বিমানবন্দরে দেহ তল্লাশির নামে নগ্ন ছবি ভিডিও ধারণ
কোন মন্তব্য নেই
মানবজমিন ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার বিজনেস টাইকুনখ্যাত মাল্টি-মিলিয়নিয়ার জিওফ্রি এডেলস্টেন অস্ট্রেলীয় শুল্ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী’র শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছেন। একটি নতুন আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থে তিনি দাবি করেছেন, মেলবোর্ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার স্ত্রী ব্রায়ান গর্ডন এডেলস্টেনকে নিরাপত্তা তল্লাশির নামে বিবস্ত্র করে ছবি তোলা হয়েছে। সে অবস্থায় তার ভিডিও চিত্র ধারণ করা হয়। এ ঘটনা ঘটে ২০০৮ সালে। নতুন করে নিজের লেখা আত্মজীবনী ‘এনিগমা’তে এসব কথা লিখেছেন জিওফ্রি এডেলস্টেন। গতকাল এ খবর দিয়েছে অনলাইনে ডেইলি মেইল। এতে আরও বলা হয়, মেলবোর্নে জন্মগ্রহণকারী এডেলস্টেন পেশায় চিকিৎসক। ১৯৯০ সালে পুরনো এক রোগীকে মারধর করার জন্য তিনি গুণ্ডা ভাড়া করার অপরাধে জেলে গিয়েছিলেন। তার পদবি কেড়ে নেয়া হয়। কিন্তু তার আগেই ক্লিনিকের ব্যবসা থেকেলাখ লাখ ডলারের সম্পত্তির মালিকহয়েছিলেন। এ সপ্তাহেই তার ‘এনিগমা’ নামে একটি নতুন আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ প্রকাশিতহওয়ার কথা। বইটির এক জায়গায় তিনি লিখেছেন, আমি আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম, কাস্টমসে ঠিক কি ঘটেছিল? তিনি আমাকে বললেন, গোয়েন্দা বাহিনীর কাজে ব্যবহৃত একটি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর আমার পথরোধ করে কিছুতেই আমার সঙ্গ ছাড় ছিল না। এর পরপরই কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিক তল্লাশি শুরু করে। আমার কাছে কিছু না পেয়ে, তারা আমাকে সব পোশাক খুলতেবলে। এমনকি আমার পরনের আন্ডারওয়্যারটি খুলতেও তারা বাধ্য করে। আরও সম্পূর্ণ বিবস্ত্র অবস্থায় আমার ছবি তোলে। বইটিতে তিনি আরও লিখেছেন, আমার স্ত্রী’র কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়ে একটি বার্তা পাঠানো হয়। তাতে লেখা ছিল, ১ বছর পর ছবিগুলো নষ্টকরে ফেলা হবে। এদিকে টেলিগ্রাফের কাছে দেয়া এক বিবৃতিতে অস্ট্রেলীয় শুল্ক কর্তৃপক্ষ বিবস্ত্র অবস্থায় ছবি তোলার বিষয়টি নিশ্চিত করে। তারা জানায়, যে কোন সন্দেহভাজন ভ্রমণকারী ব্যক্তির শরীরে এ পদ্ধতিতে তল্লাশি পরিচালিত হয়। ২০১০ ও ২০১১ সালের মধ্যে একইভাবে ৪৮ ব্যক্তির দেহে তল্লাশি চালানো হয়।। গর্ডন এডেলস্টেনের এক মুখপাত্র বলেন, কাস্টমসের কাছে তার নগ্ন ভিডিও ও ছবির ডিভিডি রয়েছে। এটি তার জন্য একটি অত্যন্ত অপমানজনক অভিজ্ঞতা ছিল। এক্ষেত্রে একজন নারী কাস্টমস সদস্য তার নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। কিন্তু, একজন ভ্রমণকারীর নগ্ন ছবি তোলা কখনওই কাস্টমস বা সীমান্ত কর্তৃপক্ষের আদর্শ পদ্ধতি হতে পারে না বলে উল্লেখ করেন ওই মুখপাত্র। তিনি বলেন, এমন বিশেষ কিছু ক্ষেত্র রয়েছে, যেখানে যাত্রীর অনুমতি নিয়ে তবেই তার শরীরে তল্লাশি চালানো যেতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই :