জরায়ু নেমে আসা

কোন মন্তব্য নেই
রোগ পরিচিতিঃ-
নারীদের বিভিন্ন রকম অসুখের স্বীকার হতে হয়। একজন নারী বিবাহের পূর্বে সুস্থছিল তেমন কোন অসুখ বিসুখের দেখা হয়নি কিন্তু দেখাগেল বিবাহের পরে বিভিন্ন অসুখ তাকে এমন ভাবে গ্রাস করলো যে,ফলে তার স্বাস্থ এমন ভাবে ভেঙ্গে য়ায় ফলে তার হারানো স্বাস্থ আর উদ্ধার হয় না।স্বামীর অর্জীত দোষ স্ত্রীর মধ্যে মিলিত হয়ে এই অবস্থা হয়ে থাকে।নারীদের জরায়ু সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ তার মধ্যে অন্যতম। আবার এই রোগটি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই একটি বা একাধিক সন্তান জন্মের জন্য হয়ে থাকে। জরায়ুর প্রায় সবটাই যোনির মধ্যেঝুলে থাকে।আর এই রূপ অবস্থা যখন যোনির বাহিরে নেমে আসে তখনই একে জরায়ু নেমে আসা বলে।
কারণঃ-
১.জন্মগত কারনে এই রোগ হতে পারে এখানে পিতা মাতার হতে অর্জীত যে সকল দোষ জিন এর মাধ্যমে সন্তান প্রাপ্ত হয়।
২.কখনো কখনো ব্লাডার নেমে আসে বলে তার সঙ্গে জরায়ু নেমে আসে।
৩. আবার কখনো কখনো রেক্টাম নিচেরদিকে নেমে আসে এবং তৎসহ জরায়ুও নিচের দিকে নেমে আসে।
৪.অধিক সন্তান ধারন হেতু জনন যন্ত্রের ইন্দ্রিয়ের বিভিন্ন অংশ ঢিলে হয়ে যায় যার ফলে জরায়ুরলিগামেন্ট গুলো শিতল হয়ে যায় এবং জরায়ু নিচে নেমে আসে।
৫.জরায়ু স্থাচ্যুতি বা রিষ্ট্রোভারসন হলে এই রোগ দেখা দিতে পারে।
৬. অনবরত এবং দীর্ঘকাল পর্যন্ত আমাশায় ও উদারাময় রোগ ভোগলে এই রোগ হতে পারে।
লক্ষন
রোগীর পিঠে ও কোমরে বেদনার লক্ষন দেখা যায়। অনেক সময় প্রদাহ হয় এবং প্রদাহ বেশী হলে জ্বর হতে পারে।
যদি জরায়ু অধিক পরিমানে নেমে আসে তবে পায়খানা প্রসাবে অসুবিধা হতে পারে।
কোন কোন ক্ষেত্রে পেলভিক ক্যাভিটিতে সেপটিক হতে পারে এবংএ থেকে ধীরে ধীরে ক্যান্সার হতে পারে ।
জরায়ু অধিক পরিমানে নিচে নেমে আসলে যৌন মিলনে অসুবিধা হতে পারে।
জরায়ু কতটা পরিমানে নিচের দিকে নেমে আসে তার এটা মুটামুটি মাত্রা আছে এবং এই মাত্রা অনুযায়ী রোগটিকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।যথা-প্রথম ডিগ্রী -সামান্য নেমে আসা ১/৪ ইঞ্চি অথাৎ পনে এক ইঞ্চি পর্যন্তু। দ্বিতীয় ডিগ্রী-অনেকটা বেশী নেমে আসা অর্থাৎ ১ইঞ্চি পর্যন্ত।আর তৃতীয় ডিগ্রী- প্রায়সবটুকু নেমে আসা অর্থাৎ ২ ইঞ্চি হতে আড়াই ইঞ্চি পর্যন্ত বা তার চাইতে বেশী নেমে আসা।আর এই তৃতীয় মাত্রা নেমে আটা খুবই মারাত্তক ব্যাধি। অতএব বিভিন্ন কারনে এই অসুখ হয়ে থাকে।এবং বিভিন্ন লক্ষন প্রকাশ পেয়ে থাকে।এই সময় ঋতু স্রাবে অত্যন্ত কষ্ট অনুভব করা,
উরুদেশ টেনে ধরার ন্যায় বেদনা হওয়া,স্তন ঝুলেপড়া ঋতুবিলম্বিত এবং ভগদেশ স্পর্শকাতর হতে পারে।জরায়ু মুখ এবং জরায়ু গ্রীবার কঠিনতা ভাব।ড়িম্বাশয় প্রদাহ ,ডিম্বকোষ বর্ধিত এবং স্ফীত ভাব এবং মুত্র ত্যাগের পর শ্বেত প্রদর হয়।জরায়ু গ্রীবায় হাজা ও ক্ষত ভাব বুক ধরপর ভাব স্বরভঙ্গ ইত্যাদি লক্ষন দেখা দেয়।
চিকিৎসাঃ-
এই রোগে আক্রান্ত হলে অভিঙ্গ ডাক্তাবের পরা মর্শ নিতে হবে। রোগের প্রথম অবস্থাই চিকিৎসা গ্রহন করলে রোগটি ভাল হয়।এ্যালোপাথিক চিকিৎসা মতে এর চিকিৎসা হল অপারেশন করে জরায়ু অপশারন করা।কিন্তু য়াদের বয়স কমতাদের জন্য এই অপারেশন এর কারনে আর সন্তান ধারনে অক্ষম হয়ে যায়। নারীর নারীত্বর অনভূতি আর থাকেনা ফলে অনেক ক্ষেত্রে ঘর ভেঙ্গে যায়। এছাড়া এই অপারেশনেরপর এমন কিছু জটিলতা সৃষ্ট হয় যা অত্যন্ত কষ্টকর।তবে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাতে এই রোগ অতি সহজেই
ভাল হয়।সত্য বলতে কি এই রোগে হোমিও যাদু মন্ত্রের মত কাজ দেখায় আ এর জন্য প্রকৃত হোমিও চিকৎসকের দরকার,হোমিও বাটপার না।

কোন মন্তব্য নেই :