ্বের সব দেশেই ক্যান্সার আক্রান্ত নারীদের সংখ্যা যে হারে বেড়ে চলেছে, তাতেআগামী ২০১৫ সালের মধ্যে এ সংখ্যা বেড়ে ২ কোটি ছাড়িয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
post by-sayed rubel uddin,
info,www.mzamin.com

কোন মন্তব্য নেই :

http://www.verisign.com/log-in/index.html?tid=gnps
কোন মন্তব্য নেই
http://www.verisign.com/log-in/index.html?tid=gnps

কোন মন্তব্য নেই :

সাঈদীর যুদ্ধাপরাধ: মন্তব্য করবেন না হুমায়ূন
কোন মন্তব্য নেই
ঢাকা, অক্টোবর ০৩ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- মুক্তিযুদ্ধের সময়ের যেসব অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে, তার মধ্যে পিরোজপুরের এসডিও ফয়জুর রহমান আহমেদকে হত্যাও রয়েছে।
শহীদ এই সরকারি কর্মকর্তা দেশের জনপ্রিয় দুই লেখক হুমায়ূন আহমেদ ও মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং কার্টুনিস্ট ও রম্যলেখক আহসান হাবীবের বাবা।
সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর তার বিচার শুরুর ঘোষণাকে স্বাগত জানায় বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। অবশ্য ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য বর্তমানে নিউ ইয়র্কে অবস্থানরত ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদ বলেছেন, এ বিষয়ে এখন তিনি কোনো মন্তব্য করবেন না।তার প্রকাশক মাজহারুল ইসলাম সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "বিষয়টি এখনো বিচারাধীন। তাই হুমায়ূন কোনো মন্তব্য করবেন না।"
দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিচার শুরুর জন্য একাত্তরে হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠনসহ মানবতাবিরোধী ২০টি অপরাধের অভিযোগ আমলে নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তার বিচার শুরুরদিন ঠিক হয়েছে আগামী ৩০ অক্টোবর।
অভিযোগ গঠনের আদেশে বলা হয়েছে, একাত্তরের ৫ মে পিরোজপুরের এসডিও ফয়জুর রহমান আহমেদ, এসডিওমো. আব্দুর রাজ্জাক, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সাঈফ মিজানুর রহমানসহ কয়েকজনকে আটক করে নদীরপাড়ে নিয়ে গিয়ে সাঈদীর উপস্থিতিতে লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যার পর লাশ নদীতের ভাসিয়ে দেওয়া হয়।
ওই ঘটনার বিচার যতো দ্রুত সম্ভব শেষ হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন ফয়জুর রহমানের ছোট ছেলে জনপ্রিয় কার্টুনিস্ট ও স্যাটায়ার ম্যাগাজিন উন্মাদের সম্পাদক আহসান হাবীব।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, "এ বিচার অনেক আগেই শুরু হওয়ার কথা ছিল। তারপরও বিচার শুরু হয়েছে। আমরা এখন এর শেষ দেখতে চাই।"
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/জিএনএ/জেকে/০৩১২ ঘ

কোন মন্তব্য নেই :

সাঈদীর যুদ্ধাপরাধ: মন্তব্য করবেন না হুমায়ূন

কোন মন্তব্য নেই
ঢাকা, অক্টোবর ০৩ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- মুক্তিযুদ্ধের সময়ের যেসব অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে, তার মধ্যে পিরোজপুরের এসডিও ফয়জুর রহমান আহমেদকে হত্যাও রয়েছে।
শহীদ এই সরকারি কর্মকর্তা দেশের জনপ্রিয় দুই লেখক হুমায়ূন আহমেদ ও মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং কার্টুনিস্ট ও রম্যলেখক আহসান হাবীবের বাবা।
সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর তার বিচার শুরুর ঘোষণাকে স্বাগত জানায় বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। অবশ্য ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য বর্তমানে নিউ ইয়র্কে অবস্থানরত ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদ বলেছেন, এ বিষয়ে এখন তিনি কোনো মন্তব্য করবেন না।তার প্রকাশক মাজহারুল ইসলাম সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "বিষয়টি এখনো বিচারাধীন। তাই হুমায়ূন কোনো মন্তব্য করবেন না।"
দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিচার শুরুর জন্য একাত্তরে হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠনসহ মানবতাবিরোধী ২০টি অপরাধের অভিযোগ আমলে নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তার বিচার শুরুরদিন ঠিক হয়েছে আগামী ৩০ অক্টোবর।
অভিযোগ গঠনের আদেশে বলা হয়েছে, একাত্তরের ৫ মে পিরোজপুরের এসডিও ফয়জুর রহমান আহমেদ, এসডিওমো. আব্দুর রাজ্জাক, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সাঈফ মিজানুর রহমানসহ কয়েকজনকে আটক করে নদীরপাড়ে নিয়ে গিয়ে সাঈদীর উপস্থিতিতে লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যার পর লাশ নদীতের ভাসিয়ে দেওয়া হয়।
ওই ঘটনার বিচার যতো দ্রুত সম্ভব শেষ হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন ফয়জুর রহমানের ছোট ছেলে জনপ্রিয় কার্টুনিস্ট ও স্যাটায়ার ম্যাগাজিন উন্মাদের সম্পাদক আহসান হাবীব।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, "এ বিচার অনেক আগেই শুরু হওয়ার কথা ছিল। তারপরও বিচার শুরু হয়েছে। আমরা এখন এর শেষ দেখতে চাই।"
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/জিএনএ/জেকে/০৩১২ ঘ

কোন মন্তব্য নেই :

অভিযোগের বিষয়ে বলতে কাঠগড়ায় সাঈদী
কোন মন্তব্য নেই
ঢাকা, অক্টোবর ০৩ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছিলেন কি না-তার জবাব দিতে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সাঈদীই হচ্ছেন প্রথম ব্যক্তি- যাকে আদালতে দাঁড়িয়ে বলতে হবে, তিনি একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছিলেন কি না।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে সোমবারই সিদ্ধান্ত দেবে আদালত। এ জন্য সকালে তাকে কারাগার থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
এই জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের ৩১টি অভিযোগ এনেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত দল।
অবশ্য সাঈদীর আইনজীবী তাজুল ইসলামের দাবি, অভিযোগ গঠনের এ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বায়বীয় অভিযোগের ভিত্তিতে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ২০১০ সালের জুলাইয়ে প্রণীত ট্রাইব্যুনালের কার্যবিধি অনুযায়ী রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগের পক্ষে যথেষ্টতথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হলে ট্রাইব্যুনাল সাঈদীকে খালাস দিতে পারেন।
"আর যদি ট্রাইব্যুনালের ধারণা হয় যে, তিনি সংশ্লিষ্ট অপরাধ করেছিলেন- এমন মনে করার সঙ্গত কারণ আছে, তাহলে তার বিরুদ্ধে এক বা একাধিক অভিযোগ গঠন করা হতে পারে।"
সেক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনাল আইনের ৩৮ দফা অনুযায়ী, অভিযুক্তকে প্রশ্ন করাহবে- তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তিনি স্বীকার করেন কি না। তবে তার আগে সাঈদীর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ পড়ে শোনাতে হবে।
তাজুল বলেন, "প্রশ্ন করা হলে, তিনি (সাঈদী) স্বাভাবিকভাবেই বলবেন যে তিনি দোষী নন। তিনি হয়তো সেই সময়ের রাজনৈতিক বাস্তবতা তুলে ধরে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন করবেন।"
"আর আমার মক্কেল এ জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত আছেন," যোগ করেন সাঈদীর আইনজীবী।আসামি পক্ষের আইনজীবীরা এর আগেও একাধিকবার দাবি করেছেন, এই জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগের কথা বলা হচ্ছে, সেগুলোর ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল আইন অনুযায়ী তার বিচার করা চলে না।
এই আইনে বলা হয়েছে, কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করতে হলে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম-ঠিকানা, সাক্ষী, ঘটনার দিনক্ষণ এবং বিবরণ অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
অবশ্য ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী বলছেন, একাত্তরের প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ, ঘটনাস্থলথেকে পাওয়া তথ্য এবং অন্যান্য আলামাত থেকে আইন অনুযায়ী বিচার চালানোর প্রয়োজনীয় ভিত্তি আদালত ঠিকই পাবেন।
আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আসামীপক্ষকে তদন্ত প্রতিবেদনের অনুলিপি সরবরাহ করা হয়েছে কি- না জানতে চাইলে প্রসিকিউটর বলেন, সেগুলো ইতোমধ্যে আদালতে হাজির করা হয়েছে। অভিযোগ গঠনের আগে আসামীপক্ষকে সেসব সরবরাহ করার কোনো প্রয়োজন নেই।
সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন প্রশ্নে গত ২১ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর আদালতে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক চলে। এরপর ৩ অক্টোবর আদেশের দিন রাখে ট্রাইব্যুনাল।
মুক্তিযুদ্ধের সময় পিরোজপুরে হত্যা, লুণ্ঠন, নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় ২০১০সালের ২৯ জুন গ্রেপ্তার করা হয় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে। চলতি বছর ১৪ই জুলাই তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল।
সাবেক সংসদ সদস্য সাঈদী ছাড়াও জামায়াতের দুই শীর্ষ নেতাসহ চার জন যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার রয়েছেন। তারা হলেন-দলের আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মো. মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামরুজ্জামান ওআব্দুল কাদের মোল্ল¬া।
এছাড়া দুই বিএনপি নেতাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে এ মামলায়। তাদের মধ্যে সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী আটক থাকলেও জিয়াউর রহমান আমলের মন্ত্রী আব্দুল আলীম শর্তসাপেক্ষে জামিনে রয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসএন/এমএইচসি/কেটি/টিএ/এমআই/১০৩৬ ঘ.এপ্লিকেশন গঠনানুযায়ী প্রদত্ত ইউআরএল অনুমোদিত নয়।

কোন মন্তব্য নেই :

অরক্ষিত আদালতপাড়া-৩ অপর্যাপ্ত পুলিশ, তাই নিরাপত্তায়ও ঢিলেমি
কোন মন্তব্য নেই
ঢাকা, অক্টোবর ০১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য সংখ্যা ১৪ হাজার, এর মধ্যে গড়ে ৫ হাজার প্রতিদিন আসেন আদালতে, তাদের সঙ্গে আসেন কয়েক হাজার মোহরার।এর সঙ্গে যোগ হয় হাজার হাজার বিচারপ্রার্থী।
প্রতিদিন যে স্থানে এত মানুষ সমবেত হয়, সেখানে নিরাপত্তার জন্য আলাদা বন্দোবস্ত থাকা প্রয়োজন বলে আদালত সংশ্লিষ্টরামনে করছেন।
অপ্রতুল নিরাপত্তার কথা স্বীকার করে আদালতপাড়ায় কর্মরতঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী কমিশনার আমিনুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঢাকার আদালতে ১০০টি এজলাসের জন্য মাত্র রয়েছে ১৭৫ জন কনস্টেবল। সেক্ষেত্রে প্রতিএজলাসের ভাগে পড়ে দেড় জন।
"এসব পুলিশ সদস্যদের হাতে অস্ত্র রাখার নিয়ম নেই। সুতরাংকাক্সিক্ষত নিরাপত্তা এদের কাছথেকে আশা করা যায় না," বলেন তিনি।
২০০৫ সালে জেএমবির বোমাহামলার পর আদালতপাড়ায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিলো। তবে সময় গড়ালে আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসে।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সানাউল্লাহ মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "এখন আদালতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা একেবারেই নাজুক। যে কোনো সময় যে কিছু ঘটে যেতে পারে। জেএমবির বোমাহামলার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করারদিকে নজর দেওয়া হলেও এখন আর সেদিকে দৃষ্টি নেই।"
গত বছরের অক্টোবর মাসে মহানগর দায়রা জজ, জেলা জজ, মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালত, কোর্ট হাজতে আটটি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়। কিন্তু যেখানে এজলাস ১০০টি, সেখানে এ সংখ্যা অনেক কম বলে আইনজীবীদেরবক্তব্য।আদালতপাড়াকে ঝুঁকিমুক্ত করতে কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি শেখ হেমায়েত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন।
তারা বলেন, প্রথমেই আদালত প্রাঙ্গণ ও এজলাসের বারান্দা থেকে হকার, ভিক্ষুক উচ্ছেদ করতেহবে। দরকার প্রবেশ পথগুলোতে কড়া পুলিশ পাহারা। তাহলে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরবে।
পুলিশ কর্মকর্তা আমিনুর বলেন,"কারাগার থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১ হাজার আসামিকে আদালতে আনা হয়। এদের হিসাব রাখতে হয় পুলিশকে। এর সঙ্গে আদালতের নিরাপত্তার দিকেও দৃষ্টি রাখতেহয়। সব মিলিয়ে কাজটি কঠিন।"
তবে বিশেষ কোনো ব্যক্তির হাজিরার দিনে দাঙ্গা পুলিশের দল নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আদালত এলাকায় কাজ করে বলে তিনি জানান।
আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উভয়ই পুলিশের বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেবলেন, স্বল্প সংখ্যক পুলিশের পক্ষে বিশাল এ অঙ্গনের দায়িত্বঠিকভাবে পালন সম্ভবপর নয়।
তবে আইনজীবীরা মনে করছেন, এ অবস্থার পরিবর্তন হওয়া উচিত। কারণ আদালত এলাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর জঙ্গিরা এর আগেও আদালতকেই তাদের লক্ষ্যস্থল করেছিলো। তাই আগামীতে যে কোনো হুমকি প্রতিরোধে আগেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি আলী আসগর স্বপন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২১ অগাস্টের গ্রেনেড হামলা, রমনা বটমূলে গ্রেনেড হামলা, জঙ্গিদের বিভিন্ন হামলার মামলাগুলোর বিচার হচ্ছেএ আদালতে।
"এত গুরুত্বপূর্ণ মামলার বিচারের সময়ে ঘটে যেতে পারে যে কোনো ঘটনা। আগে থেকে বন্দোবস্তনা থাকলে বড় ধরনের খেসারত দিতে হতে পারে," বলেন তিনি।
আইনজীবী আমিনুল গণী টিটো বলেন,"বাড়ি থেকে বেরিয়ে কোনো আইনজীবী কিংবা বিচারপ্রার্থী রাস্তায় নয়, বরং আদালতপাড়ায় এসেএখন নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েন। তাই এখানকার নিরাপত্তায় আরো মনোযোগ দেওয়া উচিৎ।"
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/পিবি/এমআই/১০২০ ঘ.

কোন মন্তব্য নেই :

আইন প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ বিএনপির

কোন মন্তব্য নেই
ঢাকা, অক্টোবর ০১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- মুফতি হান্নানের জবানবন্দি নিয়ে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামের দেওয়া বক্তব্য বিচার প্রভাবিত করার শামিল বলে দাবি করেছেন বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের নেতারফিকুল ইসলাম মিয়া।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শনিবার এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি বলেন, "তিনি (আইন প্রতিমন্ত্রী ) ২১ আগস্টেরবিচারাধীন মামলার বিষয়ে সরাসরিমন্তব্য করে নিজের সাংবাবিধানিক শপথ ভঙ্গ করেছেন।এর মাধ্যমে তিনি আদালতকে প্রভাবিত করছেন। এটা বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপের শামিল।"
"বিচারাধীন বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী নিজের চেম্বারে সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে কথা বলেছেন। এটাও তিনি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে পারেন না," বলেন রফিকুল।
২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় তারেক রহমানকে 'ষড়যন্ত্র' করে আসামি করা হয়েছেবলে দাবি করছে বিএনপি।
গত বুধবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন,মুফতি হান্নানের যে জবানবন্দিরওপর ভিত্তি করে তারেককে আসামি করা হয়েছে তা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন হুজি নেতা।
এর জবাবে পরদিন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, মুফতি হান্নানের জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন যথাযথভাবে হয়নি।যথাযথভাবে হয়নি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল বলেন, "মুফতি হান্নান মঙ্গলবার আদালতের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেছেন, ১৬৪ ধারার জবানবন্দি তার নয়, এটা সরকারের তৈরি করা স্টেইটমেন্ট।"
বিচারপতি হামিদুল হক চৌধুরীর একটি রায়ের উদ্ধৃতি দিয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি রফিকুল বলেন, "কাউকে জোরকরে সাক্ষ্য আদায় করার অধিকার রাষ্ট্রের নেই। বল প্রয়োগ করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি আদায় করা যাবে না।
"মুফতি হান্নান তার আইনজীবীর মাধ্যমে জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন, যা আদালত নথিভুক্ত হয়েছে। এটা তো আদালতের দেখার কথা। এখন আইন প্রতিমন্ত্রী এ বিষয়ে কেন কথা বলছেন। এ থেকে বোঝা যায়, প্রতিমন্ত্রীর শলাপরামর্শে তা (জবানবন্দি) হয়েছিলো।"
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে 'মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম' নামে একটি সংগঠনের কর্মসূচিতে অংশ নেন রফিকুল।
তিনি বলেন, "নির্যাতন চালিয়ে এবং হত্যার হুমকি দিয়ে জোর করে তারেক রহমানকে জড়াতে মুফতি হান্নানের কাছ থেকে মিথ্যা জবানবন্দি আদায় করা হয়েছিলো।"
খালেদার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের মামলার অভিযোগও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন বিএনপি নেতা।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপি নেতাদের মধ্যে ছিলেন রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সোহরাব উদ্দিন, আবদুল মতিন প্রধান, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের সৈয়দ মুজাম্মেল হোসেন শাহীন, ইব্রাহিম হোসাইন প্রমুখ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসএম/এমআই/১৩২৫ ঘ.এপ্লিকেশন গঠনানুযায়ী প্রদত্ত ইউআরএল অনুমোদিত নয়।

কোন মন্তব্য নেই :