চট্টগ্রামে কলেজ ছাত্রী ধর্ষণের চেষ্টায় ওসি কারাগারে
কোন মন্তব্য নেই
চট্টগ্রামে এক কলেজ-ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানার ওসি মিজানুর রহমানকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গতকাল মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন অভিযুক্ত মিজান। এরপর বিচারক এবিএম নিজামুল হক তাকে কারাগারেপাঠানোর আদেশ দেন। এই সময় ওসি মিজান আদালতে জামিন চাইলে তা নাকচ হয়ে যায়।
গত ১২ই জুলাই চট্টগ্রাম নগরীর ইস্পাহানী কলেজের এক ছাত্রী তার ছেলেবন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে নগরীর বিনোদন কেন্দ্র ফয়’স লেকে বেড়াতে যান। সেখানে হঠাৎ করে হাজির হন কসবা থানার ওসি মিজান।একপর্যায়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে তাদের জোর করে গাড়িতে তুলে নগরীর চকবাজার এলাকায় ‘আল আকাবা’হোটেলে তাদের নিয়ে যান তিনি।
ঘটনার শিকার ওই ছাত্রী অভিযোগ করেন, ওসি মিজান রাতে তাদের দু’জনকে দু’টি কক্ষে আটকে রাখেন।এ সময় ছাত্রীটিকে কক্ষের ভেতর ধর্ষণের চেষ্টা চালান। ভয়ে ওই ছাত্রী তখন দৌড়ে হোটেল কক্ষের শৌচাগারে আশ্রয় নেন। সতীত্ব বাঁচাতে জানালার কাঁচ দিয়ে নিজের হাত কেটে অচেতন হয়ে পড়েন। পরে হোটেলের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে তাদের উদ্ধার করেন। এ ঘটনার পরপরই ছাত্রীটির পিতা হুমায়ুন কবির ১৬ই জুলাই বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় ওসি মিজানকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এরপর ওসি মিজান সাড়ে তিন মাস পলাতক থাকেন।
চট্টগ্রাম আদালত সূত্র জানায়, ওসি মিজান ঘটনার সময় কর্মস্থল ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে একটি মামলায় সাক্ষ্য দিতে পাঁচ দিনেরজন্য চট্টগ্রামে এসেছিলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ওসির দায়িত্ব পাওয়ার আগে মিজান চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার ওসি ছিলেন। গত ৩১শে অক্টোবর বিচারিকআদালতে তিনি জামিননামা দাখিল করেন। এরপর ১৩ই নভেম্বর পর্যন্তঅন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান।
এব্যাপারে জানতে চাইলে মামলাটির বাদীপক্ষের আইনজীবী ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী মানবজমিনকে বলেন, ওসি মিজান যা করেছেন তাতে পুলিশ সমাজের প্রতিমানুষের শ্রদ্ধার জায়গাটি অনেক কমে গেছে।একজন আইনের রক্ষক হয়ে তিনি অনৈতিক কাজের চেষ্টা করেছেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা না থাকা সত্ত্বেও তিনি জামিন পেয়েছেন। এটি পুরোপুরি আইনসম্মত নয়। ব্যবস্থা নিতে আদালতের কাছে আবেদন করেছি।’

কোন মন্তব্য নেই :