কোন মন্তব্য নেই
মধ্যযুগের কবি জ্ঞানদাসের সেই অমর প্রেমের কবিতা ‘সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু, অনলে পুড়িয়া গেল- অমিয়া সাগরে সিনান করিতে- সকলি গরল ভেল’ বাস্তবে পরিণত হয়েছে বর্তমানের প্রেমিক-প্রেমিকাদেরজন্য। প্রেমের মধ্যে বাড়ছে অবিশ্বাস আর সন্দেহ। হচ্ছে ত্রিভুজ প্রেম। পরকীয়ার জন্য ঘটছে হত্যাকাণ্ড। ঘটছে বিচ্ছেদ। বাড়ছে আত্মহত্যা। যে প্রেম স্বর্গ থেকে আসে সে প্রেমই এখন ঘাতকের ভূমিকা পালন করছে। গত কয়েক দিনে যে কয়জন আত্মহত্যা করেছে তার প্রায় সবকটি প্রেমে ব্যর্থ বা ত্রিভুজপ্রেমের কারণে। আরা আত্মহত্যার শিকার সবাই বিশ্ববিদ্যালয় বা স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থী। আর প্রায় সবক’টি আত্মহত্যার পেছনে রয়েছে প্রেমসংক্রান্ত জটিলতা। হতাশাগ্রস্ত মানুষের মধ্যে কাউন্সিলিং করেন এমন প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির ছাত্র-শিক্ষক পরামর্শ কেন্দ্র। সেখানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিদিন ১৫-২০ জন শিক্ষার্থী পরমর্শ নেয় এ কেন্দ্র থেকে। যারা পরামর্শ নেন তাদের বেশিরভাগই প্রেমে ব্যর্থ হয়ে হতাশায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন পরামর্শদাতারা। মনোবিজ্ঞানীরা বলেছেন, গত কয়েক দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থীআত্মহত্যা করেছে। মনোবিজ্ঞানীরা বলেছেন- প্রেমসংক্রান্ত জটিলতা, আর্থিক সঙ্কট, পারিবারিক সমস্যা, পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইতে না পারা, ভবিষ্যৎ নিয়ে নেতিবাচক চিন্তা, বেকারত্ব প্রভৃতি কারণেমানসিক সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সমস্যা যখন নিজেরা সমাধানের পথ খোঁজে না পায় তখনই আত্মহত্যা করে। তারা বলেছেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে কাউন্সিলিং বাড়াতে হবে। এর মাধ্যমেই আত্মহত্যার প্রবণতা কমানো সম্ভব। ৮ই অক্টোবর কুড়িগ্রাম শহরের একটি ছাত্রী মেস থেকে নুরুন্নাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণীর ছাত্রী সালমা বেগমের ঝুলন্ত লাশউদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ বলছে, ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে।তিনি বলেন,অনেক সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের লোকজনকেও বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়া হয়।

কোন মন্তব্য নেই :