জন্মনিয়ন্ত্রন -- টিউবেকটমি বা টিউবাল লাইগেশন

কোন মন্তব্য নেই
টিউবাল লাইগেশন মহিলাদের স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রনের একটি পদ্ধতি । এই পদ্ধতিতে মহিলাদের ডিম্বানুর গমন পথকে কেটে পৃথক করে দেয়া হয় । ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বানু ফেলোপিয়ান টিউব ( Fallopian tube) এর মাধ্যমে জরায়ুতে আসে , টিউবেকটমি বা টিউবাল লাইগেশন ( Tubal ligation) অপারেশন দ্বারা এই টিউব কে বেধে এবং কেটে দিয়ে এই পথ কে বাধাগ্রস্ত করা হয় ।
যে সকল দম্পতির নুন্যতম দুইটি সম্পুর্ন সুস্থ বাচ্চা আছে এবং যখন স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই সম্মতি থাকে তখন টিউবাল লাইগেশনঅপারেশন টি করা হয় । সাধারনত বাচ্চা ডেলিভারির পর পর অথবা সিজারিয়ান সেকশন করে বাচ্চা ভুমিষ্ট করার সময় এই অপারেশন করা হয় । তবে এটা যেকোনো সময়ই করাযায় ।
তলপেটের মাঝবরাবর ইঞ্চি খানেক লম্বা অংশের চামড়া কেটে এই অপারেশন করা হয় । কাটা অংশ দিয়ে ফেলোপিয়ান টিউবটি বের করে তা কেটে এর দুই মাথা বেধে দেয়া হয় । যে কোনো প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত চিকিৎসকই এটি করতে পারে । পরবর্তীতে কোনো দম্পতি যদি মনে করে তাদের আরেকটি সন্তান নেবার প্রয়োজন আছে তাহলে মাইক্রোসার্জারি করে কাটা টিউবের দুই মাথা আবার জোড়া লাগিয়ে দেয়া যায় । এই দ্বিতীয় অপারেশনটি অতটা ফলপ্রসু হয়না , শুধুমাত্র এক তৃতীয়াংশ দম্পতির এই অপারেশনের মাধ্যমে পুনরায় সন্তান ধারন করার সম্ভাবনা থাকে ।

কোন মন্তব্য নেই :