বাংলাদেশে নি:সন্তান দম্পতিরা টেস্টটিউবের মাধ্যমে সন্তান লাভ করতে পারবেন page 2
কোন মন্তব্য নেই
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক রাশিদা বেগম বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত চার বছরে ১০০ টেস্টটিউববেবির জন্ম হয়েছে। ১৯৭৮ সাল থেকে টেস্টটিউব বেবি পদ্ধতির মাধ্যমে পৃথিবীব্যাপী প্রায় এক মিলিয়ন শিশুর জন্ম হয়েছে। এটি বেশ ব্যয়বহুল বলে উন্নত দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে কম। তিনি আরও বলেন, সন্তান না থাকায় বিবাহ বিচ্ছেদ বেড়ে যাচ্ছে। গ্রামে প্রথম বছরের মধ্যে যদি একটা সন্তান না হয় তাহলে স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করে। সন্তান না হওয়ায় তারা বিয়ের একটা ইস্যু পেয়ে যায়। স্কয়ার হাসপাতালের এমব্রায়োলজিস্ট ডা. সায়লা সিরাজবলেন, আইভিএফের সফলতার হার বাংলাদেশে শতকরা ২৫ থেকে ৩০ ভাগ। বিদেশে এই হার শতকরা ৩০-৩৫ ভাগ। ভ্রূণ স্ত্রীর জরায়ুতে স্খাপন করার আগ পর্যন্ত কৃত্রিমপদ্ধতি। স্খাপন করার পর স্ত্রীরস্বাভাবিক গর্ভধারণের যেমন অনুভব করেন টেস্টটিউব বেবি নিলেও তেমনি অনুভব করেন। এতে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না। নিপোর্টের বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক হেলথ সার্ভে ২০০৭ রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ২০ বছরের আগেই শতকরা ২৩ ভাগ নারীসন্তানধারণে সক্ষম থাকেন, ২০ বছরে সন্তানধারণে সক্ষম থাকেন শতকরা ৫৫ ভাগ নারী এবং ৩০ বছর বাতার পরে সন্তানধারণে সক্ষম থাকেন প্রায় এক পঞ্চমাংশ নারী। এমব্রায়োলজিস্ট ডা. সায়লা সিরাজবলেন, বাংলাদেশে নারী-পুরুষ দু’জনের ক্ষেত্রেই বিয়ের আইনগত বয়স বেড়েছে। বিয়ের পরে সংসারে একটু সচ্ছলতা আনতে দেরিতে সন্তান নিচ্ছে। ফলে দম্পত্তিদের ইনফার্টাইল হওয়ার ক্ষেত্রে এগুলো ব্যাপকভাবে ভূমিকা রাখছে। দিন দিন এ অবস্খা বাড়ছে। ফলে এ ব্যাপারে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি হয়ে পড়েছে। ডা. মরিয়ম ফারুকী স্বাতী আরও বলেন, বাংলাদেশে সামাজিদ, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় প্রথা ও নীতিতে স্বামী-স্ত্রী ছাড়া সন্তানধারণ গ্রহণযোগ্য নয়। সন্তানাকাáক্ষী দম্পতি সব রকম টেস্ট করলেও কখনও তৃতীয় কারও মাধ্যমে সন্তান নেয়ার কথা ভাবতেপারে না। শুক্রাণু সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ভ্রূণ তৈরির প্রক্রিয়ায় ঝুঁকির আশঙ্কা থেকে যায়। আমার স্বাম-স্ত্রীর কাছ থেকে প্রায় একই সময়ে শুক্রাণু ও ডিম্বাণু নিয়ে সংরক্ষণ করি। আর খুব অল্প রোগী নিয়ে থাকি। ফলে একজন দম্পতির জন্য আমাদের হাতে অনেক সময় থাকে। আমরা এ ব্যাপারে অত্যন্ত সাবধান থাকি। ফলে ঝুঁকির সম্ভবনা কম থাকে।

কোন মন্তব্য নেই :