নারী যৌনতা নিয়ে দুশ্চিন্তা

1 টি মন্তব্য
অনেক নারী যৌনতা নিয়ে অস্বাচ্ছন্দ্যতা বা এক ধরনের চিন্তা, বা শঙ্কায় ভোগেন। তারা স্বাভাবিক শরীরের অধিকার হলেও যৌনাঙ্গ নিয়ে অনেক সময় বেশ অস্থির থাকেন। অবশ্য নারীরা চরমপুলক বা যৌন শিহরণমূলক অনুভূতি অথবা অন্যদের মতো সেক্স তারা কেন করতে পারেন না এ নিয়েও য় ভোগেন। হঠাৎ করে কোনো যৌনসঙ্গম একটু ব্যথাদায়ক হলে তাদের উদ্বেগের সীমা থাকে না।
যৌন আচরণ অনুভূতি আর যৌন ইচ্ছার নির্দিষ্ট কোনো সীমা নেই। বিভিন্ন ধরনের আসন, বিভিন্ন রকমের টেকনিকে অনেকে খুব যৌনমুখ পান-আবার অনেকে পান না। একজন নারী যৌন আনন্দ বা যৌনসুখের জন্য যে আসন বা ব্যবস্থাটিই বেছে নিক না কেন তা কিন্তু সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। অন্য নারীরা যা করে তা আপনাকে একইভাবেকরতে হবে এমন কোনো কথা নেই। তবে কারো অনিচ্ছা আরআপত্তি সত্ত্বেও তার সাথে যৌন সঙ্গম করা অন্যায়। বলাৎকার এবং অপব্যবহার এই দুটিই আইনের দৃস্টিতে অপরাধ।
আসলে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে একজন নারীকে অবশ্যই তার শরীর বা বডি ইমেজ সম্পর্কে স্বচ্ছ সাবলীল ধারণা থাকা চাই। এক্ষেত্রে নারী তার যৌনসঙ্গীর সাথে যোগাযোগ করে ও পরামর্শ নিয়ে উপকৃত হবেন। নারীকে অবশ্যই জানতে হবে কিসে যৌনানন্দ বোধ হয় এবং তিনিকি অপছন্দ করেন।
নারী যৌনাঙ্গের সবচেয়ে সংবেদনশীল স্পর্শকাতর ফুলের মতো বা ঠোঁটের মতো অংশটাকে ক্লাইটোরিস বা ভগাংকুর বলে। এতে সুখস্পর্শ করলে নারীর দেহমনে এক অন্যরকমের যৌনসুখ অনুভূত হয়।যৌন সঙ্গমের সময় একজন নারী ঠিক যেভাবে বা যেরকম স্পর্শ তার ক্লাইটোরিসে চায় সেরকম হয় না। তাই যৌনসঙ্গমের সময় এমন একটা পথ বেছে নিন যাতে কিনা ক্লাইটোরিসের সাথে মৃদু বা মাঝারি ঘর্ষণ নিশ্চিত হয়। নারী নিজে বা তার যৌনসঙ্গী যৌনক্রিয়ার সময়ক্লাইটোরিসকে উদ্দীপিত করতে পারে বা বীর্যস্খলনের পর নারীকে চরমপুলক বা যৌন শিহরণ দেয়ার জন্য এটাকে উদ্দীপিত করতে পারে। নারী নিজেই আবিস্কার করবে কার মাধ্যমে হস্তমৈথুনে তিনি বেশি যৌনসুখ পান, তার যৌনসঙ্গীর মাধ্যমে না নিজের মাধ্যমে।
নারী যদি সত্যিকারভাবেই উদ্দীপিত হয় তাহলে কিন্তু যোনি ভিজে যায়। এরফলে যৌনসঙ্গম সহজতর হয়। কতক নারী-পুরুষ আবার যোনিকে ভেজা রাখার জন্য দ্রবণীয় কোনো পিচ্ছিল তরল ব্যবহার করেন।
এটা যেকোনো ড্রাগ ষ্টোর থেকে কেনা যেতে পারে; তবে পেট্রোলিয়াম জাতীয় পিচ্ছিলকারক পদার্থ কখনোই ব্যবহার করবেন না।
একজন নারী তার যৌনানুভূতি বা যৌন ইচ্ছার কথা দেহের ভাষাতে প্রকাশ করতে পারেন। আর আপনি যদি এতে সফল হন তবে আপনার যৌনসঙ্গী আপনার সাথে যৌনকর্মে বা যৌনসঙ্গমে মিলিত হতে চাইতে পারেন-এতে করে উভয়েই যৌনানন্দ আর যৌনসুখ নিঃসন্দেহে পাবেন।
গর্ভসঞ্চারের ভীতি, যৌনবাহিত রোগ হওয়ার শঙ্কা বা দুশ্চিন্তা ইত্যাদি সবকিছুই সেক্সেরঅনুভূতিকে কমিয়ে দিতে পারে। ক্লান্ত বা অবসাদগ্রস্ত হওয়া, মনোশারীরিক চাপ বা ষ্ট্রেস, অসুস্থতা বা এ্যালকোহল সেবন যৌন আচরণ আর অনুভূতিতে গভীর প্রভাব ফেলে।
সেক্স সম্বন্ধে নেতিবাচকঅভিজ্ঞতা যেমন অপব্যবহার, যৌন অত্যাচার বা নিপীড়ন, ধর্ষণ, বলাৎকার বা সেক্স একটা নোংরা ব্যাপার-এরূপ ধারণা সেক্সের ওপরে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে। তবে কতক নারীর ফিজিক্যাল বা শারীরিক সমস্যা থাকতে পারে। সেক্স সম্পর্কীয় মানসিক সমস্যার জন্য অবশ্যই সেক্স থেরাপিষ্টের শরণাপন্ন হওয়া দরকার।

♥♥♥♥সমাপ্ত♥♥♥♥
প্রকাশক : সৈয়দ রুবেল উদ্দিন
www.facebook.com/sayed.rubel3